বিবি ফাতেমা (রঃ) এর মৃত্যুর কারন,যেভাবে অল্পপদিনেই বিবি ফাতেমা মারা যায়
বিবি ফাতেমা (রঃ) এর মৃত্যুর কারন
নবী মোহাম্মদের মৃত্যুর মাত্র তিন মাসের মধ্যে তার প্রিয় কন্যা হযরত ফাতেমা মারা গেলেন। আসলে তাকে হত্যা করা হলো। নবীজির মৃত্যু ছিল এক বিরাট শোক। চার বছর তীব্র রোগশোক ভোগ করে নিদারুণ কষ্ট ভোগ করে নবীকে দুনিয়া ত্যাগ করতে হযেছিল। চার বছর আগে খয়বর দখলের সময় এক ইহুদী বুড়ি তার সন্তান হত্যার প্রতিশোধ নিতে মাংসে বিষ মিশিয়ে নবীর সামনে পরিবেশ করেন। সেই বিষ মাখানো মাংস ভক্ষণ করে তিনি বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হন(সহি বুখারী, খন্ড-৭, অধ্যায়-৭১, হাদিস- ৬৬৯, যাদুল মায়াদ, ২য় খণ্ড, পৃ. ১৩৯, ফতহুল বারী, সপ্তম খণ্ড, পৃ. ৪৯৭ ইবনে হিশাম, ২য় খণ্ড, পৃ. ৩৩৭ ) https://imranshakh.blogspot.com/2020/02/blog-post_9.html
। নবীজির মৃত্যুর পর খিলাফতের অন্যতম উত্তরসূরী বলে বিবেচনা করা হচ্ছিল হযরত আলীকে। অন্তত নবী কন্যা ফাতিমা ও জামাতা আলীর এতে কোন সংশয় ছিল না। কিন্তু নবীর মৃত্যুর পর গণেশ উল্টে যায়। বয়োজ্যেষ্ঠ যুক্তি দেখিয়ে আবু বকরকে আলী বিরোধীরা খলিফা (শাসক) নিযুক্ত করেন। এটি ছিল ফাতেমা ও আলীর জন্য চরম হতাশার। এমনকি নবীজির ব্যক্তিগত সম্পত্তি ‘ফদক’ (ফলের বাগান) কেড়ে নেয়া হয় ফাতেমা কাছ থেকে। এই বাগানটি আসলে ছিল হিজাজের ইহুদীদের শমরুখ দূর্গ দ্বারা সংরক্ষিত যা ইহুদীদের থেকে নবীজি দখল করেন। পরে এটি গণিমতের মাল হিসেবে নবী নিজের ভাগে নেন। ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে পরে এটি কন্যা ফাতেমাকে দান করেন নবী- এমনটাই দাবী হযরত ফাতেমার। কিন্তু সদ্য খলিফা নিযুক্ত হওয়া আবু বকর বলেন, নবীদের কোন উত্তোরাধিকার থাকে না। এই যুক্তিতে বাগানটি রাষ্ট্রয়ত্ব করে নেন আবু বকর। খিলাফত নিয়ে আলী অনুসারী ও আবু বকর, ওমর অনুসারীদের মধ্যে চলছিল পরস্পর ঝগড়া-বিবাদ, ষড়যন্ত্র, শত্রুতা, কুরআন অবমাননার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। খলিফার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের গোপন বৈঠকের অভিযোগ তুলে এক রাতে হযরত ফাতেমার ঘরে ওমরের নেতৃত্বে আবু বককের অনুসারীরা হামলা চালালে হযরত ফাতেমা স্বামী আলীকে রক্ষা করতে দুই পক্ষের মাঝখানে এসে দাঁড়ান। হযরত ওমরের নির্দেশে তার ভৃত্য ‘কুনফুয’ তলোয়ারের বাট দিয়ে ফাতেমার তলপেটে আঘাত করলে তার গর্ভপাত হয়ে যায়। এই অসুস্থতাতেই দীর্ঘ শয্যাশায়ী থেকে মাত্র ২২ বছর বয়েসে ফাতেমা মারা যান (তালখিছুশ শাফি, ৩/১৫৬, শারহুত তাজরিদ/৩৭৬, দালায়েল উল ইমামাহ/৪৫)।
সুন্নী আলেমরা হযরত ফাতেমার মৃত্যু বিষয়টি এড়িয়ে যান সব সময়। এ সম্পর্কে তাই আমাদের শিয়াদের লিখিত বইগুলো থেকে বিস্তারিত জানতে হয়। হযরত মুহাম্মদের প্রিয় স্ত্রী আয়েশা ও প্রিয়তম কন্যা ফাতেমার মধ্যে ছিল তুষের আগুনের মত চাপা কলহ। নবী কন্যা ফাতেমা ও তার স্বামী সন্তানদের বিশেষ মর্যাদা দেয়াই ছিল এই কলহের কারণ। কথিত আছে ফাতেমা মৃত্যুর পর নবীর স্ত্রীদের সকলে তাকে দেখতে গেলেও আয়েশা যাননি। নবী পরিবারের সদস্যদের প্রতি এই নিষ্ঠুরতার ব্যাখ্যা কোনদিনই ইসলামী স্কলাররা দেননি। কেন ইসলাম কায়েম হওয়ার পর মুসলিমরাই নিজেদের মধ্যে হানাহানিতে লিপ্ত হলো, তাও প্রধান সব সাহাবীরা- এর ব্যাখ্যা কি, এসব প্রশ্নের কোন সদুত্তর কখনই পাওয়া যায়নি। মক্কা-মদিনার অলি-গলিতে যত কাফের-মুশরিকদেরআর্তনাদ তথনো বাতাসে ভেসে বেরাতো, সেদিন বুঝি তারা সকলেই অট্টহাসি দিয়েছিল! ফদক নামের ইহুদীদের ফলের বাগানটিও বার বার নবী বংশধরদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। জবরদখল করে নিয়েছে খোদ মুসলিমরাই! ইসলামের ইতিহাসে শান্তি শব্দটিই অনুপস্থিত। ইসলাম প্রথম থেকেই ধর্মরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলে এসেছে। এটি সুস্পষ্ট রাজনীতি। আর এই রাজনীতিক ষড়যন্ত্রের নির্মম শিকার হয়েছিলেন হযরত ফাতেমা। ধর্ম ও রাজনীতিকে মেশাতে গিয়ে যে বিষবৃক্ষের সৃষ্টি হয়েছিল তার প্রথম খেসারত দিতে হয়েছিল খোদ নবী তনয়াকে। এটি ছিল মুসলিমদের ধর্ম সংস্কার করার জন্য একটি শিক্ষা। কিন্তু তারা গত ১৪০০ বছর ধরে এ থেকে কোন শিক্ষা গ্রহণ করেনি।
। নবীজির মৃত্যুর পর খিলাফতের অন্যতম উত্তরসূরী বলে বিবেচনা করা হচ্ছিল হযরত আলীকে। অন্তত নবী কন্যা ফাতিমা ও জামাতা আলীর এতে কোন সংশয় ছিল না। কিন্তু নবীর মৃত্যুর পর গণেশ উল্টে যায়। বয়োজ্যেষ্ঠ যুক্তি দেখিয়ে আবু বকরকে আলী বিরোধীরা খলিফা (শাসক) নিযুক্ত করেন। এটি ছিল ফাতেমা ও আলীর জন্য চরম হতাশার। এমনকি নবীজির ব্যক্তিগত সম্পত্তি ‘ফদক’ (ফলের বাগান) কেড়ে নেয়া হয় ফাতেমা কাছ থেকে। এই বাগানটি আসলে ছিল হিজাজের ইহুদীদের শমরুখ দূর্গ দ্বারা সংরক্ষিত যা ইহুদীদের থেকে নবীজি দখল করেন। পরে এটি গণিমতের মাল হিসেবে নবী নিজের ভাগে নেন। ব্যক্তিগত সম্পত্তি হিসেবে পরে এটি কন্যা ফাতেমাকে দান করেন নবী- এমনটাই দাবী হযরত ফাতেমার। কিন্তু সদ্য খলিফা নিযুক্ত হওয়া আবু বকর বলেন, নবীদের কোন উত্তোরাধিকার থাকে না। এই যুক্তিতে বাগানটি রাষ্ট্রয়ত্ব করে নেন আবু বকর। খিলাফত নিয়ে আলী অনুসারী ও আবু বকর, ওমর অনুসারীদের মধ্যে চলছিল পরস্পর ঝগড়া-বিবাদ, ষড়যন্ত্র, শত্রুতা, কুরআন অবমাননার পাল্টাপাল্টি অভিযোগ। খলিফার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের গোপন বৈঠকের অভিযোগ তুলে এক রাতে হযরত ফাতেমার ঘরে ওমরের নেতৃত্বে আবু বককের অনুসারীরা হামলা চালালে হযরত ফাতেমা স্বামী আলীকে রক্ষা করতে দুই পক্ষের মাঝখানে এসে দাঁড়ান। হযরত ওমরের নির্দেশে তার ভৃত্য ‘কুনফুয’ তলোয়ারের বাট দিয়ে ফাতেমার তলপেটে আঘাত করলে তার গর্ভপাত হয়ে যায়। এই অসুস্থতাতেই দীর্ঘ শয্যাশায়ী থেকে মাত্র ২২ বছর বয়েসে ফাতেমা মারা যান (তালখিছুশ শাফি, ৩/১৫৬, শারহুত তাজরিদ/৩৭৬, দালায়েল উল ইমামাহ/৪৫)।
সুন্নী আলেমরা হযরত ফাতেমার মৃত্যু বিষয়টি এড়িয়ে যান সব সময়। এ সম্পর্কে তাই আমাদের শিয়াদের লিখিত বইগুলো থেকে বিস্তারিত জানতে হয়। হযরত মুহাম্মদের প্রিয় স্ত্রী আয়েশা ও প্রিয়তম কন্যা ফাতেমার মধ্যে ছিল তুষের আগুনের মত চাপা কলহ। নবী কন্যা ফাতেমা ও তার স্বামী সন্তানদের বিশেষ মর্যাদা দেয়াই ছিল এই কলহের কারণ। কথিত আছে ফাতেমা মৃত্যুর পর নবীর স্ত্রীদের সকলে তাকে দেখতে গেলেও আয়েশা যাননি। নবী পরিবারের সদস্যদের প্রতি এই নিষ্ঠুরতার ব্যাখ্যা কোনদিনই ইসলামী স্কলাররা দেননি। কেন ইসলাম কায়েম হওয়ার পর মুসলিমরাই নিজেদের মধ্যে হানাহানিতে লিপ্ত হলো, তাও প্রধান সব সাহাবীরা- এর ব্যাখ্যা কি, এসব প্রশ্নের কোন সদুত্তর কখনই পাওয়া যায়নি। মক্কা-মদিনার অলি-গলিতে যত কাফের-মুশরিকদেরআর্তনাদ তথনো বাতাসে ভেসে বেরাতো, সেদিন বুঝি তারা সকলেই অট্টহাসি দিয়েছিল! ফদক নামের ইহুদীদের ফলের বাগানটিও বার বার নবী বংশধরদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। জবরদখল করে নিয়েছে খোদ মুসলিমরাই! ইসলামের ইতিহাসে শান্তি শব্দটিই অনুপস্থিত। ইসলাম প্রথম থেকেই ধর্মরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার কথা বলে এসেছে। এটি সুস্পষ্ট রাজনীতি। আর এই রাজনীতিক ষড়যন্ত্রের নির্মম শিকার হয়েছিলেন হযরত ফাতেমা। ধর্ম ও রাজনীতিকে মেশাতে গিয়ে যে বিষবৃক্ষের সৃষ্টি হয়েছিল তার প্রথম খেসারত দিতে হয়েছিল খোদ নবী তনয়াকে। এটি ছিল মুসলিমদের ধর্ম সংস্কার করার জন্য একটি শিক্ষা। কিন্তু তারা গত ১৪০০ বছর ধরে এ থেকে কোন শিক্ষা গ্রহণ করেনি।
লিখেছেন- Susupto Pathok
No comments