Header Ads

Header ADS

ইসলামের সাথে ইহুদি ধর্মের এত সাদৃশ্য কেন?

ইসলাম ধর্মের সাথে ইহুদি ধর্মের এত মিল কিংবা সাদৃশ্য কিভাবে এবং কেন?



Image result for ইহুদি ছবি


ইসলামের অনেক ( অধিকাংশ) নিয়ম কানুনের সাথেই ইহুদি ধর্মের নিয়ম কানুনের বেশ হুবুহু মিল
 পাওয়া যায়

এর কারন কি?

এতসবের পরেও ইসলামে সবথেকে ঘৃনিত এবং শত্রুতা সবসময়ই ইহুদিদের সাথে

দাবী করা হয় ইসলাম ধর্ম নাকি মুহাম্মদে ইহুদি ধর্ম থেকেই কপি করা হয়

যদিও এই দাবীকে মুসলিমেরা ধোপে টিকতে দেয়না তাদের মুখস্ত বানীর মাধ্যমে

কেননা তারা এই দাবীটিকে উড়িয়ে দেয় এটা বলে যে, ইহুদিদের ধর্ম বা তারা তাদের ধর্মীয় গ্রন্থ তাওরাত
 বিকৃত করে ফেলেছিল ফলে মানবজাতির জন্য নতুন নবী এবং কিতাবের দরকার হলে আল্লায় 
সবশেষ নবী মুহাম্মদকে কুরান দিয়ে অবতরন করায়

অবশ্য এটা কেবলই তাদের মুখস্থ বুলি ছাড়া কিছুই নয় , কেননা যদিও কুরান হাদীস সেটা
( তাদের দাবীকে) কখনই সমর্থন করেনা

(কেননা পুরো বিষয়টা জানতে পারবেন এখান থেকেঃ
( https://imranshakh.blogspot.com/2019/12/blog-post.html)

 
 তো চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক ইহুদি ধর্মের সাথে ইসলাম ধর্মের সাদৃশ্যগুলি কি কি?


> মুসলমান ও ইহুদিরা একেশ্বরবাদে বিশ্বাসীসৃষ্টিকর্তা এক এবং তাঁর কোন শরীক নেই

> মুসলমান ও ইহুদিদের মতে, তাদের জাতির পিতা হযরত ইব্রাহীম (আঃ) / আব্রাহাম। 
সমগ্র মানব জাতির পিতা হযরত আদম (আঃ) / অ্যাডাম

> মুসলমানরা প্রতিদিন পাঁচ বার (ভোরে , দুপুরে , বিকেলে , সন্ধ্যায় ও রাতে) নামাজ আদায় করে
ইহুদিরা প্রতিদিন তিন বার (ভোরে, দুপুরে ও রাতে) প্রার্থনা করে

> এই দুই ধর্মেই প্রার্থনার জন্য কিবলা (দিক) আছেমুসলমানদের কিবলা মক্কার কাবা ও ইহুদিদের 
কিবলা (দিক) জেরুজালেমের প্রার্থনা স্থান

> মুসলমানদের জীবনে একবার হজ্জ্ব করতে হয় মক্কায়ইহুদিদের বছরে তিনবার তীর্থ যাত্রা করতে
 হয় জেরুজালেমে

> মুসলমান ও ইহুদি পুরুষদের খতনা (circumcision) করতে হয়

> দাড়ি রাখতে বলা আছে দুই ধর্মেইদাড়ি কাটা দুই ধর্মের দৃষ্টিতে গুনাহ / পাপ

> সম্পদ দান করা দুই ধর্মেই অবশ্যপালনীয় বিষয়মুসলমানরা নিজের সম্পদের একটি অংশ যাকাত
 হিসেবে দেয়ইহুদিরা তাদের সম্পদের একটি অংশ প্রতি বছর চ্যারিটি হিসেবে দেয়

> মুসলমানরা কোনো ব্যাক্তিকে দেখলে সালাম দেয়ইহুদিরা কোনো ব্যাক্তিকে দেখলে 
সালোম / শালোম বলেদুই শব্দের অর্থই - শান্তি

> দুই ধর্মেই বিশেষ আইন রয়েছেমুসলমানদের জন্য শরীয়াহ আইনইহুদীদের জন্য হালাখা আইন
এই দুই আইনেরই শাস্তির বিধান কঠোরজেনা (বিয়ে বহির্ভূত শারীরিক সম্পর্ক) করা এই আইন
 অনুসারে মারাত্মক অপরাধজেনা করলে মুসলমানদের শরীয়াহ আইন মোতাবেক ১০০ বেত্রাঘাত। 
ইহুদীদের হালাখা আইন মোতাবেক পাথর ছুড়ে মারা

> ইসলাম ধর্ম মতে, শুক্রবার সপ্তাহের পবিত্র দিন ও বিশেষ ইবাদতের দিন - জুম্মাইহুদি ধর্ম মতে 
শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত সপ্তাহের পবিত্র সময় ও বিশেষ প্রার্থনার সময়

> দুই ধর্মেই নির্দিষ্ট খাবারের অনুমতি আছেমুসলমানদের জন্য হালাল খাবারইহুদিদের জন্য

কোশার খাবারদুই ধর্ম মতেই পশুর রক্ত ও শুকরের মাংস কঠোরভাবে নিষিদ্ধএকজন মুসলমান
 ইহুদিদের কোশার খাবার খেতে পারবেএকজন ইহুদী মুসলমানদের হালাল খাবার খেতে পারবে। 
তবে মুসলমানদের জন্য কোশারের মধ্যে অ্যালকোহল খাওয়ার অনুমতি নেই কারন যে কোনো 
ধরনের অ্যালকোহল মুসলমানদের জন্য হারাম

> পশু জবাইয়ের নিয়ম দুই ধর্মেই প্রায় এক ধরনেরমুসলমানেরা প্রতিটি পশু জবাইয়ের আগে
 আল্লাহর নাম স্মরণ করেইহুদিরা শুধু একবার প্রভুর নাম স্মরণ করে একসাথে সব পশু জবাই করে

> মেয়েদের ক্ষেত্রে দুই ধর্মেই মাথায় কাপড় দেয়ার বিধান আছে, তবে ইসলাম ধর্মে মেয়ে প্রাপ্তবয়স্ক 
হলেই মাথায় কাপড় দেয়ার বিধান আছেআর ইহুদি ধর্মে মেয়ে বিয়ে করলে মাথায় কাপড় বাধার
 বিধান আছেনারী ও পুরুষের জন্য শালীন কাপড় পরার বিধান দুই ধর্মে আছে

> পুরুষের টুপি পড়ার বিধান দুই ধর্মেই আছে

> ইবাদত/প্রার্থনার অংশ হিসেবে সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার বিধান দুই ধর্মেই আছে
মুসলমানদের রমজান মাসের প্রতিদিন রোযা রাখা ফরজ আর ইহুদিদের বছরে পাঁচটি বিশেষ দিনে
 পানাহার থেকে বিরত থাকা অবশ্য পালনীয়

> সন্তান জন্ম নিলে মুসলমানদের অনেকে বাচ্চার কানের কাছে আযান দেয়া হয়
ইহুদিরা অনেকে বাচ্চার কানের কাছে শিমা দেয়

> দুই ধর্মেই সুদ নিষিদ্ধ

> ধর্মীয় দিনপঞ্জিকায় মাস নতুন চাঁদ দেখে ঠিক করা হয় দুই ধর্মেই

> সন্তানের নাম আনুষ্ঠানিকভাবে রাখার সময় ছাগল বা ভেড়া জবাই দেয়া দুই ধর্মেরই বিধান

> দুই ধর্ম মতেই জেরুজালেম হচ্ছে পবিত্র নগরীমুসলিমদের জন্য মক্কা হচ্ছে সবচেয়ে পবিত্র
 নগরী তারপর মদীনা তারপর জেরুজালেমইহুদিদের জন্য জেরুজালেম সবচেয়ে পবিত্র নগরী
আগে মুসলিমদের কিবলা জেরুজালেমে ছিলোপরে আল্লাহর নির্দেশে মক্কা নগরীর কাবা হয় 
মুসলিমদের কিবলা

> কোরআন অনুসারে, অমুসলিমদের মধ্যে একমাত্র ইহুদি-নাছারা জাতির নারীর সাথে মুসলিম 
পুরুষের বিয়ের অনুমতি আছেআলেম ওলামাদের মতে এই বিয়ে জায়েজ হবে তবে তা
 মাকরুহ/পছন্দনীয় কাজ নাএই ধরনের বিয়ে করলে শর্ত হলো সন্তান মুসলিম হতে হবে

> ইহুদি পুরুষরা প্রার্থনা করার সময় মাথায় টুপি পরেইহুদিদের টুপির সাথে মুসলমানদের টুপির মিল 
আছে

> ইহুদি বিবাহিত মহিলাদের মাথায় কাপড় দিয়ে চুল ঢেকে রাখা ও লম্বা কাপড় পরা বাধ্যতামূলক
মুসলমান যে কোনো প্রাপ্তবয়স্ক মেয়ের (বিবাহিত , অবিবাহিত) মাথায় কাপড় দেয়া বাধ্যতামূলক ও 
শরীর ঢেকে রাখতে লম্বা কাপড় পড়ার বিধান



No comments

Powered by Blogger.