নাস্তিক বা ধর্মে অবিশ্বাসীদের কি সংবিধান নেই?
নাস্তিক বা ধর্মে অবিশ্বাসীদের কি সংবিধান নেই?
নাস্তিকদের কোন জীবন বিধান বা সংবিধান নেই, নাস্তিকদের কোন কাজে পাপ কিংবা পূন্য নেই। ফলে এরা যে কোন খারাপ কাজ করতে ভয় কিংবা বাধা পায়না, যেটা ধার্মিকেরা আল্লা কিংবা ঈশ্বরের ভয়ে পেয়ে থাকে এবং ফলে ভালো কাজে উতসাহি হয় এবং খারাপ কাজকে এড়িয়ে চলে । আবার ভালো কাজের বিনিময়ে কোন পূন্য ও নেই, যার বিনিময়ে ভালো কাজে অংশগ্রহনে উৎসাহিত হবে।তাই এরা যা খুসী তাই করতে পারে। এতে এদের কোন বাধা নিষেধ নেই।
ইভেন তাই তারা তাদের মাকে নিয়েও কথা বলতে ছাড়েনা।
( নাস্তিকদের সম্পর্কে আস্তিকেরা কি ধরনের মনোভাব পোষন করে সেটা জানতে পারবেন এই ভিডিওর মধ্যে কিছু অংশেঃ- https://youtu.be/1oEN-pkrx-4 )

( নাস্তিকদের সম্পর্কে আস্তিকেরা কি ধরনের মনোভাব পোষন করে সেটা জানতে পারবেন এই ভিডিওর মধ্যে কিছু অংশেঃ- https://youtu.be/1oEN-pkrx-4 )

যাহোক,সেদিকে আর কথা বাড়াতে চাইনা৷ যার যেমন জ্ঞান,যোগ্যতা, চিন্তাভাবনা সে তেমন ই আউটপুট দিবে। সেটাই স্বাভাবিক। কোন গাধার কাছে হাসের ডিম চাইলে তো আর সে দিতে পারবেনা।
কথা হচ্ছিল পাপ পূন্য এবং জীবন বিধান কিংবা সংবিধান নিয়ে।
জীবন বিধান বা সংবিধানঃ
আগে জেনে নেওয়া যাক সংবিধান কি এবং কাকে বলে?
সংবিধানঃ
আগে জেনে নেওয়া যাক সংবিধান কি এবং কাকে বলে?
সংবিধানঃ
সংবিধান বা constitution বলতে কতগুলো লিখিত বা অলিখিত মৌলিক বিধিমালাকে বুঝায় ।যা কোন রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে বিভিন্ন সম্পর্ক নির্নয় করে এবং রাষ্ট্রিয় ক্ষমতা ব্যবহার এবং বন্টনের নীতি নির্ধারন করে ।
আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সংবিধান এক অপরিহার্য দলিল।
প্রতিটি রষ্ট্র তার নিজস্ব কিছু আইন কানুন , নীতি দ্বারা পরিচালিত হয়।এ সকল নিয়ম নীতি হলো ঐ সকল রাস্ট্রে সংবিধান ।
আর রস্ট্রের এসব নিয়ম নীতি বা নিতিমালা তৈরি হয় সেই রাষ্ট্রের জনগনের আচার আচরন , জীবন মান,চাহিদা,কর্মনীতি এবং ব্যবস্থা,এবং সেখানপকার সমাজ ব্যবস্থার উপরে ভিত্তি করেই একটা দেশের সংবিধান বা নীতিমালা তৈরি হয় ।
সংবিধান বা constitution কেবলমাত্র কোন রাষ্ট্রেরই হতে পারে তা নয়।এটা যে কোন ব্যক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠান কিংবা কোন দলেরও হতে পারে সেটাকে সুষ্ঠ এবং শৃঙ্খলভিত্তিক চালনা করতে ।
আধুনিক বিশ্বে রাষ্ট্র পরিচালনার জন্য সংবিধান এক অপরিহার্য দলিল।
প্রতিটি রষ্ট্র তার নিজস্ব কিছু আইন কানুন , নীতি দ্বারা পরিচালিত হয়।এ সকল নিয়ম নীতি হলো ঐ সকল রাস্ট্রে সংবিধান ।
আর রস্ট্রের এসব নিয়ম নীতি বা নিতিমালা তৈরি হয় সেই রাষ্ট্রের জনগনের আচার আচরন , জীবন মান,চাহিদা,কর্মনীতি এবং ব্যবস্থা,এবং সেখানপকার সমাজ ব্যবস্থার উপরে ভিত্তি করেই একটা দেশের সংবিধান বা নীতিমালা তৈরি হয় ।
সংবিধান বা constitution কেবলমাত্র কোন রাষ্ট্রেরই হতে পারে তা নয়।এটা যে কোন ব্যক্তি মালিকানা প্রতিষ্ঠান কিংবা কোন দলেরও হতে পারে সেটাকে সুষ্ঠ এবং শৃঙ্খলভিত্তিক চালনা করতে ।
এবার দেখা যাক জীবন বিধানঃ
জীবন বিধান বলতে আপ্নারা কি বুঝেন আর কি বুঝাতে চান্ সেটা স্পষ্ট না হলেও আপনাদের চিন্তা ভাবনা ,ধ্যান ধারনা ও কর্মযজ্ঞ দেখলে এটা বুঝি যে আপ্নারা এমন কোন একটা লিখিত কোন কিতাবকে খুজেন বা বুঝান যেটার মধ্যে একজন মানুষ কি করতে পারবে ,কি করতে পারবেনা ,কি খেতে পারেবে ,কি খেতে পারবেনা ইত্যাদি টোটালি একটা মানুষের লাইফ স্টাইলের রুলস এন্ড রেগুলেশনকে বুঝিয়ে থাকেন ।যেটার সাথে আপ্নারা আপনাদের কুরান কে উল্লেখ করে থাকেন ।যেটা সদৃশ নাস্তিকদের কোন কিতাব আছে কিনা ?
জীবন বিধান বলতে আপ্নারা কি বুঝেন আর কি বুঝাতে চান্ সেটা স্পষ্ট না হলেও আপনাদের চিন্তা ভাবনা ,ধ্যান ধারনা ও কর্মযজ্ঞ দেখলে এটা বুঝি যে আপ্নারা এমন কোন একটা লিখিত কোন কিতাবকে খুজেন বা বুঝান যেটার মধ্যে একজন মানুষ কি করতে পারবে ,কি করতে পারবেনা ,কি খেতে পারেবে ,কি খেতে পারবেনা ইত্যাদি টোটালি একটা মানুষের লাইফ স্টাইলের রুলস এন্ড রেগুলেশনকে বুঝিয়ে থাকেন ।যেটার সাথে আপ্নারা আপনাদের কুরান কে উল্লেখ করে থাকেন ।যেটা সদৃশ নাস্তিকদের কোন কিতাব আছে কিনা ?
এই আধুনিক যুগে এসে,আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়েও যখন আপনাদের থেকে এরকম উদ্ভট চিন্তাভাবনা দেখি তখন বড্ড বেশি হাসি পায় ,কেননা যেখানে একটি বাচ্চা জন্মের পর থেকেই বড় হতে হতে বাবা মা ,ভাই বোন ,দাদা দাদী ,নানা নানী ইত্যাদি পরিবার পরিজন ,পরিবেশ এবং সমাজ থেকে নানা রকম শিক্ষা পেয়ে থাকে যে কোনটা এলাউড অর কোনটা নট এলাউড ।
কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ , সেখানে তাকে বড় হয়ে ভালো খারাপের পার্থক্য বুঝতে কেন কোণ লিখিত কিতাব বা বইয়ের পাতায় লিষ্ট থাকতে হবে?
মানুষ একটি সামাজিক জীব ।এরা সামাজিকতার সাথে সমাজবদ্ধ হয়েই বাস করে ।
আর প্রতিটি সমাজ এবং সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠে সেই অঞ্চলের মানুষের চাহিদা এবং জীবন যাপনের সহজলভ্যতাকে কেন্দ্র করে ।কিভাবে তারা সবাই মিলে ভালো থাকবে এবং থাকতে পারবে সেসব বিষয় নিয়ে সেই অঞ্চলের মানুষেরা একত্রিত হয়ে বুদ্ধি পরামর্শ এবং আলোচনার মাধ্যমে সেটা নির্ধারন করে থাকে ।যেই নিয়মনিতি এবং ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়েই ধীরেধীরে এগোতে থাকে ।সময়ের সাথে সাথে মানুষের চাহিদার নৈমিত্তে প্রয়োজনে বারংবার সেই সমাজ ব্যবস্থার নিয়মনীতি বা পুরনো নীতিমালাকে আপডেট করা হয় ।
কোনটা ভালো আর কোনটা খারাপ , সেখানে তাকে বড় হয়ে ভালো খারাপের পার্থক্য বুঝতে কেন কোণ লিখিত কিতাব বা বইয়ের পাতায় লিষ্ট থাকতে হবে?
মানুষ একটি সামাজিক জীব ।এরা সামাজিকতার সাথে সমাজবদ্ধ হয়েই বাস করে ।
আর প্রতিটি সমাজ এবং সমাজ ব্যবস্থা গড়ে উঠে সেই অঞ্চলের মানুষের চাহিদা এবং জীবন যাপনের সহজলভ্যতাকে কেন্দ্র করে ।কিভাবে তারা সবাই মিলে ভালো থাকবে এবং থাকতে পারবে সেসব বিষয় নিয়ে সেই অঞ্চলের মানুষেরা একত্রিত হয়ে বুদ্ধি পরামর্শ এবং আলোচনার মাধ্যমে সেটা নির্ধারন করে থাকে ।যেই নিয়মনিতি এবং ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়েই ধীরেধীরে এগোতে থাকে ।সময়ের সাথে সাথে মানুষের চাহিদার নৈমিত্তে প্রয়োজনে বারংবার সেই সমাজ ব্যবস্থার নিয়মনীতি বা পুরনো নীতিমালাকে আপডেট করা হয় ।
অথচ আপনাদের কথিত ঐ মধ্যযুগীয় বর্বর বইটি বা কিতাবে লিখিত বিধান বা নিতিমালা প্রনয়নের সময় আপনাদের নেতা মুহাম্মদে কি কারো সাথে আলোচনা করেছিল?
ওটা মানুষের চাহিদার সাথে এবং সময়ের সাথে কি কখনো আপডেট করার সুযোগ আছে ?
- নেই ।
তাহলে ঐ বস্তাপচা মধ্যযুগীয় কিতাব নিয়ে কিসের বড়াই করতে আসছেন ?
মনে রাখবেন , সবসময়, সব যায়গার সবার একই রোগ হয়না।
আর সবার সব রোগে শুধু ঐ প্যারাসিট্যামল দুইবেলা দিলেই রোগ সারেনা ।
আপনাদের ঐ বস্তাপচা মধ্যযুগিয় কুরানে যেসকল নীতিমালা প্রনয়ন করেছে সেটা কেবলমাত্র মক্কা ও তার আশেপাশের মানুষের জীবনমান এবং চাহিদা অনুসারে ছিল ,যেটা এখন সেই মক্কা তথা আরব্য অঞ্চলের মানুষেরই চাহিদার বিপরীত হয়ে দাড়িয়েছে ।ফলে সেখানকার সরকার তাদের দেশের মানুষের চাহিদার সাথে তাল মিলিয়ে সেখানে কুরানের আইনকে বাতিল করে নিত্য নতুন আইনের প্রনয়ন করছে ।
( https://bit.ly/36PCf43 )
কুরানের নীতিমালা সমগ্র বিশ্বের মানুষের জন্য নয় , কেননা মুহাম্মদের আরব্য অঞ্চলের বাইরে কোন জ্ঞান ছিলনা ,জানা ছিলনা আরবের বাইরে কোন দেশ বা মানুষের আবাস আছে কিনা ?
এর বাইরে মানূষের চাহিদা এবং জীবন মান কেমন ছিল সে বিষয়েও মুহাম্মদের ছিলনা কোন জানাশোনা। এবং সে সারা বিশ্বের নেতৃত্বের স্বপ্নও দেখতোনা ।
তার মূল টার্গেট ছিল মক্কা দখলে নিয়ে ক্ষমতার মসনদে বসা।
তাছাড়া একটি বাচ্চার নার্সারী কিংবা প্লে গ্রুপ থেকে ই শুরু হয় নানা রকম শিক্ষা দীক্ষা ।কোথায় যেতে হবে ,কিভাবে যেতে হবে ,কার সাথে কথা বলতে হবে ,কিভাবে বলতে হবে ,কি খেতে হবে ,কিভাবে খেতে হবে ,কার সাথে কেমন আচার ব্যবহার করতে হবে সেসব শিক্ষা পেতে পেতে ধীরে ধীরে বয়স বাড়ার সাথে তার শিক্ষার পরিধীও বাড়তে থাকে ।
জানতে পারে কোনটা ভালো ,কোনটা খারাপ ।
কোনটা ন্যায় আর কোনটা অন্যায় ,
কোনটা মানব কল্যানের আর কোনটা অকল্যানের ,
কোনটা করলে সমাজ বা রাষ্ট্র তাকে শাস্তি দিবে ,আর কোনটা করলে সমাজ বা রাষ্ট্র তাকে পুরস্কৃত করবে সেই শিক্ষাটা ও পেয়ে থাকে বা জানতে পারে ।
কেননা আমাদের সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় সংবিধান বা নীতিমালা রয়েছে ।
যেখানে নির্ধারন করে হয়েছে আমরা কি কি করতে পারবো তার লিমিটেশন এবং কি কি করতে পারবোনা। কোনটা আমাদের সামগ্রিক মঙ্গলের এবং কোনটা সামগ্রিক অমঙ্গলের ।
কোনটাতে আমাদের সমাজ এবং রাস্ট্র পুরুষ্কার এবং শাস্তি দিবে সেটা নির্ধারন করা রয়েছে।
কেননা আমাদের সমাজ এবং রাষ্ট্রীয় সংবিধান বা নীতিমালা রয়েছে ।
যেখানে নির্ধারন করে হয়েছে আমরা কি কি করতে পারবো তার লিমিটেশন এবং কি কি করতে পারবোনা। কোনটা আমাদের সামগ্রিক মঙ্গলের এবং কোনটা সামগ্রিক অমঙ্গলের ।
কোনটাতে আমাদের সমাজ এবং রাস্ট্র পুরুষ্কার এবং শাস্তি দিবে সেটা নির্ধারন করা রয়েছে।
তাহলে একজন মানুষের চলার বা বাস করার জন্য আলাদা কোন জীবন বিধানের বা নিতিমালার প্রয়োজনীয়তা কোথায় ?
প্রতিটি রাষ্ট্রই তাদের মানুষের জীবন মান এবং চাহিদা অনুসারে জীবন বিধান বা সংবিধান তৈরি করে নিয়েছে ।যারমধ্যে কোন দেশেই নেই আপনাদের কুরানের সংবিধান ।
যদি আপনাদের কুরানিক সংবিধান এতটাই ভালো মানের হবে ,তাহলে সেটা কেন বিশ্বের ৫৭টা মুসলিম রাষ্ট্রের কোন দেশেই বলবত বা কার্যকর নেই?
খোদ আপনাদেরকেই তো হরহামেশা এবং প্রত্যেককেই সেই আপনাদের মান্ধাত আমলের সেই সংবিধান কিংবা জীবনবিধানের বাইরে গিয়ে আমাদের রাস্ট্রিয় এবং সামাজিক বিধান বা নিতিমালাকে মেনে চলতে ।
আপনারা কি কেউ আপনাদের ঐ ১৪০০ বছরের পুরনো ,আজীবন মেয়াদী, অপবর্তিত বিধান অনুযায়ী চলছেন বা চলতে পারবেন ?
কখনোইনা ।বরং আপনাদের ঐ সংবিধানের দেশ সৌদিই এই সংবিধানকে লঙ্ঘন করেছে , এই কুরানের আইনকে তারা বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে আপডেট করে নিয়েছে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে , মানুষের চাহিদার সাথে খাপ খাইয়ে ।
তাহলে আপনাদের মত দু চারটে হুজুগে অন্ধবিশ্বাসীদের এসব সস্তা আবেগে কার কি আসে যায়?
যদি আপনাদের কুরানিক সংবিধান এতটাই ভালো মানের হবে ,তাহলে সেটা কেন বিশ্বের ৫৭টা মুসলিম রাষ্ট্রের কোন দেশেই বলবত বা কার্যকর নেই?
খোদ আপনাদেরকেই তো হরহামেশা এবং প্রত্যেককেই সেই আপনাদের মান্ধাত আমলের সেই সংবিধান কিংবা জীবনবিধানের বাইরে গিয়ে আমাদের রাস্ট্রিয় এবং সামাজিক বিধান বা নিতিমালাকে মেনে চলতে ।
আপনারা কি কেউ আপনাদের ঐ ১৪০০ বছরের পুরনো ,আজীবন মেয়াদী, অপবর্তিত বিধান অনুযায়ী চলছেন বা চলতে পারবেন ?
কখনোইনা ।বরং আপনাদের ঐ সংবিধানের দেশ সৌদিই এই সংবিধানকে লঙ্ঘন করেছে , এই কুরানের আইনকে তারা বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে আপডেট করে নিয়েছে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে , মানুষের চাহিদার সাথে খাপ খাইয়ে ।
তাহলে আপনাদের মত দু চারটে হুজুগে অন্ধবিশ্বাসীদের এসব সস্তা আবেগে কার কি আসে যায়?
আরেকটি দাবী আপনারা হর হামেশাই করে থাকেন যে আমাদের নাস্তিক মুক্তমনাদের কোন পাপ পূন্যের চিন্তা নেই ,তাই আমরা যা খুসি করতে পারি।
আমাদের কোন কাজে বাধ্য বাধকতা নেই ।
হ্যা কথাটা ঠিক ,কিন্তু জনাব ভুলে যাবেননা আমাদের কোন পাপ পূন্যের লোভনীয় অফার না থাকলেও আমাদের বিবেক নামে একটা বস্তু আছে যেটা সারাক্ষন ই আমাদের সাথে থাকে যেটা আমাদের পরিচালিত করে ।ভালো কাজে অংশগ্রহন ছাড়া খারাপ কাজে বাধা দেয়।
যাহোক ,পৃথিবীতে প্রতিটি মানুষের ই একটা ই চাওয়া আর একটা ই পাওয়ার লক্ষ্য ।
আর সেই লক্ষ্য পুরনের জন্য ই পৃথিবীতে এত এত রঙ ঢঙ ,কিচ্ছা কাহিনী ,নিয়ম কানুন ,আইন আদালত ,ধর্ম টর্ম ইত্যাদির আয়োজন ।
আর সবার সেই লক্ষ্যটা হচ্ছে নিজে এবং নিজের পরিবার কে নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকা ।
প্রাচীন আমলে বা মানব জীবনে চলার শুরুতে মানুষ গুলি এতটা সামাজিক এবং শৃঙ্খলিত ছিলনা ,এবং বর্তমানের আধুনিক আইনের ব্যবহারও ছিলনা ।
তাদের সবার লক্ষ্য ছিল একটাই ,সেটা হলো শুধুমাত্র আমার শব্দটির মাঝে ।নিজেকে বাচাতে তারা অন্যের খাদ্যাদি ,সঙ্গীনীকেও ছিনিয়ে নিত ।যে সবল সে সর্বদা দুর্বলের উপর জুলুম অত্যাচার বা ব্যবহার করে নিজেকে বাচাতো,আর এসব করতে গিয়ে সবলে দুবলকে হত্যা পর্যন্ত করতে পিছপা হতোনা ।
আর এই পরিস্থিতি থেকে সবাইকে বাচাতেই নানা যুগে নানান মানুষেরা বা দার্শনিকেরা আবিস্কার করে এসব কল্পিত জান্নাত জাহান্নামের ,যাতে এসব কল্পিত জান্নাত জাহান্নামের ভয়ে মানুষ খারাপ কাজ থেকে দূরে থাকে এবং বিভিন্ন লোভের বশবর্তী বা ভালো কিছু পাওয়ার লোভে যাতে খারাপ কাজ কে বর্জন করে ভালো কাজে অংশগ্রহন করে সেরকম ই একটা প্রচেষ্টা ছিল এই জান্নাত জাহান্নামের আবিস্কারের পিছনে ,কারন তখনের মানুষেরা প্রাকৃতিক দুর্যোগকে বড্ড বেশি ভয় পেত ।
আর যদি কেউ এসবের ভয় দেখাতো তাহলে তাকে ও বিশ্বাস করতো ।কেননা তখন তারা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারন গুলি জানতোনা । তখন পৃথিবীতে বর্তমানের আধুনিক শিক্ষা এবং আইন কানুনের বালাই ছিলনা
কিন্তু এখন বিশ্বের প্রতিটি দেশেই অত্যাধুনিক আইন কানুন ,অপরাধের শাস্তি দেবার ব্যবস্থা আছে ।তাই এখন আর এসব কল্পিত জান্নাত জাহান্নামের ভয় কিংবা লোভ দেখানোর প্রয়োজন্ আসেনা ।আর সেটা দেখালেও কোন ফল দেয়না ।
কেননা সেটার বাস্তব চিত্র দেখা যায় ধর্মান্ধ দেশ গুলি এবং নিধার্মিক দেশ গুলির সামগ্রিক অবস্থার দিকে তাকালেই।
যেখানে যত অন্যায় অনিয়ম,দুর্নিতি, সুদ ঘুষ, অত্যাচার এবং নিজের ফায়দা লুটতে গিয়ে অন্যকে হত্যা তথা নিজ দেশে ঘরে ঘরে গৃহ যুদ্ধের সৃষ্টির দিক থেকে এসব ধার্মিক দেশগুলিই এগিয়ে আছে ।
যেমনঃ বাংলাদেশ, ভারত , পাকিস্তান,আফগানিস্তান,লেবানন,ইরাক,ইরান,ইয়েমেন,সোউদিসহ প্রায় সমস্ত ধর্মের মোড়কে প্যাচানো দেশ গুলিই অশান্তিতে নিমজ্জিত।
আছে আপনাদের শান্তির ধর্মের কোন দেশই নেই সেই শান্তির তালিকায়।
অথচ ধর্ম বিহীন দেশ গুলিতে অন্যায় অপরাধের অভাবে জেলখানা বন্ধ হয়ে যাচ্ছে ,অথচ আমাদের বাংলাদেশে শান্তির ধর্মের লোকের গিজ গিজ করার পরেও সেখানে নতুন করে জেলখানা বানাতে হচ্ছে ।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক ২০১৯ সালের সেরা সুখী দেশের তালিকায় কারা আছেঃ
তো যে কথাটা পারতপক্ষে বলতে চেয়েছিলাম যে ,মানুষ পৃথিবীতে যে যেভাবেই যত যা ই করুক বা করার চেষ্টা করুকনা কেন ,তার মূলে বা মূল টার্গেট বা চাহিদাটা থাকে নিজে এবং নিজ পরিবারকে নিয়ে সুখে শান্তিতে থাকা ।আর এই সুখ শান্তি নামক বস্তুটিকে পাওয়ার জন্য বা এই সুখ শান্তি নামক বস্তুটিকে পাওয়ার লক্ষ্যে ই মানুষ নিরন্তর দৌড়ঝাপ দিয়ে চলেছে পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে ।
আমি আপনি চাইলে কাউকে ফাকি দিয়ে হয়তো খুব অল্প সময়ে রাতারাতি খুব বড়লোক বা ধনী বনে গিয়ে পাচ তলা বা দশ তলা বিল্ডিংয়ের মালিক বনে যেতে পারি ।
আস্তিক ভাইদের অদৃশ্যে থাকা আল্লা দেখলেও নাস্তিক ভাইদের কেউ দেখার নাই ।
কিন্তু আমরা মূলত কাউকে ফাকি দিয়ে যে খারাপ বস্তুটিকে গ্রহন করবো যে সুখ শান্তির আশায় বা লোভে পড়ে সেটা কি আমরা কেউ পাবো ?
না ,কখনোই না ।যে কারনে কারো টাকা পয়সা মেরে পাচ তলা দশ তলা বিল্ডিং করবো একটু ভালো ভাবে সুখে শান্তিতে থাকার জন্য সেটা কিন্তু আমরা কখনোই পাবোনা ।কেননা সারাক্ষন বিবেক নামের বস্তুটি আমাদের কুড়ে কুড়ে জ্বালিয়ে মারবে ।
তো এই জ্বালতনের ভয়ে ই মুলত আমরা কোন খারাপ কাজে নিজেকে আবদ্ধ করিনা ।
আমরা আমাদের বিবেক নামক বস্তুর কাছে বাধা ,আমাদের বিবেকে যেটা বাধা দেয় পরিত্যাগ করি এবং যেটা করতে সায় দেয় সেটাই আমরা করে থাকি।
আমরা কখনোই আমাদের বিবেককে এড়িয়ে যেতে পারিনা।
কিন্তু আপনাদের মত ধারমিকেরা কিন্তু সেটা করেনা ।
বরং আপনাদের আকাম কুকাম বা খারাপ কাজ করার প্রতি আরো বেশি এপ্রচ করা হয় ।
আপনাদের খারাপ কাজের বেলায় কোন বাধা নেই ।
ওসব আপনারা আরো বেশি আগ্রহ নিয়ে করে থাকেন।
আর তার জন্য আপনাদের দুইটা অপশন রয়েছেঃ
১. কোন খারাপ কাজ করে আল্লার কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি ক্ষমা করে দেন।
আর তাই দেখা যায় বাংলাদেশের অধিকাংশ সরকারি কর্মচারী কর্মজীবিই সারাজীবন অবোইধ টাকার পাহাড় গড়ে সেখান থেকে মাত্র কিছু টাকা খরচ করে সৌদি মুসলমানদের হেডকোয়ার্টারে গিয়ে আল্লার কাছে মাপ চেয়ে সব পাপ ঝেড়ে আসে ।
নিমিষেই ,খুব সহজেই আপনাদের কালো টাকা সাদা হয়ে যায়।
২. আরেকটা দারুন সুযোগ আছে আপনাদের জন্য ,ঠিক যেমনটা আমাদের রাজনীতিতে রাজনৈতিক ব্যাক্তিরা ব্যবহার করে থাকে ।
মানে কোন খারাপ কিছু ঘটলেই সেটা বিরোধী দলের উপরে চাপিয়ে নিজেদের দোষ দায়সারা করে নেয় ,ঠিক তেমনি আপনাদের আকাম কুকাম ঢাকার জন্যও তেমনি একটা নিদারুন সুযোগের সৃষ্টি করে দিয়েছে আপনাদের ধর্ম ।
আর সেটা হচ্ছে শয়তান নামক আরেকটা কল্পিত রুপকে ।
নিজে কোন খারাপ কাজ করে বলতে পারেন যে,আমি এটা করিনি ,শয়তানে আমাকে দিয়ে এটা করিয়েছে ।
কিন্তু আমাদের ওরকম সুযোগ নেই অন্যের ঘাড়ে নিজের দোষ চাপিয়ে দিয়ে নিজেকে নিস্পাপ বলে দাবী করার ।
আর তাইতো ধর্মান্ধ দেশ গুলি থেকে নিধার্মিক দেশ গুলি হাজার গুন বেশি সুখে শান্তিতে আছে ।

আমরা আমাদের বিবেক নামক বস্তুর কাছে বাধা ,আমাদের বিবেকে যেটা বাধা দেয় পরিত্যাগ করি এবং যেটা করতে সায় দেয় সেটাই আমরা করে থাকি।
আমরা কখনোই আমাদের বিবেককে এড়িয়ে যেতে পারিনা।
কিন্তু আপনাদের মত ধারমিকেরা কিন্তু সেটা করেনা ।
বরং আপনাদের আকাম কুকাম বা খারাপ কাজ করার প্রতি আরো বেশি এপ্রচ করা হয় ।
আপনাদের খারাপ কাজের বেলায় কোন বাধা নেই ।
ওসব আপনারা আরো বেশি আগ্রহ নিয়ে করে থাকেন।
আর তার জন্য আপনাদের দুইটা অপশন রয়েছেঃ
১. কোন খারাপ কাজ করে আল্লার কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি ক্ষমা করে দেন।
আর তাই দেখা যায় বাংলাদেশের অধিকাংশ সরকারি কর্মচারী কর্মজীবিই সারাজীবন অবোইধ টাকার পাহাড় গড়ে সেখান থেকে মাত্র কিছু টাকা খরচ করে সৌদি মুসলমানদের হেডকোয়ার্টারে গিয়ে আল্লার কাছে মাপ চেয়ে সব পাপ ঝেড়ে আসে ।
নিমিষেই ,খুব সহজেই আপনাদের কালো টাকা সাদা হয়ে যায়।
মানে কোন খারাপ কিছু ঘটলেই সেটা বিরোধী দলের উপরে চাপিয়ে নিজেদের দোষ দায়সারা করে নেয় ,ঠিক তেমনি আপনাদের আকাম কুকাম ঢাকার জন্যও তেমনি একটা নিদারুন সুযোগের সৃষ্টি করে দিয়েছে আপনাদের ধর্ম ।
আর সেটা হচ্ছে শয়তান নামক আরেকটা কল্পিত রুপকে ।
নিজে কোন খারাপ কাজ করে বলতে পারেন যে,আমি এটা করিনি ,শয়তানে আমাকে দিয়ে এটা করিয়েছে ।
কিন্তু আমাদের ওরকম সুযোগ নেই অন্যের ঘাড়ে নিজের দোষ চাপিয়ে দিয়ে নিজেকে নিস্পাপ বলে দাবী করার ।
আর তাইতো ধর্মান্ধ দেশ গুলি থেকে নিধার্মিক দেশ গুলি হাজার গুন বেশি সুখে শান্তিতে আছে ।
তাছাড়া চোরের মন পুলিশ পুলিশ বলে ও একটা কথা আছে ।যেই ভয়ে কোন খারাপ কাজ করা ব্যক্তি কখনো ই নিজেকে কোন অবস্থাতে নিজেকে সুখে রাখতে পারবেনা ।
তো এবার বুঝেন কারা বেশি অগ্রগতির ভূমিকা পালন করছে ?
যারা নিজের বিবেককে অন্য কারো কাছে ইজারা দিয়ে রেখেছে ?
নাকি যারা নিজের বিবেককে ব্যবহার করে চলেছে ?
- ইমরান ।
No comments