আদম হাওয়া কত বছর আগে পৃথিবীতে এসেছিল
আদম হাওয়া সমাচার...
প্রশ্নঃ আদম হাওয়া পৃথিবীতে পতিত হয়েছিল বা এসেছিল কত বছর আগে ??
এই আদম হাওয়ার মাধ্যমেই সমগ্র পৃথিবীতে সমস্ত মানব মানবির জন্ম এবং বিস্তৃতি ঘটেছে ।
আর এমনটাই আমাদের শেখানো হয়েছে ।
আর দাবীটি শুধু ইসলাম ধর্মেই নয় , বরং ইসলামের আবির্ভাবের পুর্বে থেকেই অন্যান্য আরো দুটি ধর্মেও একইভাবে বিশ্বাস করা হয় ।
আর সেই দুটি হচ্ছে ইহুদি এবং খ্রিস্টান ।
ইহুইদের ধর্মগ্রন্থে আদমকে এডাম এবং হাওয়াকে ইভ বলে সম্ভোধন করা হয়েছে ।
সেদিক থেকে বলা যায় ইহুদিদের বাইবেলের বর্ননা অনুসারেই ইসলামে এই আদি মানব মানবীর গল্পটা সেটে দিয়েছে বা কপি পেষ্ট করেছে ।
যদিও এই দাবীটি মুসলিম বা ইসলাম ধর্ম অনুসারীরা এই কপি করার বিষয়টিকে স্বীকার করেনা।
তাদের দাবী হচ্ছে আল্লা ই আদম হাওয়াকে মুসলমান হিসাবে সৃষতি করে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন ।যেখান থেকে বিশ্বের সমস্ত মানব মানবীর সৃস্টি এবং বিস্তৃতি ঘটেছে ।
তো যেহেতু আমি একসময় ইসলাম ধর্মে পুরোপুরি বিশ্বাস করে এসেছি এবং সেটাকে মান্য করে এসেছি সেহেতু আমি ইসলামের দাবীটিকেই সত্য বলে ধরে নিলে আমার ভেতরে যে প্রশ্নগুলি তৈরি হয় সেই প্রশ্ন গুলি তুলে ধরবো ।
আশাকরি ইসলাম ধর্মে বিশ্বাসীগনেরা আমাকে আমার প্রশ্নের সমুচিত জবাবগুলি দিয়ে আমার সংশয়ের অবসান ঘটাবেনঃ
প্রথম প্রশ্ন হচ্ছে আদম হাওয়া পৃথিবীতে এসেছিল আজ থেকে ঠিক কত হাজার বছর আগে এই প্রশ্নের উত্তরটাতে যাওয়ার আগে এবং যাওয়ার পরে আরো যে সকল প্রশ্নের জন্ম হয়েছে সেগুলি নিয়েও একটু আলোচনা করা জরুরী।
>> আমরা সকলেই জানি যে, আল্লা ইচ্ছা পোষন করলেন যে তিনি পৃথিবীতে মানব জাতী সৃষ্টি করবেন তার ইবাদতের জন্য।
আর তাই ফেরেস্তাদের মন্তব্য জানার জন্য বা আইকিউ টেষ্ট করার জন্য তাদেরকে পৃথিবীতে মানব পাঠানোর কথা বললে ফেরেস্তারা তাতে বিরোধীতা শুরু করে বললোঃফেরেস্তারা যে বলেছিল আমরাই তো আপনার ইবাদত করতেছি ,বরং মানুষেরা তার ইবাদত করবেনা ,তারা দাঙ্গা হাঙ্গায় লিপ্ত হয়ে পড়বে, কেননা পৃথিবীতে মানব পাঠানোর আগে তিনি একই উদ্দেশ্যে জ্বীন জাতিকে পাঠিয়েছিলেন ।
কিন্তু তারা আল্লার উপাসনা করার বদলে দাঙ্গা হাঙ্গায় লিপ্ত হয়ে পড়লে আল্লায় তাদেরকে সমূলে ধ্বংস করতে ফেরেস্তা বা আজ্রাইল পাঠালে সে সবাইকেই হত্যা করা বা ধ্বংস করে দিলেও একটি ছোট্ট ফুটফুটে জ্বীনের বাচ্চাকে দেখে মায়ায় পড়ে তাকে হত্যা না করে আল্লার দরবারে ফিরে যান এবং তাকে না মেরে বাচিয়ে রাখার জন্য আল্লার কাছে সুপারিশ করলে আলায় তাকে বাচিয়ে রেখে আল্লার আরশে নিয়ে যেতে বলেন এবং তাকে সেখানে ফেরস্তাদের সর্দার হিসাবে দায়িত্ব দিয়ে রেখে দিলে সে সেখানেই ফেরস্তাদের সর্দার হিসাবে কাজ করতে থাকে এবং পৃথিবীতে এসে জ্বীনেদেরকে ট্রেনিং বা শিক্ষা দিয়ে থাকে ।
তো এবিষয়ে আর আমি বেশি কথা না বাড়িয়ে সামনে আগানোর জন্য একটু জাম্প করি ।
এই ইবলিশ সম্পর্কে যারা জানতে চান আরো ডিটেইলসভাবে তারা গুগলে সার্চ দিলে বিভিন্ন অথেনটিক সোর্স পাবেন এসব নিয়ে যারা আলোচনা করেছে ।
সেসবের মধ্য থেকেই একটা লিঙ্ক আমি এখানে দিচ্ছি ,আগ্রহীরা এখান থেকে দেখে নিতে পারেন।।
https://imranshakh.blogspot.com/2020/01/blog-post_23.html )
তারপরেও তিনি মানুষ পাঠানোর জন্য পৃথিবী থেকে মাটি নিতে ফেরেস্তা পাঠান ।
আজরাঈলের সংগৃহীত পৃথিবীর বিভিন্ন জায়গার মাটি হতে কাবার মাটি দিয়ে আদম (আঃ) মস্তক, বেহেস্তের মাটি দিয়ে চোখ, ভারত উপমহাদেশের মাটি দিয়ে হাত এবং পূর্বদেশের মাটি দিয়ে দেহের অন্যান্য অঙ্গ প্রত্যঙ্গ তৈরী করলেন।
তারপর সে দেহকে আল্লাহ পাকের আরশে নীচে নিভৃত জায়গায় শুইয়ে রাখলেন। ফেরেস্তাগণ শায়িত আদম (আঃ) এর নিষ্প্রান দেহ দেখে আশ্চর্য হয়ে গেল। তারা তা ইবলিসকে বলল। ইবলিশ আদম (আঃ) এর দেহ দেখে পরীক্ষা করে আশ্চর্য হলেও ফেরেস্তাদের বুঝতে দিলনা। শুধু বললো মানুষ দিয়ে আল্লাহর খিলাফত চলবেনা। সুতরাং ভাববার কিছু নেই।
এরপর মহান আল্লাহ পাক আদম (আঃ) এর শরীরকে নিপূন সৌন্দর্যে উদ্ভাসিত করলেন এবং প্রান সঞ্চার করলেন। ফেরেস্তাদের বললেন সেজদা করে সম্মান জানাতে। সবাই তাই করলো কিন্তু ইবলিশ সেজদা করতে অস্বীকার করলো। সে বললো মরনশীল মাটির তৈরী মানুষকে সে সেজদা করবেনা। তারপর আল্লাপাক তাকে আসমান থেকে বের করে দিলেন এবং বললেন, ক্বিয়ামত পর্যন্ত ইবলিসের উপর আল্লাহর অভিশাপ থাকবে। ইবলিস তদ্দিন পর্যন্ত তার সাজা মওকুপ রাখার জন্য অনুরোধ করলো অর্থাৎ বেঁচে থাকার প্রার্থনা জানালে আল্লাহ তা কবুল করেন।
শুধু তাই নয় তার প্রার্থনার লিষ্টে যোগ করলো মুসলমানদের নামাজের সময়- তার বাদ্য বাজানোর অধিকার, অশ্লীনগান গাওয়ার ও নৃত্যের অধিকার এবং মানুষকে ভুল পথে চলার মন্ত্রনাদানের অধিকার। আদম (আঃ) শয়তানের শয়তানীর ভয়ে ভীত হলে, আল্লাহ পাক তাঁকে অভয় দিয়ে বললেন, “তুমি ভয় পেওনা। মানুষকে সৎ পথে চলার এবং শয়তানের ধোকা হতে আত্মরক্ষার জন্য আমি তোমার বংশধরদের বিধি বিধান সম্বলিত কিতাব নাযিল করবো এবং নির্দেশিত পথে চালাবার জন্য নবী ও রাসূল প্রেরন করবো। আমার বিধান মতো চললে তাদের বিপথ গামী হওয়া বা অভিশপ্ত হওয়ার কোন সম্ভাবনা থাকবে না। তারা ইবলিশের ধোকা হতে রক্ষা পাবে।” মহান আল্লাহ পাক বেহেস্ত হতে ইবলিসকে বিতাড়িত করলেন। তবে মানব সমাজে ইবলিসের বিচরন সর্বত্র। আর মানুষকে বিভ্রান্ত করতে ইবলিস যে সমস্ত জিনিষ ব্যবহার করে, তা হলো লোভ, উত্তেজক গানবাজনা, নাচ, চটুল বাক্যালাপ, ক্ষমতার মোহ, নারীদেহ, সম্পদের লোভ, লালসা, নেশাদ্রব্য, অহংকার, অভিনয়, মিথ্যাচার, পরহিংসা, জিঘাংসা ইত্যাদি।
তো এই কাহিনীটুকুর মধ্যেই যে প্রশ্ন গুলি জন্ম নিয়েছে আমার কাছে তা হচ্ছেঃ
১. আচ্ছা তার ইবাদতের জন্য তো কোটি কোটি ফেরেস্তা নিয়োজিত ই আছে ,যারা তার হুকুম পালন করতেছে ,ইবাদত করতেছে ,তাহলে মানুষের ইবাদতের কি জরুরী হয়েছিল তার কাছে ?
ফেরেস্তাদের ইবাদতে কি তার মন ভরেনি?
ফেরেস্তারা যে বলেছিল আমরাই তো আপনার ইবাদত করতেছি ,বরং মানুষেরা তার ইবাদত করবেনা ,তারা দাঙ্গা হাঙ্গায় লিপ্ত হয়ে পড়বে ।
তাহলে আল্লা কি ফেরেস্তাদের চেয়ে ও অধম ছিল ,যেখানে ফেরেস্তারা আগাম বুঝতে পারলেও কেন আল্লা বুঝতে পারলোনা?
দাঙ্গা হাঙ্গা বা খারাপ কাজ নাকি শয়তানের প্ররোচনায় মানুষে করে থাকে ।শয়তান না থাকলে মানুষে কোন খারাপ কাজ করতোনা ।
তাহলে যখন শয়তান ই তৈরি হয়নি ,তখন ফেরেস্তারা কিরুপে বুঝতে পারলো মানুষে মানুষে দাঙ্গা হাঙ্গা করবে ,আল্লার ইবাদত বন্দেগী করবেনা ?
মানুষেরা কি ফেরেস্তাদের চেয়েও নিশপাপ এবং বেশি মূল্যের ইবাদত করতে পারে?
২. আল্লা ইচ্ছা পোষন করলেন পৃথিবীতে মানুষ পাঠানোর ,সেই মোতাবেক আদমকে সৃষ্টিও করা হলো।
অথচ সৃষ্টি করে তাকে কেন জান্নাতে বা আরশে আজিমে রাখা হলো?
যদি তাকে ফেরেস্তাদের সর্দার সেজদা করতো বা আল্লার হুকুম পালন করতো,তাহলে সে নিশ্চয় শয়তান হতোনা ।আর যদি সে শয়তান না হতো ,তাহলে তো আদমের ভুলে গন্ধম ফল খাওয়া ও হতোনা ।আর গন্ধম ফল না খেলে পৃথিবীতে মানুষের আসাও হতোনা ।
তাহলে আল্লা পৃথিবীতে মানুষ পাঠালেন কিভাবে ?
পৃথিবীতে তো মানুষের আগমন ঘটেছে শয়তান ইব্লিসের কল্যানে ।
৩. আল্লা কুরানের একাধিক সুরার একাধিক আয়াতে বলেছেন বা কড়া আকারে হুশিয়ারী দিয়ে বলেছেন তাকে ছাড়া অন্য কাউকে সেজদা বা অন্য কারো কাছে মাথা নত করা যাবেনা ।
এই কথা অনুযায়ী ফেরেস্তাদের সর্দার(বর্তমান ইব্লিশ) আদমকে সেজদা না করে তো কোন অন্যায় করেনি ।বরং আল্লার কথা ই রেখেছে বা মান্য করেছে ।
তাহলে সে আল্লার আইন বা হুকুম কে অমান্য করল কিভাবে ?
যেহেতু কুরান এসব সৃস্টির আগেই রচনা করে লওহে ,মাহফুজে সংরক্ষিত ছিল ।
সেহেতু সেই আয়াতের কথা কি আল্লার মনে ছিলনা?
আল্লায় কি তবে কুরানের সেসব আয়াত ভুলে গেছিল??
তাহলে কুরানের আইন অনুযায়ী (আল্লাকে ছাড়া অন্য কাউকে সেজদা করা যাবেনা) একজন মাটির তৈরি আদমকে সেজদা করতে বলে আল্লা নিজেই কি তার সমকক্ষ বা সেজদা পাওয়ার যোগ্য কাউকে সৃষ্টি করলো না ?
আল্লা কি নিজেই স্ববিরোধী কথা বলছেনা?
যদিও এটা ছাড়াও কুরানে অংসখ্য আয়াত পাওয়া যায় আল্লার স্ববিরধীতার।
(https://bit.ly/2GmCZml)
৪.আমরা জানি সূর্য্যের পরিধী পৃথিবীর চেয়ে অনেকাংশে বড় ।
সূর্য্যকে ব্যতিরেকে পৃথিবী থেকে বাইরে যাওয়া কিংবা সূর্য্যের উপর বা বাইরে থেকে পৃথিবীতে আসা অক্ষতভাবে কারো বা কোনকিছুরই সম্ভব নয় কেননা সূর্য্যের প্রখর তাপে তা পুড়ে ছাই হয়ে যাবে । ।আসতে হলে সুর্য্যের পাশ ঘেসেই আসতে হবে ।
তাহলে আরশে আজিম বা জান্নাত থেকে আদম হাওয়াকে ছুড়ে ফেলে দিলে সূর্য্যের মধ্য দিয়ে কিংবা সূর্য্যের পাশ ঘেসে খালি গায়ে ,কোনরকম সাপোর্ট বা প্রটেকশন ছাড়া তারা কিভাবে পৌছল?
যেখানে সুর্য্যের তাপ এর কেন্দ্রভাগে ১৫ মিলিয়ন ডিগ্রী সেলসিয়াস বা ২৭ মিলিয়ন ফারেনহাইট ।
৫.আদমকে পৃথিবীতে ছুড়ে ফেললে আদম বর্তমান শৃলঙ্কায় এবং হাওয়া ইরাকে পড়লে সম্ভবত ২৫০ বছর পরে দুইজনে সৌদি আরবের আরাফার স্থান নামক স্থানে তাদের মিলন হলে সেখান থেকে তাদের জাগতিক সংসার শুরু হয়ে জোড়ায় জোড়ায় বাচ্চা প্রসব করতে থাকলে এক জোড়ার সাথে তাদের আরেক জোড়ার বিয়ে দিয়ে থাকতেন ,মানে ভাই বোনের মধ্যে বিয়ে দিয়ে থাকতেন ।
অথচ কুরানে ভাই বোনের মধ্যে বিয়েকে হারাম করা হয়েছে ।
সুরা নিসাঃ২৩-২৪
কুরান নাকি আগেই রচনা করে লওহে মাহফুজে সংরক্ষিত ছিল।
তাহলে আল্লায় কি নিজেই কুরানের আইন ভঙ্গ করেনি?
তাহলে আল্লাকি জানতো না যে ভবিষ্যতে মানে ভাই বোনের মধ্যে বিয়ের প্রচলন মানুষে বাজে ভাবে নিবে ,এবং তার আইনের পরিবর্তন করতে হবে । তাই সন্তান উতপাদনের জন্য এবং বিয়ে দেওয়ার জন্য কুদরতি মাধ্যমে আরেক জোড়া মানব মানবী সৃষ্টি করে দেই ,তাদের সন্তান থেকে আদমের সন্তানের মধ্যে বিয়ে দেওয়ার জন্য ?
৬. আদমের বয়স আজ থেকে বড়জোর কত হবে ?
বাইবেল মতে আদমের বয়স পাচ থেকে ছয় হাজার বছর মাত্র ।
যেহেতু ইসলামে বাইবেলকে সমর্থন করেনা ,সেহেতু আমরা ইসলামি সোর্স থেকেই জানার চেষ্টা করবো আদম হাওয়া ঠিক কত বছর আগে পৃথিবীতে এসেছিল?
আদমের সঠিক বয়সের কোন নিদৃষ্ট তথ্য পাওয়া না গেলেও তার উত্তরসূরিদের হিসাব কষতে কষতে আদম পযর্ন্ত গিয়ে মোটামোটি একটা বয়স বের করা যায় ।
যেমন তার শেষ পুরুষ বলতে যদি আমরা মুহাম্মদ থেকেই ধরে নেই তাহলে দেখতে পাই যে মুহাম্মদ ছিল আদমের ৮১ তম পুরুষ ।
এক্ষেত্রে অনেক ইসলামি স্কলাররা অনেক ধরনের মতামত দিয়ে থাকলেও ৮১ জনেরটা ই সর্বাধিক গ্রহন যোগ্য ।
(https://bit.ly/2GdokKi)
(https://bit.ly/2TQwnoA)
আর আমরা জানি একেকটি পুরুষের হিসাব হয় ২৫ বছরে ।
তো আমরা যদি ২৫ এর যায়গায় ৫০ ও ধরে হিসাব করি তাহলে দেখা যায়ঃ৮১*২৫+১৪৫০= ৩৪৭৫ বছর মাত্র ,আদম থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ।
এই হিসাব নিয়ে অনেকেই অমত পোষন করেন যদিও,কেননা অনেকেই বিশ্বাস করেন যে, নুহ নবী বেচেছিল ৯০০ বছর।সুতরাং ২৫ এর হিসাব গ্রহনযপগ্য নয়।
তো আপনারা ২৫ এর যায়গায় ৫০ কিংবা ১০০ করেও যদি হিসাব করেন তাতে ই বা কতদুর এগোতে পারেন?
যদিও নিন্মোক্ত হাদীসটির মাধ্যমে আমার এই ২৫ বছরের সূত্রটি প্রায় ১০০% প্রমানিত হয়ে যাছে , সেহেতু আপনারা কে কি মানবেন ,আর কে কি না মানবেন তাতে আমার কিছুই আসে যায়না ।
কেননা এবার আপনি তো আর হাদীসটিকে অস্বীকার করতে পারবেননা। তো দেখা যাক সহী হাদিসটিতে কি বলে ?
সুনান নাসাঈ(ইফা), অধ্যায়-৮(মসজিদ), হাদিস নং- ৬৯১। আলী ইবনু হুজর (রহঃ) ... ইবরাহীম (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেনঃ আমি রাস্তায় বসে আমার পিতার নিকট কুরআন পাঠ করতাম, যখন আমি সিজদার আয়াত পাঠ করলাম তিনি সিজদা করলেন, তখন আমি বললাম আব্বা! আপনি রাস্তায় সিজদা করছেন! বললেন, আমি আবূ যর (রাঃ)-কে বলতে শুনেছি যে, আমি রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে জিজ্ঞাসা করেছিলাম, কোন মসজিদটি প্রথম নির্মিত হয়? তিনি বলেছিলেন, মসজিদে হারাম। আমি বললাম, তারপর কোনটি? বললেন, মসজিদুল আকসা। আমি বললাম, এতদুভয়ের মধ্যে ব্যবধান কত? বললেন, চল্লিশ বছর। আর যমীন তোমার জন্য মসজিদ (সিজদার স্থান)। অতএব যেখানেই সালাতের সময় হবে, সালাত আদায় করবে।
(https://www.hadithbd.com/show.php?BookID=6&SectionID=179)
উক্ত হাদিস থেকে দেখা যায় , কাবা শরিফ তৈরী হয়েছিল মসজিদুল আকসা থেকে মাত্রই ৪০ বছর আগে। ইতিহাস থেকে জানা যায় , মসজিদুল আকসা তৈরী শুরু করেন দাউদ নবী , শেষ করেন সোলেমান নবী। তারা দুনিয়াতে ছিলেন আনুমানিক ৯০০-৮০০ খৃ: পূর্বাব্দে। তার মানে মাত্রই আজ থেকে ৩০০০ বছর আগে। আমরা এটাও জানি যে , হযরত আদম কাবা শরিফ নির্মান করে। তার অর্থ আদম মাত্রই আজ থেকে ৩০০০ বছর আগে দুনিয়াতে বিরাজমান ছিল। আর মাত্রই তিন হাজার বছরের ভিতর মানুষ ৯০ ফুট থেকে কমে ৫/৬ ফুটে নেমে এসেছে।
তাহলে এই মাত্র ৩০০০ বা ৩৫০০ বছরের মধ্যে কিভাবে মাত্র দুইজন ব্যক্তির মাধ্যমে সমগ্র পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে ৭০০ কোটি মানুষের বিস্তৃতি ঘটা কি অদৌ সম্ভব ?
এরমধ্যে রোগ শোক,অনাহারে, দাঙ্গাহাঙ্গায় যে লক্ষ লক্ষ কোটিকোটি মানুষ মারা গেছে সেগুলির কথা না হয় বাদই দিলাম।
এই সমগ্র পৃথিবীতে কি এত তাড়াতাড়ি মানুষের পৌছানো সম্ভব ,যেখানে মাত্র ৪০০ বছরের আগেও কোন আধুনিক যান ছিলনা ।
কিভাবে আমেরিকা,অষ্ট্রেলিয়া ,নিউজিল্যান্ডের মত পৃথিবীর শেষ সীমানায় থাকা দেশ গুলিতে মানুষে গিয়ে রাস্ট্র গঠন করে ,এরকম উন্নত সভ্যতা ,সমাজ ,শহর গড়ে তোলা কি অদৌ সম্ভব ,যেখানে যেতে শত সহস্র মাইলের সমুদ্র মহা সমুদ্র ,পাহাড় বন পাড়ী দিয়ে যেতে হয়।
যেখানে পৃথিবীর আদি নিদর্শন গুলির মধ্যে পিরামিডের বয়স ই ২০০০ বছর প্লাস।
তাছাড়া বিভিন্ন দেশে যে প্রাচীন মানুষ গুলির কঙ্কাল বা ফসিল পাওয়া গেছে তাতে একেকটি মানুষের মারা যাওয়ার রেকর্ড পাওয়া গেছে প্রায় ৩০ থেকে ৪০ হাজার বছর আগের ।
সম্প্রতি ইথিওপিয়ায় একটি কঙ্কালের ফসিল থেকে প্রাপ্ত গবেষনা থেকে জানা গেছে সেটা ৩৮ লক্ষ বছর আগের।
(https://bbc.in/3aBDRBH)
তাহলে সেগুলি পৃথিবীতে কিভাবে আসল আদমের আগে ?
নাকি বলবেন বিজ্ঞানীদের এই তথ্য সঠিক নয়?
৭ .আল্লা আদমকে আরবি ভাষা শিক্ষা দিয়ে পৃথিবীতে পাঠালে মাত্র এই ৩০০০ বা ৩৫০০ বছরের মধ্যে কিভাবে সারা বিশ্বে এত হাজার হাজার বর্ন (চেহারা) এবং ভাষাভাষীর জন্ম হলো?
যেহেতু আল্লা আদমকে আরবি ভাষা শিক্ষা দিয়ে পাঠিয়েছিলেন ,সেহেতু সারা বিশ্বে তো শুধুমাত্র আরবি ভাষা ই একমাত্র ভাষা হবার কথা ।
তাই নয়কি ?
কেননা জান্নাতের ভাষা হবে আরবী এবং কুরান রচিত হয়েছে আরবীতে ।
আপাতত এই ৭ টি প্রশ্নের উত্তর পেলেই চলবে ।
যেহেতু আদম হাওয়া ই ইসলামের মূল বা গোড়া বা ষ্টার্টিং পয়েন্ট ।তাই সেখান থেকেই প্রশ্ন টা শুরু করলাম ।যাতে সেটা যদি সত্য এবং যৌক্তিক হয় তাহলে পরের গুলিও তাই হবে।
উল্লেখ্য যেঃ ঠিক এই প্রসেসেই বা একই গল্পের মাধ্যমে হিন্দু ,খ্রিস্টান ,ইহুদীদের ধর্মের বা তাদের জাতের শুরু টা হয়েছিল ।
শুধু গল্পের শুরুর সময়টা একটূ আগে পরে আর কি ।
আস্তিক বা ধার্মিক ভাইয়েরা এই ৭টি প্রশ্ন নিয়ে একটু ভেবে দেখবেন ।
ধর্মের সত্যতা কতটুকু তা আপনার জ্ঞান ই বলে দিবে ।
লেখা আমা, ভাবনা আপনা।
কোন বিষয়েবিশ্বাস করার আগে সেটার গ্রহনযোগ্যতা এবং যৌক্তিকতা যাচাই-বাছাই করার দরকার আছে কি নেই।
ধন্যবাদ সবাইকে ।
সবার সুস্থতা কামনা করি ।
-ইমরান।
তুই নাস্তিক কারণ তোর ভেতর শিক্ষা নাই । তুই মূর্খের মত বললি যে, আদম আঃ ৩০০০ বছর পূর্বে এসেছেন । এই রেফারেন্স তোর কোন বাবা তোকে দিয়েছে ? ইতিহাস আর হাদিসের নামে যেসব ভুলভাল বয়ান করে গেলি তোকে সামনে পেলে বাথরুমের স্যান্ডেল মুখে ঘষে দিয়ে কুরআন ও হাদিস শেখাতাম । তুই একটা চরম লেভেলের প্রতিবন্ধি । একজন ব্লগার হওয়ার জন্য যেসব গুণ থাকা লাগে সেগুলি তোর নাই । তুই ভারতীয় গাজা খেয়ে এইসব ভুলভাল বয়ান করলি আবাল । তোর পুরো লেখা পড়লাম আর ভাবলাম তোর বাপ মা কোন লেভেলের ভকচোদ যে তোকে শিক্ষা দেয় নাই ? তুই একটা প্রতিবন্ধি । তোর ব্লগ সাইট খাওয়ার ব্যবস্থা করতেছি । ওয়েট কর শালা প্রতিবন্ধি ।
ReplyDeleteযাদের জ্ঞান কম থাকে তারাই নাস্তিক হয়, শিক্ষা থাকলে তো তোর ভেতর সঠিক যুক্তি থাকত ।
তুই বললি যে, আদম আঃ কে জান্নাত থেকে ফেলে দিয়েছে । হাহাহা ধরে নিলাম তোর কথাই সত্যি । তাহলে এটাও ধরে নিলাম যে, সে সূর্যকে পাশ কাটিয়ে চলে এসেছে । তাহলে তুই আরেকটা যুক্তি মিস করেছিস সেটা হল, তুই কেন বললি না আদম আঃ এত উপর থেকে পরে গেলো কিন্তু মাটিতে পরে মারা গেলো না কেন ? তোর কাছে এটার কোন জবাব আছে ? তোর গোবর ভরা মাথা এই যুক্তি চিন্তা করতে পারে নাই । তাহলে এইটুকু চিন্তা কর যে, তোর ঘিলু রাস্তার লেভেলেও নাই । তুই নাস্তিকও না, মানুষও না । তুই একটা গরুর বাছুর । এখনো গরুর লেভেলেও চিন্তা করতে পারিস না । আবার তুই সৃষ্টিজগত নিয়ে কলাম লিখেছিস হালা ভোদাই । আবাল ।
তুই কোন না কোন নাজায়েজ কাজের ফল আমি শিওর।তুর ভিতরে সবচেয়ে বড় শয়তান ডুকে আছে,আল্লাহ পাক সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুন (আমিন)
ReplyDelete