Header Ads

Header ADS

মুহাম্মদের নাম উচ্চারন করলে সাথে সাথে কেন বলতে হয় তার উপরে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক?

মুহাম্মদের নাম উচ্চারন করলে সাথে সাথে কেন বলতে হয় তার উপরে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক?

Image result for picture of prophet muhammad

মুহাম্মদ সারা পৃথিবীর সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব। তার নাম উচ্চারনের সাথে সাথে বলতে হয় সাল্লালাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম  অর্থাৎ তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক। মুহাম্মদের মৃত্যূর পর থেকেই এই রীতিটি চালু করা হয় , কিন্তু কেন ?
মুসলিমরা বলে, তারা মুহাম্মদের প্রতি সন্মান দেখানোর জন্য এই বাক্যটি বলে। আসলেই কি তাই? যাকে আল্লাহর সবচেয়ে বড় বন্ধু হিসেবে প্রচার করা হয়, তার উপর শান্তি বর্ষন কামনা করার দরকার কি কারনে? তিনি তো এমনিতেই যথেষ্ট শান্তিতে থাকার কথা!
সহজ বুদ্ধিতে যা অনুমান করা যায় তা হচ্ছে, মুহাম্মদের নিষ্ঠুরতা আর যৌনজীবনের ইতিহাস জানার পর, সেযুগের ইসলামের সুবিধাভোগীরা বুঝে গিয়েছিল আল্লাহ বলে সত্যিই কোন ন্যায়বিচারক থাকলে মুহাম্মদের জন্য নিশ্চিত ভাবেই বরাদ্দ হবে কঠিনতম শাস্তি, যার অনেক আলামত দেখা গিয়েছিল মুহাম্মদের মৃত্যূর আগে থেকেই। সেজন্যেই আজ পর্যন্ত মুহাম্মদের নাম উল্লেখ করার সাথে সাথে বলা হয়, তার উপর শান্তি বর্ষিত হোক বা Peace be upon him."

Image result for picture of prophet muhammad

প্রত্যেক নামাজ শেষে যে দরুদ পড়া হয়, সেটাও এই শান্তি বর্ষন কামনারই প্রলম্বিত ভার্সন। ইমামরা যে মোনাজাত পড়েন, তারও একটা অংশ হয় এরকম -
এই নামাজের নেকির বরকত পৌঁছে দেয়া হোক নবীর রওজা মোবারকে, সোনার মদিনায়। পৃথিবীর আর কোন মহামানবের নামের শেষে এরকম গৎবাঁধা শ্লোক বলা হয়না। কোন মৃত মহামানব বা সাধারন মানুষের জন্য এতোবেশী প্রার্থনা করা হয় না। আরো প্রমান লাগবে? দিচ্ছি। আজান শেষে যে দোয়াটি পড়া হয়, লক্ষ্য করেছেন? মুহাম্মদ (সঃ) কে অধিষ্ঠিত কর বেহেস্তের সর্বোচ্চ সন্মানিত স্হানে, যার প্রতিশ্রুতি তুমি তাকে দিয়েছো।
Image result for নবী মুহাম্মদের ছবি

 অর্থাৎ, নবি তার বেহেশতের সবচেয়ে উঁচু জায়গাটি অর্জন করা সংক্রান্ত যেসব বানী প্রচার করে গিয়েছিলেন, সেবিষয়ে সয়ং আল্লাকেও তার প্রতিশ্রুতির কথা মনে করিয়ে দেয়া হয়। সেইসাথে, নিশ্চয়ই তুমি ভঙ্গ করনা অঙ্গীকার! -কথাটি বলে সন্দেহ করা হয়, নবী যেসব কান্ডকারখানা করে গেছেন, তার পরিপ্রেক্ষিতে আল্লাহ যেন আবার তার প্রতিশ্রুতির বাইরে অন্য কিছু করে না ফেলেন। এবিষয়ে একটা সম্ভাবনার কথাই মনে হয় - শুধু নিজ জীবনে করে যাওয়া পাপের জন্যই না, সেইসাথে সমগ্র মুসলিম জাতিকে বিভ্রান্ত করার জন্য, সারা পৃথিবীতে প্রচুর অনাচারের পথ প্রদর্শনের জন্য, আর ঈশ্বরের নামে সন্ত্রাসী কাজের মূল নির্দেশিকা কোরান রচনা করার জন্য আর ধর্মের নামে অধর্মের চুড়ান্ত করার উৎস হিসেবে একজন মানুষকেও যদি চরম শাস্তি দেয়া হয়, তিনি হবেন মুহাম্মদ। আর বাদবাকি মুসলিম আর মুহাম্মদের মাধ্যমে বিভ্রান্তরা তাদের বিচারবুদ্ধি লোপ পাওয়ার কারন দেখিয়ে ক্ষমা পেলে পেতেও পারেন।
Image result for নবী মুহাম্মদের ছবি

No comments

Powered by Blogger.