Header Ads

Header ADS

কুরানে কি কোন বৈপরীত্য নেই?

কুরানে কি কোন বৈপিরত্য নেই?





আমরা প্রায়ই মুমিন মুসলমানদের থেকে চ্যালেঞ্জ পেয়ে থাকি  যে, কুরানে কোন বৈপিরত্য নেই ।পারলে কেউ কুরান থেকে যেন একটা বৈপিরত্য বের করে দেখায়।অবশ্য ছাগলে সবসময়ই খুটির জোরেই লাফায় ।মানে মুমিন বা ধার্মিকেরা যে চ্যালেঞ্জ করে সেটা তারা কুরানের আয়াতের জোরেই করে থাকে ।কেননা কুরানে সুরা নিসার ৮২ নাম্বার আয়াতে আল্লায় নিজেই ঘোষনা দিয়েছে কুরানে কোণ বৈপিরত্য নেই।


An-Nisa' 4:82

أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ ٱلْقُرْءَانَۚ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِندِ غَيْرِ ٱللَّهِ لَوَجَدُوا۟ فِيهِ ٱخْتِلَٰفًا كَثِيرًا 

তারা কি কুরআন নিয়ে গবেষণা করে না? আর যদি তা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো পক্ষ থেকে হত, তবে অবশ্যই তারা এতে অনেক বৈপরীত্য দেখতে পেত।

আল্লায় কুরানে নিজেই ঘোষনা দিয়েছেন যে ,কুরানে কোন বৈপিরত্য নেই।

আসলেই কি তাই ?
কুরানের কোন বৈপিরিত্য নেই?

চলুন দেখে নেওয়া যাক কুরানে কি বলেঃ

প্রশ্ন ১) মানুষের প্রাণ হরন করে কে?  

-একজন ফেরেস্তা  নাকি আল্লাহ ?


                                ফেরেস্তাঃ

                         #Muhammad 47:27

فَكَيْفَ إِذَا تَوَفَّتْهُمُ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ يَضْرِبُونَ وُجُوهَهُمْ وَأَدْبَٰرَهُمْ
অতঃপর তাদের অবস্থা কেমন হবে, যখন ফেরেশতারা তাদের মুখমন্ডল ও পৃষ্ঠদেশসমূহে আঘাত করতে করতে তাদের জীবনাবসান ঘটাবে?

ল্লেখ্য যে, আমরা কিন্তু শুনে এসেছি যে আজ্রাইল নামক একজন মাত্র ফেরেস্তা নিয়োজিত আছেন জান কবজ বা জীবন নাশ ঘটানোর কাজে ।
অথচ উপরোক্ত আয়াতে ফেরস্তাদের শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে ।
বৈজ্ঞানিক ভাষায় মৃত্যুর সঙ্গায় আমি  আজ না ই বা গেলাম ।

                           ফেরেস্তা নয়, আল্লায় নিজেইঃ

                                         ~Az-Zumar 39:42

ٱللَّهُ يَتَوَفَّى ٱلْأَنفُسَ حِينَ مَوْتِهَا وَٱلَّتِى لَمْ تَمُتْ فِى مَنَامِهَاۖ فَيُمْسِكُ ٱلَّتِى قَضَىٰ عَلَيْهَا ٱلْمَوْتَ وَيُرْسِلُ ٱلْأُخْرَىٰٓ إِلَىٰٓ أَجَلٍ مُّسَمًّىۚ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَءَايَٰتٍ لِّقَوْمٍ يَتَفَكَّرُونَ
আল্লাহ জীবসমূহের প্রাণ হরণ করেন তাদের মৃত্যুর সময় এবং যারা মরেনি তাদের নিদ্রার সময়। তারপর যার জন্য তিনি মৃত্যুর ফয়সালা করেন তার প্রাণ তিনি রেখে দেন এবং অন্যগুলো ফিরিয়ে দেন একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। নিশ্চয় এতে চিন্তাশীল কওমের জন্য অনেক নিদর্শন রয়েছে।
➤দেখুন এখানে দুটি সুরার দুটি আয়াতে দুই ধরনের বিপরিত্মুখী কথা বলছে।হয়তো অনেকেই এখানে বলতে পারেন যে, আল্লায় আজ্রাইলকে হুকুম করার পরেই আজ্রাইলে মৃত্যু ঘটিয়ে থাকে।কিন্তু বিষয়টি সেরকম নয় ।

প্রশ্ন ২) ইসলামে কি ভিন্ন ধর্মাবলম্বিদের ওপর বল প্রয়োগ করা যাবে?

 -না  এবং হ্যাঁ ।

                         যাবেনাঃ

                       Al-Baqarah 2:256

لَآ إِكْرَاهَ فِى ٱلدِّينِۖ قَد تَّبَيَّنَ ٱلرُّشْدُ مِنَ ٱلْغَىِّۚ فَمَن يَكْفُرْ بِٱلطَّٰغُوتِ وَيُؤْمِنۢ بِٱللَّهِ فَقَدِ ٱسْتَمْسَكَ بِٱلْعُرْوَةِ ٱلْوُثْقَىٰ لَا ٱنفِصَامَ لَهَاۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
দীন গ্রহণের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি নেই। নিশ্চয় হিদায়াত স্পষ্ট হয়েছে ভ্রষ্টতা থেকে। অতএব, যে ব্যক্তি তাগূতকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, অবশ্যই সে মজবুত রশি আঁকড়ে ধরে, যা ছিন্ন হবার নয়। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।

                            হ্যা, বল প্রয়োগ করা যাবেঃ

                         ~At-Taubah 9:29

قَٰتِلُوا۟ ٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِ وَلَا بِٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ ٱلْحَقِّ مِنَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ حَتَّىٰ يُعْطُوا۟ ٱلْجِزْيَةَ عَن يَدٍ وَهُمْ صَٰغِرُونَ
তোমরা লড়াই কর আহলে কিতাবের সে সব লোকের সাথে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান রাখে না এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তা হারাম মনে করে না, আর সত্য দীন গ্রহণ করে না, যতক্ষণ না তারা স্বহস্তে নত হয়ে জিয্য়া দেয়।

উল্লেখ্য যে, মুহাম্মদে যুদ্ধবন্দী এলাকার লোকেদেরকে দুটি শর্ত দিতেনঃ
১.হয় ইসলাম  গ্রহন করবে ,
২.না হয় জিজিয়া কর দিবে ।
(https://bit.ly/2vm7k2g)
এছাড়াও এখানে আরেকটা মারপ্যাচ আছে মনে করিয়ে দিই, নয়তো ওদের চাপার ঠ্যালায় কাত হয়ে পড়ে যাবেন। আর সেটা হচ্ছেঃ এসব সুরা আয়াত দেখালেই ওরা বলবে যে এটা তো অমুক প্রেক্ষাপটে তমুক কারনে নাজিল হয়েছিল । এটা তো সবসময়ের জন্য বলেনি, সবার উদ্দেশ্যে বলেনি ,এটা ছিল অমুক যুদ্ধ তমুক যুদ্ধকে কেন্দ্র করে , ইভেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দাবী করে থাকে যে,এটা হলো হুদাইবিয়ার সন্ধি চুক্তি ভঙ্গের কারনে এই ঘোষনা দিছিল।
আসলে এসব কথাবার্তা হচ্ছে ওদের পিঠ বাচাবার রাস্তা খোচা ।
কারন এই সুরা তাওবা হচ্ছে নাজিল অনুসারে ১১৩ নাম্বার সুরা ।
যেখানে মোট সুরার সংখ্যাই হচ্ছে ১১৪ টি ।মানে মুহাম্মদের জীবনের একেবারেই শেষ সময়ের বানানো সুরা এইটা ।এই সুরা নাজিল হয় হচ্ছে ৬৩২ খ্রিঃ আর এই সুরা নাজিলের সময়ে কোন যুদ্ধই ছিলনা , কারন মুহাম্মদের জীবনের শেষ যুদ্ধ হচ্ছে মক্কা বিজয়।আর সেই মক্কা বিজয় হচ্ছে ৬৩০ খ্রিঃ
মানে এই সুরাটা হচ্ছে মক্কা বিজয়েরও ২ বছর পরে।তাহলে এখানে আবার যুদ্ধের প্রেক্ষাপট আসলো কিভাবে?
আবার অনেকেই বলে যে এটা হচ্ছে হুদাইবিয়ার সন্ধিচুক্তি ভঙের কারনে।
অথচ দেখেন এই সুরার প্রথম আয়াতেই বলা হয়েছে আল্লা ও তার রাসুলের পক্ষ থেকে সমস্ত চুক্তি বাতিল করা হলো।
At-Taubah 9:1

بَرَآءَةٌ مِّنَ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦٓ إِلَى ٱلَّذِينَ عَٰهَدتُّم مِّنَ ٱلْمُشْرِكِينَ
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা সে সব লোকের প্রতি মুশরিকদের মধ্য থেকে যাদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলে।

যাহোক, এই আয়াত দুটির মধ্যে একটা চমৎকার রহস্য রয়েছে ,যেটা নিয়েই মূলত আস্তিক বনাম নাস্তিকদের সবথেকে বেশি আলোচনা এবং সমালোচনা চলে ।
নাস্তিকেরা এই আয়াতকে দেখিয়ে বলে অমুসলিমদের হত্যা করতে বলছে,পক্ষান্তরে
আস্তিকেরা দাবী করে ইসলামে ধর্ম নিয়ে কোন জোর জবরদস্তি নেই।
আর তারা উভয়েই এই আয়াত দুটি নিয়ে কোট করে।
অথচ আস্তিকেরা এই আয়াত দুটির মাঝের রহস্যটাই জানেনা ।
অথচ আস্তিকেরা বিপদে পড়লেই আবার নাস্তিকদের নাসখ এবং মানসুখের গল্প শোনায় ।
যখন নাস্তিকেরা কোন বাতিল হয়ে যাওয়া আয়াত কোট করে কথা বলে তখন আস্তিকেরা বলে এটা আল্লায় মানসুখ বা রহিত করে দিয়েছে অন্য আয়াত দিয়ে ।
অথচ নিজেদের পিঠ বাচাতে তারা নিজেরাই ঘটা করে এই বাতিল আয়াতটি প্রচার করে  থাকে ।
কেননা আস্তিকদের দাবিকৃত আয়াতটি হচ্ছে সুরা বাকারার  ২৫৬ নাম্বার আয়াত ।
যেখানে অমুসলিমদের ধর্মের ব্যাপারে জোরাজোরি করতে নিষেধ করা হয়েছে ।
অথচ আই সুরা বাকারার নাজিলকৃত সিরিয়াল নাম্বার হচ্ছে  ৮৭ , এবং সুরা তাওবার নাজিলকৃত সিরিয়াল নাম্বার হচ্ছে  ১১৩ ,যেখানে কুরানের মোট সুরার সংখ্যাই হচ্ছে ১১৪ টি ।
অর্থাৎ নবী মুহাম্মদের মারা যাওয়ার   মাত্র কয়েকমাস আগের নাজিলকৃত সুরা এটি ।
পাঠক তাহলে এর মাধ্যমে কি দাড়ালো?
কেউ যদি আপনাকে বলে অমুক লোকেরে ৫০০ টাকা দিস ,
কিন্তু কিছুক্ষন পরেই  যদি আবার বলে না থাক  দেওয়া লাগবেনা ।
তাহলে আপনি নিশ্চয় পরের সিদ্ধান্তই গ্রহন করবেন ।
তাইতো?
তাহলে এবার বুঝে নিন বাকিটা নিজেই।
https://bit.ly/2O3DOoJ )

প্রশ্ন ৩) মুসলিম আর অমুসলিমরা কি একই ঈশ্বরের প্রার্থনা করে?

-না  এবং হ্যাঁ ,

                হ্যা করেঃ
                #An-Nasr 110:1
إِذَا جَآءَ نَصْرُ ٱللَّهِ وَٱلْفَتْحُ
যখন আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় আসবে,
An-Nasr 110:2
وَرَأَيْتَ ٱلنَّاسَ يَدْخُلُونَ فِى دِينِ ٱللَّهِ أَفْوَاجًا
আর তুমি লোকদেরকে দলে দলে আল্লাহর দীনে দাখিল হতে দেখবে,

An-Nasr 110:3
فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَٱسْتَغْفِرْهُۚ إِنَّهُۥ كَانَ تَوَّابًۢا
তখন তুমি তোমার রবের সপ্রশংস তাসবীহ পাঠ কর এবং তাঁর কাছে ক্ষমা চাও নিশ্চয় তিনি তাওবা কবূলকারী।

                  না একই আল্লার প্রার্থনা করেনাঃ
#Al-'Ankabut 29:46

وَلَا تُجَٰدِلُوٓا۟ أَهْلَ ٱلْكِتَٰبِ إِلَّا بِٱلَّتِى هِىَ أَحْسَنُ إِلَّا ٱلَّذِينَ ظَلَمُوا۟ مِنْهُمْۖ وَقُولُوٓا۟ ءَامَنَّا بِٱلَّذِىٓ أُنزِلَ إِلَيْنَا وَأُنزِلَ إِلَيْكُمْ وَإِلَٰهُنَا وَإِلَٰهُكُمْ وَٰحِدٌ وَنَحْنُ لَهُۥ مُسْلِمُونَ
আর তোমরা উত্তম পন্থা ছাড়া আহলে কিতাবদের সাথে বিতর্ক করো না। তবে তাদের মধ্যে ওরা ছাড়া, যারা যুলম করেছে। আর তোমরা বল, ‘আমরা ঈমান এনেছি আমাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে এবং তোমাদের প্রতি যা নাযিল করা হয়েছে তার প্রতি এবং আমাদের ইলাহ ও তোমাদের ইলাহ তো একই। আর আমরা তাঁরই সমীপে আত্মসমর্পণকারী’।

প্রশ্ন ৪) আল্লাহ কি কারো সাথে সরাসরি কথা বলেন?

-না  এবং হ্যাঁ 

                       না ,সরাসরি কারো সাথে কথা বলেননাঃ

Ash-Shura 42:51

وَمَا كَانَ لِبَشَرٍ أَن يُكَلِّمَهُ ٱللَّهُ إِلَّا وَحْيًا أَوْ مِن وَرَآئِ حِجَابٍ أَوْ يُرْسِلَ رَسُولًا فَيُوحِىَ بِإِذْنِهِۦ مَا يَشَآءُۚ إِنَّهُۥ عَلِىٌّ حَكِيمٌ
কোন মানুষের এ মর্যাদা নেই যে, আল্লাহ তার সাথে সরাসরি কথা বলবেন, ওহীর মাধ্যম, পর্দার আড়াল অথবা কোন দূত পাঠানো ছাড়া। তারপর আল্লাহর অনুমতি সাপেক্ষে তিনি যা চান তাই ওহী প্রেরণ করেন। তিনি তো মহীয়ান, প্রজ্ঞাময়।

                    হ্যা , সরাসরি কথা বলেনঃ

#Al-Baqarah 2:259

أَوْ كَٱلَّذِى مَرَّ عَلَىٰ قَرْيَةٍ وَهِىَ خَاوِيَةٌ عَلَىٰ عُرُوشِهَا قَالَ أَنَّىٰ يُحْىِۦ هَٰذِهِ ٱللَّهُ بَعْدَ مَوْتِهَاۖ فَأَمَاتَهُ ٱللَّهُ مِا۟ئَةَ عَامٍ ثُمَّ بَعَثَهُۥۖ قَالَ كَمْ لَبِثْتَۖ قَالَ لَبِثْتُ يَوْمًا أَوْ بَعْضَ يَوْمٍۖ قَالَ بَل لَّبِثْتَ مِا۟ئَةَ عَامٍ فَٱنظُرْ إِلَىٰ طَعَامِكَ وَشَرَابِكَ لَمْ يَتَسَنَّهْۖ وَٱنظُرْ إِلَىٰ حِمَارِكَ وَلِنَجْعَلَكَ ءَايَةً لِّلنَّاسِۖ وَٱنظُرْ إِلَى ٱلْعِظَامِ كَيْفَ نُنشِزُهَا ثُمَّ نَكْسُوهَا لَحْمًاۚ فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُۥ قَالَ أَعْلَمُ أَنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
অথবা সে ব্যক্তির মত, যে কোন জনপদ অতিক্রম করছিল, যা তার ছাদের উপর বিধ্বস্ত ছিল। সে বলল, ‘আল্লাহ একে কিভাবে জীবিত করবেন মরে যাওয়ার পর’? অতঃপর আল্লাহ তাকে এক’শ বছর মৃত রাখলেন। এরপর তাকে পুনর্জীবিত করলেন। বললেন, ‘তুমি কতকাল অবস্থান করেছ’? সে বলল, ‘আমি একদিন অথবা দিনের কিছু সময় অবস্থান করেছি’। তিনি বললেন, ‘বরং তুমি এক’শ বছর অবস্থান করেছ। সুতরাং তুমি তোমার খাবার ও পানীয়ের দিকে তাকাও, সেটি পরিবর্তিত হয়নি এবং তুমি তাকাও তোমরা গাধার দিকে, আর যাতে আমি তোমাকে মানুষের জন্য দৃষ্টান্ত বানাতে পারি এবং তুমি তাকাও হাড়গুলোর দিকে, কিভাবে আমি তা সংযুক্ত করি, অতঃপর তাকে আবৃত করি গোশ্ত দ্বারা’। পরে যখন তার নিকট স্পষ্ট হল, তখন সে বলল, ‘আমি জানি, নিশ্চয় আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান’।

An-Nisa' 4:164

وَرُسُلًا قَدْ قَصَصْنَٰهُمْ عَلَيْكَ مِن قَبْلُ وَرُسُلًا لَّمْ نَقْصُصْهُمْ عَلَيْكَۚ وَكَلَّمَ ٱللَّهُ مُوسَىٰ تَكْلِيمًا
আর অনেক রাসূল, যাদের বর্ণনা তোমাকে পূর্বে দিয়েছি এবং অনেক রাসূল, যাদের বর্ণনা তোমাকে দেইনি আর আল্লাহ মূসার সাথে সুস্পষ্টভাবে কথা বলেছেন।

উল্লেখ্য যে, আমরা জানি মুসা নবী আল্লার সাথে সরাসরি কথা বলতেন , এবং উপরের আয়াতটিতে সেটাই বলা হয়েছে ।

প্রশ্ন ৫) আল্লাহ কি তার সাথে শিরককারীদের ক্ষমা করে দেন?

-না এবং হ্যাঁ 

                                     ক্ষমা করেননাঃ

#An-Nisa' 4:48

إِنَّ ٱللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِۦ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَآءُۚ وَمَن يُشْرِكْ بِٱللَّهِ فَقَدِ ٱفْتَرَىٰٓ إِثْمًا عَظِيمًا
নিশ্চয় আল্লাহ তাঁর সাথে শরীক করাকে ক্ষমা করেন না। তিনি ক্ষমা করেন এ ছাড়া অন্যান্য পাপ, যার জন্য তিনি চান। আর যে আল্লাহর সাথে শরীক করে সে অবশ্যই মহাপাপ রচনা করে।

                                   ক্ষমা করেনঃ

#An-Nisa' 4:153
يَسْـَٔلُكَ أَهْلُ ٱلْكِتَٰبِ أَن تُنَزِّلَ عَلَيْهِمْ كِتَٰبًا مِّنَ ٱلسَّمَآءِۚ فَقَدْ سَأَلُوا۟ مُوسَىٰٓ أَكْبَرَ مِن ذَٰلِكَ فَقَالُوٓا۟ أَرِنَا ٱللَّهَ جَهْرَةً فَأَخَذَتْهُمُ ٱلصَّٰعِقَةُ بِظُلْمِهِمْۚ ثُمَّ ٱتَّخَذُوا۟ ٱلْعِجْلَ مِنۢ بَعْدِ مَا جَآءَتْهُمُ ٱلْبَيِّنَٰتُ فَعَفَوْنَا عَن ذَٰلِكَۚ وَءَاتَيْنَا مُوسَىٰ سُلْطَٰنًا مُّبِينًا
কিতাবীগণ তোমার নিকট চায় যে, আসমান থেকে তুমি তাদের উপর একটি কিতাব নাযিল কর। অথচ তারা মূসার কাছে এর চেয়ে বড় কিছু চেয়েছিল, যখন তারা বলেছিল, ‘আমাদেরকে সামনাসামনি আল্লাহকে দেখাও’। ফলে তাদেরকে তাদের অন্যায়ের কারণে বজ্র পাকড়াও করেছিল। অতঃপর তারা বাছুরকে (উপাস্যরূপে) গ্রহণ করল, তাদের নিকট স্পষ্ট প্রমাণসমূহ আসার পরও। তারপর আমি তা ক্ষমা করে দিয়েছিলাম এবং মূসাকে দিয়েছিলাম সুস্পষ্ট প্রমাণ।

এখানে হয়তো অনেকেই বলতে পারেন যে, আল্লায় তাদেরকে শাস্তি দেওয়ার পরে ক্ষমা করে দিবেন ।
কিন্তু না , এখানে প্রথম আয়াতে বলা হয়েছে আল্লার সাথে শিরকের কোন ক্ষমা নেই, বাকিসব পাপের ক্ষমা আছে ।কিন্তু সুরা নিসার ১৫৩ নাম্বার আয়াতে দেখেন আল্লায় তাদেরকেই ক্ষমা করে দিয়েছিলেন  যারা আল্লার সাথে শিরক করে একটি বাছুরকে উপাস্য রুপে নিয়েছিল।

প্রশ্ন ৬) আল্লাহ কি আসলেই দয়ালু এবং ক্ষমাশীল?

-হ্যাঁ  এবং না ,

                         হ্যা, দয়ালুঃ
#Al-Fatihah 1:3

ٱلرَّحْمَٰنِ ٱلرَّحِيمِ
দয়াময়, পরম দয়ালু, পরম করুণাময়, অতি দয়ালু।

                          না , তিনি ক্ষমাশীল ননঃ
#An-Nisa' 4:56

إِنَّ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَا سَوْفَ نُصْلِيهِمْ نَارًا كُلَّمَا نَضِجَتْ جُلُودُهُم بَدَّلْنَٰهُمْ جُلُودًا غَيْرَهَا لِيَذُوقُوا۟ ٱلْعَذَابَۗ إِنَّ ٱللَّهَ كَانَ عَزِيزًا حَكِيمًا
নিশ্চয় যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে, অচিরেই আমি তাদেরকে প্রবেশ করাব আগুনে। যখনই তাদের চামড়াগুলো পুড়ে যাবে তখনই আমি তাদেরকে পালটে দেব অন্য চামড়া দিয়ে যাতে তারা আস্বাদন করে আযাব। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী, প্রজ্ঞাময়।

উল্লেখ্য যে, কোন ব্যক্তি একই সাথে দয়ালু এবং ক্ষমাশীল কিভাবে হবেন?
ধরুন যে, কোন একটি মেয়েকে কোন এক মসজিদের ইমামে ধর্ষন করেছে ।
তো এক্ষেত্রে আল্লা কার প্রতি দয়ালু হবেন আর কার প্রতি ক্ষমাশীল হবেন?


প্রশ্ন ৭) মহাকাশ এবং পৃথিবী তৈরীতে মোট কত দিন সময় ব্যয় হয়েছে? 

-ছয় দিন  নাকি মোট আট দিন ,

                  ৬দিনঃ
#Yunus 10:3

إِنَّ رَبَّكُمُ ٱللَّهُ ٱلَّذِى خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ فِى سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ ٱسْتَوَىٰ عَلَى ٱلْعَرْشِۖ يُدَبِّرُ ٱلْأَمْرَۖ مَا مِن شَفِيعٍ إِلَّا مِنۢ بَعْدِ إِذْنِهِۦۚ ذَٰلِكُمُ ٱللَّهُ رَبُّكُمْ فَٱعْبُدُوهُۚ أَفَلَا تَذَكَّرُونَ
নিশ্চয় তোমাদের রব আল্লাহ। যিনি আসমানসমূহ ও যমীন সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনে, তারপর আরশে উঠেছেন। তিনি সব বিষয় পরিচালনা করেন। তার অনুমতি ছাড়া সুপারিশ করার কেউ নেই। তিনিই আল্লাহ, তোমাদের রব। সুতরাং তোমরা তাঁর ইবাদাত কর। তারপরও কি তোমরা উপদেশ গ্রহণ করবে না?

                   ৮ দিনঃ
#Fussilat 41:9

قُلْ أَئِنَّكُمْ لَتَكْفُرُونَ بِٱلَّذِى خَلَقَ ٱلْأَرْضَ فِى يَوْمَيْنِ وَتَجْعَلُونَ لَهُۥٓ أَندَادًاۚ ذَٰلِكَ رَبُّ ٱلْعَٰلَمِينَ
বল, ‘তোমরা কি তাঁকে অস্বীকার করবে যিনি দু’দিনে যমীন সৃষ্টি করেছেন? আর তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ বানাতে চাচ্ছ? তিনিই সৃষ্টিকুলের রব’।


Fussilat 41:10

وَجَعَلَ فِيهَا رَوَٰسِىَ مِن فَوْقِهَا وَبَٰرَكَ فِيهَا وَقَدَّرَ فِيهَآ أَقْوَٰتَهَا فِىٓ أَرْبَعَةِ أَيَّامٍ سَوَآءً لِّلسَّآئِلِينَ
আর তার উপরিভাগে তিনি দৃঢ় পর্বতমালা স্থাপন করেছেন এবং তাতে বরকত দিয়েছেন, আর তাতে চারদিনে প্রার্থীদের জন্য সমভাবে খাদ্য নিরূপণ করে দিয়েছেন।


Fussilat 41:11

ثُمَّ ٱسْتَوَىٰٓ إِلَى ٱلسَّمَآءِ وَهِىَ دُخَانٌ فَقَالَ لَهَا وَلِلْأَرْضِ ٱئْتِيَا طَوْعًا أَوْ كَرْهًا قَالَتَآ أَتَيْنَا طَآئِعِينَ
তারপর তিনি আসমানের দিকে মনোনিবেশ করেন। তা ছিল ধোঁয়া। তারপর তিনি আসমান ও যমীনকে বললেন, ‘তোমরা উভয়ে স্বেচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় আস’। তারা উভয়ে বলল, ‘আমরা অনুগত হয়ে আসলাম’।
Fussilat 41:12

فَقَضَىٰهُنَّ سَبْعَ سَمَٰوَاتٍ فِى يَوْمَيْنِ وَأَوْحَىٰ فِى كُلِّ سَمَآءٍ أَمْرَهَاۚ وَزَيَّنَّا ٱلسَّمَآءَ ٱلدُّنْيَا بِمَصَٰبِيحَ وَحِفْظًاۚ ذَٰلِكَ تَقْدِيرُ ٱلْعَزِيزِ ٱلْعَلِيمِ
তারপর তিনি দু’দিনে আসমানসমূহকে সাত আসমানে পরিণত করলেন। আর প্রত্যেক আসমানে তার কার্যাবলী ওহীর মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন। আর আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপমালার দ্বারা সুসজ্জিত করেছি আর সুরক্ষিত করেছি। এ হল মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নির্ধারণ।

উল্লেখ্য যে,    সবচচেয়ে কথা হচ্ছে তিনি যা করার ইচ্ছে পোষণ করেন তা কেবলমাত্র কুন বা হও বললেই হয়ে যায়।

Al-Baqarah 2:117

بَدِيعُ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِۖ وَإِذَا قَضَىٰٓ أَمْرًا فَإِنَّمَا يَقُولُ لَهُۥ كُن فَيَكُونُ 
তিনি আসমানসমূহ ও যমীনের স্রষ্টা। আর যখন তিনি কোন বিষয়ের সিদ্ধান্ত নেন, তখন কেবল বলেন ‘হও’ ফলে তা হয়ে যায়।

যেখানে কেবল তিনি কোন কিছু করার ইচ্ছা পোষন করলেই এবং হও বললেই হয়ে যায় , সেখানে আবার সময়ের বা এত দিনের  প্রয়োজন হলো কেন ?
অথচ এখানে দেখেন কান্ডকারখানা 😁

প্রশ্ন ৮) কুরান কি সহজ বোধ্য?

-হ্যাঁ  এবং না 

                     হ্যা ,সহজবোধ্যঃ
#Al-Qamar 54:17

وَلَقَدْ يَسَّرْنَا ٱلْقُرْءَانَ لِلذِّكْرِ فَهَلْ مِن مُّدَّكِرٍ
আর আমি তো কুরআনকে সহজ করে দিয়েছি উপদেশ গ্রহণের জন্য। অতএব কোন উপদেশ গ্রহণকারী আছে কি?

Hud 11:1

الٓرۚ كِتَٰبٌ أُحْكِمَتْ ءَايَٰتُهُۥ ثُمَّ فُصِّلَتْ مِن لَّدُنْ حَكِيمٍ خَبِيرٍ
আলিফ-লাম-রা। এটি কিতাব যার আয়াতসমূহ সুস্থিত করা হয়েছে, অতঃপর বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে প্রজ্ঞাময়, সবিশেষ অবহিত সত্ত্বার পক্ষ থেকে।

                        না, সহজবোধ্য নয়ঃ
#Aal-e-Imran 3:7

هُوَ ٱلَّذِىٓ أَنزَلَ عَلَيْكَ ٱلْكِتَٰبَ مِنْهُ ءَايَٰتٌ مُّحْكَمَٰتٌ هُنَّ أُمُّ ٱلْكِتَٰبِ وَأُخَرُ مُتَشَٰبِهَٰتٌۖ فَأَمَّا ٱلَّذِينَ فِى قُلُوبِهِمْ زَيْغٌ فَيَتَّبِعُونَ مَا تَشَٰبَهَ مِنْهُ ٱبْتِغَآءَ ٱلْفِتْنَةِ وَٱبْتِغَآءَ تَأْوِيلِهِۦۗ وَمَا يَعْلَمُ تَأْوِيلَهُۥٓ إِلَّا ٱللَّهُۗ وَٱلرَّٰسِخُونَ فِى ٱلْعِلْمِ يَقُولُونَ ءَامَنَّا بِهِۦ كُلٌّ مِّنْ عِندِ رَبِّنَاۗ وَمَا يَذَّكَّرُ إِلَّآ أُو۟لُوا۟ ٱلْأَلْبَٰبِ
তিনিই তোমার উপর কিতাব নাযিল করেছেন, তার মধ্যে আছে মুহকাম আয়াতসমূহ। সেগুলো কিতাবের মূল, আর অন্যগুলো মুতাশাবিহ্। ফলে যাদের অন্তরে রয়েছে সত্যবিমুখ প্রবণতা, তারা ফিতনার উদ্দেশ্যে এবং ভুল ব্যাখ্যার অনুসন্ধানে মুতাশাবিহ্ আয়াতগুলোর পেছনে লেগে থাকে। অথচ আল্লাহ ছাড়া কেউ এর ব্যাখ্যা জানে না। আর যারা জ্ঞানে পরিপক্ক, তারা বলে, আমরা এগুলোর প্রতি ঈমান আনলাম, সবগুলো আমাদের রবের পক্ষ থেকে। আর বিবেক সম্পন্নরাই উপদেশ গ্রহণ করে।

প্রশ্ন ৯) আল্লাহ কি তার কথার পরিবর্তন করেন? 

-না এবং  হ্যাঁ ,
                           না , পরিবর্তন করেননাঃ
#Yunus 10:64

لَهُمُ ٱلْبُشْرَىٰ فِى ٱلْحَيَوٰةِ ٱلدُّنْيَا وَفِى ٱلْءَاخِرَةِۚ لَا تَبْدِيلَ لِكَلِمَٰتِ ٱللَّهِۚ ذَٰلِكَ هُوَ ٱلْفَوْزُ ٱلْعَظِيمُ
তাদের জন্যই সুসংবাদ দুনিয়াবী জীবনে এবং আখিরাতে। আল্লাহর বাণীসমূহের কোন পরিবর্তন নেই। এটিই মহাসফলতা।

                        হ্যা, পরিবর্তন করেনঃ

#Al-Baqarah 2:106

مَا نَنسَخْ مِنْ ءَايَةٍ أَوْ نُنسِهَا نَأْتِ بِخَيْرٍ مِّنْهَآ أَوْ مِثْلِهَآۗ أَلَمْ تَعْلَمْ أَنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ كُلِّ شَىْءٍ قَدِيرٌ
আমি যে আয়াত রহিত করি কিংবা ভুলিয়ে দেই, তার চেয়ে উত্তম কিংবা তার মত আনয়ন করি। তুমি কি জান না যে, আল্লাহ সব কিছুর উপর ক্ষমতাবান।

An-Nahl 16:101

وَإِذَا بَدَّلْنَآ ءَايَةً مَّكَانَ ءَايَةٍۙ وَٱللَّهُ أَعْلَمُ بِمَا يُنَزِّلُ قَالُوٓا۟ إِنَّمَآ أَنتَ مُفْتَرٍۭۚ بَلْ أَكْثَرُهُمْ لَا يَعْلَمُونَ
আর যখন আমি একটি আয়াতের স্থানে পরিবর্তন করে আরেকটি আয়াত দেই- আল্লাহ ভাল জানেন সে সম্পর্কে, যা তিনি নাযিল করেন- তখন তারা বলে, তুমি তো কেবল মিথ্যা রটনাকারী; রবং তাদের অধিকাংশই জানে না।

উল্লেখ্য যে, এছাড়াও আল্লায় কুরান পাঠানোর আগে যে সমস্ত কিতাব দিয়েছিলেন তার সবটাই তুলে নিয়ে পরিবর্তন করে কুরান পাঠিয়েছেন।দাবী করা হয় সেগুলি নাকি বিকৃত করে ফেলেছে ইহুদি খ্রিস্টানেরা ।অথচ আল্লায় সুরা হিজরের ৯ নাম্বার আয়াতে বলেছে তিনি যে উপদেশ গ্রন্থ অবতরন করেছেন তিনি নিজেই তার সংরক্ষক, যেটা কেউ বিকৃত করতে পারবেনা  ।তাহলে কুরানের আগে যেসকল কিতাব পাঠিয়েছিলিনে সেগুলিও তো তারই কিতাব ছিল,তাইনা ?
তাহলে সেগুলি মানুষেরা বিকৃতের মাধ্যমে কি আল্লার এই দাবীটি মিথ্যা প্রমানিত হয়না ?
            সূরা হিজর, আয়াত ৯
আমি স্বয়ং এ উপদেশ গ্রন্থ অবতারণ করেছি এবং আমি নিজেই এর সংরক্ষক।
হয়তো অনেকেই বলতে পারেন এটা কেবল কুরানের কথা বলা হয়েছে ,সেটাও যদি হয় তাতেও কিন্তু আপনি ধরা খাবেন ১০০% , কেননা আমাদের কাছে থাকা কুরানও কিন্তু বিকৃত হয়েগেছে ।আল্লা এখানেও ব্যর্থ বলে প্রমানিত হয়েছে ।
প্রমানঃ
https://imranshakh.blogspot.com/2020/02/blog-post_66.html

প্রশ্ন ১০) মক্কার পৌত্তলিকদের মাঝে কি কোন নবী পাঠানো হয়েছিল? 

-হ্যাঁ  এবং না,

                       হ্যা , পাঠিয়েছিলেনঃ
#Yunus 10:47

وَلِكُلِّ أُمَّةٍ رَّسُولٌۖ فَإِذَا جَآءَ رَسُولُهُمْ قُضِىَ بَيْنَهُم بِٱلْقِسْطِ وَهُمْ لَا يُظْلَمُونَ
আর প্রত্যেক উম্মতের জন্য রয়েছে রাসূল। তারপর যখন তাদের রাসূল আসে, তাদের মধ্যে তখন ন্যায়ভিত্তিক ফয়সালা করা হয় এবং তাদের যুলম করা হয় না।

                     না , পাঠাননিঃ
#Saba' 34:44

وَمَآ ءَاتَيْنَٰهُم مِّن كُتُبٍ يَدْرُسُونَهَاۖ وَمَآ أَرْسَلْنَآ إِلَيْهِمْ قَبْلَكَ مِن نَّذِيرٍ
আর আমি তাদেরকে কোন কিতাব দেইনি যা তারা অধ্যয়ন করত, এবং তোমার পূর্বে তাদের প্রতি আর কোন সতর্ককারীও প্রেরণ করিনি।

An-Naml 27:91

إِنَّمَآ أُمِرْتُ أَنْ أَعْبُدَ رَبَّ هَٰذِهِ ٱلْبَلْدَةِ ٱلَّذِى حَرَّمَهَا وَلَهُۥ كُلُّ شَىْءٍۖ وَأُمِرْتُ أَنْ أَكُونَ مِنَ ٱلْمُسْلِمِينَ
‘আমাকে তো নির্দেশ দেয়া হয়েছে এই শহরের রব-এর ইবাদাত করতে যিনি এটিকে সম্মানিত করেছেন এর সব কিছু তাঁরই অধিকারে। আর আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে, আমি যেন মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত হই’।

প্রশ্ন ১১) ফেরাউন কি মারা গিয়েছিল? 

-না  এবং হ্যাঁ 

                      হ্যা, মারা গিয়েছিলঃ
#Yunus 10:90

وَجَٰوَزْنَا بِبَنِىٓ إِسْرَٰٓءِيلَ ٱلْبَحْرَ فَأَتْبَعَهُمْ فِرْعَوْنُ وَجُنُودُهُۥ بَغْيًا وَعَدْوًاۖ حَتَّىٰٓ إِذَآ أَدْرَكَهُ ٱلْغَرَقُ قَالَ ءَامَنتُ أَنَّهُۥ لَآ إِلَٰهَ إِلَّا ٱلَّذِىٓ ءَامَنَتْ بِهِۦ بَنُوٓا۟ إِسْرَٰٓءِيلَ وَأَنَا۠ مِنَ ٱلْمُسْلِمِينَ
আর আমি বনী ইসরাঈলকে সমুদ্র পার করিয়ে নিলাম। আর ফির‘আউন ও তার সৈন্যবাহিনী ঔদ্ধত্য প্রকাশ ও সীমালঙ্ঘনকারী হয়ে তাদের পিছু নিল। অবশেষে যখন সে ডুবে যেতে লাগল, তখন বলল, ‘আমি ঈমান এনেছি যে, সে সত্তা ছাড়া কোন ইলাহ নেই, যার প্রতি বনী ইসরাঈল ঈমান এনেছে। আর আমি মুসলিমদের অন্তর্ভুক্ত’।

Yunus 10:92

فَٱلْيَوْمَ نُنَجِّيكَ بِبَدَنِكَ لِتَكُونَ لِمَنْ خَلْفَكَ ءَايَةًۚ وَإِنَّ كَثِيرًا مِّنَ ٱلنَّاسِ عَنْ ءَايَٰتِنَا لَغَٰفِلُونَ
‘সুতরাং আজ আমি তোমার দেহটি রক্ষা করব, যাতে তুমি তোমার পরবর্তীদের জন্য নিদর্শন হয়ে থাক। আর নিশ্চয় অনেক মানুষ আমার নিদর্শনসমূহের ব্যাপারে গাফেল’।

Al-Isra' 17:103

فَأَرَادَ أَن يَسْتَفِزَّهُم مِّنَ ٱلْأَرْضِ فَأَغْرَقْنَٰهُ وَمَن مَّعَهُۥ جَمِيعًا
অতঃপর সে তাদেরকে দেশ থেকে উৎখাত করার ইচ্ছা করল; তখন আমি তাকে ও তার সাথে যারা ছিল সকলকে ডুবিয়ে দিলাম।

                            না, সন্দেহাতীত,শিওর নয় যে মারা গেছিলঃ
#Al-Isra' 17:102

قَالَ لَقَدْ عَلِمْتَ مَآ أَنزَلَ هَٰٓؤُلَآءِ إِلَّا رَبُّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضِ بَصَآئِرَ وَإِنِّى لَأَظُنُّكَ يَٰفِرْعَوْنُ مَثْبُورًا
সে বলল, ‘তুমি জান যে, এ সকল বিষয় কেবল আসমানসমূহ ও যমীনের রবই নাযিল করেছেন প্রত্যক্ষ প্রমাণ হিসেবে। আর হে ফির‘আউন, আমি তো ধারণা করি তুমি ধ্বংসপ্রাপ্ত।

উল্লেখ্য যে, ফেরাউন কোন ব্যাক্তি বিশেষের নাম নয়।
এটা ছিল ফারাও রাজাদের বংশীয় উপাধি ।
মিশরের মিউজিয়ামে যে মমিটিকে ফেরাউন বলে দাবী করে কুরানের সত্যতার প্রমান মেলানোর চেষ্টা করা হয় সেটা অদৌ কার মমি সেটার কোন প্রমান পাওয়া যায়নি।
ফেরাউনের লাশ নিয়ে মুসলমানদের মিথ্যাচার দেখুনঃ
https://imranshakh.blogspot.com/2020/02/blog-post_79.html

১২/ ৫৪ঃ১৭ বলা হয়েছে " আমি কুরানকে সহজ করে নাজিল করেছি মানুষের বুঝার জন্য ।

অথচ দেখুন সুরা বাকারার প্রথম আয়াতে থাকা আলি লাম মিমের অর্থই আজ পর্যন্ত কেউ বুঝতে পারেনাই বা জানেনা , কেননা এখানে মাত্র ৩টি অক্ষর বা বর্ন আছে যা দিয়ে কোন অর্থ বা শব্দ তৈরি হয়না ।


নিশ্চয়ই  কুরআন আল্লাহর বাণী এতে কোন বৈপিরিত্য নেই, হা হা ।
বুমেরাং ...
কোনদিকে যাবেন ??

3 comments:

  1. আমার কাছে মাত্র একটি পয়েন্ট (৯ নং প্রশ্ন ) যৌক্তিক মনে হয়েছে তাও সামান্য কিছু অংশ এটাই আমাকে ভাবাবে আজকে সারা রাত কিংবা আরো কিছু সময় । বাকি গুলা হাগুমারকা টাইপের হইছে । (আরও চিন্তাশীল হন এবং তারপরে আবার ট্রাই করুন )

    ReplyDelete
    Replies
    1. ওইটাও হাগুমার্কাই, আয়াতে বলা হইছে মূমিনদের জন্য সুসংবাদ/পুরস্কারের যে ওয়াদা আছে সেইটাতে কোন ব্যত্যয় হবেনা, ভরসা দিলেন এই আরকি এইটাকে আয়াতের নাসিখ মানসুখের সাথে কন্ট্রাস্ট করা হইছে গুগুল ট্রান্সলেটরো এর চেয়ে ভালা

      Delete
    2. ক্বোরআনকে বুঝবার একমাত্র মৌলিক নীতিসুত্রঃ
      ।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।।
      বস্তত: আল-ক্বোরআনের কোনো আয়াতের সঠিক বুঝ সেটাই, যে বুঝটি আল-ক্বোরআনেরই অপর কোনো আয়াতের সাথে কখনও সাংঘর্ষিক হয় না। এ নীতি সম্পর্কে আল্লাহ বলেন,

      “তারা কি আল-ক্বোরআন মর্মে চিন্তা-ভাবনা করে না, এটি যদি আল্লাহ ব্যাতীত অপর কারো পক্ষ হতে হোতো, তবে অবশ্যই এতে তারা কসরতের সাথে ইখতেলাফ (সাংঘার্ষিকতা) পেতো।” (সুরা আন-নিসা : ৮২)

      সহীহ হাদিসেও এ নীতিটি রেকর্ডভুক্ত রয়েছে -

      আমর বিন শুআইব, তিনি তাঁর পিতা থেকে, তিনি তাঁর দাদা থেকে বর্ণনা করে বলেন, (একদা কুরআনী কোন বিষয় নিয়ে কিছু সাহাবাকে তর্ক করতে দেখে) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন -
      থামো হে লোক সকল! নবীদের ব্যাপারে মতভেদ এবং কিতাবের একাংশকে অন্য অংশের সাথে সংঘর্ষ সৃষ্টি করে তোমাদের পূর্বের বহু জাতি ধ্বংস হয়েছে। কুরআন এভাবে অবতীর্ণ হয়নি যে, তার একাংশ অন্য অংশকে মিথ্যায়ন করবে। বরং তার একাংশ অন্য অংশকে সত্যায়ন করে। সুতরাং যা তোমরা বুঝতে পারো, তার উপর আমল করো এবং যা বুঝতে পারো না, তার জন্য জ্ঞানীর স্বরণাপন্ন হও।

      (হাদিস সম্ভার -১৫৪৩, মুসনাদে আহমাদ - ৬৭০২, শারহুল আক্বীদাতিত ত্বাহাবিয়্যাহ ১/২১৮)
      ।।।।।।।।।।।।।।
      নীতিটির প্রায়োগিক উদাহরণ নিম্নরুপ,

      “হে মুমিনগন, তোমরা ঈহুদী ও নাছারাদের বন্ধুরুপে গ্রহণ কোরো না, তারা একে অপরের বন্ধু। তোমাদের মধ্যে যে তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে, সে তাদেরই অন্তর্ভূক্ত। আল্লাহ জালেমদের পছন্দ করেন না।” (সুরা মা’ঈদা : ৫১)

      এ আয়াতটি পাঠ করে কেউ যদি মনে করে, ঈহুদী ও নাছারাদের বন্ধুরুপে গ্রহণ করা সার্বিক অবস্থায় নিষেধ করা হয়েছে, তবে নিম্ন-বর্ণিত আয়াতটির সাথে তার বুঝটি সাংঘর্ষিক হওয়ায়, সেটি সঠিক বুঝ বলে গণ্য হবে না।

      “এখন হতে তোমাদের জন্য পুত:পবিত্র সকল কিছু হালাল করা হোলো। আহলে কিতাবদের খাদ্যদ্রব্য তোমাদের জন্য হালাল এবং তোমাদের খাদ্যদ্রব্য তাদের জন্য হালাল। তোমাদের জন্য হালাল সতী-সাব্ধী মুমিন নারী এবং তাদের সতী-সাব্ধী নারী, যাদের কিতাব দেয়া হয়েছে তোমাদের পূর্বে - মোহরানা প্রদানপূর্বক স্ত্রী করার জন্য, কামবাসনা চরিতার্থ করতে কিংবা গুপ্তপ্রেমে লিপ্ত হতে নয়। যে বিশ্বাসের ক্ষেত্রে বিশ্বাসঘাতকতা করে, তার শ্রম বিফলে যাবে এবং আখেরাতে সে হবে ক্ষতিগ্রস্থ।” (সুরা মা’ঈদা : ৫১)

      উপরোক্ত আয়াতদ্বয় আপাতদৃষ্টিতে সাংঘর্ষিক মনে হলেও আল-ক্বোরআনের দৃষ্টিকোনে তাতে কোনো সাংঘর্ষিকতা নেই, কারণ

      “হে মুমিনগণ, আহলে কিতাবদের মধ্য থেকে যারা তোমাদের ধর্মকে উপহাস ও খেলা মনে করে, তাদেরকে এবং সেসব কাফেরকে বন্ধু রূপে গ্রহণ করো না। আল্লাহকে ভয় কর, যদি তোমরা ঈমানদার হও। [সুরা মায়েদা - ৫:৫৭]

      উক্ত আয়াতটিতে স্পষ্ট করা হয়েছে, কারা বন্ধুত্বের যোগ্য আর কারা নয়। এছাড়া নিম্ন-বর্ণিত আয়াতে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে সার্বিক সীমারেখাও বর্ণনা করা হয়েছে,

      “দ্বীনের ব্যাপারে যারা তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে নাই, তোমাদের বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ করে নাই, তাদের প্রতি সদাচরণ ও ইনসাফ করতে আল্লাহ নিষেধ করেন না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সদাচরণকারীদের ভালোবাসেন। আল্লাহ কেবল তাদের সাথে বন্ধুত্ব করতে নিষেধ করেন, যারা দ্বীনের ব্যাপারে তোমাদের বিরুদ্ধে লড়াই করে, তোমাদের বাসস্থান থেকে উচ্ছেদ করে বা তাতে সহায়তা করে। অতএব যারা তাদের সাথে বন্ধুত্ব করে, তারাই জালেম।” (সুরা মুমতাহিনা :৮-৯)
      ।।।।।।
      সুতরাং ক্বোরআনের কোনো আয়াত সম্বন্ধে আমাদের কোনো বুঝকে কোরআনের অপর আয়াত প্রশ্নবিদ্ধ করে, তবে আমাদেরকে উক্ত আয়াতদ্বয়ের বুঝ সম্পর্কে সংশোধন হতে হবে।



      Delete

Powered by Blogger.