Header Ads

Header ADS

নবী মুহাম্মদ ? কিভাবে হলো নবী মুহাম্মদ? আমরা কাকে নবী হিসাবে সম্মান করি?

নবী মুহাম্মদ? কিভাবে হলো নবী মুহাম্মদ? 

কোন নবী মুহাম্মদ? আমরা কাকে নবী হিসাবে সম্মান করি?


Image result for নবী মুহাম্মদের ছবি
মুহাম্মদ (সঃ) সম্পর্কে আমি যতই জানতে পারি, ততই অবাক হই, আর ভাবি, কি পরিমানে মানসিক সমস্যাগ্রস্ত একটা ভাবুক টাইপের কম কথা বলা মেষ চরানো এতিম বালক কাকতালীয়ভাবে বর্তমান গোটা বিশ্বের খাতাকলমে প্রায় দেড় বিলিওন মানুষের কাছে প্রশ্নাতীত ভাবে অনুকরণীয় একজন ব্যাক্তিত্বে পরিনত হলেন, যারা তার নামে এরা কেউ বিন্দুমাত্র কটুবাক্য শুনতে নারাজ।

আমার ধারনা, এরা শিশুকালে নবিজীর আসাযাওয়ার পথে কাঁটাবিছানো বুড়ির ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার গল্পের নিষ্পাপ নবিজীর চেহারার বাইরে আর তেমন কোন গল্প বা সত্য ঘটনা জানেনই না। 
এক ইহুদি বুড়ি নবীর যাতয়াতের পথে কাঁটা দিতো, প্রতিদিন নবী সেই কাঁটা সরিয়ে সরিয়ে চলাচল করতো। একদিন নবী দেখলো পথে আর কাঁটা নেই। তখন সে আশে পাশের লোকদের জিজ্ঞেস করে জানতে পারলো যে, যে বুড়ি পথে কাঁটা দিতো সে অসুস্থ; তারপর নবী তার বাড়ি গেলো, তার খোঁজ-খবর নিলো, এমন কি সেবা-যত্ন করে তাকে সুস্থ করে তুললো। এর পর বুড়ি নিজের ভুল বুঝতে পেরে নবীর মহানুভবতায় মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করলো।

কিংবা বনে শিকারে যাওয়া এক শিকারের আক্রমনের শিকার হওয়া হরিনের কান্না শুনে নবী এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন হরিনিটি কাদছে কেন ?
তখন হরিনটি তার দুগ্ধজাত ছোট ছোট বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোর কথা বললো যে তাকে যদি কিছুক্ষনের জন্য ছেড়ে দেওয়া হতো সে তার বাচ্চাদেরকে দুধ খাইয়ে আবার চলে আসতো ।
এ কথা শুনে নবী মুহাম্মদ  হরিনটি ছেড়ে দেয় এবং সে তার বাচ্চাদের দুধ খাওয়াতে গেলে শিকারী এসে দেখে তার হরিনটি আর গাছে বাধা নেই । মুহাম্মদকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে আমি হরিনটিকে ছেড়ে দিয়েছি তার বাচ্চাগুলিকে একটু দুধ খাইয়ে আবার ফিরে আসবে ।একথা শুনে শিকারি বিশ্বাসই করতে চায়না ।এমতাবস্থায় মুহাম্মদের উপরে শিকারি চটে গেলে দূরে তাকাতেই দেখে হরিনটি তাদের কাছে ই ফিরে আসছে ।এটা দেখে সেই বিধর্মী শিকারি নবীর পায়ে পড়ে যায় এবং তাকে মুসলমান বানাইয়া দেওয়ার  জন্য তার পা জড়িয়ে ধরে।
অথচ এসব গল্পে বিশ্বাসীরা কখনোই একটিবারও ভাবেনা যে , সৌদি আরবের ঐ মরুভুমিতে যেখানে নেই ঘাষ পাতা ,সেখানে হরিন আসবে কোত্থেকে ?
কারন এই গল্পগুলো যখন পড়ানো হয়েছে, মগজে পুরে দেওয়া হয়েছে তখন আমাদের কারোই এসব প্রশ্ন করার মত বয়স এবং জ্ঞান কোনটাই তৈরি হয়নি।

যাহোক, এই গল্প দ্বারা বোঝানো হয় যে মুহম্মদ ছিলো মহান, আর তার মহানুভাবতায় মুগ্ধ হয়েই আরবের লোকজন স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছিলো; কিন্তু বাস্তবতা  আসলে তাই?
বরং বাস্তবতা  সম্পূর্ণ উল্টো; কারণ, মুহম্মদ সম্পর্কে এই গল্প পুরোটাই মিথ্যা। মুহম্মদের জীবনের সকল কাহিনী ই কোরান হাদিসের মধ্যে দিয়ে প্রকাশিত। আমি মুসলমানদের কাছে চ্যালেঞ্জ
 দিচ্ছি, এই গল্পের সত্যতার পেছনে একটি রেফারেন্স দেখাতে।যদি কেউ পারে তারা যেন এসব গল্পের রেফারেন্স দেখায় আমাকে।


উপরের ঐ গল্পটি প্রচার করার পেছনে আরেকটি উদ্দেশ্য হলো, মানুষকে বোঝানো যে নবীর হৃদয়ে মানুষের জন্য অনেক ভালোবাসা ছিলো এবং এই গল্পের প্রচারের ফলে ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ কোনো অমুসলিম এমনকি কোনো মুসলিমের পক্ষেও ধা্রণা করা সম্ভব ছিলো না যে, মুহম্মদ ছিলো একজন গ্রেট সন্ত্রাসী এবং নবুয়ত প্রাপ্তির পর তার পুরো জীবন ই ছিলো অমুসলিমদের প্রতি ঘৃণা ও সন্ত্রাসে ভরা।  এরকম মুখ রোচক গল্পের বাইরে মুহাম্মদের সম্পর্কে কোন কিছুই জানেনা । তারা নবিজীকে দোষেগুনে মেশানো একজন সাধারন মানুষের চেহারায় মেনে নিতে পারেন না। তাকে কিছু আধ্যাত্মিক ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে সিংহাসনে, আল্লাহর পাশাপাশি না বসাতে পারলে এদের ধর্মীয় অনুভুতি সংক্রান্ত সফটওয়ার হ্যাং করে। কারন এরা আবার নবিজীর আবিষ্কৃত "আল্লাহ" নামের অপারেটিং সিস্টেমে চলে। এই সফটওয়ারের মূল ডিসাইনার মুহাম্মদ বিন আব্দুল্লাহ, জন্ম: ৫৭০ খ্রিষ্টাব্দ।

তার জীবনের প্রথম টারনিং পয়েন্ট, ২৫ বছর বয়সে খাদিজা নামের ৪০ বছর বয়সী ধনী, সদ্য বিধবা নারীকে বিয়ে করে তার আর্থিক সংকট দূর করা। কারন এর আগে দারিদ্রের কারনে অনেকের অবহেলার পাত্র ছিলেন, অনেকে তাকে নিয়ে ঠাট্টা মশকরা, তুচ্ছ তাচ্ছিল্য, হাল্কা পাগল বা কিঞ্চিৎ ছিটগ্রস্থ হিসেবে চিন্হিত হলেও সবার আগে নিজের দারিদ্র দূর করার প্রতি মনোযোগী হলেন এবং এভাবেই তার জীবনের চাকা ই পালটে যায়।

( মুহাম্মদকে যে আরবের মানুষে পাগল বলে ঠাট্টা মশকরা করতো এবং সেটা যাতে তারা না করে সে জন্য আবার মুহাম্মদে একখানা আয়াতও নাজিল করে নিয়েছিল ।
সুরা সাবা আয়াত ৪৬

قُلْ إِنَّمَآ أَعِظُكُم بِوَٰحِدَةٍۖ أَن تَقُومُوا۟ لِلَّهِ مَثْنَىٰ وَفُرَٰدَىٰ ثُمَّ تَتَفَكَّرُوا۟ۚ مَا بِصَاحِبِكُم مِّن جِنَّةٍۚ إِنْ هُوَ إِلَّا نَذِيرٌ لَّكُم بَيْنَ يَدَىْ عَذَابٍ شَدِيدٍ বল, ‘আমি তো তোমাদেরকে একটি বিষয়ে উপদেশ দিচ্ছি, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে দু’জন অথবা এক একজন করে দাঁড়িয়ে যাও, অতঃপর চিন্তা করে দেখ, তোমাদের সাথীর মধ্যে কোন পাগলামী নেই। সে তো আসন্ন কঠোর আযাব সম্পর্কে তোমাদের একজন সতর্ককারী বৈ কিছু নয়।’

এছাড়াও মোহাম্মদের মানসিক অবস্থার একটা অস্বাভাবিকত্ব সেই শৈশবেই ধরা পড়ে যার প্রমান পাওয়া যায় তাঁর দুধমাতার বর্ণনা হ’তে-
হালিমার স্বামী আমেনাকে বলল- আমি আশংকা করছিলাম যে এ শিশুটির কোন মারাত্মক মানসিক দুর্ঘটনা ঘটেছে আর তাই কোন কিছু ঘটার আগেই আমরা তাকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দিতে এসেছি।—আমেনা জিজ্ঞেস করল তার কি ঘটেছিল এবং যে পর্যন্ত না আমি সব কিছু খুলে বললাম ততক্ষন আমি স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। যখন সে আরও জিজ্ঞেস করল- আমি শিশুটিকে কোন অশুভ আত্মায় পেয়েছে কি না আমি তখন বললাম- হ্যা। (Guillaume’s translation of Ibn Ishaq, page 72)
শৈশব কৈশোরে তিনি যে কতটা অসহায় ছিলেন তার দীর্ঘশ্বাস কিন্তু কোরানেও পাওয়া যায়। যেমন, আল্লাহর বানীর নামে তিনি বলছেন-
তিনি কি আপনাকে এতীমরূপে পাননি? অতঃপর তিনি আশ্রয় দিয়েছেন।তিনি আপনাকে পেয়েছেন পথহারা, অতঃপর পথপ্রদর্শন করেছেন।তিনি আপনাকে পেয়েছেন নিঃস্ব, অতঃপর অভাবমুক্ত করেছেন।সুতরাং আপনি এতীমের প্রতি কঠোর হবেন না। সূরা আদ দোহা,৯৩: ০৬-১০
এর একটি কারন, নবীজী তার দারিদ্র্য দূর করা ছাড়াও আরব জাহানে একটি নতুন ধরম বা একটি নতুন রাজিনৈতিক দল চালু করা যায় কিনা সেটা নিয়ে গভীরভাবে ভাবতেন। ব্যাবসা বানিজ্যের কাজে বাইরে গিয়ে, কিংবা ব্যাবসার অবসরে তিনি বিভিন্ন ধরনের সাধু সন্ন্যাসী, খ্রিষ্টান পাদ্রী, ইহুদী রাব্বাই, এদের সাথে বিস্তারিত আলাপ আলোচনা করে এদের ধর্মগুলি সম্পর্কে জানার চেষ্টা করছিলেন। সেসময় তাদের মূল গল্পগুলির মধ্য কিছু অসংগতি তার নজরে আসে। তিনি এই অসংগতি গুলি কিভাবে কিছুটা হলেও মিলিয়ে দেয়া যায় আরো জটিল কিছু কাহিনী বিন্যাস করে যেন মূল গল্পটিই আরো দুর্বোধ্য হয়ে দাঁড়ায়, সেই চিন্তা তার মধ্যে ঘুরপাক খেত। আপনারা যারা কোরান, তাওরাত, ইঞ্জিল, যাবুর, এই গ্রন্থগুলির সবগুলি পড়ে ফেলবেন, তখন দেখবেন, কোরানে বলা গল্পগুলি আসলে পুরোটুকুই টুক্লিফাই করা হয়েছে তাওরাত যাবুর ইঞ্জিল থেকেই। আর এসংক্রান্ত কোরানের আয়াতগুলি জীবরাইল নামের ডাকপিওন জাতীয় ফেরেস্তার মাধ্যমে, ৬০০ খ্রীষ্টাব্দে "আল্লাহ" নাম নাম ধারন করে ধর্মকর্মের সেকটরে নতুনরূপে ঝাপিয়ে পড়া কোন অধরা বস্তুর কাছ থেকে ডাউনলোড করা কিচ্ছাকাহিনী নয়। এই কাহিনীসংবলিত প্রতিটি আয়াত চুরি করা। আর একারনেই তিনি চেয়েছিলেন ইহুদী খ্রিষ্টান দেরকে ঘৃনা করতে, যেন এদের ধারেকাছে গিয়ে যদি জানা যায়, আমাদের কোরানের কাহিনীগুলি আসলে ওদের বই থেকে ধার বা চুরি করা, তখন তো তার অহী নামানোর ক্ষমতা নিয়েই লোক চ্যালেঞ্জ করে বসবে!আর এই কারনেই বলা হয়ে থাকে যে আগের কিতাবগুলি তথা তাওরাত যাবুর ,ইঞ্জিল সব বিকৃত হয়ে গেছে ।
অথচ সেই তাওরাত , ইঞ্জিল 
এবং যাবুর কিতাব বিকৃত হলে কুরানেরই কোন অস্তিত্ব থাকেনা ।কারন কুরানে সেইসকল তাওরাত যাবুর ,ইঞ্জিল কিতাবকেই কুরানের সত্যতার মানদন্ড হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছে ।
               Aal-e-Imran 3:3
نَزَّلَ عَلَيْكَ ٱلْكِتَٰبَ بِٱلْحَقِّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ وَأَنزَلَ ٱلتَّوْرَىٰةَ وَٱلْإِنجِيلَ
তিনি তোমার উপর কিতাব নাযিল করেছেন যথাযথভাবে, এর পূর্বে যা এসেছে তার সত্যায়নকারী হিসেবে এবং
নাযিল করেছেন তাওরাত ও ইনজীল।

অর্থাৎ মানুষের হিদায়েতের জন্য তিনি পুর্বে যে তাওরাত এবং ইঞ্জিল নাজিল করেছিলেন সেই কিতাবই এই কুরানের সত্যায়ন করছে।

এবার সুরা মায়েদার ৪৭এবং ৪৮ নাম্বার আয়াতের দিকে যাওয়া যাকঃ

                      Al-Maidah 5:47

وَلْيَحْكُمْ أَهْلُ ٱلْإِنجِيلِ بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فِيهِۚ وَمَن لَّمْ يَحْكُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُ فَأُو۟لَٰٓئِكَ هُمُ ٱلْفَٰسِقُونَ
আর ইনজীলের অনুসারীগণ তাতে আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার মাধ্যমে যেন ফয়সালা করে আর আল্লাহ যা নাযিল করেছেন তার মাধ্যমে যারা ফয়সালা করে না, তারাই ফাসিক।

              Al-Maidah 5:48

وَأَنزَلْنَآ إِلَيْكَ ٱلْكِتَٰبَ بِٱلْحَقِّ مُصَدِّقًا لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهِ مِنَ ٱلْكِتَٰبِ وَمُهَيْمِنًا عَلَيْهِۖ فَٱحْكُم بَيْنَهُم بِمَآ أَنزَلَ ٱللَّهُۖ وَلَا تَتَّبِعْ أَهْوَآءَهُمْ عَمَّا جَآءَكَ مِنَ ٱلْحَقِّۚ لِكُلٍّ
جَعَلْنَا مِنكُمْ شِرْعَةً وَمِنْهَاجًاۚ وَلَوْ شَآءَ ٱللَّهُ لَجَعَلَكُمْ أُمَّةً وَٰحِدَةً وَلَٰكِن لِّيَبْلُوَكُمْ فِى مَآ ءَاتَىٰكُمْۖ فَٱسْتَبِقُوا۟ ٱلْخَيْرَٰتِۚ إِلَى ٱللَّهِ مَرْجِعُكُمْ جَمِيعًا فَيُنَبِّئُكُم بِمَا
كُنتُمْ فِيهِ تَخْتَلِفُونَ
আর আমি তোমার প্রতি কিতাব নাযিল করেছি যথাযথভাবে, এর পূর্বের কিতাবের সত্যায়নকারী ও এর উপর তদারককারীরূপে। সুতরাং আল্লাহ যা নাযিল করেছেন, তুমি তার মাধ্যমে ফয়সালা কর এবং তোমার নিকট যে সত্য এসেছে, তা ত্যাগ করে তাদের প্রবৃত্তির অনুসরণ করো না। তোমাদের প্রত্যেকের জন্য আমি নির্ধারণ করেছি শরীআত ও স্পষ্ট পন্থা এবং আল্লাহ যদি চাইতেন, তবে তোমাদেরকে এক উম্মত বানাতেন। কিন্তু তিনি তোমাদেরকে যা দিয়েছেন, তাতে তোমাদেরকে পরীক্ষা করতে চান। সুতরাং তোমরা ভাল কাজে প্রতিযোগিতা কর। আল্লাহরই দিকে তোমাদের সবার প্রত্যাবর্তনস্থল। অতঃপর তিনি তোমাদেরকে অবহিত করবেন, যা
নিয়ে তোমরা মতবিরোধ করতে।


এখানে দেখুন,আল্লা বলছে মুহাম্মাদের উপর যে কুরান নাজিল করেছে তার সত্যাসত্য বা সত্যায়ন করছে
পূর্ববর্তী নবীদের উপর প্রেরিত কিতাব থেকে, অর্থাৎ তৌরাত এবং ইঞ্জিল থেকে।
তো আমরা জানি সত্যায়ন কিভাবে করে!
যেখানে মেইন কপিই যদি জাল বা বিকৃত হয় তাহলে তো সেই ফটোকপিও জাল হয়ে যাবে।
তাইনা?
এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেনঃ ( https://imranshakh.blogspot.com/2019/12/blog-post.html )

এদিকে সম্ভ্রান্ত ইহুদী বংশের বিবি খাদিজা তার পূর্বপুরুষদের করে যাওয়া এক ভবিষ্যৎবানীর কথা বলে মুহাম্মদকে আরো চিন্তায় ফেলে দিলেন। তিনি নাকি জেনেছেন, আবদুল্লাহ নামের পিতার মুহাম্মদ নামের একটি এতিম বালকই পরবর্তীকালে নবী হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবেন।আর এরকম ভবিষ্যতবানী সম্পর্কে খাদিজা জেনেছিলেন  তথা তার এক চাচাতো ভাই নওফেলের মাধ্যমে যিনি  ইহুদি ধর্ম সম্পর্কে খুব ভালো জানতেন ।ওবশ্য এরকম কোন নবী বা অবতার আসার কথা কেবল ইহুদি ধর্মেই ছিলনা বরং ধর্মের সুড়ঙ্গের খননের কাজ চলমান রাখতে প্রতিটি ধর্মেই এরকম একজন করে নবী বা অবতার আসার কথা বলা আছে ।যেটাকে কেন্দ্র করেই মুহাম্মদে নবী হবার সুযোগ পেয়েছিল এবং হিন্দুদের পুরানেও এরকম কথা বলা আছে ,যেটাকে  কেন্দ্র করে জাকির নায়েক হিন্দ ধর্মে কল্কি অবতারের সাথে মুহাম্মদকে মেলানোর চেষ্টা করেছিলেন
দেখে নিনঃ 
https://imranshakh.blogspot.com/2020/01/blog-post_27.html
কাজেই, মুহাম্মদকে তিনি বেশী বেশী করে ধরমকরম নিয়ে চিন্তাভাবনা  করে দ্রুত কিছু একটা করতে বললেন। সেই চাপে পড়ে যুবক মুহাম্মদ নির্জন পাহাড়ি গুহাতে গিয়ে আশ্রয় নিলেন এবং ধ্যান এবং কাব্বালা করতে শুরু করলেন। গুরুত্বপূর্ন তথ্য হচ্ছে, তিনি কিন্তু জন্মগতভাবে এবং পৈত্রিক সূত্রে একজন ইহুদীই ছিলেন। বিবি খাদিজাকে বিয়ে করার কয়েক বছর পর পর্যন্ত ইসলাম নামের কোন ধর্ম ছিলনা। স্রষ্টার নাম হিসেবে "আল্লাহ" শব্দটির ব্যাবহার শুরু হয় ৬০০ খ্রিষ্টাব্দের শুরুর দিকে। 


ইসলাম নামের এই ধরমটি এর আল্লাহ নামের স্রষ্টার উপস্থিতি এবং মুহাম্মদের নবুয়তি ও রসুলতব সূচক বানী নিয়ে আরব ভুমির বাইরে যায় নবীর মৃত্যুর পর। তার ম্রিত্যুর পর এই ইসলাম, আল্লাহ, কোরান, মুহাম্মদ - এসব শব্দ আরব ভুমির বাইরে যায় ৬৯০ খ্রীষ্টাব্দের পর। কারন নবীজীর মৃত্যুর ৪০ বছর পর, সেসময় প্রথম কোরান শরিফ সংকলন করেন খলিফা ওসমান।
 তার আগে বিচ্ছিন্ন কিছু সুরা ছাড়া কোরান শরিফ নামের কোন পুস্তক সংকলিত বা একত্রিতভাবে প্রকাশ করা হয়নি। কাজেই কোরানের বানী ছাড়াই যুদ্ধ বিদ্যার পারদর্শিতা আর নানান কুটকৌশলে, প্রয়োজনে অন্য ধর্মের নির্যাতিত মানুষদেরকে দলে টেনে নিয়ে দল ভারী করে, গরবের সাথে বহুবিবাহ করে আর বহু পুত্রকন্যার জন্ম দিয়ে সংখ্যার দিক দিয়ে এই জাতটির বৃদ্ধির হার বিশ্ময়কর রকমের। কিন্তু, আমার যতদূর মনে হয়, আরব মালভুমির বাইরের ধর্মীয় ব্যাবস্থা, আচার আচরন, পরিবেশ, ইত্যাদি সম্পর্কে ভালো ধারনা থাকলে, ইসলাম ধরম চালু করার সময়েই বলে দিতেন, এই ধরম শুধু আরব মালভূমি এলাকার জন্যে এবং শুধুমাত্র পরবর্তী পাঁচশো বছরের জন্য প্রযোজ্য।
অবশ্য মুহাম্মদে কুরানের বেশ কিছু যায়গায় সেটা বলেও গেছেঃ https://imranshakh.blogspot.com/2020/02/blog-post_53.html
 এর কারন হচ্ছে, ইসলাম ধর্মের স্বর্নযুগ ছিল ১২০০ খ্রিষ্টাব্দ পরযন্ত, যতদিন পর্যন্ত তারা জ্ঞান বিজ্ঞান মনষ্ক ছিল। তারা অংক, জ্যামিতি, ত্রিকোনমিতি থেকে শুরু করে চিকিতসাবিজ্ঞান, রসায়ন, দরশন, আধ্যাত্মিকতা, সংগীত - সব বিষয়েই প্রচুর উন্নতি করেছিল। আর ভৌগলিকভাবেও একদিকে ইউরোপের মধ্যাঞ্চল, আফ্রিকা, এশিয়ার শেষমাথা পর্যন্ত তাদের বিস্তারের গতি ছিল অকল্পনীয়। আমাদের নবীজী হয়তো স্বপ্নেও ভাবতে পারেননি, প্রিথিবী আসলে কত বড় এবং কত দূর দুরান্তেও কর রকমের মানুষ আর ধর্ম চালু আছে! আর এই কথার সত্যতা পাওয়া যায় আসলে কুরান পড়লেই।
কেননা কুরানে এই আরব্য অঞ্চলের বাইরে কিছুই খুজে পাবেননা।

যাইহোক, সে গুহায় ধ্যান বা কাব্বালা করতে করতে একদিন তার চুড়ান্ত লেভেলের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা হল। তার গভীর লেভেলের অডিটরি এবং ভিজুয়াল হ্যালুসিনেশন হল। আমার কাছে নিশ্চিত তথ্য আছে, মুহাম্মদের কিশোর বয়স থেকেই তিনি বিভিন্ন মানসিক সমস্যার মধ্য দিয়ে দিন পার করেছেন। অসংখ্যবার তিনি প্যারানয়েড বা সিজোফ্রেনিক এপিসোডে আক্রান্ত হয়েছিলেন, যা পরবর্তীকালেও সময়ে সময়ে আরো প্রকট আকার ধারন করতো। যাইহোক, সেই হ্যালুসিনেশনের এক পরয্যায়ে তার মনে হল, একজন দেবদুত এসে তাকে প্রচন্ড শক্তিতে বুকে চেপে ধরেছে এবং পড়তে বলছে। একজন আনকোরা নতুন স্রষ্টার কাজকারবারের বর্ণনা দিয়ে, তিনিই সেই আসল স্রষ্টা, যিনি মানুষকে কলম দিয়ে লিখতে শিখিয়েছেন, কিন্তু নবীজী তার পরও কেন নিরক্ষর বকলম হাবাগোবা রয়ে গেলেন, এজাতীয় কিছু ঝাড়ি দিয়ে, যতদ্রুত সম্ভব পড়ালেখা শিখে তৈরী থাকার নির্দেশ দিয়ে সেই দেবদুত উধাও হয়ে গেলেন।

মোহাম্মদের মানসিক অবস্থার একটা অস্বাভাবিকত্ব সেই শৈশবেই ধরা পড়ে যার প্রমান পাওয়া যায় তাঁর দুধমাতার বর্ণনা হ’তে-

হালিমার স্বামী আমেনাকে বলল- আমি আশংকা করছিলাম যে এ শিশুটির কোন মারাত্মক মানসিক দুর্ঘটনা ঘটেছে আর তাই কোন কিছু ঘটার আগেই আমরা তাকে তার পরিবারের কাছে ফেরত দিতে এসেছি।—আমেনা জিজ্ঞেস করল তার কি ঘটেছিল এবং যে পর্যন্ত না আমি সব কিছু খুলে বললাম ততক্ষন আমি স্বস্তি পাচ্ছিলাম না। যখন সে আরও জিজ্ঞেস করল- আমি শিশুটিকে কোন অশুভ আত্মায় পেয়েছে কি না আমি তখন বললাম- হ্যা। (Guillaume’s translation of Ibn Ishaq, page 72)
** এছাড়াও রাশিয়ান অস্তিত্ববাদী লেখক Fyodor Dostoyevsky মনে করেছিলেন নবী মুহাম্মদ খুব সম্ভবত মাঝে মাঝে সত্য কথাই বলতেন। ক্রাইম এন্ড পানিশমেন্ট এর রচয়িতা এই রাশিয়ান উপন্যাসিক দস্তয়ভস্কি যাকে মনে করা হয় সেই সাহিত্য ব্যক্তিত্ব যিনি পশ্চিমা উপন্যাসকে তার সম্ভাবনার চরম শীর্ষে পৌঁছে দিয়েছেন – উনি মনে করতেন নবীজির কিছু অভিজ্ঞতা অন্তত তার নিজের জন্যে বাস্তব ছিল। তার মানে এই অর্থে নবীজি সত্য বলছিলেন। নবী মুহাম্মদকে দস্তয়ভস্কি এভাবে বুঝতে পেরেছিলেন কারণ তিনি নিজেও নবীজীর মত Temporal Lobe Epilepsy (TLE) বা মৃগী রোগাক্রান্ত ছিলেন। এই রোগটি তিনি পেয়েছিলেন তার পিতা থেকে। নবী মুহাম্মদের Epileptic seizure প্রথম হয়েছিল যখন তার বয়স ছিল মাত্র ৫ বছর দস্তয়ভস্কির হয়েছিল যখন তার বয়স ছিল মাত্র ৯ বছর। তারপর ২৫ বছরের একটা বিরতি হয় তারপর থেকে কিছুদিন বাদে পর পর ই তার seizure হতে থাকে। ভালো ও মন্দের ভেতর দিয়েই চলতে থাকে তার রোগের অবস্থা। অতিমাত্রিক সুখের অনুভূতি থেকে হঠাৎ করেই ভয়ংকর ভিতি র অনুভূতি সঞ্চারিত হতে থাকে তার ভেতর। দস্তয়ভস্কির লেখা একটি গল্পের ক্যারেক্টারের দৃষ্টিকোণ থেকে তার নিজের অভিজ্ঞতায় দেখা স্বর্গের বর্ণনা পাওয়া যায়। তার যখন মহানবীর মত epileptic seizure হতো তখন তিনি এক সময় দেখতে পেয়েছেন যে সারি সারি ফেরেশতাগণ, স্বর্ণালী trumpet বাজাচ্ছে স্বর্গের ভেতর। দুইটি বিশাল সোনালী দরজা খুলে গেছে এবং একটি সোনালী সিড়ি ঈশ্বরের সিংহাসন পর্যন্ত উঠে গেছে। এখন আপনাদের মনে তারপরও প্রশ্ন জাগতে পারে হতেই পারেনা একজন মানসিক রোগী কিভাবে পবিত্র কোরআন শরীফের মত এত সুরেলা কবিতা লিখতে পারবে। 
Image result for trumpetImage result for Fyodor DostoevskyLobes of the brain NL.svg

বিষয়টা সহজ ভাবে বোঝার জন্য কিছু বিখ্যাত ব্যাক্তি, নেতা, লেখক সাহিত্যিক উপন্যাসিক এবং কবি যাদের এই প্রজাতির মানসিক রোগ ছিল তাদের কয়েকজন সম্পর্কে সংক্ষেপে বর্ণনা করবঃ

Joan of Arc মধ্যযুগীয় ফ্রান্সের প্রত্যন্ত গ্রামের দরিদ্র কৃষকের অশিক্ষিত কিশোরী মেয়ে যে কিনা চমৎকার যুদ্ধ নেতৃত্ব দিয়ে ফরাসি বাহিনীর অভাবনীয় সাফল্য অর্জন করে ইতিহাসে ধারা পাল্টে দিয়েছিলেন। ১৩ বছর বয়স থেকেই তিনি মাথার ভেতরে সেইন্ট দের ঐশ্বরিক কণ্ঠস্বর শুনতে পেতেন এবং মিখাইল ফেরেশতার দেখা পাইতেন । দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য যে পরবর্তীতে ফ্রান্সের শত্রুপক্ষ ইংরেজি বাহিনীর সমর্থনকারীদের হাতে ধরা পড়ায় তারা তাকে ইংরেজদের হাতে তুলে দেয়। ইংরেজদের পক্ষের ধর্মগুরু গণ তাকে ডাইনি বলে সাব্যস্ত করে মাত্র ১৯ বছর বয়সে আগুনে পুড়িয়ে মারে। এখানে একটি বিষয় দর্শনীয় যে ফরাসিরা এবং ইংরেজরা একই (খ্রিষ্টান) ধর্মের অনুসারী ছিল এক পক্ষ তার কৃতিত্বের জন্য তাকে সেইন্ট বা সাধু হিসেবে দেখত অন্যপক্ষ তাঁকে তাঁর কৃতিত্বের জন্য ডাইনি হিসেবে অভিযোগ দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে। যদিও আরো অনেক পরে তার বিরুদ্ধে দেওয়া সমস্ত অভিযোগ ভুল ঘোষণা করে তাকে সর্বসম্মতিক্রমে সেইন্ট উপাধি দেয়া হয়।

Image result for Joan of Arc

Harriet Tubman নামক একজন কৃষ্ণাঙ্গ মহিলা নেত্রী যিনি আমেরিকান দক্ষিণ থেকে কয়েকশো ক্রীতদাসদেরকে কানাডা নিয়ে মুক্তির পথ দেখিয়েছে তাকে কৃষ্ণাঙ্গদের মুসা নবীর হিসেবে তুলনা করা হয। কারন মুসা নবী সংক্রান্ত যে মিথলজি প্রচলিত আছে সেটাতেও মুসা তার israelite দের দাসত্ব অবস্থা থেকে মুক্তির পথ দেখিয়েছিলেন নেতৃত্বে মধ্য দিয়ে। Tubman ক্রীতদাসী হিসেবে জন্ম গ্রহণ করেছিলেন অল্প বয়সে তার মালিক অন্য ক্রীতদাসকে “heavy metal weight” দ্বারা আঘাত করতে গিয়ে ভুল করে তার মাথায় আঘাত করে। প্রচণ্ড ব্যাথা পান সারা জীবন তাকে কষ্ট করতে হয়। একই সাথে তিনি অদ্ভুত স্পষ্ট (strange visions and vivid dreams) আপাতদৃষ্টিতে আমাদের নবীজির মত অলৌকিক অনেক কিছু দেখতে পান।
Image result for Harriet TubmanImage result for Harriet Tubman

তিনজন শীর্ষ ইংরেজি রোমান্টিক কবি Lord Byron, Percy Bysshe Shelley, and Alfred Lord Tennyson:
Alfred Lord Tennyson তার epileptic seizure হবার অনুভূতি ব্যাখ্যা করতে গিয়ে বলেন:
“the clearest of the clearest, the surest of the surest, the weirdest of the weirdest, utterly beyond words”
Image result for Alfred Lord TennysonImage result for lord byronImage result for Percy Bysshe Shelley
এলিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড’ এর রচয়িতা লুইস ক্যারল তার নিজের temporal lobe epilepsy সম্পর্কে লিখে  গেছেন এবং এলিসের খরগোশের গর্তে পড়ে যাওয়ার এবং পরবর্তীতে ঘটনার বর্ণনা গুলি এলিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড তার সঙ্গে অনেক এপিলেপটিক রোগীর epileptic seizure চলাকালীন মানসিক অনুভূতির মিল খুঁজে পাওয়া যায়। কিছু কিছু সমালোচক দাবি করেন যে এলিস ইন ওয়ান্ডারল্যান্ড এর সম্পূর্ণ গল্পটি epileptic seizure চলাকালীন মানসিক পরিস্থিতির রূপক হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
Image result for Lewis Carroll
গুস্তাভ ফ্লাবার্ট: সাহিত্যের আরেকটি মহান নাম। এই উনবিংশ শতাব্দীতে ফরাসি সাহিত্যিক Madame Bovary এবং A Sentimental Education এর মত মাস্টারপিস লিখেছিলেন। গুস্তাভ ফ্লাবার্ট এর সাধারণত সিজার যখন শুরু হত অনুভূত হইত যেন আসন্ন বিপর্যয় ধেয়ে আসতে যাচ্ছে, তারপর কিছুক্ষণ নিজেকে খুব অসহায় অনুভব করতেন । এক সময় তার মনে হত যেন তিনি একটি অন্য মাত্রায় (Dimension ) এর মধ্যে স্থানান্তরিত হয়েছিলেন। তার চেতনা যেন একটি ঘূর্ণিঝড়ে আক্রান্ত সামুদ্রিক জাহাজের মত যা ক্রমশ তলিয়ে যাচ্ছে । তার জন্য epileptic seizure একটি ঘূর্ণিঝড়ের মতো আক্রমন করত যা কিনা নিয়ে আসত অনেক আইডিয়া এবং ছবি। উনি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠতেন, এক গাঁদা স্মৃতি তার উপর ফিরে আসতো সেই সাথে ছিল আগুনের মত কিছু হুলিসিনেশন । মুখের মধ্যে ফেনা জমে যেত, ডানহাত আপনা আপনি নড়তে শুরু করতো । দশ মিনিট ধরে ট্রান্স স্টেট এর মধ্যে থাকতো তারপর হতো বমি ।
Gustave Flaubert young.jpg

যাহোক,মুহাম্মদে গভীর রাতের এই হ্যালুসিনেশনের পর ভয়ে আতংকে জ্ঞান হারিয়ে সেই গুহাতেই পড়ে ছিলেন অনেকক্ষন। জ্ঞান ফেরার পর এক দৌড়ে বাসায় ফিরে তার বিবিকে ডেকে তুললেন। তিনি তখনো ভয়ে রীতিমত থরথর করে কাঁপছিলেন। ভয়ে  তার হাতপা ঠান্ডা হয়ে আসছিল। তিনি বিবির কাছে দ্রুত একটা কম্বল চেয়ে নিয়ে সেটা দিয়ে নিজেকে মুড়িয়ে গুটিশুটি মেরে শুয়ে পড়লেন।

এই ঘটনাকে পুঁজি করে বিবির পরামর্শ অনুযায়ী মুহাম্মদ নিজেকে নবী হিসেবে ঘোষনা দেয়ার জন্যে এলাকার সব গন্যমান্য লোকদেরকে ডেকে পাঠালেন। সেই অনুষ্ঠানে, "পুরান পাগল আবার নতুন কি বলতে চায়!" শোনার জন্য অনেকের মধ্যে আবু লাহাবও উপস্থিত ছিল। তিনি ব্যাস্ত মানুষ। অনুষ্ঠান শুরু হতে দেরী হচ্ছে দেখে বিরক্ত হয়ে তিনি মুহাম্মদকে বললেন, যা বলার তাড়াতাড়ি বলে ফেল তো! আমার অনেক কাজ পড়ে আছে। তোমার চাপাবাজি শোনার টাইম আমার নাই। নবীজী তখন এমনিতেই ছিলেন টেনশনে। বউয়ের কথায় নিজেকে নবী হিসাবে ঘোষনা দিয়ে পরে কি থেকে কি হয়ে যায়, সেই টেনশনে মনে মনে নিজেকে আর তার বিবিকে বকছিলেন। সেই মূহুরতে আবু লাহাবের এই তুচ্ছতাচ্ছিল্যপূর্ন মন্তব্য শুনে তার মেজাজ ফরটি নাইন হয়ে গেল। তিনি বলে উঠলেন, ধ্বংস হোক আবু লাহাব! তার দুইহাত ভেঙে যাক! তার সব সম্পদ গোল্লায় যাক। তার বউও ধ্বংস হোক! 
এই বিষয়ে বিস্তারিত জানতে পারবেনঃhttps://imranshakh.blogspot.com/2020/02/blog-post_83.html

আশ্চর্য হলেও সত্য, নবীজীর রাগ করে বলা এই অভিসাপটিও কোরান শরীফে আল্লাহর প্রেরিত অহী বা ঐশী বানী হিসেবে স্থান পেয়েছে। এর নাম সুরা লাহাব। আমার অতি প্রিয় একটি সুরা। ইদানিং শুধু খটকা লাগে, এটা কি মুহাম্মদের শাপশাপান্ত নাকি আল্লাহর ওহী? কারন আল্লাহ তো সর্বশক্তিমান! তিনি কেন ত্যাক্ত বিরক্ত ঝগড়াটে অক্ষম একজন বৃদ্ধার মত অভিসাপ দিবেন! তিনি তো ইচ্ছা করলে একটা আগুনের গোলা মেরে আবু লাহাবের বংশই নির্বংশ করে দিতে পারেন!

যাইহোক, যদিও মুসলিমেরা বলে, নবীজীকে সবাই আল আমিন বা বিশ্বাসী বা সত্যবাদি হিসেবে জানতো, সত্যি কথা হয়েছে, জীবরাইলের সাথে সাক্ষ্যাতকারের ঘটনার বিবরন, আল্লাহ নামের নতুন আরেক দেবতাকে শ্রেষ্ঠ হিসেবে মেনে নিয়ে তাকে ভয় পেয়ে, তার কথামত চলতে হবে শুনে বেশীরভাগ মানুষ ক্ষেপে গিয়েছিল। তারা প্রকাশ্যে মুহাম্মদকে পাগল সাব্যস্ত করতো এবং হাসিঠাট্টা মস্করা করতো। এই পরযায়ে নবীজী তার দ্বিতীয় পর্যায়ের সুরাগুলি ডাউনলোড করতে শুরু করলেন। সেই সুরাগুলিতে ঘুরে ফীরে একই কথা - নিশ্চই মুহাম্মদ উন্মাদ নয়! নিশ্চই ইহাই সেই আসল গ্রন্থ! 
( মুহাম্মদকে যে আরবের মানুষে পাগল বলে ঠাট্টা মশকরা করতো এবং সেটা যাতে তারা না করে সে জন্য আবার মুহাম্মদে একখানা আয়াতও নাজিল করে নিয়েছিল ।
সুরা সাবা আয়াত ৪৬

قُلْ إِنَّمَآ أَعِظُكُم بِوَٰحِدَةٍۖ أَن تَقُومُوا۟ لِلَّهِ مَثْنَىٰ وَفُرَٰدَىٰ ثُمَّ تَتَفَكَّرُوا۟ۚ مَا بِصَاحِبِكُم مِّن جِنَّةٍۚ إِنْ هُوَ إِلَّا نَذِيرٌ لَّكُم بَيْنَ يَدَىْ عَذَابٍ شَدِيدٍ বল, ‘আমি তো তোমাদেরকে একটি বিষয়ে উপদেশ দিচ্ছি, তোমরা আল্লাহর উদ্দেশ্যে দু’জন অথবা এক একজন করে দাঁড়িয়ে যাও, অতঃপর চিন্তা করে দেখ, তোমাদের সাথীর মধ্যে কোন পাগলামী নেই। সে তো আসন্ন কঠোর আযাব সম্পর্কে তোমাদের একজন সতর্ককারী বৈ কিছু নয়।’


ইহাই নিশ্চিতভাবে সত্যমিথ্যার বিভেদ দূরকারী গ্রন্থ! ইহাই ইতিপূর্বের সকল পবিত্র পুস্তকের সবচেয়ে আপডেটেড ভার্শন, ইত্যাদি, ইত্যাদি। বস্তুতপক্ষে ইহা সেই আসল গ্রন্থ এটা এই গ্রন্থ নিজেই নিজেকে সার্কুলার যুক্তিতে সার্টিফাই করছে, এটি অত্যন্ত কৌতুকের বিষয়। এদিকে মানুষজন নবিজীকে কোন ব্যাখ্যাতীত অতিমানবিক ক্ষমতা বা মোজেজা দেখানোর জন্যে প্রচুর চাপাচাপি করলেও, কোরানের নতুন নতুন সুরা ডাউনলোড করা ছাড়া আর কোন বিশেষ ক্ষমতা না দেখিয়ে যাদু-টোনা বান মারা, তাবিজ কবজ সহ সব ধরনের ভেল্কিবাজি দেখানো নিষিদ্ধ এবং কুফরী ঘোষনা করলেন। 
যাদুকরের শাস্তি হলো তরবারি দিয়ে হত্যা করা’ (তিরমিযী)।

এটি এমন জঘন্য কাজ যারা জাদুটোনাতে জড়িত হয়ে যায় এতে আস্থা রাখে তারা কুফরিতে জড়িয়ে যায় এবং এ থেকে মুক্তি ও পেতে পারে না। মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন যে, তিন শ্রেণীর মানুষ বেহেশ্তে প্রবেশ করতে পারবে না। তারা হলো, শরাবখোর বা মদ্যপায়ী , রক্তসম্পর্কীয় আত্মীয়তা ছিন্নকারী এবং যাদুর প্রতি আস্থা স্থাপনকারী। (হাদিসে মুসনাদে আহমদ)
তিনি পরবর্তী জীবনেও তেমন কোন ম্যাজিক না দেখালেও অসমর্থিত গুজব জাতীয় হাদিস অনুযায়ী তিনি কিছু আশ্চর্য ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে গল্পগুজব চালু থাকলেও, বেশীরভাগ ইসলামি স্কলার এগুলিকে নবীজীর মৃত্যুর পর চালু হওয়া মিথ্যা গুজব হিসেবেই চিন্হিত করলেও আবার এটা বিশ্বাস করেন যে তিনি নাকি তার আঙ্গুলের ইশারায় চাদকে দুই টুকরা করে দেখিয়েছিলেন।
অথচ এটা যে কতবড় হাস্যকর বিশ্বাস এবং তাদের দাবী তা কল্পনার বাইরে ।
মুলত যাদু টোনার বিষয়ে আগে থেকেই মানূষের একটা বিশ্বাস ছিল ।আর মুহাম্মদে তাদের চাপে পড়ে বাধ্য হয়েই যাদু শিখে তাদেরকে নিজের নব্যুয়তের প্রমান দিতে গিয়ে ম্যাজিক বা যাদুর মাধ্যমে একটা চাদকে দুইটা করে দেখিয়েছিলেন ।এর বেশী কিছু নয়।

তবে, জীবনের আরেকটা টার্নিং পয়েন্ট হচ্ছে নবীজীর মেরাজের ঘটনা। নানান ঘাতপ্রতিঘাতের পরও তার কথায় তেমন কেউ পাত্তা না দেয়ায়, আর তার ধর্মমতের অনুসারীর সংখ্যা প্রত্যাশিত ভাবে না বাড়ায় এক সকালে তিনি আনকোরা নতুন এক গল্প ফেঁদে বসলেন। বড়জোর হতে পারে, জীবনের এক সন্ধিক্ষনে, অবচেতন মনের সুপ্ত বাসনার কারনে তিনি একটা লম্বা সুখস্বপ্ন দেখেছিলেন, যেটাতে তিনি গাধার চেয়ে বড়, কিন্তু ঘোড়ার চেয়ে একটু ছোট একটা চতুষ্পদি পাখনাযুক্ত প্রানীর পিঠে চড়ে আল্লাহর সাথে দেখাসাক্ষাৎ করে আসলেন। আর আল্লাহর সাথে দরকষাকষি করে পঞ্চাশ ওয়াক্তের বদলে পাচ ওয়াক্ত নামাজের বিধান নিয়ে আসলেন। আর হ্যা, যাওয়ার পথে তার একটা ওপেন হারট সার্জারি করে তার হৃতপিন্ড ধুয়ে পরিষ্কার করা হয়েছিল, আর সাত আসমান পাড়ি দেয়ার পথে তিনি  স্ব-শরীরে ইতিপূর্বের নামিদামি পয়গম্বর দের সাথে মোলাকাত এবং কুশল বিনিময় করলেন, বেহেস্তি সুযোগ সুবিধা আর সেখানে অধিকাংশ মানুষ গরিব ছিল, এটা আবিষ্কার করলেন। দোজোখ পরিদরশনে গিয়ে সেখানে অধিকাংশই নারী, এটাও গুনে দেখে আসলেন। এইসব ঘটনা ঘটল চোখের নিমেষে। মুসলিমেরা মনে করে, এই ভ্রমন নবিজী সশরীরে করেছিলেন তো বটেই, কোন রকম সায়েন্টিফিক ব্যাখ্যা দিয়ে কাউকে সন্তুষ্ট করতে না পেরে, সোজা বলে দেন, এসব ঘটনার ব্যখ্যা লাগে না। আল্লাহ ইচ্ছা করলে অসম্ভবকেও সম্ভব করতে পারেন। তা না হলে তিনি আবার আল্লাহ কিসের!
মেরাজ একটা ঐতিহাসিক মিথ্যা,তার প্রমান দেখুনঃhttps://imranshakh.blogspot.com/2020/01/blog-post_25.html

যাইহোক, এই গাঁজাখুরি গল্পও যখন ফ্লপ করে গেল, এবং পাগল ঠান্ডা না হয়ে দিনে দিনে পাগলামির পরিমান অসহ্য পর্যায়ে চলে গেল, তখন মক্কার কিছু নেতা একসাথে মিলিত হয়ে মুহাম্মদকে মেরে ফেলার ব্যাপারে পরিকল্পনা পাকা করে ফেলল। এই ষড়যন্ত্র কোন ফেরেশতা না, নিজের এক অনুসারীর মুখে শুনতে পেয়ে সেই মুহুরতে গায়েবী কোন সহায়তার কোন রকম আশ্বাস বা ভরসা না পেয়ে রাতের অন্ধকারে গা ঢাকা দিলেন। আর তার বিছানায় শুয়ে থেকে আরেকটু হলে মারা পড়তেন তার বাল্যকালের বন্ধু আলি।

তিনি এরপর মদিনায় গিয়ে আশ্রয় নিলেন। এসময় পেশা হিসেবে তিনি বেছে নিয়েছিলেন, সদলবলে চুরি ডাকাতি করাকে। মক্কাগামী ব্যাবসায়ী বা ধর্মীয় কাফেলায় চোরাগোপ্তা হামলা করে তাদের ধন সম্পদ আর দাসী দেরকে কেড়ে নিয়ে নিজেদের মধ্যে গনিমতের মাল হিসেবে ভাগ বাটোয়ারা করে নিতেন। এই ধন সম্পদ আর সুন্দরী দাসীদের লোভে অনেকেই তার ডাকাত দলে যোগ দিল। এক পর্যায়ে তারা সদলবলে ইহুদী দের গ্রাম অবরোধ করে তাদেরকে হয় তার ইসলাম ধরম গ্রহন করে মুসলিম হয়ে যেতে বললেন, নতুবা গ্রাম ত্যাগ করতে বললেন। একপর্যায়ে তারা তাদের ধর্ম ত্যাগ করতে না চাওয়ায় তাদের গ্রাম জ্বালিয়ে দেয়া হল। তাদের আয়ের মূল উতস খেজুর বাগানের ফলবান গাছগুলি কেটে সাবাড় করা হল। পরবর্তীতে এতোটা এগ্রেসিভ না থাকলেও, বিধর্মী দের জন্য জিজিয়া নামের অতিরিক্ত ট্যাক্স দেয়ার সিস্টেম দাড়া করালেন, যেন মানুষ এই বাড়তি ট্যাক্স এড়ানোর জন্যে মুসলিম হয়ে যায়।

রাবী বলেনএ দিকে আবূ জানদাল ইবনু সুহায়ল কাফিরদের কবল থেকে পালিয়ে এসে আবূ বাসীরের সঙ্গে মিলিত হলেন। এরপর থেকে কুরাইশ গোত্রের যে-ই ইসলাম গ্রহণ করতসে-ই আবূ বাসীরের সঙ্গে এসে মিলিত হতো। এভাবে তাদের একটি দল হয়ে গেল। আল্লাহর কসমতারা যখনই শুনতেন যেকুরাইশদের কোন বানিজ্য কাফিলা সিরিয়া যাবেতখনই তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতেন আর তাদের হত্যা করতেন ও তাদের মাল সামান কেড়ে নিতেন্ তখন কুরাইশরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে লোক পাঠাল। আল্লাহ ও আত্মীয়তার ওয়াসীলা দিয়ে আবেদন করল যেআপনি আবূ বাসীরের কাছে এর থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ পাঠান। এখন থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছেকেউ এলে সে নিরাপদ থাকবে(সংক্ষিপ্ত)সহীহ বুখারী (ইফাঃ)৪৬শর্তাবলীহাদিস নাম্বার:২৫৪৭ |

মদিনায় থাকাকালেও তিনি নিয়মিত বিরতিতে ওহী বা সুরা ডাউনলোড করা অব্যাহত রাখলেন, যদিও ইসলামি স্কলাররা আবিষ্কার করলেন, মদিনায় অবতীর্ণ সুরাগুলি কিছুটা এগ্রেসিভ ভাষার, কারন নবী নিজেও তখন বেশ এগ্রেসিভ মুডে ছিলেন। তার মনে তখন ছিল তার মাতৃভূমি থেকে বিতাড়িত হওয়ার ক্ষোভ আর প্রতিশোধ স্প্রিহা। তিনি পরপর বেশ কয়েকটি যুদ্ধ করলেন মক্কাবাসীদের সাথে। তিনি একজন ভালো যোদ্ধা না হলেও তার যুদ্ধকৌশল ছিল অসাধারণ। ধর্মীয় নেতা হিসেবে পরিচিত না হলে তিনি সম্ভবত একজন উঁচু মানের যুদ্ধ পরিকল্পনাবিদ হিসেবে ইতিহাসের পাতায় চিরস্থায়ী জায়গা করে নিতেন। তিনি তার সহযোদ্ধা দেরকে পার্থিব সুখ সুবিধা তো দিতেনই, প্রাথমিক মোটিভেশন হিসেবে নানান ধরনের সুখাদ্য আর রুপবতী হুরে পরিপূর্ণ বেহেস্তের লোভেও সবাইকে পার্থিব জীবনে তার পিছনে ধৈর্য ধরে লেগে থাকার জন্য অবিরাম কোরান আর হাদিস জাতীয় বানী আর উপদেশ ঝাড়তে থাকতেন। এসব বানী আর উপদেশগুলির মাধ্যমে তিনি মূলতঃ তার ব্যাক্তিগত পছন্দ অপছন্দই প্রকাশ করতেন। তার নিজস্ব ভোগবিলাস আর বহুগামিতার আসমানি সমর্থনের প্রমান হিসেবে একদা তিনি যখন যত খুশী বিয়ে করার অনুমতিসহ কোরানের ওহী ডাউনলোড করলেন, তখন তার ক্ষীপ্ত প্রিয়তমা স্ত্রী আয়েশা তাকে মুখের উপর বলে দিয়েছিলেন, তোমার আল্লাহর কি খেয়েদেয়ে আর কোন কাজ নাই, যে তুমি কয়টা বিয়ে করবে না করবে, কাকে কখন বিয়ে করবে, কখন তালাক দিয়ে দিবে, সেটা বলে দেয়ার জন্য ওহী পাঠিয়ে দেন! বস্তুতপক্ষে, নবীজী তার তাবৎ উল্টাপাল্টা কাজ করার আত্মসমর্থন বা সেল্ফ এপ্রুভাল মেকানিজম হিসেবে অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে জটিল পরিস্থিতি এড়াতে গিয়ে, ইন্টুইশনের উপর ভিত্তি করে উপস্থিত বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে, তার সিদ্ধান্ত বিনা প্রশ্নে মেনে নেয়ার জন্যে সুবিধা হবে ভেবে, নিজের কথাবার্তাই গায়েবী ষ্টাইলে দ্ব্যার্থবোধক হালকা কাব্যিক ঢংয়ে কোরানের আয়াত ঘোষনা করছেন বলে চালিয়ে দিতেন। আর তার আশেপাশে উপস্থিত গাধা কিংবা চতুর চাটুকারের দল সেসব শুনে, মারহাবা! মারহাবা! বলতে বলতে কলম হাতে নিয়ে গাছের পাতা, বাকল, মাটি বা ধাতব বাসন কোশন, কাপড়, চামড়া, ইত্যাদির গায়ে লিখে রাখতো।

যাইহোক, প্রচুর বিতর্কের অবতারনা করে, প্রচুর ভিন্নধর্মী পরিস্থিতিতে পড়ে তিনি প্রচুর সংখ্যক বিবাহ করে অনেক অমুসলিমকে সুযোগ করে দিয়েছিলেন, তার বৈবাহিক এবং যৌন যীবন নিয়ে কথা তুলে মুসলিমদের মাথা গরম করিয়ে দেয়ার।  কথা হচ্ছে, তখনকার যুগে, এমনকি আজকের জামানাতেও বহুবিবাহ, হেরেমখানা থাকা, এসব আসলে একজন ক্ষমতাবান মানুষের শৌর্য বীর্যের প্রতীক।  এসব সত্য ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষীরা সহী হাদিসের মাধ্যমেই পুরো ঘটনাবলী সবিস্তারে লিখে গেছেন। এসব এখন আর লুকানোর মত তথ্য না, যত লুকাতে চাওয়া হবে, খোঁড়াখুঁড়ি করে তত বেশী অবমাননাকর সত্য ইতিহাস বেরিয়ে আসবে, যেমন শোনা যাচ্ছে নবীজির প্রিয়তমা স্ত্রীর সাথে তার এক দাসেও পরকীয়া প্রেমের ঘটনা।

সর্বশেষ বয়সে এসে নবীজী মক্কাবিজয় করলেন। কাবা গ্রহে তখনকার দিনেও তিনশ ষাটটি মুর্তি ছিল। এর মধ্যে বাছাই করে কয়েকটা মূর্তি রেখে বাকি মুর্তিগুলি ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে মুর্তি ভাঙার যে রেওয়াজ নবীজি চালু করলেন, আজকের জামানায় এসেও, যখন হিন্দুদের পুজার সময় মোল্লারা মুরতি ভাংচুর করে, তখন তাদেরকে দোষ দিয়ে লাভ নেই। কারন, যারা এসব করে, তারা তাদের নবীজির সুন্নত অনুসরণ করেই তা করে।

এদিকে, মক্কা বিজয়ের পর ধর্মীয় স্থিরতা আনার জন্যে আর নতুন কোন মানবসন্তান যেন নিজেকে নবী বলে ঘোষনা দিতে না পারে, আর নতুন কোন ঐশী গ্রন্থ না লিখতে পারে, সেইজন্যে বিদায় হজ্বের ভাষনে নবীজি ঘোষনা করে দিলেন, তার পর আর কোন নবী আসবেনা, আর কোন নতুন  ঐশী গ্রন্থও ডাউনলোড করা যাবেনা। তিনিই শেষ নবী, কোরানই শেষ গ্রন্থ, কেয়ামতের আগ পর্যন্ত এটাই বলবত থাকবে।

তার দুরদৃষ্টি ভালো ছিল। কিন্তু তিনি সম্ভবত পাচ সাতশো বছরের বেশী ভবিষ্যত দেখতে পাননি। তিনি কিছুটা আচ করতে পেরেছিলেন, যে একসময় তার লেখা কোরান নিয়ে প্রচুর হাসাহাসি হবে, মুসলিমেরা হবে সবার অবহেলা, নির্যাতন আর হাসিঠাট্টার পাত্র। সেই দুঃখে তিনি ইয়া উম্মতি ইয়া উম্মতি বলে কান্নাকাটি আর বুকফাটা আর্তনাদ বা বিলাপ করতেন। তা সম্ভবত তিনি আজকের যুগের কথা ভেবেই করতেন। তিনি নিজেকে শেষ নবী ঘোষনা করেছিলেন, খুব সম্ভবত, তিনি চাননি, তার মত আর কেউ নতুন কোন ধরম এনে তার মত চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ে একসময় দ্যা গ্রেটেষ্ট ধান্দাবাজ অফ দ্যা ওয়ার্ল্ড হিসেবে কুখ্যাতি অর্জন করে তার চেয়েও আলোচিত ক্যারেক্টার হয়ে যাক।

তিনি নিজেই আসলে এই ধরমটি চালু করে, আর ধরমটিত বিস্তার ঘটাতে গিয়ে এত ধাপ্পাবাজি, অপকউশল,  যথেষঠ যৌনাচার, ইত্যাদির কারনে অপরাধবোধে ভুগতেন। তাই মৃত্যুর আগেই বেহেস্ত কনফার্ম, এরকম চাপাবাজি সবার সাথে চালিয়ে গেলেও নিজে অতিরিক্ত কিছু এবাদত করতেন এবং তার ম্রিত্যুর পর তার সমস্ত উম্মতদেরকে তার জন্যে প্রতি ওয়াক্ত নামাজে বেশী বেশী করে দোয়া দরুদ পাঠ করতে বলে গেছেন। তিনি মরার পর কবরের আজাবের শাস্তির ভয়ে আতংকিত থাকতেন। সেইজন্যে, বলে গেছেন, ভবিষ্যতে তার নাম নেয়ার সাথে সাথে তার উপর শান্তি বরষন কামনা সূচক কিছু আরবী শব্দ উচ্চারন করতে। অন্য কোন ধর্মীয় রেওয়াজে কোন ধর্মীয় গুরুর নাম উচ্চারনের সাথে সাথে তার শান্তি কামনাসূচক কোন বিজাতীয় শব্দমালা ব্যাবহার করতে হয়না।https://imranshakh.blogspot.com/2020/02/blog-post_24.html


পরিশেষে আসি, মুহাম্মদ কি আসলেই কোন শুভশক্তির শান্তির বারতা নিয়ে আসা ধর্মের প্রবর্তক নাকি নিছক একজন চালাক চতুর ভন্ড এবং সফল রাজনীতিবিদ?

এক্ষেত্রে, আমি সাধারনত শয়তান বা সেরকম দুষ্ট কোন সতবার অস্তিত্বে বিশ্বাস না করলেও, বাই এনি চান্স, আল্লাহ এবং শয়তান নামের বিপরীত চরিত্রের দুটি সতবার কল্পনা করে নিতে হলে, আমার যতদুর মনে হয়, মুহাম্মদ ছিলেন প্রক্রিতপক্ষে সেই অশুভশক্তির উপাসক। আর ইসলাম মানে হচ্ছে শান্তির নামে অশান্তি সৃষ্টিকারী একটি কাল্ট। গুরুত্বপূর্ণ অইতিহাসিক সত্য হচ্ছে, মুহাম্মদ নিজেও কিন্তু কয়েকবার সন্দেহে পড়ে গিয়েছিলেন, তিনি যেসব ওহী ডাউনলোড করছিলেন, সেগুলি কি আল্লাহর বানী, নাকি শয়তানের ধোকা! পরে একসময়, নিজেই নিজেকে আসবস্ত করে ওহী ডাউনলোড করে বলতেন, নবীরা নাকি শয়তানের ধোকার উরধে। আর অন্যদিকে ভেবে দেখলে সহজেই বোঝা যায়, অন্ধকারের উৎস থেকে, একজন দুশ্চরিত্র মানুষের মাধ্যমে আসা ধর্ম ইসলাম কোনকালেই জ্ঞান বিজ্ঞানে উন্নত, শিক্ষিত, সম অধিকারের ভিত্তিতে, সকল ধর্ম বরন নির্বিশেষে মিলে মিশে সবাইকে সন্মান করে, ভালোবেসে জীবন কাটানোর ধর্ম না। এটি মূলতঃ উগ্র পন্থায় একটি জাতিকে ধর্মান্ধ করে ফেলার অপকৌশল, মাইন্ড এঞ্জিনিয়ারিং। ইসলাম মানে দুদিন আগে আর পরে, আমার ধর্ম মেনে নিয়ে, আমার সাথে তাল মিলিয়ে চলতে পারলে ভালো, নইলে ছলে বলে কৌশলে প্রয়োজনে কল্লা কেটে, ভয়ভীতি দেখিয়ে, সন্ত্রাসী করে হলেও আমার ধর্মেই সবাইকে যোগ দিতে হবে। আর ইসলাম বিরোধী বা অন্য ধর্মের মানুষেরা যেহেতু খাঁটি মুমিন না, কাজেই তারা পশুপাখির অধম, তাদেরকে মেরে ফেলা পূন্যের কাজ। - এইগুলি কোন সভ্য সমাজের সুস্থ মানুষের ধর্মে থাকার কথা না। কাজেই, ইসলামকে আমি কোন ধর্মই মনে করিনা। এটি সরাসরি একটি অশুভ শক্তির উপাসক কিছু ধর্মান্ধ মানুষের খুনখারাপিকে বইধতা দেয়ার অমানবিক কাল্ট। এই কাল্টটির ভীতরের সত্যগুলি যত দ্রুত সম্ভব, মানুষের মনে, চিন্তায়, কাজের মধ্যে ঢুকিয়ে মানব সভ্যতাকে ইসলামের রাহুমুক্ত করতে হবে। নতুবা, অচিরেই, গোটা মানবজাতির অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে, অথবা বলা যায়, অলরেডি, আমরা তার প্রচুর আলামত আমাদের চোখের সামনে ঘটে যেতে দেখছি।


2 comments:

  1. মুসলমানদের ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়ে লেখার জন্য তোমার শাস্তি হওয়া উচিত।

    ReplyDelete

Powered by Blogger.