কুরান আল্লা প্রদত্ত কোন ঐশ্বরিক কিতাব নয়,মুহাম্মদের রচিত কিতাব। আল্লা নিজেই নিজেকে অবিশ্বাস করতে বলছে
আল্লা নিজেই কেন নিজেকে অবিশ্বাস করতে বলছে ? নিজেই কেন কুরানকে অবিশ্বাস করতে বলছে?
আল্লা এত বোকা কেন?
আমি দিনে দিনে যতই কুরান হাদীস পড়ছি ঠিক ততই দিনে দিনে আরো বেশি অবাক হচ্ছি ।
অবাক হচ্ছি এটা ভেবে যে, আল্লা যিনি একজন স্রস্টা তিনি এতবড় বোকা কিভাবে হতে পারেন?
একজন বিশ্ব ভ্রমান্ডের স্রস্টা হয়ে তিনি বারংবার কিভাবে তার মানব জাতির জন্য দেওয়া কিতাবে নিজেই এভাবে বারবার ভুল করতে পারেন?
নিজেই কিভাবে স্ববিরোধী কথা বলতে পারেন?
অবাক হচ্ছি এটা ভেবে যে, আল্লা যিনি একজন স্রস্টা তিনি এতবড় বোকা কিভাবে হতে পারেন?
একজন বিশ্ব ভ্রমান্ডের স্রস্টা হয়ে তিনি বারংবার কিভাবে তার মানব জাতির জন্য দেওয়া কিতাবে নিজেই এভাবে বারবার ভুল করতে পারেন?
নিজেই কিভাবে স্ববিরোধী কথা বলতে পারেন?
আল্লার সেই স্ববিরোধী কথাবার্তা কিংবা কুরানের বৈপিরত্য নিয়েই আজকের এই লেখাটা ।
তো প্রথমেই আমরা দেখে নিতে পারি আল্লায় কাউকে বিশ্বাসের ব্যাপারে কি বলেছেন?
আল্লা তার কুরানের ৬৮ নং সুরা কলমের ১০ নং আয়াতে বলেছেঃ
তো প্রথমেই আমরা দেখে নিতে পারি আল্লায় কাউকে বিশ্বাসের ব্যাপারে কি বলেছেন?
আল্লা তার কুরানের ৬৮ নং সুরা কলমের ১০ নং আয়াতে বলেছেঃ
وَ لَا تُطِعۡ کُلَّ حَلَّافٍ مَّہِیۡنٍ ﴿ۙ۱۰﴾
ওয়ালা-তুতি‘ কুল্লা হাল্লাফিম মাহীন।
এবং অনুসরণ করো না তার, যে কথায় কথায় শপথ করে, যে লাঞ্ছিত।
অর্থাৎ তাকে তোমরা বিশ্বাস করোনা যে কথায় কথায় কোন বিষয়ে কসম করে কথা বলে ।হ্যা অবশ্যই একটা উত্তম কথা ।
কেননা আমরা সাধারনত কোন চোর বাটপাররের কথাতে বিশ্বাস করিনা , কেননা আমরা জানি তারা কথায় কথায় বিভিন্ন দামী এবং মুল্যবান জিনিশের নামে শপথ কিংবা প্রতিজ্ঞ করে কথা বলে যেগুলিতে আমরা বিশ্বাস করি এবং আমাদের কাছে অতি মূল্যবান এবং দামী মনে হয় ।
আমরা সাধারনত কোন তূচ্ছ বিষয়ের নামে বা কোন তূচ্ছ বিষয়ের উপরে শপথ বা প্রতিজ্ঞা করিনা ।
যাহোক, এবার আমরা মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে আরেকটি হাদিসের বানী দেখে নিবঃ
কেননা আমরা সাধারনত কোন চোর বাটপাররের কথাতে বিশ্বাস করিনা , কেননা আমরা জানি তারা কথায় কথায় বিভিন্ন দামী এবং মুল্যবান জিনিশের নামে শপথ কিংবা প্রতিজ্ঞ করে কথা বলে যেগুলিতে আমরা বিশ্বাস করি এবং আমাদের কাছে অতি মূল্যবান এবং দামী মনে হয় ।
আমরা সাধারনত কোন তূচ্ছ বিষয়ের নামে বা কোন তূচ্ছ বিষয়ের উপরে শপথ বা প্রতিজ্ঞা করিনা ।
যাহোক, এবার আমরা মূল আলোচনায় যাওয়ার আগে আরেকটি হাদিসের বানী দেখে নিবঃ
1/ রাসুল সালাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন :
'' যে ব্যক্তি আল্লাহ্ ব্যতিত অন্যের নামে কসম করে সে শিরক করলো।''
(হাদিসঃ তিরমিজি, আবুদাউদ, মিশকাত হা/২৯৬)
2/ ইবনু ওমর (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূল (সাঃ) বলেছেন :
" সাবধান! নিশ্চয়ই আল্লাহ তা‘আলা তোমাদেরকে তোমাদের পিতৃপুরুষের নামে শপথ করতে নিষেধ করেছেন। কারো যদি শপথ করতেই হয়, তবে সে যেন আল্লাহর নামে শপথ করে অথবা চুপ থাকে’।
[বুখারী, মুসলিম; মিশকাত হা/৩৪০]
3/ অপর এক হাদীছে রাসূল (সাঃ) বলেছেন :
"যে আমানত বা গচ্ছিত দ্রব্যের নামে কসম করে, সে আমাদের অন্তর্ভুক্ত নয় "।
[আবুদাঊদ, মিশকাত হা/৩৪২০।]
উপরের তিনটি হাদীস থেকেই বুঝা গেল যে একমাত্র আল্লার নাম ব্যতীত অন্য কারো নামে শপথ করা যাবেনা , এমনকি কোন গচ্ছিত মালের নামেও নয়।
কেননা আমাদের কাছে সবচেয়ে দামী এবং বিশ্বাসের বস্তু ।
কেননা আমাদের কাছে সবচেয়ে দামী এবং বিশ্বাসের বস্তু ।
তো চলুন এবার দেখে নিই আল্লা নিজেই কুরানে কত যায়গায় কতবার কিসের নামে শপথ শুরু করে আয়াত পাঠানো শুরু করছেন।
(উল্লেখ্য যেঁ, আমরা সাধারণত সেই সব বিষয়ের উপরে শপথ করি যেগুলি আমাদের থেকে অনেক বেশি মুল্যবান,যেগুলি আমাদের কে কেউ অবিশ্বাস করলে যাতে আমাদের পক্ষে সে সাক্ষ্য দিতে পারে। কিন্তু আল্লা একজন সৃষ্টি কর্তা হয়ে এসব তুচ্ছ তাচ্ছিল বিষয়ের উপরে কিভাবে শপথ করে বা প্রতিজ্ঞা করে কথা বলেন?
এগুলি কি সাক্ষ্য দেওয়ার ক্ষমতা রাখে, যখন কেউ তার কুরানকে অবিশ্বাস করে?)
১/ ১০৩ঃ১
ওয়াল ‘আসর।
সময়ের / কালের শপথ।
অর্থাৎ এখানে সুরা আসর নাজিলের শুরুতেই বলা হচ্ছে শপথ সময়ের বা কালের ।অর্থাৎ এই সুরাটি নাজিলের সময়টাকে শপথ রেখে নাজিল বা রচনা শুরু করেছেন।
২/১০০ঃ১
وَ الۡعٰدِیٰتِ ضَبۡحًا ۙ﴿۱﴾
ওয়াল ‘আ-দিয়া-তি দাবহা-।
শপথ ঊর্ধ্বশ্বাসে ধাবমান অশ্বরাজির।
অর্থাৎ এখানে সুরা আদিয়াত নাজিলের সময় রচনাকারী দেখছিলেন তার কাছ দিয়েই উর্ধ্বশ্বাসে কিছু ঘোড়া দৌড়ে যাচ্ছে ।আর তিনি তার সেই সুরাটিকে রচনার শুরুতেই সেই দৃশ্যত ঘোড়াকে সাক্ষ্য রেখে রচনা শুরু করলেন ।
৩/ ১০০ঃ২
فَالۡمُوۡرِیٰتِ قَدۡحًا ۙ﴿۲﴾
ফাল মূরিয়া-তি কাদহা-।
অতঃপর ক্ষুরাঘাতে অগ্নিস্ফুলিঙ্গ বিচ্ছুরিতকারী (অশ্বরাজির শপথ)।
অর্থাৎ প্রথমে তিনি উর্ধ্বশ্বাসে ধাবিত ঘোড়াগুলিকে দেখে তার নামে শপথ করে রচনা শুরু করার পরে আবার সেই উর্ধ্বশ্বাসে দৌড়ে যাওয়া ঘোড়াদের সেই ধারালো ক্ষুরাঘাতের নামে শপথ করে সুরা রচনা শুরু করেন ।যার ধারালো ক্ষুরে অগ্নি ঝরে ।
৪/ ১০০ঃ৩
فَالۡمُغِیۡرٰتِ صُبۡحًا ۙ﴿۳﴾
ফাল মুগীরা-তি সুবহা-।
অতঃপর প্রভাতকালে আক্রমণকারী (অশ্বরাজির শপথ)।
অর্থাৎ খুব ভোরবেলা ঘোড়া নিয়ে আক্রমমন করতে যাওয়া সেই ঘোড়াদের নামে শপথ করে সুরা রচনা শুরু করেন।
৫/ ৯৫ঃ১
وَ التِّیۡنِ وَ الزَّیۡتُوۡنِ ۙ﴿۱﴾
ওয়াততীন ওয়াঝঝাইতূন।
শপথ তীন ও যাইতূনের।
অর্থাত এখানে তিনি সুরা রচনার শুরুতে যেখানে বসে ছিলেন সেখানে বা তার আশেপাশে হয়তো তীন ও যয়তুনের গাছ ছিল ,ফলে তিনি সেগুলিকে সাক্ষ্য রেখেই সুরা রচনা শুরু করেন ।তীন এবং যয়তুন হচ্ছে ডুমুর বা ডুমুর জাতীয় ফল ।ার এই সুরার নামকরন ও তাই করা হয়েছে সেই ত্বীন নামেই।
৬/ ৯৫ঃ২
وَ طُوۡرِ سِیۡنِیۡنَ ۙ﴿۲﴾
ওয়া তূরি ছীনীন।
শপথ ‘সিনাই’ পর্বতের।
অর্থাৎ এই সুরা রচনার সময়ে তিনি সিনাই পর্বতে ছিলেন ,ফলে তার আশেপাশে ডুমুর গাছ ছিল বলে সেই ডুমুর গাছ এবং সিনাই পর্বতের নামে শপথ করেই সুরা রচনা শুরু করেন ।
৭/ ৯৫ঃ৩
وَ ہٰذَا الۡبَلَدِ الۡاَمِیۡنِ ۙ﴿۳﴾
ওয়া হা-যাল বালাদিল আমীন।
এবং শপথ এই নিরাপদ নগরী (মক্কা)র।
অর্থাত এই সিনাই পর্বত হচ্ছে মক্কা নগরীর খুবই নিকটে ,যেখান থেকে মক্কা নগরী দেখা যায়। ফলে তিনি সেটাকেও সাক্ষ্য রেখেই রচনা শুরু করেন ।
৮/ ৯৩ঃ১
وَ الضُّحٰی ۙ﴿۱﴾
ওয়াদদু হা-।
শপথ পূর্বাহ্নের (দিনের প্রথম ভাগের)।
অর্থাৎ এই সুরা আদ দোহা রচনার শুরুতেই সময়টা ছিল সকাল বেলা ,যখন সুর্য পূর্ব দিগন্তে ছিল ।মানে এই সুরা রচনার সময়ে তিনি দেখেছিলেন সুর্য পূর্ব আকাসে আছে ,আর তাই সেটাকেই সাক্ষ্য রেখে তিনি সুরা রচনা শুরু করেন।
৯/ ৯৩ঃ২
وَ الَّیۡلِ اِذَا سَجٰی ۙ﴿۲﴾
ওয়াল্লাইলি ইযা-ছাজা-।
শপথ রাত্রির; যখন তা সমাচ্ছন্ন করে ফেলে।
এই আয়াত বা লা;ইন রচনার সময়ে সূর্য পুর্ব আকাস থেকে পশ্চিমে হেলে গিয়ে তখন রাত্রি হয়ে যাওয়ায় তিনি এটাকে বা রাত্রিকেও সাক্ষ্য মেনে বা শপথ করে সুরার বাকি লাইন গুলি রচনা শুরু করেন।
১০/ ৯২ঃ১
وَ الَّیۡلِ اِذَا یَغۡشٰی ۙ﴿۱﴾
ওয়াল্লাইলি ইযা-ইয়াগশা-।
শপথ রাত্রির, যখন তা আচ্ছন্ন করে।
এখানে সুরা রচনার শুরুতেই রাতের পরিস্থিতি ছিল, যখন চারিদিকে সবকিছু অন্ধকারে আচ্ছন্ন থাকে বিধায় তিনি রাতের নামে শপথ বা রাতকে সাক্ষ্য রেখে সুরার এই লাইনটি রচনা করে ।
১১/ ৯২ঃ২
وَ النَّہَارِ اِذَا تَجَلّٰی ۙ﴿۲﴾
ওয়ান্নাহা-রি ইযা-তাজাল্লা-।
শপথ দিবসের, যখন তা সমুজ্জ্বল হয়।
এই আয়াত বা লাইনটি রচনার সময়ে সকাল হয়েছিল , যখন ভোরের সূর্য আকাসে উকি দিয়ে আলোয় জ্বলজ্বলে করে ।
১২/ ৯২ঃ৩
وَ مَا خَلَقَ الذَّکَرَ وَ الۡاُنۡثٰۤی ۙ﴿۳﴾
ওয়ামা-খালাকায যাকারা ওয়াল উনছা।
শপথ তাঁর যিনি নর-নারীর সৃষ্টি করেছেন।
দেখুন এখানে কতবড় একটা রহস্য বা মারপ্যাচ লুকিয়ে রয়েছে ।এখানে সুরা রচনার সময়ে তার নামে শপথ করা হয়েছে যে বা যিনি নরনারী সৃষ্টি করেছেন ।তো পুরো কুরানের কথাই যদি আল্লার হয়ে থাকে ,তাহলে এই আল্লায় কোন আল্লার নামে শপথ করেছিল?
কেননা আমরা জানি সকল নর নারী কেবল আল্লায়ই সৃষ্টি করেছে ।তো আল্লায় নিজেই যদি সকল নর নারীকে সৃশটি করে থাকবে তাহলে তিনি কি নিজেই তার নামে শপথ শুরু করবে সুরা রচনার শুরুতেই?
না এমনটা হতেই পারেনা ।আমরা কখনো আমাদের নিজেদের নামে শপথ করে কোন কিছু শুরু করিনা ,আমাদের চেয়ে অনেক মূল্যবান কিছুর নামেই শপথ শুরু করি।
তো এখানেই স্পস্ট প্রমান করছে যে কুরান আর কারোরই কোন বানী নয়, এটা স্রেফ মুহাম্মদের বানী বা রচিত কিতাব বা বই মাত্র ।আর যেহেতু সে আল্লাকে মান্য করতো , আল্লা নামক কোন কল্পিত কেউ ছিল তার কাছে সবথেকে মূল্যবান সেহেতু সে ই এখানে তার সেই স্রস্টাকে স্মরন করে সুরা রচনা শুরু করেছে ।যাকে সে স্রস্টা মনে করতো , যাকে সে সবকিছু সৃষ্টির কারিগর মনে করতো ।
১৩/ ৯১ঃ১
وَ الشَّمۡسِ وَ ضُحٰہَا ۪ۙ﴿۱﴾
ওয়াশ শামছি ওয়াদু হা-হা-।
শপথ সূর্যের এবং তার (দিনের প্রথম ভাগের) কিরণের।এখানে এই সুরাটির নামই হচ্ছে সুর্য, অর্থাৎ এই সুরাটির মূল প্রতিপাদ্য বিষয় হচ্ছে সূর্যকে নিয়ে ।ঠিক যেমনটা আমাদের কবি সাহিত্যিকরা আমাদের প্রকৃতির মাঝে যা দেখে তাই নিয়েই কবিতা লিখে ।
তো এখানে শপথ করা হচ্ছে বা সুরা রচনার শুরুতেই তিনি যেটা দেখতে পেয়েছিল সেটাই এখানে আগে উল্লেখ করেছেন ,মানে তিনি সূর্য্যের কিরনকে সাক্ষ্য রেখে সুরা রচনা শুরু করেন।
১৪/ ৯১ঃ২
وَ الۡقَمَرِ اِذَا تَلٰىہَا ۪ۙ﴿۲﴾
ওয়াল কামারি ইযা-তালা-হা-।
শপথ চন্দ্রের, যখন তা সূর্যের পর আবির্ভূত হয়/সুর্য্যের অনুগামী হয়।
অর্থাৎ এখানে সেই সময়ের নামে শপথ করা হয়েছে যখন সূর্য ঢেকে গিয়ে চাদের আবির্ভাব বা রাতের সৃষ্টি হয়।যদিও আয়াতটা নিয়ে যথেষ্টই বিতর্ক রয়েছে , কেননা এখানে বলা হয়েছে চাঁদ সূর্য্যের অনুগামী হয় ।অনুগামী হওয়া মানে হচ্ছে Follow করা ।কিন্তু আমরা জানি চাঁদ সূর্য কেউ কাউকেই ফলো করেনা।সাবাই যারযার অক্ষে বা কক্ষপথে ঘুরে চলেছে ।
১৫/ ৯১ঃ৩
وَ النَّہَارِ اِذَا جَلّٰىہَا ۪ۙ﴿۳﴾
ওয়ান্নাহা-রি ইযা জাল্লা-হা-।
শপথ দিবসের, যখন তা সূর্যকে প্রকাশ করে।
অর্থাৎ এখানে সেই সময়ের নামে শপথ বা সাক্ষ্য রাখা হয়েছে যখন রাত্রি শেষ হয়ে কেবলই পুউরব আকাসে সূর্য প্রকাশিত হয়।
১৬/ ৯১ঃ৪
وَ الَّیۡلِ اِذَا یَغۡشٰىہَا ۪ۙ﴿۴﴾
ওয়াল্লাইলি ইযা-ইয়াগশা-হা-।
শপথ রজনীর, যখন তা সূর্যকে আচ্ছাদিত করে।
অর্থাত এখানে রাতের নামে শপথ বা রাতের সময়কে সাক্ষ্য রাখা হচ্ছে যখন রাতের আধার সূর্যকে ঢেকে দেয় ।
১৭/ ৯১ঃ৫
وَ السَّمَآءِ وَ مَا بَنٰہَا ۪ۙ﴿۵﴾
ওয়াছ ছামাই ওয়ামা-বানা-হা-।
শপথ আকাশের এবং তার নির্মাণ কৌশলের।
দেখেন এখানেও সেই ৯২ঃ৩ এর মত রহস্য লুকিয়ে আছে ,যেটা থেকে আবারো আমরা স্পস্টই প্রমান পাচ্ছি যে কুরানের কোন কথা ই কোন ঐশ্বরিক নয়, বরং মুহাম্মদের।কেননা এখানে তার নামেই শপথ করা হচ্ছে বা তাকেই সাক্ষ্য মানা হচ্ছে যে বা যিনি আকাস নির্মান করেছে ।তো আকাস যদি আল্লা ই তোইরি করে থাকবে তাহলে আল্লা তো আর নিজের নামে নিজে শপথ করে কুরান রচনা শুরু করবেনা ,তাইনা ?বরং এটা ( কুরান ) মুহাম্মদের রচিত বলেই তিনি তার সেই কল্পিত স্রস্টাকে স্মরন করেই এই সুরা রচনা করেছেন যিনি আকাস নির্মান করেছেন ।তাছাড়া আমরা জানি আল্লায় থাকেন সেই সাত আসমানের উপরে । মানে আকাস নামক প্রথম তলার উপরেও আরো ছয়টি তলার উপরে হচ্ছে আল্লায় বসা ।তাহলে তিনি সেই সাত আসমানের উপর থেকে আকাস দেখবেন কিভাবে ?আকাস তো আর স্বচ্ছ কোন কাচের তৈরি নয়।কাচের তোইরি হলে তো আমরাও দেখতে পেতাম ।কেননা আল্লা তো আমাদের মানুষের মতই।কেননা কেউ যদি ১০ তলা একটা বিল্ডিং এর উপরে বা ছাদে বসে থাকে তাহলে সে ১ম তলার ছাদ দেখতে পারবেনা , পক্ষান্তরে নিচতলার বাসিন্দারাও সেই বিল্ডিং এর ১০ম তলা দেখতে পাবেনা ,যেহেতু ছাদটা কোন কাচের তৈরি নয়।এক্ষেত্রে আমরা জানি আকাসও কোন কাচের তোইরি নয়।
যহোক এই আল্লা যে আমাদের মতই মানুষের মত সে বিষয়ে একটা লেখা আছে আমার ব্লগে সেটা পড়লেই পাবেন, ক্লিয়ার উত্তরঃ
তো আমরা এই আয়াত থেকে আরো একটা প্রমান কিন্তু পেয়ে গেলাম যেটা দ্বারা প্রমানিত হয় যে কুরান কোন আল্লা নামক ঐশ্বরিক কারো দ্বারা আসেনি।
১৮/ ৯১ঃ৬
وَ الۡاَرۡضِ وَ مَا طَحٰہَا ۪ۙ﴿۶﴾
ওয়াল আরদিওয়ামা-তাহা-হা-।
শপথ পৃথিবীর এবং তার বিস্তীর্ণতার / কসম জমীনের যিনি তা বিস্তৃত করেছেন।
দেখুন এখানেও সেইম কাহিনী ।এখানেও সেটাই প্রমান করছে যে এই কুরান কোন ঐশ্বরিক কারো লেখা রচনা নয় , বরং এটা মুহাম্মদেরই রচিত ।কেননা আমরা জানি এই মহাবিশ্ব যদি আল্লায়ই সৃষ্টি করবে এবং আল্লায়ই এই মহাবিশ্বের স্রস্টা এবং কুরানের রচয়িতা হয় তাহলে সে নিশ্চয় নিজের নামে কসম করে আয়াত লেখা শুরু করবেনা ,বরং যে তার শিষ্য বা ভক্ত সে ই তার নামে কসম করে কাজ শুরু করবে।অর্থাত এখানে স্পস্ট প্রতীয়মান যে, মুহাম্মদে যখন এই সুরা শামস বা সূর্যকে নিয়ে রচনা শুরু করে তখন সে তার দৃষ্টিসীমার মধ্যে যেসকল সৃষ্টি দেখেছিল এবং সেসব সৃস্টির স্রস্টার নামে কসম করে সুরা রচনা শুরু করে ।
১৯/ ৯১ঃ৭
وَ نَفۡسٍ وَّ مَا سَوّٰىہَا ۪ۙ﴿۷﴾
ওয়া নাফছিওঁ ওয়া মা-ছাওওয়া-হা-।
শপথ আত্মার এবং তার সুঠাম গঠনের।
এখানেও একদম পরিস্কার বুঝা যাচ্ছে যে, কুরান আসলে কোন ঐশ্বরিক কিতাব নয় , এটা আসলে মুহাম্মদের রচিত কিতাব।কেননা এই আয়াতে আমরা দেখতে পাচ্ছি যে, এখানে শপথ বা কসম করা হয়েছে আত্মার এবং তার সুঠাম গঠনের।অর্থাত এখানে আত্মা বলতে জীবন বা রুহের কথা বলা হয়েছে। তো রুহ সৃষ্টি করেছেন কে ?আল্লায়।আল্লায় কি নিজেই নিজের নামে কসম করে সুরা রচনা করবেন ?
- না , বরং মুহাম্মদেই এই সুরা রচনার শুরুতেই তার সেই স্রস্টার নামে কসম করে সুরা রচনা শুরু করেছেন ,যে এসব সৃস্টি করেছে ।
২০/ ৯০ঃ১
لَاۤ اُقۡسِمُ بِہٰذَا الۡبَلَدِ ۙ﴿۱﴾
লাউকছিমুবিহা-যাল বালাদ।
শপথ করছি এই (মক্কা) নগরের।
দেখুন এখানে শপথ করা হয়েছে মক্কা নগরের ।এটা হচ্ছে সুরা আল বালাদ, যেটা বালাদ নামক একটা নপগরীকে কেন্দ্র করেই রচিত হয়েছে ।তো এখানে আল্লা কি এসব লামছাম জিনিশের নামে শপথ করে কোন কিছু রচনা শুরু করবে ?
এই বালাদ নগরী কি অতি মূল্যবান কোন কিছু?
সারা বিশ্বে কি এরচেয়ে অতি মুল্যবান কিছুই নেই যেগুলির নামে তিনি শপথ করে সুরা রচনা করতে পারেন ?
তাছাড়া সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমরা জানি যে কুরান আল্লা তায়ালা এই মহাবিশ্বের সমস্ত কিছু সৃষ্টির আগেই রচান করে লওহে মাহফুজে রক্ষিত করে রেখেছিলেন।তাহলে যেখানে এসব মহাবিশ্বের বা পৃথিবীর সৃস্টিই তিনি করেননি সেখানে তিনি এসব স্থানের নাম পেলেন কোথায় ?
যাহোক, বাদ দিলাম সেসব কথা ।এখানে এই সুরা বালাদটি রচনার সময়ে তিনি এই বালাদ নগরীকে দেখতে পেয়েছিলেন বলেই সেটাকে সাক্ষ্য রেখে সেটার নামে কসম করে সুরা রচান শুরু করেছেন ।
২১/ ৯০ঃ ৩
وَ وَالِدٍ وَّ مَا وَلَدَ ۙ﴿۳﴾
ওয়া ওয়া-লিদিওঁ ওয়ামা-ওয়ালাদ।
শপথ জন্মদাতার ও যা সে জন্ম দিয়েছে তার।
এখানেও লক্ষ্যনীয় বিষয় রয়েছে ,আর সেটা হলো তার নামেই কসম করা হয়েছে যিনি জন্মদাতা এবং যা সে জন্ম দিয়েছে ।অর্থাৎ এটা থেকেই স্পস্ট যে কুরান কোনক্রেমেই কোন আল্লার রচিত কোন কিতাব হতেই পারেনা।
কেননা আমরা জানি আল্লা সুরা ইখালসে স্পস্ট করেই বলে দিয়েছনে তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং তাকেও কেউ জন্ম দেয়নি ।
অথচ এখানে তার নামেই কসম করে বলা হয়েছে যে, যিনি জন্মদাতা এবং যা সে জন্ম দিয়েছে ।
তো এটা যদি আল্লার নিজের কথা ই হয় তাহলে আল্লায় কি নিজেই নিজের ব্যাপারে স্ববিরোধী কথা বলছেনা? বা নিজেই কুরানের বৈপরিত্যের জন্ম দিচ্ছেনা ?
সে তো নিজেই বলেছে সুরা নিসার ৮২ নাম্বার আয়াতে বলেছে কুরানে কোন বৈপিরত্য নেই।
যদিও কুরানে বৈপরত্যের কোন সীমা নেই , সেটা নিয়েও আমার একটা লেখা পাবেনঃ
অর্থাৎ আমরা এই আয়াত থেকে আবারো আরো একটা প্রমান পেলাম যে, কুরান হচ্ছে মুহাম্মদের রচিত কিতাব , কোন আল্লা নামের কারো নয় ।
২২/ ৮৯ঃ১
وَ الۡفَجۡرِ ۙ﴿۱﴾
ওয়াল ফাজর।
শপথ ফজরের / ভোরবেলার।
এখানে ভোরবেলা্র নামে শপথ করা হয়েছে , যারমানে হচ্ছে এই আয়াতটি তখন রচনা করেছে যখন সে ফজরের নামাজের জন্য উঠেছিল।তো এখানেও একটা লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে কুরান যদি সব কিছু সৃস্টির আগেই রচনা করে লওহে মাহফুজে রক্ষিত থেকে থাকবে তাহলে আল্লাইয় এসব পৃথিবী চাঁদ সূর্য সৃষ্টির আগেই ভোরবেলা কোথায় পেল যখন ফজরের সময় হয় , যখন ফজরের নামাজের কোন হুকুমই আল্লায় নাজিল করেনি।
- বুমেরাং , হা হা
২৩/ ৮৯ঃ২
وَ لَیَالٍ عَشۡرٍ ۙ﴿۲﴾
ওয়া লায়া-লিন ‘আশর
শপথ দশ রাত্রির।
২৪/ ৮৯ঃ৩
وَّ الشَّفۡعِ وَ الۡوَتۡرِ ۙ﴿۳﴾
ওয়াশশাফা‘ই ওয়াল ওয়াতর ।
শপথ জোড় ও বেজোড়ের।
وَّ الشَّفۡعِ وَ الۡوَتۡرِ ۙ﴿۳﴾
ওয়াশশাফা‘ই ওয়াল ওয়াতর ।
শপথ জোড় ও বেজোড়ের।
২৫/ ৮৯ঃ৪
وَ الَّیۡلِ اِذَا یَسۡرِ ۚ﴿۴﴾
ওয়াল্লাইলি ইযা-ইয়াছর।
এবং শপথ রাত্রির, যখন তা গত হতে থাকে।
রাত্রির নামে শপথ বা কসম করা হয়েছে যখন সেটা শেষের দিকে চলে আসে।
২৬/ ৮৯ঃ৫
ہَلۡ فِیۡ ذٰلِکَ قَسَمٌ لِّذِیۡ حِجۡرٍ ؕ﴿۵﴾
হাল ফী যা-লিকা কাছামুল লিযী হিজর।
নিশ্চয়ই এর মধ্যে শপথ রয়েছে জ্ঞানবান ব্যক্তির জন্যে।
২৭/ ৮৬ঃ১
وَ السَّمَآءِ وَ الطَّارِقِ ۙ﴿۱﴾
ওয়াছ ছামাই ওয়াততা-রিক।
শপথ আকাশের এবং রাত্রিতে যা আবির্ভূত হয় তার।
এখানে তার নামে শপথ করা হয়েছে যেগুলি রাতে আবির্ভুত হয় , অর্থাৎ তারকা পুঞ্জর নামে কসম করা হয়েছে ।
২৮/ ৮৫ঃ১
وَ السَّمَآءِ ذَاتِ الۡبُرُوۡجِ ۙ﴿۱﴾
ওয়াছ ছামাই যা-তিল বুরূজ।
শপথ রাশিচক্র বিশিষ্ট আকাশের / কক্ষপথ বিশিষ্ট আসমানের কসম ।
এখানে কক্ষপথ বিশিষ্ট আসমানের নামে কসম করা হয়েছে ।২৯/ ৮৫ঃ২
وَ الۡیَوۡمِ الۡمَوۡعُوۡدِ ۙ﴿۲﴾
ওয়াল ইয়াওমিল মাও‘ঊদ।
শপথ প্রতিশ্রুত দিবসের।
এখানে কসম বা শপথ করা হয়েছে প্রতিশ্রুত দিবস বা এখানে কিয়ামত দিবসের প্রতি কসম করা হয়েছে ।
অর্থাৎ এখানে আল্লাকে বুঝানো হয়েছে ,কেননা আমরা জানি সবকিছুই কেবল আল্লার দৃষ্টির মধ্যে এবং তিনিই সবকিছু দেখেন ।
তো আল্লা নিজে তো আর নিজের নামে কসম করবেনা , বরং মুহাম্মদেই কুরান রচনার সময়ে
৩০/ ৮৫ঃ৩
وَ شَاہِدٍ وَّ مَشۡہُوۡدٍ ؕ﴿۳﴾
ওয়া শা-হিদিওঁ ওয়া মাশহূদ।
শপথ দ্রষ্টার ও দৃষ্টের।
এখানে তার নামেই শপথ করা হয়েছে যিনি সবকিছু দেখেন এবং সবকিছু তার দৃষ্টির মধ্যে ।অর্থাৎ এখানে আল্লাকে বুঝানো হয়েছে ,কেননা আমরা জানি সবকিছুই কেবল আল্লার দৃষ্টির মধ্যে এবং তিনিই সবকিছু দেখেন ।
তো আল্লা নিজে তো আর নিজের নামে কসম করবেনা , বরং মুহাম্মদেই কুরান রচনার সময়ে
তার নামে কসম করেছে যে কিনা সবকিছু দেখে , এবং সবকিছু তার দৃষ্টি সীমার মধ্যে ।
৩১/ ৭৯ঃ১
وَ النّٰزِعٰتِ غَرۡقًا ۙ﴿۱﴾
ওয়ান্না-ঝি‘আ-তি গারকা-।
শপথ তাদের (ফিরিশতাদের); যারা নির্মমভাবে (কাফেরদের প্রাণ) ছিনিয়ে নেয়।
দেখুন, এখানে কসম বা সপথ করা হয়েছে ফেরেস্তাদের নামে। আচ্ছা ফেরেস্তারা তো আমাদের চেয়ে ও মুল্যহীন , তাহলে আল্লায় তাদের স্রস্টা হয়ে কি তাদের নামেই কসম করে কুরান রচনা শুরু করবেন?- না ,সেটা হতে পারেনা ।
৩২/ ৭৯ঃ২
وَّ النّٰشِطٰتِ نَشۡطًا ۙ﴿۲﴾
ওয়ান্না-শিতা-তি নাশতা-।
শপথ তাদের; যারা মৃদুভাবে (মু’মিনদের প্রাণ) বের করে।
এখানে দেখুন তাদের নামে কসম করা হয়েছে যারা আলতোভাবে মুমিনদের প্রান হরন করে থাকে , মানে এখানে আজ্রাইল নামক এক ফেরস্তার নামে শপথ করা হয়েছে ।
আচ্ছা আল্লায় কেন এসবের নামে শপথ করতে যাবে?
আচ্ছা আল্লায় কেন এসবের নামে শপথ করতে যাবে?
৩৩/ ৭৯ঃ৩
وَّ السّٰبِحٰتِ سَبۡحًا ۙ﴿۳﴾
ওয়াছছা-বিহা-তি ছাবহা-।
শপথ তাদের; যারা তীব্র গতিতে সন্তরণ করে।
এখানে সেসব ফেরস্তাদের নামে কসম করা হয়েছে যারা খুব দ্রুত গতিতে ভাসে বা ঊড়ে , মানে ফেরস্তাদের নামে কসম করা হয়েছে ।
৩৪/ ৭৯ঃ৪
৩৪/ ৭৯ঃ৪
فَالسّٰبِقٰتِ سَبۡقًا ۙ﴿۴﴾
ফাছছা-বিকা-তি ছাবকা-।
অতঃপর (শপথ তাদের;) যারা দ্রুতবেগে অগ্রসর হয়।
এখানে আবারো ফেরেস্তাদের নামে কসম করা হয়েছে যারা দ্রুতবেগে অগ্রসর হয় ।
ফাল মুদাব্বিরা-তি আমরা-।
অতঃপর (শপথ তাদের;) যারা সকল কর্ম নির্বাহ করে।
৩৫/ ৭৯ঃ৫
فَالۡمُدَبِّرٰتِ اَمۡرًا ۘ﴿۵﴾ফাল মুদাব্বিরা-তি আমরা-।
অতঃপর (শপথ তাদের;) যারা সকল কর্ম নির্বাহ করে।
এখানে তাদের নামে কসম করা হয়েছে যারা দ্রুত তাদের কাজ করে থাকে , মানে এই সুরা নাজিয়াতের ১-৫ পর্যন্ত বিভিন্ন ফেরেস্তাদের নামে কসম করা হয়েছে ।
৩৬/ ৭৭ঃ১
وَ الۡمُرۡسَلٰتِ عُرۡفًا ۙ﴿۱﴾
ওয়াল মুরছালা- তি ‘উরফা- ।
শপথ কল্যাণ স্বরূপ প্রেরিত অবিরাম বায়ুর।
৩৭/ ৭৭ঃ২
وَّ النّٰشِرٰتِ نَشۡرًا ۙ﴿۳﴾
ওয়ান্না- শিরা- তি নাশরা- ।
শপথ মেঘমালা-সঞ্চালনকারী বায়ুর।
৩৮/ ৭৭ঃ ৪
فَالۡفٰرِقٰتِ فَرۡقًا ۙ﴿۴﴾
ফালফা- রিকা- তি ফারকা- ।
শপথ মেঘমালা-বিক্ষিপ্তকারী বায়ুর,
৩৯/ ৭৭ঃ৫
فَالۡمُلۡقِیٰتِ ذِکۡرًا ۙ﴿۵﴾
ফাল মুলকিয়া-তি যিকরা- ।
শপথ তাদের যারা (মানুষের অন্তরে) উপদেশ পৌঁছিয়ে দেয়।
অর্থাৎ এই সুরা মুরসালাতের ১ থেকে ৫ পর্যন্ত মেঘমালা ঠেলে বা বয়ে নিয়ে আসা ঝড়ো বাতাসের নামে কসম করা হয়েছে , যেটার মাধ্যমে বৃষ্টি হয়ে থাকে, যেটাকে কল্যানের বায়ু বলা হয়েছে ।কেননা মরু অঞ্চলের মানুষের কাছে সবথেকে মহামূল্যবান বস্তু হচ্ছে পানি ,যার দ্বারা তারা নিজেরা এবং তাদের সমস্ত প্রয়োজন মেটানো সহ শষ্যাদি ফলাতে পারতো, গৃহাস্থীলীর কাজ থেকে যাবতীয় কাজের জন্য যেটা ব্যয় করতে পারতো।
৪০/ ৭৫ঃ১
لَاۤ اُقۡسِمُ بِیَوۡمِ الۡقِیٰمَۃِ ۙ﴿۱﴾
লাউকছিমুবিইয়াওমিল কিয়া-মাহ ।
আমি শপথ করছি কিয়ামত দিবসের।
৪১/ ৭৫ঃ২
وَ لَاۤ اُقۡسِمُ بِالنَّفۡسِ اللَّوَّامَۃِ ؕ﴿۲﴾
ওয়ালাউকছিমুবিন্নাফছিল লাওওয়া-মাহ।
আমি শপথ করছি তিরস্কারকারী আত্মার।
এখানে কিয়ামত দিবসে জাহান্নামী লোকেদের রুহ বা আত্মার নামে শপথ করে রচনা শুরু করা হয়েছে ।
৪২/ ৬৮ঃ১
نٓ وَ الۡقَلَمِ وَ مَا یَسۡطُرُوۡنَ ۙ﴿۱﴾
নূন ওয়াল কালামি ওয়ামা- ইয়াছতুরূন।
নূন,শপথ কলমের এবং ওরা (ফিরিশতাগণ) যা লিপিবদ্ধ করে তার।
৪৩/ ৫৩:১
وَ النَّجۡمِ اِذَا ہَوٰی ۙ﴿۱﴾
ওয়ান্নাজমি ইযা-হাওয়া-।
শপথ নক্ষত্রের, যখন তা অস্তমিত হয়।
এই সুরার নাম হচ্ছে আল নজম ,মানে তারা ।অর্থাৎ এখানে সেই সময়কে সাক্ষ্য রাখা হয়েছে যখন তারা গুলি অস্তমিত হয়।
৪৪/ ৫২ঃ১
وَ الطُّوۡرِ ۙ﴿۱﴾
ওয়াততূরি।
শপথ ত্বূর (পর্বতের)
৪৫/ ৫২ঃ২-৩,
وَ کِتٰبٍ مَّسۡطُوۡرٍ ۙ﴿۲﴾
ওয়া কিতা-বিম মাছতূর।
শপথ কিতাবের, যা লিখিত আছে,
৪৬/ ৫২ঃ৪
وَّ الۡبَیۡتِ الۡمَعۡمُوۡرِ ۙ﴿۴﴾
ওয়াল বাইতিল মা‘মূর।
শপথ বায়তুল মা’মূরের,
ওয়া কিতা-বিম মাছতূর।
শপথ কিতাবের, যা লিখিত আছে,
৪৬/ ৫২ঃ৪
وَّ الۡبَیۡتِ الۡمَعۡمُوۡرِ ۙ﴿۴﴾
ওয়াল বাইতিল মা‘মূর।
শপথ বায়তুল মা’মূরের,
৪৭/ ৫২ঃ৫
وَ السَّقۡفِ الۡمَرۡفُوۡعِ ۙ﴿۵﴾
ওয়াছছাকফিল মারফূ‘।
শপথ সমুন্নত ছাদের/ আকাসের।
৪৮/ ৫২ঃ৬
وَ الۡبَحۡرِ الۡمَسۡجُوۡرِ ۙ﴿۶﴾
ওয়াল বাহরিল মাছজূর।
শপথ উদ্বেলিত (প্রজ্বালিত) সমুদ্রের,
এটা হচ্ছে সুরা ত্বুর ,যেটা তুর পাহাড়কে নিয়ে রচিত ।যেখানে এই সুরাটি রচনার শুরুতেই যেসব বিষয় মুহাম্মদের চোখে দৃশ্যত হয়েছে ত্বুর পাহাড় এবং তার আশপাশ নিয়ে সেগুলির নামে কসম করে বা সেগুলিকে সাক্ষ্য রেখে এই সুরা রচনা করা হয়েছে।যেমনঃতুর পাহাড়ের নামে,কিতাবের নামে যা লিখিত আছে,বায়তুল মামুরের নামে,আকাসের নামে,এবং উচ্ছাসিত সাগরের নামে শপথ করা হয়েছে ।
৪৯/ ৫১ঃ১
وَالذّٰرِیٰتِ ذَرۡوًا ۙ﴿۱﴾
ওয়াযযা-রিয়া-তি যারওয়া-।
শপথ ঝড়ো হাওয়ার।
وَالذّٰرِیٰتِ ذَرۡوًا ۙ﴿۱﴾
ওয়াযযা-রিয়া-তি যারওয়া-।
শপথ ঝড়ো হাওয়ার।
৫০/৫১ঃ২
فَالۡجٰرِیٰتِ یُسۡرًا ۙ﴿۳﴾
ফালজা-রিয়া-তি ইউছরা-।
শপথ স্বচ্ছন্দ গতি নৌযানের,
৫১/ ৫১ঃ ৩
فَالۡحٰمِلٰتِ وِقۡرًا ۙ﴿۲﴾
ফাল হা-মিলা-তি বিকরা-।
শপথ বোঝা বহনকারী মেঘপুঞ্জের।
৫২/ ৫১ঃ৪
فَالۡمُقَسِّمٰتِ اَمۡرًا ۙ﴿۴﴾
ফাল মুকাছছিমা-তি আমরা-।
শপথ কর্ম বণ্টনকারী ফিরিশতাদের,
فَالۡمُقَسِّمٰتِ اَمۡرًا ۙ﴿۴﴾
ফাল মুকাছছিমা-তি আমরা-।
শপথ কর্ম বণ্টনকারী ফিরিশতাদের,
অর্থাৎ এই সুরা আল যারিয়াত বা ঝড়ো হাওয়া বা বাতাসকে কেন্দ্র করেই রচিত ,যার মানে হচ্ছে ঝড়ো বাআতস । এখানে সুরাটি মূলত ঝড়ো বাতাস এবং সাগরে ঝড়ের সময় নৌযানগুলির কি পরিস্থিতি হয় সেটা দেখেই রচনা করা হয়েছে ।তাই এই সুরা রচনার সময়ে যেসকল বিষয়ে মুহাম্মদের নজরে এসেছিল তিনি সেসব বিষয়ের উপরে কসম বা সেসব বিষয় এবং পরিস্থিতিকে সাক্ষ্য রেখে এই সুরাটি রচনা করেছেন।তাইতো এখানে কসম বা সাক্ষ্য করা হয়েছে ঝড়ো হাওয়াকে যেটা পানি বহনকারি মেঘকে।
৫৩/ ৫০ঃ১
قٓ ۟ ۚ وَ الۡقُرۡاٰنِ الۡمَجِیۡدِ ۚ﴿۱﴾
কাফ ; ওয়াল কুরআ-নিল মাজীদ।
ক্বাফ, শপথ গৌরবান্বিত কুরআনের।
এটা হচ্ছে সুরা ক্বাফ ,যেটা একটি আরবি বর্ন ।আর এই সুরাটি রচনার সময়ে কুরানের নামেই শপথ করা হয়েছে ।
৫৪/ ৪৪ঃ২
وَ الۡکِتٰبِ الۡمُبِیۡنِ ۙ﴿ۛ۲﴾
ওয়াল কিতা-বিল মুবীন।
সুস্পষ্ট গ্রন্থের শপথ।
এখানেও কুরানের নামে শপথ করা হয়েছে ।
৫৫/ ৪৩ঃ২
وَ الۡکِتٰبِ الۡمُبِیۡنِ ۙ﴿ۛ۲﴾
ওয়াল কিতা-বিল মুবীন।
সুস্পষ্ট গ্রন্থের শপথ।
এখানেও কুরানের নামে শপথ করা হয়েছে ।
৫৬/ ৩৮ঃ১
صٓ وَ الۡقُرۡاٰنِ ذِی الذِّکۡرِ ؕ﴿۱﴾
সাদ ওয়াল কুরআ-নি যিযযিকরি।
স্বা-দ, শপথ উপদেশপূর্ণ কুরআনের!
এখানেও কুরানের নামে শপথ করা হয়েছে ।
৫৭/ ৩৭ঃ১
وَ الصّٰٓفّٰتِ صَفًّا ۙ﴿۱﴾
ওয়াসসাফফা-তি সাফফা-।
তাদের শপথ যারা (যে ফিরিশতারা) সারিবদ্ধভাবে দন্ডায়মান।
এখানে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ানো ফেরেস্তাদের নামে শপথ করা হয়েছে বা তাদের নামে কসম মকরা হয়েছে ।
৫৮/ ৩৬ঃ২
وَ الۡقُرۡاٰنِ الۡحَکِیۡمِ ۙ﴿۲﴾
ওয়াল কুরআ-নিল হাকীম।
জ্ঞানগর্ভ কুরআনের শপথ,
এখানেও কুরানের নামে শপথ করা হয়েছে ।
৫৯/ ৮৬ঃ১১
وَ السَّمَآءِ ذَاتِ الرَّجۡعِ ﴿ۙ۱۱﴾
ওয়াছ ছামাই যা-তির রাজ‘ই।
শপথ বারবার বর্ষণশীল আকাশের।
৫৯/ ৮৬ঃ১১
وَ السَّمَآءِ ذَاتِ الرَّجۡعِ ﴿ۙ۱۱﴾
ওয়াছ ছামাই যা-তির রাজ‘ই।
শপথ বারবার বর্ষণশীল আকাশের।
এখানে সেটার নামে কসম করা হয়েছে যেটা আকাস থেকে বৃষ্টি নামায়, মানে মেঘের নামে।
৬০/ ৮৬ঃ১১-১২
وَ الۡاَرۡضِ ذَاتِ الصَّدۡعِ ﴿ۙ۱۲﴾
ওয়াল আরদিযা-তিসসাদ‘ই।
বৃষ্টি সম্পন্ন আকাসের এবং বিদীর্ণশীল পৃথিবীর শপথ।
وَ الۡاَرۡضِ ذَاتِ الصَّدۡعِ ﴿ۙ۱۲﴾
ওয়াল আরদিযা-তিসসাদ‘ই।
বৃষ্টি সম্পন্ন আকাসের এবং বিদীর্ণশীল পৃথিবীর শপথ।
৬১/ ৮৪ঃ১৬
فَلَاۤ اُقۡسِمُ بِالشَّفَقِ ﴿ۙ۱۶﴾
ফালাউকছিমুবিশশাফাক।
আমি শপথ করি অস্তরাগের
এখানে বিকালের পশ্চিমাকাসের লাল আভার নামে শপথ করা হয়েছে , মানে মুহাম্মদে যখন এই সুরাটি রচনা করেছিল তখন বিকাল বা একটা গোধুলী লগন ছিল।
৬২/ ৮৪ঃ১৭ - ১৮
وَ الۡقَمَرِ اِذَا اتَّسَقَ ﴿ۙ۱۸﴾
ওয়ালকামারি ইযাত্তাছাক।
রাতের কসম এবং শপথ চন্দ্রের যখন তা পরিপূর্ণ হয়।
৬৩/ ৮১ঃ১৭
وَ الَّیۡلِ اِذَا عَسۡعَسَ۱۷﴾
ওয়াল্লাইলি ইযা-‘আছ‘আছ।
শপথ রাত্রির, যখন তার অবসান হয়।
৬৪/ ৭৪ঃ৩২
کَلَّا وَ الۡقَمَرِ ﴿ۙ۳۲﴾
কাল্লা- ওয়াল কামার।
কখনই না।চন্দ্রের শপথ
৬৫/ ৭৪ঃ৩৩
وَ الَّیۡلِ اِذۡ اَدۡبَرَ ﴿ۙ۳۳﴾
ওয়াল্লাইলি ইযআদবার।
শপথ রাত্রির, যখন ওর অবসান ঘটে।
৬৬/ ৭৪ঃ৩৪
وَ الصُّبۡحِ اِذَاۤ اَسۡفَرَ ﴿ۙ۳۴﴾
ওয়াসসুবহিইযাআছফার।
শপথ প্রভাতকালের, যখন ওটা আলোকোজ্জ্বল হয়।
৬৭/ ৭০ঃ৪০
فَلَاۤ اُقۡسِمُ بِرَبِّ الۡمَشٰرِقِ وَ الۡمَغٰرِبِ اِنَّا لَقٰدِرُوۡنَ ﴿ۙ۴۰﴾
ফালাউকছিমুবিরাব্বিল মাশা-রিকিওয়াল মাগা-রিবি ইন্না- লাকা-দিরূন।
আমি শপথ করছি উদয়াচল ও অস্তাচল-সমূহের
উপরোক্ত আয়াত ছাড়াও আরো বেশ কিছু আয়াতের মাঝেই আরো বিভিন্ন বস্তুর নামে শপথ বা কসম করে বলা হয়েছে ।
তো পাঠক এতক্ষনের দীর্ঘ সময়ের জানাশোনার মাধ্যমে কি বুঝলেন ?
এখানে এই দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে দুটি বিষয় ফুটে উঠেছে ।
১। কুরানে আল্লার দেওয়া প্রথম আয়াত মানে ৬৮ঃ১০ অনুযায়ী আমাদের তাকে বিশ্বাস করতে নিষেধ করেছে যে কথায় কথায় শপথ করে বা কসম করে, অথচ দেখুন এখানে আল্লায় নিজেই পুরো কুরানে সে নিজেই একজন স্রস্টা হয়ে কি সব আজগুবি বিষয়ের উপরে কসম বা শপথ করে তার কুরানের সত্যতা নিশ্চিত করতে চেয়েছে ভাবুন একবার ।
১। কুরানে আল্লার দেওয়া প্রথম আয়াত মানে ৬৮ঃ১০ অনুযায়ী আমাদের তাকে বিশ্বাস করতে নিষেধ করেছে যে কথায় কথায় শপথ করে বা কসম করে, অথচ দেখুন এখানে আল্লায় নিজেই পুরো কুরানে সে নিজেই একজন স্রস্টা হয়ে কি সব আজগুবি বিষয়ের উপরে কসম বা শপথ করে তার কুরানের সত্যতা নিশ্চিত করতে চেয়েছে ভাবুন একবার ।
২. কুরান আল্লা প্রদত্ত কোন ঐশ্বরিক কিতাব নয় , বরং মুহাম্মদের রচিত কিতাব ।
যদি এরকমটা কেউ ভেবে থাকেন তাহলে ভুল করবেন ।কেননা পুরো কুরানে মাইক্রোস্কোপ দিয়ে খুজেও এই আরব্য অঞ্চলের বাইরে সারা বিশ্বের কোন বিষয় বস্তু সম্পর্কে কোণ ছিটে ফোটাও খুজে পাবেননা ।যেটা একজন স্রস্টার ব্যাপারে সন্দেহের দাবী জানায় , কেননা কেবলমাত্র কোন স্রস্টা ঐ সোউদি আরবের বালিকাময় আরব্য মরু অঞ্চলের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকতে পারেনা,তিনি সমস্ত বিশ্বের সবার জন্য হবেন ।আর তাই তিনি শুধু আরবের উত্তপ্ত বালুর মধ্যে গড়াগড়ী না করে সারা বিশ্ব ঘুরে বেড়ানোই স্বাভাবিক।
তাছাড়া সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে আমরা জানি যে কুরান আল্লা তায়ালা এই মহাবিশ্বের সমস্ত কিছু সৃষ্টির আগেই রচনা করে লওহে মাহফুজে রক্ষিত করে রেখেছিলেন।তাহলে যেখানে এসব মহাবিশ্বের বা পৃথিবীর সৃস্টিই তিনি করেননি সেখানে তিনি এসব স্থানের নাম পেলেন কোথায় ?
এছাড়াও আরো অনেক গুলি আয়াত আমরা পেলাম যেগুলি সরাসরি মুহাম্মদের দিকেই নির্দেশ দিচ্ছে ।
কুরান কোন ঐশ্বরিক কিতাব বলে সায় দেয়না ।
সুতরাং লেখা আমার , কিন্তু বিবেচনা আপনার । নিজেই ভেবে দেখুন কোনদিকে যাবেন??
No comments