নবী মুহাম্মদের জন্মদাতা পিতা আব্দুল্লাহ নাকি আব্দুল মুত্তালিব?
নবী মুহাম্মদের জন্মদাতা পিতা কে?
>>আব্দুল্লাহ?
>>নাকি আব্দুল মুত্তালিব?

যদি আব্দুল্লাহ হয়, তাহলে কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিয়ে বাধিত করবেনঃ
আমরা ছোট বেলা থেকেই জেনে আসছি যে, হযরত মুহাম্মদের পিতার নাম আব্দুল্লাহ এবং দাদার নাম আব্দুল মুত্তালিব। হযরত মুহাম্মদের জন্মের আগেই তার পিতা আব্দুল্লাহ মারা যায় ।
ফলে জন্মের পর থেকেই সে এতিমবস্থায় তার দাদা আব্দুল মুত্তালিবের কাছে লালন পালন হয়ে থাকে। এমনটাই তো হবার কথা ছিল , আমরা সবাই এটাই বিশ্বাস করে আসছি।
কিন্তু মাঝপথে এসে দেখি নানা তথ্য উপাত্ত সে ইতিহাসকে পালটে দিচ্ছে।
কেননা, আমরা জানিঃ
ফলে জন্মের পর থেকেই সে এতিমবস্থায় তার দাদা আব্দুল মুত্তালিবের কাছে লালন পালন হয়ে থাকে। এমনটাই তো হবার কথা ছিল , আমরা সবাই এটাই বিশ্বাস করে আসছি।
কিন্তু মাঝপথে এসে দেখি নানা তথ্য উপাত্ত সে ইতিহাসকে পালটে দিচ্ছে।
কেননা, আমরা জানিঃ
১. একই রাতে বিয়ে করলো মুহাম্মদের পিতা আব্দুল্লা এবং তার দাদা আব্দুল মুত্তালিব।
আব্দুল্লা বিয়ে করলো আমিনাকে,আর মুত্তালিব বিয়ে করলো হালা নামের আমিনার এক চাচাতো বোনকে্ট আব্দুল্লাহ বিয়ের কয়েক মাস পরেই ব্যবসার কাজে সিরিয়া চলে গেলে সেখানেই অসুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরার পথে মদীনায় গিয়ে আশ্রয় নিলে সেখানেই সে মারা যায়।
তাহলে মুহাম্মাদের এক চাচা হামজা যিনি হালার গর্ভে জন্মগ্রহন করেছেন, তিনি মুহাম্মাদের চেয়ে ৪ বছরের বড় হলো কিভাবে?
উহুদের যুদ্ধে যখন হামযা মারা যায় তখন তার বয়স ছিলো ৫৯ বছর । এবং ওই সময় মুহাম্মদের বয়স ছিলো ৫৫ বছর "
তারমানে হামযা মুহম্মদের ৪ বছরের বড়।
আমিনার বিয়ের একবছরে মাথায় আমিনার স্বামী আবদুল্লা মারা গেলে তার ৪ বছর পর মুহম্মদ গর্ভে আসে কিভাবে।
সূত্রঃ Muhammad ibn Saad. Kitab al-Tabaqat al-Kabair vol. 3. Translated by Bewley, A. (2013). The Companions of Badr. London: Ta-Ha পাব্লিশেরস।
উল্লেখ্য,
একথা সর্বজন বিদীত যে, মুহাম্মদের দাদা আব্দুল মুত্তালিব তার ছেলে আব্দুল্লাকে বিয়ে করাতে নিয়ে যান তার এক বন্ধু ওহাব ইবনে আব্দ মানাফের কন্যা আমিনার সাথে ।তো একই রাত্রে আব্দুল্লা এবং আব্দুল্লার বাবা আব্দুল মুত্তালিব দুজনেই বিয়ে করেন একই পরিবারের দুই কন্যাকে ।আব্দুল্লার সহিত বিয়ে দেওয়া হয় আমিনাকে এবং আব্দুল মুত্তালিব বিয়ে করেন হালা নামক এক মেয়েকে ।
আমিনা এবং হালা দুই জন ছিলেন চাচাতো বোন, দুইজনের বিয়ে একই দিনে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর আবদুল্লা মারা যায় ( মতান্তরে ৬ মাস - https://bit.ly/2O2NpMd ) ।
হালা এক সন্তানের জন্ম দেয় যার নাম হামযা, আমিনা এক সন্তানের জন্মদেয় যার নাম মুহম্মদ।
তাহলে একই রাতে বিয়ে করে কিভাবে মুহাম্মদের চেয়ে হামজা ৪ বছরের বড় হয়ে গেল?
এরথেকে এটাই প্রমানিত বা প্রতীয়মান হয় যে,মুহাম্মদের জন্ম আব্দুল্লার ঔরষে হয়নি ,
বরং আব্দুল মুত্তালিবের মাধ্যমেই হয়েছে ।
বরং আব্দুল মুত্তালিবের মাধ্যমেই হয়েছে ।
** স্বামী হারা নারীর একমাত্র বেচে থাকার অবলম্বন তার সন্তান।
অথচ আমেনা সেই সন্তানকে কেন এত অল্প বয়সেই হালিমা নামক এক মহিলার কাছে দুধ পানের জন্য দত্তক দিয়েছিল?
অথচ আমেনা সেই সন্তানকে কেন এত অল্প বয়সেই হালিমা নামক এক মহিলার কাছে দুধ পানের জন্য দত্তক দিয়েছিল?
উল্লেখ্য যে,আরবের নীতি অনুযায়ী আরবের সম্ভ্রান্ত পরিবারের কারো সন্তান হলে তাকে দত্তক দিয়ে দেওয়া হতো। যাতে স্বামী স্ত্রীর যৌনকর্মের সময় সেই সন্তানে বিরক্ত করতে না পারে।
তাহলে যার স্বামী সন্তান জন্ম নেওয়ার আগেই মারা গেছে সে কোন ডিস্টার্ব থেকে বাচার জন্য ছোট্ট ছেলেটিকে দত্তক দিয়েছিল?
কাকে খুসি করতে?
প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়!!
তাহলে যার স্বামী সন্তান জন্ম নেওয়ার আগেই মারা গেছে সে কোন ডিস্টার্ব থেকে বাচার জন্য ছোট্ট ছেলেটিকে দত্তক দিয়েছিল?
কাকে খুসি করতে?
প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায়!!
২. আকিকা ও নামকরণ**
আরবের চিরাচরিত প্রথা অনুসারে সপ্তম দিনে আব্দুল মোত্তালিব আত্নীয় স্বজনকে আকিকার উৎসবে
নিমন্ত্রণ করলেন।আহারাদি শেষে কোরায়েশ প্রধানগণ আব্দুল মোত্তালিবকে শিশুর নাম জিজ্ঞাসা
করলে, বৃদ্ধ মোত্তালিব আনন্দচিত্তে উত্তর দিলেন-"মোহাম্মদ।"সমবেত স্বজনগণ এই অভিনব নাম
শুনে অত্যন্ত আশ্চর্য হয়ে বলতে থাকলেন -"মোহাম্মদ"! এমন নাম তো আমরা কখনো শুনি নাই।
আপনি স্বগোত্রের প্রচলিত সমস্ত নাম পরিত্যাগ করে এই অভিনব ও অশ্রুতপুর্ব নাম রাখতে গেলেন
কেন?*******
বৃদ্ধ আব্দুল মোত্তালিব উত্তর দিলেন -আমার এই সন্তানটি যুগে যুগে পৃথিবীর সর্বত্র প্রশংসিত হোক,
তাই আমি তার এই নাম রাখলাম।* বিবি আমেনা গর্ভাবস্থায় যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই অনুসারে তিনি
পুত্রের নাম রাখলেন -"আহমদ।"
(সুত্রঃ কামেল ১-১৬৩, ইবনে হিশাম ১-৫৪, খাছাএছ ১-৭৮, মোস্তাদরাক ২-২০৬,
আবুল ফিদা ১-১১০ পৃষ্ঠা)..!!!
উল্লেখ্য যে, অনেকেই বলে থাকেন বা দাবী করে থাকেন যে, মুহাম্মদ নামটা আল্লা প্রদত্ত বা আল্লায়
আগেই সিলেক্ট করে রেখেছিলেন।অথচ আমরা উপরের বক্তব্যের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে,
মুহাম্মদ নামটি রাখেন তার দাদা আব্দুল মুত্তালিব। তো আল্লায় ই যদি মুহাম্মদ নামটি সিলেক্ট করেই
রাখবেন তাহলে একজন মুর্তিপূজক আব্দুল মুত্তালিবের কাছে আল্লায় এই মুহাম্মদ নামটি কিভাবে
পৌছে দিয়েছিলেন রাখার জন্য ?
মুহাম্মদের জীবনের ৪০ বছর বয়সের আগে তো পৃথিবীতে কোনদিন কোন খবরাখবর নিয়ে আল্লার
কাছে থেকে কেউ আসেনি । মুহাম্মদের কাছেই কেবল জীব্রাইল নামক এক দূত আল্লার কাছ থেকে
খবরাখবর নিয়ে আসতেন ।তাহলে আল্লার রাখা নাম কিভাবে আব্দুল মুত্তালিবের কাছে পৌছালো?
নিমন্ত্রণ করলেন।আহারাদি শেষে কোরায়েশ প্রধানগণ আব্দুল মোত্তালিবকে শিশুর নাম জিজ্ঞাসা
করলে, বৃদ্ধ মোত্তালিব আনন্দচিত্তে উত্তর দিলেন-"মোহাম্মদ।"সমবেত স্বজনগণ এই অভিনব নাম
শুনে অত্যন্ত আশ্চর্য হয়ে বলতে থাকলেন -"মোহাম্মদ"! এমন নাম তো আমরা কখনো শুনি নাই।
আপনি স্বগোত্রের প্রচলিত সমস্ত নাম পরিত্যাগ করে এই অভিনব ও অশ্রুতপুর্ব নাম রাখতে গেলেন
কেন?*******
বৃদ্ধ আব্দুল মোত্তালিব উত্তর দিলেন -আমার এই সন্তানটি যুগে যুগে পৃথিবীর সর্বত্র প্রশংসিত হোক,
তাই আমি তার এই নাম রাখলাম।* বিবি আমেনা গর্ভাবস্থায় যে স্বপ্ন দেখেছিলেন সেই অনুসারে তিনি
পুত্রের নাম রাখলেন -"আহমদ।"
(সুত্রঃ কামেল ১-১৬৩, ইবনে হিশাম ১-৫৪, খাছাএছ ১-৭৮, মোস্তাদরাক ২-২০৬,
আবুল ফিদা ১-১১০ পৃষ্ঠা)..!!!
উল্লেখ্য যে, অনেকেই বলে থাকেন বা দাবী করে থাকেন যে, মুহাম্মদ নামটা আল্লা প্রদত্ত বা আল্লায়
আগেই সিলেক্ট করে রেখেছিলেন।অথচ আমরা উপরের বক্তব্যের মাধ্যমে জানতে পারলাম যে,
মুহাম্মদ নামটি রাখেন তার দাদা আব্দুল মুত্তালিব। তো আল্লায় ই যদি মুহাম্মদ নামটি সিলেক্ট করেই
রাখবেন তাহলে একজন মুর্তিপূজক আব্দুল মুত্তালিবের কাছে আল্লায় এই মুহাম্মদ নামটি কিভাবে
পৌছে দিয়েছিলেন রাখার জন্য ?
মুহাম্মদের জীবনের ৪০ বছর বয়সের আগে তো পৃথিবীতে কোনদিন কোন খবরাখবর নিয়ে আল্লার
কাছে থেকে কেউ আসেনি । মুহাম্মদের কাছেই কেবল জীব্রাইল নামক এক দূত আল্লার কাছ থেকে
খবরাখবর নিয়ে আসতেন ।তাহলে আল্লার রাখা নাম কিভাবে আব্দুল মুত্তালিবের কাছে পৌছালো?
৩. হুনায়েন যুদ্ধ্ঃ
আমি সত্যের বাহক, আমাতে মিথ্যার লেশমাত্র নাই, আমি আব্দুল মোত্তালেবের সন্তান।তোমারাসকলে আমাকে জানো-মানুষের ভরসায় আমি যুদ্ধ করতে আসি নাই এবং মানুষের সাহায্য হতে
বঞ্চিত হয়ে আমি বিচলিত হই না।যে সত্যময় সর্বশক্তিমান আমাকে তার মহাসত্যের সেবকরুপে
প্রেরণ করেছেন, তিনি আমাকে ধ্বংস হতে দিবেন না।এই কথা বলে নবী মুহাম্মদ অগ্রসর হলেন।
কতিপয় আক্রমণকারী একেবারে নবীর নিকটবর্তী হয়ে ছিলেন।এক মুঠো ধুলা তুলে আক্রমণকারীদের
চোখে মারলেন।তখন তারা চোখ মুছতে মুছতে পিছু হটে গেল
তো পাঠক এতক্ষনে নিশ্চয় আমাকে কুপিয়ে টুকরা টুকরা করার কথা ভেবে নিয়েছেন , কিংবা আমার
চৌদ্দগুষ্টিকে গালাগালি করে ধুয়ে দিয়ে দিয়েছেন নিশ্চয়ই?
তাহলে আপনার বিবেকের কাছে আমার প্রশ্ন রইলো, আমি এখানে যে সকল তথ্য প্রমান উল্লেখ করেছি
যেসকল লেখক এবং ইসলামিক স্কলারদের তাদের কে কি বলবেন ?
তাদের বই তাহলে কেন বাজারে পাবলিশ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল ?
আমার মত একজনকে কুপিয়ে হয়তো শেষ করে দিতে পারবেন , কিন্তু উনাদের মত ইসলামি স্কলারদের
ছড়ানো জ্ঞান এবং বই কি শেষ করতে পারবেন ?
আমাকে গালি দেওয়ার আগে ওই সমস্ত লেখকদের কথা ভাবেন ।
তারা কিভাবে এসব তথ্য লিখেছে ?
আর আপনি কেবলমাত্র আপনার অন্ধ বিশ্বাসের জেরে দাবী করা ছাড়া কোনভাবেই তাদের ভুল বা মিথ্যা
প্রমানিত করতে পারবেননা , কেননা আপনার অন্ধবিশ্বাস ছাড়া কোন প্রমান নেই আপনার কাছে ।
সুতরাং কোন কিছু বিশ্বাস করার আগে ভেবে চিনতে নিবেন।
তোর বাবার পরিচয় কি ? আসলেই তোকে কোন পুরুষ জন্ম দিয়েছে নাকি তোর মাকে রাস্তায় কুকুরেরা দলবেঁধে ধর্ষণ করে তোর জন্মের বীজ বপন করেছে । শালা পৌত্তলিক
ReplyDeleteনিজের জন্ম পরিচয় নিজেই দিলেন!
Delete