প্রচলিত বোরখা কি আল্লাহর হুকুম ? আল্লায় কুরানে কোন বোরখার কথা বলছে ?
প্রচলিত বোরখা কি আল্লাহর হুকুম ?
আল্লায় কুরানে কোন বোরখার কথা বলেছে ?
বর্তমানে আমাদের দেশে মেয়েদের ফ্যাশানের মধ্যে নতুন আরেক মাত্রা যোগ হয়েছে নাম যার বোরখা হিজাব।
সৌদি আরেবের মেয়েরা যেখানে এই বোরখা হিজাব ছেড়ে বেরিয়ে আসার জন্য আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ,সেখানে আমাদের দেশের মেয়েরা যেন তাদের সাথে পাল্লা দিয়েই এই বোরখা হিজাবের মধ্যে ঢুকে পড়ছে ।
কারন কি?
এটা নিয়ে কথা বলতে গেলে অবশ্য রীতিমতো চমকেও উঠতে হয় ভয়ের কারনে ।
কেননা এটা নিয়ে কোন কথা বললেই আমাদের দেশের ধর্মান্ধ মুমিনেরা বলে থাকে নাস্তিকেরা নারীদের ল্যাঙটা করে রাখতে চায় ঠিক যেমন ওয়েস্টার্ন দেশ গুলিতে নারীরা ছোট ছোট পোশাক তথা ব্রা প্যান্টি পরে কেবলমাত্র তাদের যৌনাঙ্গ এবং স্তন দুটির নিপল ঢেকে চলাফেরা করে আমাদের দেশেও নাস্তিকেরা সেটাই প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
অথচ ঐ চিংড়ি প্রকৃতির মানুষ গুলি ( যাদের মাথা ভর্তি গু গোবর ভরা) একটুও ভাবেনা যে, ওয়েস্টার্ন মেয়েরা কেন ওরকম ছোট ছোট পোশাক পরে চলা ফেরা করে ?
কেন সৌদি আরবের লোকেরা মাথায় পাগড়ী বেধে চলা ফেরা করে , কেন সৌদির মেয়েরা বোরকা পরে চলা ফেরা করে ?
এসবের মূল কারন হচ্ছে আবহাওয়ার পার্থক্য ।তাছাড়া আমাদের দেশের কোন মেয়েই পশ্চিমা দেশের মত ছোট ছোট ব্রা প্যান্টি পরে যৌনাঙ্গ আর স্তনের নিপল ঢেকে চলেনা যে তাই কেউ বোরকা না পরলেই তার সেটা দেখা যাবে।বরং আমাদের দেশের মেয়েরা বোরকার নিচে এমনিতেই সবাই ফরমাল পোশাক পরে চলা ফেরা করে ।যেটার উপরে বোরকা থাক বা না থাক কোনটাতেই সমস্যা নেই।
যাহোক, যারা দীর্ঘদিন সৌদি আরবে থেকে এসেছেন তারা নিশ্চয় খুব ভালো করেই জানেন যে, সেখানকার আবহাওয়াতে কি পরিমান বালু উড়ে বাতাসের সাথে এবং সে বালু গুলি ভর দুপুরের সময় কতটা উত্তপ্ত থাকে ।সেগুলি চোখে মুখে এবং শরীরের মধ্যে লাগলে কি ধরনের পরিস্থিতি হয় তা আপনারা খুব ভালো করেই জানেন,কেননা ওখানের বালুকনা গুলি আমাদের দেশের বালু কনার মত এতটা মিহি এবং ক্ষুদ্র নয় ,বরং অনেক মোটা মোটা ।ফলে সেই উত্তপ্ত বালু উড়ে এসে শরীরে লাগলে অনেক সময় ই শরীরে ফোস্কা পর্যন্ত বসে যায় ।আর তাই সেই উত্তপ্ত বালু থেকে শরীর বাচিয়ে চলার জন্যই তারা মুলত এই বোরকা এবং পাগড়ীর আবিস্কার করেছিল;
কিন্তু আমাদের দেশে কি সেরুকম কোন পরিস্থিতি আছে ?
- না , নেই ।
বরং সৌদি আরবের চেয়ে আমাদের দেশের দেশের আবহাওয়া আরো বেশি ভয়াবহ ।আর সেটা হচ্ছে সৌদি আরবের আবহাওয়া অত্যধিক গরম হলেও সেখানে বাতাসে জলীয় বাস্পের পরিমান নেই ।ফলে শরীরে গরম তাপ অনুভুত হলেও আমাদের দেশের মত এত পরিমানে সেখানে শরীর ঘামেনা ।কিন্তু আমাদের দেশের আবহাওয়া কিছুটা নাশীতোষ্ণ টাইপের হলেও এখানের বাতাসে পর্যাপ্ত জলীয় বাস্পের কারনেই মুলত একাধিক পোশাক পরলে ঘেমে শরীর ভিজে যায়।
এই কারনেই মূলত বোরকা না পরা ই ভালো আমাদের দেশে ।
কেননা ওখানে সৌদির মেয়েরা যেভাবে বোরকা পরে চলাফেরা করতে পারে আমাদের দেশের মেয়েরা সেভাবে বোরকা পরে চলা ফেরা করতে পারবেনা ।কেননা অধিকাংশ সৌদি নারীদের দেখা যায় সাধারনত ঘরের মধ্যে যযে পোশাকেই থাকে সেই পোশাকের উপরেই কেবল বোরকা জড়িয়ে বাইরে বেরিয়ে চলে আসে ।এতে তাদের তেমন কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়না।
আর তার পিছনের সবচাইতে প্রধান কারন হচ্ছে ওটাই ,মানে শরীর তেমন ঘামেনা ।ফলে বোরকার নিচে কি আছে সেটা তেমন বোঝা যায়না ,কারন বোরকা শরীরের সাথে মিশে থাকেনা যেটা আমদের দেশের মেয়েদের বা ছেলেদের শরীরে ঘামে ভিজে কাপড় চোপড় শরীরের সাথে মিশে গেলে পুরো শরীরের অবয়বই ফুটে উঠে ।
তারপরেও কে কি পরবে না পরবে সেটা একান্তই তার নিজের পছন্দ সেটা নিয়ে আমি কখনই মন্তব্য করিনা কাউকে নিয়ে ।এমনকি আমার পরিবারের কেউও বোরকা পরলেও আমি বিরোধিতা করিনা ।
কারন একেক যায়গায় একেকটা পোশাকের প্রচলন চলে ।যার যেটা ভালো লাগে সে সেটা পরবে ।
তাছাড়া বর্তমানে আমাদের দেশে যেসকল বোরকা বেরিয়েছে ,যেসকল বোরকা মেয়েরা পরে চলা ফেলা করে তাতে সেগুলির প্রতি আরো বেশিই নজর কাড়ে সাধারন কোন পোশাকে চলা কোন মেয়ের চাইতে ।কেননা সেগুলির অসাধরন কারুকাজ,ডিজাইন এবং ভ্যারাইটিজ কালার ।
তো এতসবের পরেও মাঝে মাঝেই দু একটা কথা না বলেও পারা যায়না এই বোরকার বিরুদ্ধে ,যদিও এই বোরকার রয়েছে নানাবিধ সুবিধা ।
যেমনঃ
১. ঘরের মধ্যে মেয়েরা যে যেই পরিবেশে, যেই পোশাকেই থাকুকনা কেন ,সেই পোশাকের উপরেই কেবল বোরকাটা পরেই বাইরে চলে আসা যায় দ্রুত ।তাতে নিচের পোশাকটা ছেড়া ফাটা যা ই হোক কোন সমস্যা নেই।
২. যেহেতু আমাদের দেশের একটা মৌসুমে প্রচুর পরিমানে ধুলাবালু উড়তে থাকে বাতাসে , রাস্তায় জ্যামে বসে থাকলে ধুলা বালুতে শরীর সাদা হয়ে যায়, সেহেতু বোরকা থাকলে নিচের পোশাকটা ময়লা হওয়া থেকে বেচে গেল।
এবং যেহেতু আরেকটা মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়,রাস্তায় বেরোলেই কাদাপানি ছিটে এসে কাপড়ে লেগে নষ্ট করে দেয় , সেহেতু কাপড়ের উপরে বোরকা থাকলে আর সেই সম্ভাবনাও নাই ।
৩. এই বোরকাকে ব্যবহার করেই যেকোন আকাম কুকাম করা খুব সহজ ।যেমন বাবা ভাই কিংবা পরিচিত জনকে ফাকি দিয়ে লাভারের সাথে ডেট করার ক্ষেত্রে এই বোরকাই বেশি সহায় হয়।
৪. খুন খারাবী থেকে শুরু করে মাদক পাচার , যৌনকর্মী হিসাবে কাজ করা। নারী ও শিশু পাচারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সহায়ক এই বোরকা হিজাব নামক পোশাকটি ।
সম্ভবত এই ৪টি কাজের সুবিধার্তেই বাংলাদেশের মেয়েরা দিনেদিনে বোরকার মধ্যেই ঢুকছে স্বেচ্ছায়
যাহোক, আমি বা আমরা কখনোই এই বোরকা নিয়ে কটু কথা কিংবা বিরোধিতা করতামনা যদি না এই পোশাককে ব্যবহার করে মানুষে এত অপকর্মের সুযোগ না নিত।
তাদের এই পোশাক ব্যবহার করে অপকর্ম করার কারনেই মাঝে মাঝেই এই পোশাক নিয়ে বিরোধিতা করতে হয় ,কেননা বিরুদ্ধচারনটা অটোমেটিক চলেই আসে ।এরমানে এই নয় যে আমরা আমাদের দেশের মেয়েদের বা নারীদের রাস্তাঘাটে ল্যাঙটা দেখতে চাই।লজ্জা ঢাকার জন্য কেবল এই বোরকা আর হিজাবই নয়, এর বাইরেও সাধারন এবং স্বাভাবিক পোশাক দিয়েও নিজেকে সুন্দর মত ঢেকে রাখা যায় ওড়না দিয়ে ।
যাহোক, আমি আর কথা না বাড়িয়ে সরাসরি আলোচনায় চলে যেতে চাই যে, যারা বা যেসকল মুমিন মুসলমানেরা আমাদের দেশের নারীদের বোরকা এবং হিজাবের মধ্যে রাখতে চান তারা আসলে আপনাদের কুরানের কথা কতটা জানেন এবং মানেন ?
আপনারা আজকে আমাদের দেশের নারীদের যেভাবে বোরকা হিজাব পরতে বলেন তাতে সেটা কি কুরানের সাজেস্ট করা বোরকা হিজাব ?
কুরানে কি এই বোরকা হিজাবের কথা বলা হয়েছে নাকি ভিন্ন কিছু?
‘হিজাব’ (حِجَابٌ) শব্দ দ্বারা মুসলিম নারীদের সারা শরীর ঢেকে রাখার জন্য ব্যবহৃত পোশাককে বোঝায়।
Al-Ahzab 33:53
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَدْخُلُوا۟ بُيُوتَ ٱلنَّبِىِّ إِلَّآ أَن يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَىٰ طَعَامٍ غَيْرَ نَٰظِرِينَ إِنَىٰهُ وَلَٰكِنْ إِذَا دُعِيتُمْ فَٱدْخُلُوا۟ فَإِذَا طَعِمْتُمْ فَٱنتَشِرُوا۟ وَلَا مُسْتَـْٔنِسِينَ لِحَدِيثٍۚ إِنَّ ذَٰلِكُمْ كَانَ يُؤْذِى ٱلنَّبِىَّ فَيَسْتَحْىِۦ مِنكُمْۖ وَٱللَّهُ لَا يَسْتَحْىِۦ مِنَ ٱلْحَقِّۚ وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَٰعًا فَسْـَٔلُوهُنَّ مِن وَرَآءِ حِجَابٍۚ ذَٰلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّۚ وَمَا كَانَ لَكُمْ أَن تُؤْذُوا۟ رَسُولَ ٱللَّهِ وَلَآ أَن تَنكِحُوٓا۟ أَزْوَٰجَهُۥ مِنۢ بَعْدِهِۦٓ أَبَدًاۚ إِنَّ ذَٰلِكُمْ كَانَ عِندَ ٱللَّهِ عَظِيمًا
হে মুমিনগণ, তোমরা নবীর ঘরসমূহে প্রবেশ করো না; অবশ্য যদি তোমাদেরকে খাবারের অনুমতি দেয়া হয় তাহলে (প্রবেশ কর) খাবারের প্রস্ত্ততির জন্য অপেক্ষা না করে। আর যখন তোমাদেরকে ডাকা হবে তখন তোমরা প্রবেশ কর এবং খাবার শেষ হলে চলে যাও আর কথাবার্তায় লিপ্ত হয়ো না; কারণ তা নবীকে কষ্ট দেয়, সে তোমাদের বিষয়ে সঙ্কোচ বোধ করে; কিন্তু আল্লাহ সত্য প্রকাশে সঙ্কোচ বোধ করেন না। আর যখন নবীপত্নীদের কাছে তোমরা কোন সামগ্রী চাইবে তখন পর্দার আড়াল থেকে চাইবে; এটি তোমাদের ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্র। আর আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া এবং তার (মৃত্যুর) পর তার স্ত্রীদেরকে বিয়ে করা কখনো তোমাদের জন্য সঙ্গত নয়। নিশ্চয় এটি আল্লাহর কাছে গুরুতর পাপ।
। যাই হোক , আল্লাহ্ কুরআনে নারীদের পোষাক কেমন হবে সে বিষয়ে বিষদ আলোচনা করেছেন ।
নিচে তা আলোচনা করব ।
সৌদি আরেবের মেয়েরা যেখানে এই বোরখা হিজাব ছেড়ে বেরিয়ে আসার জন্য আপ্রান চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ,সেখানে আমাদের দেশের মেয়েরা যেন তাদের সাথে পাল্লা দিয়েই এই বোরখা হিজাবের মধ্যে ঢুকে পড়ছে ।
কারন কি?
এটা নিয়ে কথা বলতে গেলে অবশ্য রীতিমতো চমকেও উঠতে হয় ভয়ের কারনে ।
কেননা এটা নিয়ে কোন কথা বললেই আমাদের দেশের ধর্মান্ধ মুমিনেরা বলে থাকে নাস্তিকেরা নারীদের ল্যাঙটা করে রাখতে চায় ঠিক যেমন ওয়েস্টার্ন দেশ গুলিতে নারীরা ছোট ছোট পোশাক তথা ব্রা প্যান্টি পরে কেবলমাত্র তাদের যৌনাঙ্গ এবং স্তন দুটির নিপল ঢেকে চলাফেরা করে আমাদের দেশেও নাস্তিকেরা সেটাই প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
অথচ ঐ চিংড়ি প্রকৃতির মানুষ গুলি ( যাদের মাথা ভর্তি গু গোবর ভরা) একটুও ভাবেনা যে, ওয়েস্টার্ন মেয়েরা কেন ওরকম ছোট ছোট পোশাক পরে চলা ফেরা করে ?
কেন সৌদি আরবের লোকেরা মাথায় পাগড়ী বেধে চলা ফেরা করে , কেন সৌদির মেয়েরা বোরকা পরে চলা ফেরা করে ?
এসবের মূল কারন হচ্ছে আবহাওয়ার পার্থক্য ।তাছাড়া আমাদের দেশের কোন মেয়েই পশ্চিমা দেশের মত ছোট ছোট ব্রা প্যান্টি পরে যৌনাঙ্গ আর স্তনের নিপল ঢেকে চলেনা যে তাই কেউ বোরকা না পরলেই তার সেটা দেখা যাবে।বরং আমাদের দেশের মেয়েরা বোরকার নিচে এমনিতেই সবাই ফরমাল পোশাক পরে চলা ফেরা করে ।যেটার উপরে বোরকা থাক বা না থাক কোনটাতেই সমস্যা নেই।
যাহোক, যারা দীর্ঘদিন সৌদি আরবে থেকে এসেছেন তারা নিশ্চয় খুব ভালো করেই জানেন যে, সেখানকার আবহাওয়াতে কি পরিমান বালু উড়ে বাতাসের সাথে এবং সে বালু গুলি ভর দুপুরের সময় কতটা উত্তপ্ত থাকে ।সেগুলি চোখে মুখে এবং শরীরের মধ্যে লাগলে কি ধরনের পরিস্থিতি হয় তা আপনারা খুব ভালো করেই জানেন,কেননা ওখানের বালুকনা গুলি আমাদের দেশের বালু কনার মত এতটা মিহি এবং ক্ষুদ্র নয় ,বরং অনেক মোটা মোটা ।ফলে সেই উত্তপ্ত বালু উড়ে এসে শরীরে লাগলে অনেক সময় ই শরীরে ফোস্কা পর্যন্ত বসে যায় ।আর তাই সেই উত্তপ্ত বালু থেকে শরীর বাচিয়ে চলার জন্যই তারা মুলত এই বোরকা এবং পাগড়ীর আবিস্কার করেছিল;
কিন্তু আমাদের দেশে কি সেরুকম কোন পরিস্থিতি আছে ?
- না , নেই ।
বরং সৌদি আরবের চেয়ে আমাদের দেশের দেশের আবহাওয়া আরো বেশি ভয়াবহ ।আর সেটা হচ্ছে সৌদি আরবের আবহাওয়া অত্যধিক গরম হলেও সেখানে বাতাসে জলীয় বাস্পের পরিমান নেই ।ফলে শরীরে গরম তাপ অনুভুত হলেও আমাদের দেশের মত এত পরিমানে সেখানে শরীর ঘামেনা ।কিন্তু আমাদের দেশের আবহাওয়া কিছুটা নাশীতোষ্ণ টাইপের হলেও এখানের বাতাসে পর্যাপ্ত জলীয় বাস্পের কারনেই মুলত একাধিক পোশাক পরলে ঘেমে শরীর ভিজে যায়।
এই কারনেই মূলত বোরকা না পরা ই ভালো আমাদের দেশে ।
কেননা ওখানে সৌদির মেয়েরা যেভাবে বোরকা পরে চলাফেরা করতে পারে আমাদের দেশের মেয়েরা সেভাবে বোরকা পরে চলা ফেরা করতে পারবেনা ।কেননা অধিকাংশ সৌদি নারীদের দেখা যায় সাধারনত ঘরের মধ্যে যযে পোশাকেই থাকে সেই পোশাকের উপরেই কেবল বোরকা জড়িয়ে বাইরে বেরিয়ে চলে আসে ।এতে তাদের তেমন কোন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়না।
আর তার পিছনের সবচাইতে প্রধান কারন হচ্ছে ওটাই ,মানে শরীর তেমন ঘামেনা ।ফলে বোরকার নিচে কি আছে সেটা তেমন বোঝা যায়না ,কারন বোরকা শরীরের সাথে মিশে থাকেনা যেটা আমদের দেশের মেয়েদের বা ছেলেদের শরীরে ঘামে ভিজে কাপড় চোপড় শরীরের সাথে মিশে গেলে পুরো শরীরের অবয়বই ফুটে উঠে ।
তারপরেও কে কি পরবে না পরবে সেটা একান্তই তার নিজের পছন্দ সেটা নিয়ে আমি কখনই মন্তব্য করিনা কাউকে নিয়ে ।এমনকি আমার পরিবারের কেউও বোরকা পরলেও আমি বিরোধিতা করিনা ।
কারন একেক যায়গায় একেকটা পোশাকের প্রচলন চলে ।যার যেটা ভালো লাগে সে সেটা পরবে ।
তাছাড়া বর্তমানে আমাদের দেশে যেসকল বোরকা বেরিয়েছে ,যেসকল বোরকা মেয়েরা পরে চলা ফেলা করে তাতে সেগুলির প্রতি আরো বেশিই নজর কাড়ে সাধারন কোন পোশাকে চলা কোন মেয়ের চাইতে ।কেননা সেগুলির অসাধরন কারুকাজ,ডিজাইন এবং ভ্যারাইটিজ কালার ।
তো এতসবের পরেও মাঝে মাঝেই দু একটা কথা না বলেও পারা যায়না এই বোরকার বিরুদ্ধে ,যদিও এই বোরকার রয়েছে নানাবিধ সুবিধা ।
যেমনঃ
১. ঘরের মধ্যে মেয়েরা যে যেই পরিবেশে, যেই পোশাকেই থাকুকনা কেন ,সেই পোশাকের উপরেই কেবল বোরকাটা পরেই বাইরে চলে আসা যায় দ্রুত ।তাতে নিচের পোশাকটা ছেড়া ফাটা যা ই হোক কোন সমস্যা নেই।
২. যেহেতু আমাদের দেশের একটা মৌসুমে প্রচুর পরিমানে ধুলাবালু উড়তে থাকে বাতাসে , রাস্তায় জ্যামে বসে থাকলে ধুলা বালুতে শরীর সাদা হয়ে যায়, সেহেতু বোরকা থাকলে নিচের পোশাকটা ময়লা হওয়া থেকে বেচে গেল।
এবং যেহেতু আরেকটা মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়,রাস্তায় বেরোলেই কাদাপানি ছিটে এসে কাপড়ে লেগে নষ্ট করে দেয় , সেহেতু কাপড়ের উপরে বোরকা থাকলে আর সেই সম্ভাবনাও নাই ।
৩. এই বোরকাকে ব্যবহার করেই যেকোন আকাম কুকাম করা খুব সহজ ।যেমন বাবা ভাই কিংবা পরিচিত জনকে ফাকি দিয়ে লাভারের সাথে ডেট করার ক্ষেত্রে এই বোরকাই বেশি সহায় হয়।
৪. খুন খারাবী থেকে শুরু করে মাদক পাচার , যৌনকর্মী হিসাবে কাজ করা। নারী ও শিশু পাচারের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সহায়ক এই বোরকা হিজাব নামক পোশাকটি ।
সম্ভবত এই ৪টি কাজের সুবিধার্তেই বাংলাদেশের মেয়েরা দিনেদিনে বোরকার মধ্যেই ঢুকছে স্বেচ্ছায়
যাহোক, আমি বা আমরা কখনোই এই বোরকা নিয়ে কটু কথা কিংবা বিরোধিতা করতামনা যদি না এই পোশাককে ব্যবহার করে মানুষে এত অপকর্মের সুযোগ না নিত।
তাদের এই পোশাক ব্যবহার করে অপকর্ম করার কারনেই মাঝে মাঝেই এই পোশাক নিয়ে বিরোধিতা করতে হয় ,কেননা বিরুদ্ধচারনটা অটোমেটিক চলেই আসে ।এরমানে এই নয় যে আমরা আমাদের দেশের মেয়েদের বা নারীদের রাস্তাঘাটে ল্যাঙটা দেখতে চাই।লজ্জা ঢাকার জন্য কেবল এই বোরকা আর হিজাবই নয়, এর বাইরেও সাধারন এবং স্বাভাবিক পোশাক দিয়েও নিজেকে সুন্দর মত ঢেকে রাখা যায় ওড়না দিয়ে ।
যাহোক, আমি আর কথা না বাড়িয়ে সরাসরি আলোচনায় চলে যেতে চাই যে, যারা বা যেসকল মুমিন মুসলমানেরা আমাদের দেশের নারীদের বোরকা এবং হিজাবের মধ্যে রাখতে চান তারা আসলে আপনাদের কুরানের কথা কতটা জানেন এবং মানেন ?
আপনারা আজকে আমাদের দেশের নারীদের যেভাবে বোরকা হিজাব পরতে বলেন তাতে সেটা কি কুরানের সাজেস্ট করা বোরকা হিজাব ?
কুরানে কি এই বোরকা হিজাবের কথা বলা হয়েছে নাকি ভিন্ন কিছু?
‘হিজাব’ (حِجَابٌ) শব্দ দ্বারা মুসলিম নারীদের সারা শরীর ঢেকে রাখার জন্য ব্যবহৃত পোশাককে বোঝায়।
Al-Ahzab 33:53
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ لَا تَدْخُلُوا۟ بُيُوتَ ٱلنَّبِىِّ إِلَّآ أَن يُؤْذَنَ لَكُمْ إِلَىٰ طَعَامٍ غَيْرَ نَٰظِرِينَ إِنَىٰهُ وَلَٰكِنْ إِذَا دُعِيتُمْ فَٱدْخُلُوا۟ فَإِذَا طَعِمْتُمْ فَٱنتَشِرُوا۟ وَلَا مُسْتَـْٔنِسِينَ لِحَدِيثٍۚ إِنَّ ذَٰلِكُمْ كَانَ يُؤْذِى ٱلنَّبِىَّ فَيَسْتَحْىِۦ مِنكُمْۖ وَٱللَّهُ لَا يَسْتَحْىِۦ مِنَ ٱلْحَقِّۚ وَإِذَا سَأَلْتُمُوهُنَّ مَتَٰعًا فَسْـَٔلُوهُنَّ مِن وَرَآءِ حِجَابٍۚ ذَٰلِكُمْ أَطْهَرُ لِقُلُوبِكُمْ وَقُلُوبِهِنَّۚ وَمَا كَانَ لَكُمْ أَن تُؤْذُوا۟ رَسُولَ ٱللَّهِ وَلَآ أَن تَنكِحُوٓا۟ أَزْوَٰجَهُۥ مِنۢ بَعْدِهِۦٓ أَبَدًاۚ إِنَّ ذَٰلِكُمْ كَانَ عِندَ ٱللَّهِ عَظِيمًا
হে মুমিনগণ, তোমরা নবীর ঘরসমূহে প্রবেশ করো না; অবশ্য যদি তোমাদেরকে খাবারের অনুমতি দেয়া হয় তাহলে (প্রবেশ কর) খাবারের প্রস্ত্ততির জন্য অপেক্ষা না করে। আর যখন তোমাদেরকে ডাকা হবে তখন তোমরা প্রবেশ কর এবং খাবার শেষ হলে চলে যাও আর কথাবার্তায় লিপ্ত হয়ো না; কারণ তা নবীকে কষ্ট দেয়, সে তোমাদের বিষয়ে সঙ্কোচ বোধ করে; কিন্তু আল্লাহ সত্য প্রকাশে সঙ্কোচ বোধ করেন না। আর যখন নবীপত্নীদের কাছে তোমরা কোন সামগ্রী চাইবে তখন পর্দার আড়াল থেকে চাইবে; এটি তোমাদের ও তাদের অন্তরের জন্য অধিকতর পবিত্র। আর আল্লাহর রাসূলকে কষ্ট দেয়া এবং তার (মৃত্যুর) পর তার স্ত্রীদেরকে বিয়ে করা কখনো তোমাদের জন্য সঙ্গত নয়। নিশ্চয় এটি আল্লাহর কাছে গুরুতর পাপ।
। যাই হোক , আল্লাহ্ কুরআনে নারীদের পোষাক কেমন হবে সে বিষয়ে বিষদ আলোচনা করেছেন ।
নিচে তা আলোচনা করব ।
প্রথমেই আমদের দেখা উচিৎ যে আল্লাহ্ পোশাকের উদ্দেশ্য কি , সেই সম্বন্ধে কি বলেছেনঃ
“হে আদাম সন্তান! আমি তোমাদেরকে পোষাক-পরিচ্ছদ দিয়েছি তোমাদের লজ্জাস্থান আবৃত করার জন্য এবং শোভা বর্ধনের জন্য। আর তাকওয়ার পোশাক হচ্ছে সর্বোত্তম পোশাক। ওটা আল্লাহর নিদর্শনসমূহের মধ্যে একটি যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে। ” (৭:২৬)
Al-A'raf 7:26
يَٰبَنِىٓ ءَادَمَ قَدْ أَنزَلْنَا عَلَيْكُمْ لِبَاسًا يُوَٰرِى سَوْءَٰتِكُمْ وَرِيشًاۖ وَلِبَاسُ ٱلتَّقْوَىٰ ذَٰلِكَ خَيْرٌۚ ذَٰلِكَ مِنْ ءَايَٰتِ ٱللَّهِ لَعَلَّهُمْ يَذَّكَّرُونَ
হে বনী আদম, আমি তো তোমাদের জন্য পোশাক অবতীর্ণ করেছি, যা তোমাদের লজ্জাস্থান ঢাকবে এবং যা সৌন্দর্যস্বরূপ। আর তাকওয়ার পোশাক, তা উত্তম। এগুলো আল্লাহর আয়াতসমূহের অন্তর্ভুক্ত। যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
উপরের আয়াতটি নারী ও পুরষ উভয়ের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য কেননা আয়াতে সকল আদম সন্তান কে উদ্দেশ্য করে কথা বলা হয়েছে ।
আয়াতে পোষাক পরিধানের প্রধান দুটি কারন হচ্ছেঃ
ক) লজ্জা স্থান ঢাকা ।
খ) শোভা বর্ধন করা ।
মানব শরীরের কোন কোন অংশ লজ্জা স্থানের অন্তর্ভূক্ত তা বলার কোন প্রয়োজন এখানে নাই , কারন তা সবারই জানা । শুধু এইটুকু যোগ করতে চাই যে মানব শরীরের হাত , পা, মুখ , চুল কি লজ্জা স্থানের অন্তর্ভূক্ত ? এর উত্তরও সবার জানা । মানব শরীরের ঐ অংশগুল মোটেও লজ্জা স্থানের অংশ নয় , তাই ৭:২৬ এর হুকুম এই অংশগুলোর জন্য প্রযোজ্য নয় ।
লক্ষ্য করুন , কুরআনের ওজু সংক্রান্ত আয়াতে (৫:৬) প্রত্যহ প্রত্যেক মুসলিম নারী ও পুরুষকে সালাতের সময় হলেই নীচের কায়দায় ওযু করতে হয়ঃ
ক) মুখ মণ্ডল ধৌত করা ।
খ) হাতের কনুই পর্যন্ত ধৌত করা ।
গ) মাথা মাসেহ করা ।
ঘ) পায়ের গিড়া পর্যন্ত মাসেহ করা ।
শরীরের যে অংশগুলো ঢাকা থাকলে তা বার বার অনাবৃত করে আল্লাহর হুকুম পালন করা কষ্টকর তা প্রকৃত পক্ষেই যে আল্লাহর হুকুম নয় তা যৌক্তিক ভাবে বোধগম্য ।
তাই আয়াত ৭:২৬ ও আয়াত ৫:৬ পাশাপাশি নিয়ে আসলে সহজেই অনুমিত হয় যে মহান আল্লাহ্ পোষাক পরিধানের হুকুম দিয়েছেন শরীরের শুধু লজ্জা স্থান ঢাকার জন্য , অন্য কোন অংশ ঢাকার জন্য নয় ।
এর পাশাপাশি বিশেষতঃ নারীদের পোষাক রীতি সম্পর্কে কুরআনের ২৪:৩১ ও ৩৩:৫৯ আয়াত দুইটি খুবই গুরুত্বপূর্ন ।
২৪:৩১ বেশ বড় আয়াত , তাই এর শুধু আনুষাঙ্গিক অংশটুকু তুলে ধরলামঃ
وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ
“আর মুমিন নারীদেরকে বল, যেন তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হিফাযত করে। আর যা সাধারণত প্রকাশ পায় তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য তারা প্রকাশ করবে না। তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। ....... ”
আয়াতে যে বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্নঃ
ক) নারীদের লজ্জা স্থানের হেফাজত করতে হবে । ৭:২৬ ইতিমধ্যেই বলা হয়েছে পোষাক হচ্ছে লজ্জা স্থান ঢাকার একটা উপায় যা পরিণামে লজ্জা স্থান হেফাজত করে ।
খ) যা সাধারণতঃ প্রকাশযোগ্য – যা কিনা লজ্জা স্থানের অংশ নয় – যা কিনা প্রত্যহ নারীদেরকে ওযুর জন্য প্রকাশ করতে বাধ্য , তা ছাড়া শরীরের বাকী অংশ আবরণযোগ্য ।
গ) আয়াতে ِخُمُر দ্বারা সাধারণ আচ্ছাধন কারি ওড়না বা এক টুকরো কাপড় এর কথা বলা হয়েছে । এই ِخُمُر বেশির ভাগ অনুবাদ ‘ Head Scarf’ করা হয়েছে , যা একটা ডাহা মিথ্যা অনুবাদ । আয়াতের পরের অংশ পরিষ্কার করে দিয়েছে যে কি কারনে এই ওড়না ব্যবহৃত হবে । “بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ” - তারা যেন তাদের ওড়না দিয়ে বক্ষদেশকে আবৃত করে রাখে। এখানে মাথা ঢাকার কোন হুকুম এই আয়াতে নেই । আয়াতে ‘جُيُوبِ’ এর মানে যে বক্ষ তা কোরআনের অন্যান্য আয়াত থেকেও জানা যায় (২৭:১২,২৮:৩২)
কুরআনের ৩৩:৫৯ আয়াতেও নারীদের পোষাক সম্বন্ধে আরেকটি গুরুত্ব পূর্ন তথ্য পাওয়া যায়ঃ
“হে নবী, তুমি তোমার স্ত্রীদেরকে, কন্যাদেরকে ও মুমিনদের নারীদেরকে বল, ‘তারা যেন তাদের আচ্ছাদনের কিছু অংশ নিজেদের উপর ঝুলিয়ে দেয়, তাদেরকে চেনার ব্যাপারে এটাই সবচেয়ে কাছাকাছি পন্থা হবে। ফলে তাদেরকে কষ্ট দেয়া হবে না। আর আল্লাহ অত্যন্ত ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।”
আয়াতে যা লক্ষ্যনীয়ঃ
ক) শরীরের উপর আচ্ছাদন কে নীচের দিকে ঝুলিয়ে দিতে হবে । আয়াতে يُدْنِينَ দ্বারা নীচের দিকে ঝুলানো বোঝায় (যেমনঃ ৬:৯৯) ।
খ) আচ্ছাদন কে এমন ভাবে ঝুলাতে হবে যেন তাদেরকে চেনা যায় । প্রচলিত বোরখা যেভাবে পড়া হয় যাতে মুখ ঢাকা হয় তাতে এই আয়াতের বিরোধিতা হয় , কেননা মুখ ঢাকলে কারা মুমিনদের স্ত্রী বা কন্যা তা চিনা সম্ভব নয় ।
উপসংহারঃ কুরআনের ৭:২৬ , ৫:৬ , ২৪:৩১ এবং ৩৩:৫৯ কে একত্রে পড়লে নারীদের পোষাক এর বিষয়ে নিম্নোক্ত হুকুমগুল পরিষ্কার হয়ঃ
১- নারীদের লজ্জা স্থান সমূহ উত্তম রূপে আবৃত করতে হবে ।
২- নারীদের বক্ষাদেশ লজ্জা স্থানের অংশ নয় কিন্তু সৌন্দর্যের ও আকর্ষনের অংশ , তাই তা উত্তম রূপে আবৃত করতে হবে ।
৩- যা আপাত আবরণযোগ্য নয় বরং যা প্রকাশ করা অপরিহার্য , যেমনঃ মাথা , মুখ , হাতের কনুই পর্যন্ত , পায়ের গিড়া পর্যন্ত তা পর্দার অন্তর্ভূক্ত নয় । এগুলো খোলা রাখলে আল্লাহর হুকুমের খেলাফ হবে না ।
৪- নারীদের পোষাক নীচের দিকে ঝুলিয়ে পড়তে হবে যেন বক্ষদেশ থেকে শুরু করে নিম্নাচলের অংশ সমূহ উত্তম রূপে আচ্ছাদিত হয় ।
কেউ যদি আপাদমস্তক বোরখা পড়েন , হাত মোজা , পা মোজা পড়েন – তা তাদের ব্যক্তিগত এখতিয়ার । তবে এটাও বোঝা দরকার যে উপরের শর্তগুলো মেনে সাল্ওয়ার-কামিজ , শাড়ি , প্যান্ট শার্ট বা স্কার্ট যারা পড়েন তারা যে বেপর্দা এটা ভাবাও ঠিক না । বাকী বেহায়াপনা বা অশ্লিলতা সম্পন্ন পোষাক শুধু ইসলাম কেন সব ধর্মেই নিন্দনীয় বলে আমার বিশ্বাস ।
No comments