Header Ads

Header ADS

যে বৈশিষ্টের মাধ্যমে বুঝবেন কুরান কোন ঐশ্বরিক কিতাব নয়।

যে বৈশিষ্টের মাধ্যমে বুঝবেন কুরান কোন ঐশ্বরিক কিতাব নয়।

Image result for কুরআনের ছবি
 এতে ( কুরানে)  সারাবিশ্বের এত সব গুরুত্বপূর্ন বিষয়কে ছেড়ে দিয়ে শুধুমাত্র আরব্য মরু অঞ্চলের মধ্যেই সীমাবদ্ধ এবং মুহাম্মদের ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে লেখা হয়েছে?
বরং কুরান যে ,মুহাম্মদের বিভিন্ন ধর্মের থেকে কিছু অংশ কপি করা ,এবং বাকিটা নিজের মতামত এবং মতামত দিয়ে রচনা করেছে এতে কোন সন্দেহ নেই ।কেননা যে বৈশিষ্ট্যের কারনে বুঝবেন কুরান কোণ ঐশ্বরিক কিতাব নয়,তাহলোঃ
আল্লা যে কোন সত্যিকারের কোন স্রস্টা নয় , বরং মুহাম্মদের কল্পনা থেকে সৃস্ট একজন নামমাত্র স্রস্টা এবং কুরান যে কোন স্রস্টা প্রদত্ত ঐশ্বরিক কিতাব নয় সেটা কুরানের যেসকল বৈশিষ্টের মাধ্যমে বুঝতে পারবেনঃ-
-----------------------------------------------------------------------------------
১। এতে আরব্য মরু অঞ্চলের বাইরে কোন অঞ্চল , জাতি,ভাষা ,জীব বৈচিত্র,আবহাওয়া, জলবায়ু কিংবা আরব্য অঞ্চলের বাইরে কোন প্রকৃতি ইত্যাদি সম্পরকে কোন উল্লেখ পাবেননা ।
২।এতে কোন বিষয়ের উপরে কোন গভীর পর্যায়ের বা উচ্চ পর্যায়ের কোন জ্ঞান বা আলোচনা পাবেননা ।যেটা পাবেন সেটা খুবই নিচু মানের বা কোন বিষয়ের উপরে প্রাথমিক পর্যায়ের বা জাস্ট প্রাইমারি লেভেলের ,যেটা যে কেউ পার্থিব জগতে বসে বা পৃথিবির বুকে বসে পাহাড় ,নদী,সাগর,প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে কিংবা ঘরের জানালা দিয়ে মেঘ ,সূর্য্য,চাদ, তারা কিংবা আকাসের দিকে তাকিয়ে এক টু নিরিবিলি বসে সেসব নিয়ে ভাবলে সহজেই বলে দিতে পারে ।
আজ যেটা বিজ্ঞানীরা আবিস্কার করতে পারছে তার কোন উল্লেখ কিংবা আভাস কুরানে পাবেননা ।তারপরেও ধর্মকে টিকিয়ে রাখতে নিজেদের পেট ব্যবসা সচল রাখতে ধর্মিক নামক ভন্ডরা এটাকে বিজ্ঞানময় কুরান বা বিজ্ঞান ময় কিতাব বলে সাধারন মানুষদের এসব ধর্মের প্রতি আকৃষ্ট করে চলেছে ।কেননা বিজ্ঞানের কারনে আজ এসব ধর্ম তথা ধর্মীয় কিতাব গুলি মূল্যহীন হয়ে পড়ছে ।সবাই দিন দিন ধর্ম থেকে দূরে সরে যাওয়া সহ ধর্মীয় বিশ্বাস থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারনে ভন্ড ধার্মিকেরা তাদের ধর্ম তথা ধর্মীয় গ্রন্থকে বিজ্ঞানময় বলে সাধারন মানুষদেরকে বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে আকৃষ্ট করে চলেছে ।
৩।এতে আরব্য অঞ্চলের বাইরে কোন জীব জন্তু,গাছপালা,ফলমূল মাছ পাখি ইত্যাদি সম্পর্কে কোন উল্লেখ পাবেননা ।অথচ এতে উট,আরবের মরুভূমি ও উত্তপ্ত বালু,পাথুরে পাহাড়,ডুমুর ,যয়তুন, খেজুর ইত্যাদি সম্পর্কে বারংবার আলোচনা করা হয়েছে।
অনেকে এই দাবীটিকে এটা বলে খন্ডাতে চায় যে, যদি পৃথিবীর সব যায়গা ও সবকিছু সম্পর্কে আলোচনা করা হতো তাহলে কুরান আর কারো পড়ার উপযোগী থাকতোনা ।এটা সংরক্ষন করার জন্য একটা পৃথিবীর সমান লাইব্রেরীর প্রয়োজন হতো।
তাহলে সেক্ষেত্রে প্রশ্ন জাগে যে, শুধুমাত্র আরবের মধ্যেই কেন সীমাবদ্ধ রাখতে হলে আলোচনা? আরব্য মরু অঞ্চলের বাইরে সারা পৃথিবীতে কি আর কোন গুরুত্বপূর্ন বিষয় ছিলনা বা নেই? অথচ এতে মুহাম্মদ কাকে বিয়ে করবে ,কাকে কখন সেক্স করবে সেসব বিষয়ে অহেতুক হিউজ পরিমান আয়াত পাওয়া যায় ।
৪। এটা নাকি পৃথিবী সৃষ্টির অনেক আগেই সম্পূর্নাকারে লওহে মাহফুজে সংরক্ষিত ছিল ।মুহাম্মদকে নবী হিসাবে পাঠানোর পরে সেটা মুহাম্মদের ৪০ বছর বয়সে জীব্রাইলের মাধ্যমে মুহাম্মদের উপরে নাজিল করা হয়।
অথচ এতে মুহাম্মদের নবী হবার পর থেকে মৃত্যু অব্ধি ছাড়া তার আগে পরের কোন বিষয় সম্পর্কে তেমন কোন উল্লেখ নেই।যেটা আছে সেটাও কোন বিষয়েই পূর্নাঙ্গ জ্ঞান রাখেনা ।বরং সেগুলি মুহাম্মদের জন্মের অনেক আগে থেকে প্রচলিত ধর্মগুলি থেকে একটু আধটু শুনে শুনে কুরানে উল্লেখ করেছে সেটা স্পস্টই বুঝা যায়।
যদি এটা পৃথিবি সৃস্টির আগেই রচনা করে লওহে মাহফুজে রক্ষিত থাকতো তাহলে এতে মুহাম্মদের মৃত্যুর পরের অনেক ঐতিহাসিক বিষয়ের উল্লেখ থাকতো।যেমন মুহাম্মদের সাথে ঘটে যাওয়া বেশ কয়েকটি যুদ্ধ সম্পর্কে এতে বর্ননা করা থাকলেও প্রথম এবং ২য় বিশ্বযুদ্ধের সম্পর্কে কোন বিষয়ে কোন ক্লু কিংবা হিন্টস দেওয়া নেই। অথচ এতে মুহাম্মদের ব্যক্তিগত অনেক ফালতু ভেল্যুলেস বিষয়ে দীর্ঘ আলোচনা করা হয়েছে । .যেমনঃ মুহাম্মদের পালক পূত্রের স্ত্রীকে বিবাহ করা , দাসীদের সঙ্গে সেক্স করার মত বিষয়।
৫। এতে এমন সব বিষয়কে সাক্ষ্য রেখে প্রতিটি কথা বা প্রতিটি সুরা শুরু করা হয়েছে যেটা একজন স্রস্টার কাছে নিতান্তই মূল্যহীন হবার কথা ।
https://imranshakh.blogspot.com/2020/02/blog-post_58.html
অর্থাৎ কোন স্রস্টা কিভাবে কোন কথা বলার পূর্বেই আকাস, বাতাস , চাঁদ সুর্য্য,ধুলা উড়িয়ে যাওয়া ঘোড়ার খুরের ,প্রজ্জলিত তারা,মক্কা নগরী , বালাদ শহর, বায়তুল মামুর,রাতের আধার,ডুমুর ও জয়তুন,তুর পাহাড়,ফেরেস্তা, ইত্যাদি সহ নানান মূল্যহীন বিষয়কে সাক্ষ্য রেখে তার বানী শুরু করতে পারে ?যদি কোন বানী পাঠানোর আগে কোন বিষয়কে সাক্ষ্য রাখতেই হয় তাহলে সেটা কেন শুধুমাত্র আরব্য মরু অঞ্চল তথা মুহাম্মদের দৃষ্টি সীমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল?এত বড় পৃথিবীতে কি আর কোন মূল্যবান বিষয় বা স্থান কি ছিলনা যেটাকে সাক্ষ্য রেখে /শপথ করে সুরা নাজিল করা যেত বা তার বানী পাঠানো যেত?
৬। কুরান যদি কোন ঐশ্বরিক কিতাব হতো তাহলে তার প্রায় অর্ধেক যায়গা জুড়েই বলা হতনা তাকে (আল্লাকে) ভয় কর।
যেহেতু তিনি সবাইকে বিবেক বুদ্ধি দিয়ে সৃস্টি করে তাদেরকে পরীক্ষা করার জন্য জান্নাত কিংবা জাহান্নামের ব্যবস্থা রেখেছেন মৃত্যুর পরে ,সেহেতু কোন স্রস্টা তার একই সৃষ্টির মধ্যে একজন কে শ্রেষ্ঠ এবং আরেকজনকে নিকৃষ্ট বলে উল্লেখ করতোনা ।মানে বিচারের আগে বা পরীক্ষা নেওয়ার আগেই রায় বা ফলাফল দিয়ে দিতনা ।
৭। যে স্রস্টা সব সৃষ্টির ভাষা বুঝতে পারে , সে কখনই নিদৃষ্ট করে একটি ভাষাকে শ্রেষ্ঠত্বের মর্যাদা দিয়ে ,তার সকল সৃষ্টির মধ্যে কোটি কোটি ভাষার সূচনা হতে দিতনা ।
৮। যদি আল্লার কাছে সকল মানবজাতির মধ্যে কেবলমাত্র মুসলমানদের ইবাদতই তারকাছে প্রিয় হতো তাহলে সেটা অনুকরনের সকল পন্থা ই সে তার কুরানের মধ্যে সু নিদৃষ্ট করে উল্লেখ করে দিত।যার কোন বিষয়ে কুরানে স্থান পায়নি।
অথচ নামাজের হুকুম আসে মুহাম্মদের মেরাজের ঘটনা থেকে ।যেটার কোন আলোচনাই কুরানের মধ্যে উল্লেখ নেই ।
নামাজের হুকুম আসে মুহাম্মদের বয়স যখন ৫১ বছর ৩ মাস তখন মেরাজের মাধ্যমে নাকি নামাজের হুকুম পাঠায় ,অথচ ৪০ বছর বয়সে মুহাম্মদে নবী হবার পর থেকে মেরাজে যাওয়ার আগ মুহুর্ত পর্যন্ত যে সকল সুরা নাজিল হয় তার অনেক সুরার মধ্যেই নামাজের কিঞ্চিত আলোচনা পাওয়া যায়।
তাহলে মুহাম্মদে মেরাজে গিয়ে কোন নামাজ নিয়ে আসলো?
মেরাজ একটি ঐতিহাসিক মিথ্যা সেটা দেখে নিনঃhttps://imranshakh.blogspot.com/2020/01/blog-post_25.html
৯। যদি আল্লা নামক কোন স্রস্টা সত্যিকার্থে এই মহাবিশ্ব সৃস্টি করতো তাহলে সে কুরানে শুধুমাত্র পৃথিবীর তুচ্ছ বিষয়গুলিকে প্রাধান্য দিয়ে শুধুমাত্র পার্থিব বিষয়ে আয়াত না দিয়ে বরং সমান ভাবে এই মহাবিশ্বের সমস্ত গ্যালাক্সী,নক্ষত্র,ব্লাক হোল,গ্রহ, উপগ্রহ,এবং তাদের গতিবিধি ও অবস্থান সম্পর্কে তথা সেগুলি সৃষটির নিখুত বর্ননা সে কুরানে উল্লেখ করতো।
এক্ষেত্রে অনেকে হয়তো বলতে পারেন যে ,কুরান নাজিল হয়েছে আজ থেকে ১৪০০ বছর আগে ।তখনের লোকেরা এখনের মত এত শিক্ষিত ছিলনা,তাই আল্লা যদি আজ থেকে ১৪০০ বছর আগেই কুরানে এসব বিষয়ে উল্লেখ করতো তাহলে তখনের লোকেরা এসব ( কুরানে) মোটেও বিশ্বাস করতোনা ,বরং মুহাম্মদকে পাগল বলে এড়িয়ে যেত ।
সেক্ষত্রে আমার প্রশ্ন থাকে যে,আল্লা কি তাহলে জানতোনা যে কুরান নাজিলের ১৪০০ বছর পরে মানুষ এরকম অশিক্ষিত থাকবেনা, তারা জ্ঞানী এবং আধুনিক হবে ? তাই তখন তারা যখন কুরানে এসব না পাবে বা আমার ( কুরানে আল্লার )অজ্ঞতা তাদের কাছে প্রকাশ পাবে তখন তারা আমাকে বা আমার নবীকে পাগল এবং মিথ্যুক বলে এড়িয়ে যাবে ?
১০।আল্লা যদি কোন সত্যিকারের স্রস্টা হয় তাহলে তিনি তার একই সৃষ্টি মানুষের মধ্যে নারীদের নিয়ে এতটা বিদ্বেসি কেন হলেন?
কেন কুরানের মধ্যে এতবেশি নারী বিদ্বেসি এবং পুরুষের পক্ষে দালালি টাইপের আয়াত নাজিল করলেন? এতে কি তার একই সৃষটির মধ্যে সে নিজেই অসমঞ্জস্যতার রাস্তা তৈরি করেননি? কোন স্রস্টা কি এরকমটা করতে পারে??
একজন মায়ের কাছে সর্বদাই একটা সুস্থ সন্তান যতটা গুরুত্বপূর্ন, আদরের,ঠিক ততটাই গুরুত্বপুর্ন এবং আদরের হয়ে থাকে কোন কানা , খোড়া ,বোবা কিংবা শারিরিক কোন অসুস্থ কোন সন্তানেও ।
অথচ আল্লা একজন স্রস্টা হয়েও সে নিজেই পুরুষকে নারীর চেয়ে বেশি প্রাধান্য দিয়ে কিতাব নাজিল করেছে । অথচ বাস্তবে কোন নারীই একটা পুরুষের চেয়ে কোন অংশে কম নয় বা দুর্বল নয়।বরং একজন নারী একজন পুরুষের চেয়ে ঢের বেশি ধৈর্য্যশীল ,পরিশ্রমী,এবং বুদ্ধিমান । অথচ আল্লা কুরানে অনেক আয়াত পাঠিয়েছে নারীকে দুর্বল ভাবে প্রেজেন্ট করে ।কোন  স্রস্টায়ই যদি নারীকে পুরুষের কাছে দুর্বলভাবে বলে থাকে তাহলে পুরুষেরা কিভাবে নারীকে সম্মান দিবে ?
১১। আল্লা একজন সত্যিকারের স্রস্টা হলে এবং ইসলামকে সমগ্র বিশ্বের মানুষের জন্য তৈরি করলে কেন শুধুমাত্র আরব্য অঞ্চলের মধ্যেই সমস্ত নবী রাসুলদের পাঠিয়েছিল?
কেন এর বাইরে কোন নবী রাসুল পাঠাননি ? কেন তিনি শুধুমাত্র পুরুষদের মধ্যেই নবী রসুল পাঠালেন, নারীদের মধ্যে কোন নবী রাসুল পাঠাননি? তিনি নাকি যুগে যুগে নবী রাসুলদের অবতার হিসাবে পাঠিয়েছেন মানুষের কল্যনের জন্য ,সেখানেই নবী রাসুলদের পাঠাতেন যেখানে মাহুষেরা খারাপ পথে চলে যেত।
তাহলে প্রশ্ন থাকে যে, কেন সে ইউরোপ আমেরিকা, ব্রাজিল, কঙ্গো,উত্তর কোরিয়া , ভারত বাংলাদেশ চীন জাপান, ফ্রান্স, কানাডা,ডেনমার্কের মত দেশ গুলিতে কোন নবী রাসুলদের পাঠাননি?
মেডিকেল টীম তো সেখানেই বেশি পাঠাতে হয় , যেখানে রোগির সংখ্যা আধিক্য । অথচ ইসলামের কথা বা দাবী মতে ইহুদি খ্রিস্টান, হিন্দু মুশরিকেরা হচ্ছে সবচেয়ে খারাপ জাতি । অথচ সেসব গুরুত্বপূর্ন দেশ বা স্থান গুলিতে কোন নবী রাসুল পাঠানো হয়নি ।
এই একই প্রশ্নটা খাটে ভারতের হিন্দুদের ক্ষেত্রেও । কেন তাদের স্রস্টা সমস্ত দেব দেবী কিংবা অবতারদেরকে শুধুমাত্র ভারতের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখলেন ? এর বাইরে কি কোন দেশ বা স্থান ছিলনা যেখানে কিছু দেব দেবী বা অবতারদের পাঠানো খুব জরুরী ছিল?
উপরোক্ত আলোচনা বা প্রশ্নগুলির সঠিক উত্তর এবং বুঝ না পাবার পরেও অনেকেই শুধুমাত্র ২টি প্রশ্নের কারনে বা এই দুটি সংশয়ের কারনে কুরানকে ঐশ্বরিক কিতাব এবং মুহাম্মদকে আল্লার প্রেরিত নবী ভেবে বিশ্বাস করে মেনে নেয়ঃ

১।মুহাম্মদ ছিল একজন অশিক্ষিত , মুর্খ্য ,মরু রাখাল ,তার পক্ষে কিভাবে এতবড় কুরান রচনা করা সম্ভব ??
২।এতবড় নিখুত মহাবিশ্ব , প্রকৃতি কেউ না কেউ তো একজন সৃষ্টি করেছেন , সেটা নিশ্চয় আল্লা হবে ।
যাহোক, আমি আজকের এই লেখায় যদি তাদের এই মেজর দাবীটিকে মেনেও নিই মুহাম্মদে একজন নিরক্ষর মুর্খ অশিক্ষিত ব্যাক্তি ছিলেন তারপরেও দেখবো কোন নিরক্ষর লোক হলেও কি তার দ্বারা কোন কিতাব রচনা করা সম্ভব কিনা ?

কোন অশিক্ষিত লোকের পক্ষে লেখা সম্ভব নয় কিন্তু কোন বিষয় দেখে সেটা নিয়ে কোন বর্ননা তৈরি করা বা কোন কিছু রচনা করার জন্য লেখাপড়ার প্রয়োজন নেই ।মুহাম্মদ অশিক্ষিত ছিল , কিন্তু মুর্খ কিংবা মানষিক বিকারগ্রস্থ ছিলনা ।
কেননা অশিক্ষিত কিংবা লেখাপড়া না জানলেই যে কোন কিছু জানা যায়না বা বুঝা যায়না সেটা আপনাকে কে বলেছে ?
জ্ঞান হচ্ছে লোহার মত । সেটাকে যত বেশী ধার দেওয়া যায় সে তত বেশি ধারালো হয়ে উঠে ।
শুধু মাত্র প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা থেকে হয়তো অক্ষর জ্ঞান অর্জন করা যায় কিন্তু পরিবেশ ,সামাজিক ,প্রাকৃতিক বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে হলে পরিবেশ ,সমাজ,প্রকৃতি, রাজনীতি এসবের মাঝে প্রবেশ করতে হয় ।
এসব বিষয় নিয়ে ভাবলে যে কেউ ই এসব বিষয়ে জ্ঞান অর্জন করতে পারবে ।
তাই কেউ অশিক্ষিত বা লেখাপড়া না জানলে যে সে কিছুই করতে পারবেনা সেটা কে বললো আপনাকে ?
কুরানের মধ্যে যা আছে তা প্রতিটি বিষয়ে খুবই সাধারন এবং প্রাথমিক পর্যায়ের কথা বলা হয়েছে যেগুলির অধিকাংশই যে কেউ একটূ নিরিবিলি পরিবেশে বসে প্রকৃতির দিকে তাকিয়ে দেখলেই সেসব বিষয়ে বলতে পারে ।
#আপনি যদি কুরানের ঐসমস্ত সস্তা ও বস্তা পচা জ্ঞান দেখে আবেগে আপ্লুত হয়ে বিশ্বাস করেন যে নিশ্চয় এসব কথা বা জ্ঞান তাকে সরাসরি সৃষ্টিকর্তা দিয়েছে,তাহলে লালনের গানের প্রতিভা দেখে কি বলবেন? যেকিনা ছিল সম্পূর্ন নিরক্ষর । অথচ সে প্রায় ৩০০০ এর ও বেশি গান রচনা করে গেছে ।
#নজ্রুলের লেখা দেখেও নিশ্চয় বলবেন যে সে কোনভাবেই এসব লেখা লিখতে পারেনা ।নিশ্চয় স্রস্টা তার কানে কানে এসব কথা বলে দিছে বলেই সে লিখতে পারছে ।
#রবীন্দ্রনাথের লেখা দেখে কি বলবেন ? তাকেও জীব্রাইলের মাধ্যমে এসব আল্লা পাঠিয়েছিল বলেই সে এসব লিখতে পারছে ,তাইনা ?
#তাছাড়া আলেকজান্ডার ,কোপার্নিকাস,প্লেটো ,গ্যালিলিও ,নিউটন ,হকিংস, ইবনেসিনা , এরা যে সমস্ত তথ্য ও তত্ব দিয়ে গেছে তা তো কোনভাবেই কোন মানুষের পক্ষে সম্ভব নয় তাইতো ?তাদেরকে তাদের স্রস্টা দূত মারফত এসব কানে কানে বলে দিছে বলেই তারা এসব বলতে পারছে বা করতে পারছে ,তাইনা ?
#মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা বিলগেটসের লেখাপড়া কতটুকু ? সে কেম্নে করলো ?
#তাছাড়া যারা এই আধুনিক যন্ত্রপাতি ,মেশিন ,রেল্গাড়ী ,বাস ট্রাক ,মোটরজান ,বিদ্যুৎ, ইত্যাদি ইত্যদি আবিস্কার করেছে , আবিস্কার করেছে নানান ধরনের রোগ বালাইয়ের চিকিতসা ,তারা সেগুলি কিভাবে করেছে ? নিশ্চয় তাদের স্রস্টা তাদের কাছে দূত পাঠিয়েছে? তাইনা ?
#ইংরেজী মহাকবি হোমারের কথা শুনেছেন ? যেকিনা জন্ম গত ভাবেই অন্ধ ছিল । জন্মগতভাবে অন্ধ হয়ে , পৃথিবীর আলো না দেখেই ,পৃথিবীর রুপ বৈচিত্র না দেখেই , পৃথিবীর মানুষগুলিকে না দেখেই দুটি মহাকাব্য রচনা করেছেন শুধুমাত্র মনের রঙ তুলি দিয়ে অঙ্কন করে । সে কিভাবে দুটি মহাকাব্য রচনা করলো জন্মগতভাবে অন্ধ হয়েও ?? নিশ্চয় আল্লা তার কাছে জীব্রাইলকে পাঠিয়েছিল ,তাইতো ? তা নাহলে কিভাবে সে দুটি মহাকাব্য রচনা করলো ?
# ব্রাম্মনবাড়িয়ায় একটা পরিবার আছে যাদের পরিবারের পাচটি সদস্যই জন্মগতভাবে অন্ধ ।অথচ তারা পাচজনে একটা সঙ্গীতের দল তৈরি করে নিজেরাই গান রচনা করে , নিজেরাই সুর করে মানুষদের শোনায়।ইত্যাদির একটা এপিসোডে তাদেরকে দেখানো হয়েছিল।সেটা কেম্নে ?? নিশ্চয় এদেরকে আল্লায় জীব্রাইলের মাধ্যমে এসব বলায় ,তাইতো ?? তাহলে তো এদের প্রত্যেকেই একটা করে নবী , এদের সবার কিতাবের বা সৃষ্টির উপর ঈমান আনবেন, তাইনা?
আরো বলবো ? নাকি এতেই মাথার ভুত নামবে ?
এতেও যদি আপনার মাথার ভুত না নামে তাহলে কুরানের যে সকল বৈশিষ্টের কারনে বুঝতে পারবেন যে, কুরান কোন ঐশ্বরিক কিতাব হতে পারেনা,তাহলোঃ
১. কুরানে আল্লার স্ববিরোধী কথাবার্তার কারনেঃ 
https://imranshakh.blogspot.com/2020/02/blog-post_28.html
২. কুরানে বৈপিরত্যর কারনেঃ https://imranshakh.blogspot.com/2019/10/blog-post_29.html
৩. আল্লা নিজেই জানেনা সে আসলে কি সাকার নাকি আকারঃhttps://imranshakh.blogspot.com/2020/02/blog-post_7.html
৪.আল্লা কারো অমুখাপেক্ষী নয় বরং মুখাপেক্ষীঃhttps://imranshakh.blogspot.com/2020/02/blog-post_82.html
৫.কুরানের মত করে সুরা বানানো যায়ঃ https://imranshakh.blogspot.com/2020/02/blog-post_73.html
৬.কুরানের বক্রতাঃhttps://imranshakh.blogspot.com/2020/02/blog-post_13.html
৭.কুরান কোন ওইশ্বরিক কিতাব নয়ঃ https://imranshakh.blogspot.com/2020/02/blog-post_58.html
৮.মিরাজ একটি ঐতিহাসিক মিথ্যাঃhttps://imranshakh.blogspot.com/2020/01/blog-post_25.html
৯.মুহাম্মদে অশিক্ষিত ছিলনাঃ https://imranshakh.blogspot.com/2020/02/blog-post_81.html
১০.আদম হাওয়ার গল্প মিথ্যাঃ https://imranshakh.blogspot.com/2020/01/blog-post.html

২য় প্রশ্নের উত্তরঃ ইসলাম আমাদেরকে যে আল্লা নামক স্রস্টার বর্ননা দেয় বা কুরান থেকে আমরা যে আল্লা নামক স্রস্টার বর্ননা পাই তাতে সেই আল্লা কোনভাবেই কোন স্রস্টা হবার দাবী রাখেনা ।

আমি কখনোই সৃষ্টিকর্তার বিষয়ে কারো সাথে তর্কে যেতে চাইনা ,কেননা আমি সৃষ্টিকর্তার ব্যাপারে কিছুটা সন্দিহান ,কিছুটা সংশয়বাদী ।সৃষ্টিকর্তা বলে কেউ আছে কি নেই তা আমি জানিনা ।হয়তোবা আছে ,কিংবা নেই ।
তবে মহাবিশ্বের সৃষ্টির নানা তত্ব এবং প্রকৃতির নিয়ম অনুযায়ী কোন সৃষ্টিকর্তা নামক কেউ না থাকার বিষয়টা ই বেশি গ্রহনযোগ্যতা পায় ।

তবে আমাদের জন্মের পর থেকে গেলানো ভগবানেশ্বরাল্লা (ভগবান,ঈশ্বর,আল্লা ) নামক সৃষ্টিকর্তাদের বিষয়ে আমার পূর্ন জ্ঞান আছে যে, এদের মত অকাল কুস্মাণ্ড নামক মূর্খ, পক্ষপাত দুষ্ট ,অজানা ,নাজানা ,স্বার্থলোভীরা কখনো ই কোনভাবে কারো কোন সৃষ্টিউকর্তা বা স্রস্টা হতে পারেনা । বিশেষ করে আল্লা নামক মুর্খটা তো কোন স্রষ্টা হতেই পারেনা ।
কেননা কুরান নাকি আল্লা প্রদত্ত তার নাজিল্কৃত কিতাব ,অথচ সেই কুরান পড়লেই প্রমান পাওয়া যায় যে আল্লা নামক গণ্ডমূর্খটা কোন স্রষ্টা নয়।
বরং কুরান হচ্ছে মুহাম্মদ নামক এক মহামিথ্যাবাদীর জানাশোনা এবং ধ্যান জ্ঞানের বহিঃপ্রকাশ ।

সুতরাং কুরান থেকে স্পস্টই প্রমান পাওয়া যায় যে, কুরান কোন স্রস্টা প্রদত্ত ঐশ্বরিক কিতাব নয়, বরং আরব্য অঞ্চলের কোন মহামদ বা মহামট নামক দার্শনিকের চিন্তাভাবনার ফসল মাত্র ,যেটা কে আরবের মুহাম্মদ নামক কোন এক ধান্ধাবাজ নিজের মত করে কিছুটা রুপ রং মিশিয়ে নিজের বলে চালিয়ে দেয় ।

(এই প্রসঙ্গে একটি বিশদ আলোচনা আছে যেটা এই পোষ্টে সংযোজন করা সম্ভব নয় বলে আরেকটি পোষ্টে আলোচনা করবো।)

সো এই কুরানের উপরেই দাঁড়িয়ে আছে ইসলাম নামক একটি ধর্ম এবং আল্লা নামক মুহাম্মদের জন্ম দেওয়া এক স্রস্টার অস্তিত্ব ও প্রমান ।আর এই কুরান যে কোন স্রস্টা প্রদত্ত ঐশ্বরিক কিতাব নয় সেটা প্রমানিত হওয়া মানে আল্লা নামক কোন স্রস্টা নেই সেটাই প্রমানিত হওয়া ।


ইসলাম যে মুহাম্মদ নামক কোন আরবের ধান্ধাবাজ , স্বার্থোলোভী বাটপারের তৈরি ধর্ম বা একটি রাজনৈতিক দল সেটাই প্রমানিত হওয়া ।
- ইমরান।


No comments

Powered by Blogger.