Header Ads

Header ADS

যে দশটি কারনে মুহাম্মদ কোন নবী হতে পারেনা

মুহাম্মদ স্রষ্টার কোন  নবী নয়।

Image result for মুহাম্মদের ছবি
মুহাম্মদে যে দশটি কারনে কোন গড সিলেক্টেড পার্সন বা  আল্লা প্রেরিত কোন নবী হতে পারেনা এবং তার পিছনে যে প্রধান ১০টি কারন রয়েছে তা আজকে এই লেখায় তুলে ধরা হলোঃ-



মুহাম্মদ যে ঐশ্বরিক নবী নয় তার প্রমান আমরা কুরান -হাদিস থেকে খুজে বের করবসাধারন মানুষের মত লোভ-লালসা,সংসার,কাম,ক্রোধ,নারী সবকিছুই ভোগ করেছে নবী খ্যাত মুহাম্মদতার বিচার বিশ্লেষণ ছিল সাধারন মানুষের মতআসুন কুরান হাদিস থেকে মুহাম্মদের কিছু লৌকিক কাজ দেখি আর বুঝতে চেষ্টা করি কেমন ছিল নবী বা আদৌ তার কার্য্যকলাপ নবীত্বের বয়ানের সাথে সামঞ্জস্য কিনা!
দশটি প্রধান কারনঃ
                               নির্মম হত্যার আদেশকারী বলে -(০১)
 কোনো লোকে কাউকে  নবী হিসেবে না মানার তাকে পাথর ছুড়ে হত্যার আদেশ দিতে পারে না ,কিন্তু মহম্মদ তা করেছে
১৩২৯. ‘আবদুল্লাহ্ ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম -এর নিকট ইয়াহূদীরা তাদের এক পুরুষ ও এক স্ত্রীলোককে হাযির করল, যারা ব্যাভিচার করেছিলতখন তিনি তাদের উভয়কে রজমের (পাথর নিক্ষেপে হত্যা) নির্দেশ দেনমসজিদের পাশে জানাযার স্থানের নিকটে তাদের দুজনকে রজম করা হল(৩৬৩৫, ৪৫৫৬, ৬৮১৯, ৬৮৪১, ৭৩৩২, ৭৫৪৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১২৪১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১২৪৮
১৫০১. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিততিনি বলেন, উরাইনা গোত্রের কতিপয় লোকের মদ্বীনার আবহাওয়া প্রতিকূল হওয়ায় আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদেরকে যাকাতের উটের কাছে গিয়ে উটের দুধ ও পেশাব পান করার অনুমতি প্রদান করেনতারা রাখালকে (নির্মমভাবে) হত্যা করে এবং উট হাঁকিয়ে নিয়ে (পালিয়ে) যায়আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের পশ্চাদ্ধাবনে লোক প্রেরণ করেন, তাদেরকে ধরে নিয়ে আসা হয়এরপর তাদের হাত পা কেটে দেন এবং তাদের চোখে তপ্ত শলাকা বিদ্ধ করেন আর তাদেরকে হাররা নামক উত্তপ্ত স্থানে ফেলে রাখেনতারা (যন্ত্রণায়) পাথর কামড়ে ধরে ছিলআবূ কিলাবাহ, সাবিত ও হুমাইদ (রহ.) আনাস (রাঃ) হতে হাদীস বর্ণনায় কাতাদাহ (রহ.)-এর অনুসরণ করেন(২৩৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৪০৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৪১০)
১৮২৮. ‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) বলেন, হাফসা (রাঃ) বর্ণনা করেছেন, তিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ পাঁচ প্রকার প্রাণী যে হত্যা করবে তার কোন দোষ নেই(যেমন) কাক, চিল, ইঁদুর, বিচ্ছু ও হিংস্র কুকুর(১৮২৭, মুসলিম ১৫/, হাঃ ১১৯৯, ১২০০) [আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৬৯৬(), ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ নাই]
১৮৪৬. আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, মক্কা বিজয়ের বছর আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম লৌহ শিরস্ত্রাণ পরিহিত অবস্থায় (মক্কা) প্রবেশ করেছিলেনআল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম শিরস্ত্রাণটি মাথা হতে খোলার পর এক ব্যক্তি এসে তাঁকে বললেন, ইবনু খাতাল কাবার গিলাফ ধরে আছেতিনি বললেনঃ তাকে তোমরা হত্যা কর(৩০৪৪, ৩২৮৬, ৫৮০৮, মুসলিম ১৫/৮৪, হাঃ ১৩৫৭) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ১৭১৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ১৭২৪ )
২৩১৪-২৩১৫. যায়েদ ইবনু খালিদ ও আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিততিনি বলেন, হে উনাইস (ইবনু যিহাক আসলামী) সে মহিলার নিকট যাওযদি সে (অপরাধ) স্বীকার করে তবে তাকে প্রস্তর নিক্ষেপে হত্যা কর(২৩১৪=২৬৪৯, ২৬৯৬, ২১২৫, ৬৬৩৪, ৬৮২৮, ৬৮৩২, ৬৮৩৬, ৬৮৪৩, ৬৮৬০, ৭১৯৪, ৭২৫৯, ৭২৭৯) (২৩১৫=২৬৯৫, ২৭২৪, ৬৬৩৩, ৬৮২৭, ৬৮৩৩, ৬৮৩৫, ৬৮৪২, ৬৮৫৯, ৭১৯৩, ৭২৫৮, ৭২৬০, ৭২৭৮) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২১৪৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২১৬৪)
২৪১৩. আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, এক ইয়াহূদী একটি দাসীর মাথা দুটি পাথরের মাঝখানে রেখে পিষে দিয়েছিলতাকে জিজ্ঞেস করা হল, কে তোমাকে এরূপ করেছে? অমুক ব্যক্তি, অমুক ব্যক্তি? যখন জনৈক ইয়াহূদীর নাম বলা হল- তখন সে দাসী মাথার দ্বারা হ্যাঁ সূচক ইশারা করলইয়াহূদীকে ধরে আনা হলসে অপরাধ স্বীকার করলে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার সম্পর্কে নির্দেশ দিলেনতখন তার মাথা দুটি পাথরের মাঝখানে রেখে পিষে দেয়া হল(২৭৪৬, ৫২৯৫, ৬৮৭৬, ৬৮৭৭, ৬৮৭৯, ৬৮৮৪, ৬৮৮৫) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৫৩)
২৫৪১. ইবনু আউন (রহ.) হতে বর্ণিততিনি বলেন, আমি নাফি‘ (রহ.)-কে পত্র লিখলাম, তিনি জওয়াবে আমাকে লিখেন যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বানী মুস্তালিক গোত্রের উপর অতর্কিতভাবে অভিযান পরিচালনা করেনতাদের গবাদি পশুকে তখন পানি পান করানো হচ্ছিলতিনি তাদের যুদ্ধক্ষমদের হত্যা এবং নাবালকদের বন্দী করেন এবং সেদিনই তিনি জুওয়ায়রিয়া (উম্মুল মুমিনীন)-কে লাভ করেন[নাফি‘ (রহ.) বলেন] ‘আবদুল্লাহ ইবনু উমার (রাঃ) আমাকে এ সম্পর্কিত হাদীস শুনিয়েছেনতিনি নিজেও সে সেনাদলে ছিলেন(আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৩৫৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩৭৩)
২৯২৬. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিততিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, কিয়ামত সংঘটিত হবে না যে পর্যন্ত না তোমরা ইয়াহূদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করবেএমনকি কোন ইয়াহূদী পাথরের আড়ালে লুকিয়ে থাকলে, পাথর বলবে, ‘হে মুসলিম, আমার পেছনে ইয়াহূদী আছে, তাকে হত্যা কর’ (মুসলিম ৫২/১৮ হাঃ ২৯২২) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৭১১, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৭২২)
২৯৫৪. আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিততিনি বলেন, আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এক অভিযানে পাঠালেনকুরাইশদের দুজন লোকের নামোল্লেখ করে আমাদেরকে বললেন, তোমরা যদি অমুক ও অমুকের সাক্ষাৎ পাও তবে তাদেরকে আগুনে জ্বালিয়ে ফেলবেআবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) বলেন, অতঃপর আমরা রওয়ানা করার প্রাক্কালে বিদায় গ্রহণ করার জন্য আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হলামতখন তিনি বললেন, ‘আমি তোমাদেরকে অমুক অমুককে আগুনে জ্বালিয়ে ফেলতে নির্দেশ দিয়েছিলাম, কিন্তু আগুনের শাস্তি দান করার অধিকার আল্লাহ তাআলা ব্যতীত আর কারো নেইতাই তোমরা যদি তাদেরকে ধরে ফেলতে সক্ষম হয়, তবে তাদের উভয়কে হত্যা করবে(৩০১৬) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৭৩৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ)
৩০৩১. জাবির ইবনু আবদুল্লাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিততিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম একবার বললেন, ‘কে আছ যে কাব ইবনু আশরাফ-এর (হত্যার) দায়িত্ব নিবে? কেননা সে আল্লাহ্ তাআলা ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-কে কষ্ট দিয়েছেমুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ (রাঃ) বললেন, ‘হ্যাঁবর্ণনাকারী বলেন, অতঃপর মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ (রাঃ) কাব ইবনু আশরাফের নিকট গিয়ে বললেন, ‘এ ব্যক্তি অর্থাৎ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের কষ্টে ফেলেছে এবং আমাদের নিকট হতে সদাকাহ চাচ্ছেরাবী বলেন, তখন কাব বলল, ‘এখনই আর কী হয়েছে?’ তোমরা তো তার থেকে আরো পেরেশান হয়ে পড়বেমুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ (রাঃ) বললেন, ‘আমরা তাঁর অনুগত হয়েছি, এখন তাঁর শেষ ফল না দেখা পর্যন্ত তাঁকে সম্পূর্ণ ত্যাগ করা পছন্দ করি নারাবী বলেন, মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ (রাঃ) এভাবে তার সুযোগ না পাওয়া পর্যন্ত কথা বলতে থাকেন, অতঃপর তাকে হত্যা করে ফেলেন(২৫১০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮০৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮১৬)
৩০৩২. জাবির (রাঃ) সূত্রে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে বর্ণিততিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘কাব ইবনু আশরাফকে হত্যা করার দায়িত্ব কে নিবে?’ তখন মুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ (রাঃ) বললেন, ‘আপনি কি পছন্দ করেন যে, আমি তাকে হত্যা করি?’ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, হ্যাঁমুহাম্মাদ ইবনু মাসলামাহ (রাঃ) বললেন, ‘তবে আমাকে অনুমতি দিন, আমি যেন তাকে কিছু বলিতিনি বললেন, ‘আমি অনুমতি দিলাম’ (২৫১০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮০৭, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮১৭)
৩০৫১. সালামাহ ইবনু আক্ওয়া (রাঃ) হতে বর্ণিততিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কোন এক সফরে মুশরিকদের জনৈক গুপ্তচর তাঁর নিকট এল এবং তাঁর সহাবীগণের সঙ্গে বসে কথাবার্তা বলতে লাগল ও কিছুক্ষণ পরে চলে গেলতখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, ‘তাকে খুঁজে আন এবং হত্যা করনাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মালপত্র হত্যাকারীকে প্রদান করলেন(মুসলিম ৩২/১৩ হাঃ ১৭৫৩, আহমাদ ১৬৫২৩) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২৮২৩, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৮৩৩)
কুরান-হাদিসের পাতায় পাতায় হত্যার নির্মম নির্দেশ দেখতে পাওয়া যায় যা নবী ইসলামের নামে জায়েজ বলে নিজের নবীত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে তুলেছে
                                         শিশুকামীতা- ( ০২) 
সাধারন মানুষ যে ভুল করলেও সমালোচনা হওয়ার মত তেমনি ভুল নবী হয়ে ৬ বছরের বালিকাকে বিয়ে করেছেসুতারাং মুহাম্মদ স্রষ্টার নবী হতে পারে না
৩৮৯৫. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত যে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে বলেন, দুবার তোমাকে আমায় স্বপ্নে দেখানো হয়েছেআমি দেখলাম, তুমি একটি রেশমী কাপড়ে আবৃতা এবং আমাকে বলছে ইনি আপনার স্ত্রী, আমি তার ঘোমটা সরিয়ে দেখলাম, সে মহিলা তুমিইতখন আমি ভাবছিলাম, যদি তা আল্লাহর পক্ষ হতে হয়ে থাকে, তবে তিনি তা বাস্তবায়িত করবেন(৫০৭৮, ৫১২৫, ৭০১১, ৭০১২, মুসলিম ৪৪/১৩, হাঃ নং ২৪৩৮, আহমাদ ২৪১৯৭)(আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬০৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬১৩)
৩৮৯৬. হিশাম এর পিতা হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর মদিনার দিকে বের হওয়ার তিন বছর আগে খাদীজাহ (রাঃ)-এর মৃত্যু হয়তারপর দুবছর অথবা এর কাছাকাছি সময় অতিবাহিত করে তিনি আয়িশাহ (রাঃ)-কে বিবাহ করেনযখন তিনি ছিলেন ছয় বছরের বালিকাতারপর নয় বছর বয়সে বাসর উৎযাপন করেন(৩৮৯৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৬০৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৬১৪)
আসলে কথা হলো- দুনিয়াতে এমন কোন সভ্য মানুষ পাওয়া যাবে না যে নয় বছরের একটা বাচ্চা মেয়ের সাথে, বিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও স্বামী হিসাবে ঘর করবে ও তার সাথে যৌনমিলন করবেবিয়ে করারই প্রশ্ন ওঠে নাযদি কেউ করে তাকে লোকে লম্পট বদমাশ ছাড়া আর কিছু বলবে নাঅথচ সেই কাজটিই করেছেন আমাদের সর্বশেষ ও শ্রেষ্ট নবী মোহাম্মদ যার জীবনাদর্শ ও আচার-আচরন আমাদের সবাইকে দুনিয়ার শেষদিন অবধি অবশ্যই পালন করতে হবে
                                         বহুবিবাহ এবং দাসীসেক্স - ( ০৩)
নবী মুহাম্মদের ১৩ বিবির সাথে বিবাহ হয়েছিল যা নবীত্বকে প্রশ্নের সম্মুখীন করে এমনকি অসংখ্য দাসীভোগ তার নবীত্বকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেয়
৫০৬৭. ‘আত্বা (রহ.) বলেন, আমরা ইবনু আববাস (রাঃ)-এর সঙ্গে সারিফনামক স্থানেমাইমূনাহ (রাঃ)-এর জানাযায় হাজির ছিলামইবনু আববাস (রাঃ) বলেন, ইনি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সহধর্মিণীকাজেই যখন তোমরা তাঁর জানাযাহ উঠাবে তখন ধাক্কা-ধাক্কি এবং তা জোরে নাড়া-চাড়া করো না; বরং ধীরে ধীরে নিয়ে চলবেকেননা, নাবীসাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নয়জন সহধর্মিণী ছিলেন[1] আট জনের সঙ্গেতিনি পালাক্রমে রাত্রি যাপন করতেনআর একজনের সঙ্গে রাত্রি যাপনের কোন পালা ছিল না[2] [মুসলিম ১৭/১১৪, হাঃ ১৪৬৫] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৪৬৯৪, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৪৬৯৭)
এ সম্পর্কে সূরা আহযাবের ৫০ নং আয়াতে আল্লাহ বলেন- হে নাবী! আমি তোমার জন্য বৈধ করেছি তোমার স্ত্রীগণকে যাদের মাহর তুমি প্রদান করেছ, আর বৈধ করেছি সে সব মহিলাদেরকেও যারা আল্লাহর দেয়া দাসীদের মধ্য হতে তোমার মালিকানাভুক্ত হবে, তোমার সে সব চাচাতো, ফুফাতো, মামাতো, খালাতো বোনদেরকেও (বিবাহ বৈধ করেছি) যারা তোমার সাথে হিজরত করে এসেছে এবং কোন মুমিন নারী নাবীর (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) নিকট নিজেকে পেশ করলে এবং নাবী তাকে বিয়ে করতে চাইলে সেও বৈধ- এটা বিশেষ করে তোমার জন্য, অন্য মুমিনদের জন্য নয়মুমিনদের স্ত্রী আর তাদের দাসীদের ব্যাপারে কী সব বিধি-বিধান দিয়েছি তা আমি জানি, (আমি? অসুবিধা না থাকে; আর আল্লাহ ক্ষমাশীল দয়াবান
৪৭৮৮.ইয়াহিয়া ইবনু বুকায়র (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেন, যখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনায় আসেন তখন আমার বয়স দশ বছর ছিলআমার মা, চাচী ও ফুফুরা আমাকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর খাদেম হওয়ার জন্য উৎসাহিত করেছিলএরপর আমি দশ বছরকাল তাঁর খেদমত করিযখন নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ইন্তেকাল হয় তখন আমার বয়স ছিল বিশ বছরআমি পর্দা সম্পর্কে অন্যদের চেয়ে বেশি জানিপর্দা সম্পর্কীয় প্রাথমিক আয়াতসমূহ যয়নাব বিনতে জাহাশ (রাঃ) এর সাথে নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর বাসর রাত যাপনের সময় অবতীর্ণ হয়েছিলসেদিন সকাল বেলা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম দুলহা ছিলেন এবং লোকদেরকে ওয়ালীমার দাওয়াত করলেনসুতরাং তাঁরা এসে খানা খেলেনকিছুসংখ্যক ছাড়া সবাই চলে গেলেনতাঁরা দীর্ঘক্ষণ নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর সাথে কাটালেনতারপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উঠে বাইরে গেলেন
আমি তাঁর পিছু পিছু চলে এলাম, যাতে করে অন্যেরাও বের হয়ে আসেনাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সামনের দিকে এগিয়ে গেলেন, এমনকি তিনি আয়িশা (রাঃ) এর কক্ষের দ্বারপ্রান্তে গেলেন, এরপরে বাকি লোকগুলো হয়ত চলে গেছে এ কথা ভেবে তিনি ফিরে এলেন, আমি তাঁর সাথে ফিরে এলামনাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যয়নব (রাঃ) এর কক্ষে প্রবেশ করে দেখতে পেলেন যে, লোকগুলো বসে রয়েছে- চলে যায়নিসুতরাং নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পুনরায় বাইরে বের হলেন এবং আমি তাঁর সাথে এলামযখন আমরা আয়িশা (রাঃ) এর কক্ষের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছলাম, তিনি ভাবলেন যে, এতক্ষণে হয়ত লোকগুলো চলে গিয়েছেতিনি ফিরে এলেনআমিও তাঁর সাথে ফিরে এসে দেখলাম যে, লোকগুলো চলে গেছেএরপর নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার ও তাঁর মাঝখানে একটি পর্দা টেনে দিলেন
হে নবী! আপনার জন্য আপনার স্ত্রীগণকে হালাল করেছি, যাদেরকে আপনি মোহরানা প্রদান করেনআর দাসীদেরকে হালাল করেছি, যাদেরকে আল্লাহ আপনার করায়ত্ব করে দেন এবং বিবাহের জন্য বৈধ করেছি আপনার চাচাতো ভগ্নি, ফুফাতো ভগ্নি, মামাতো ভগ্নি, খালাতো ভগ্নিকে যারা আপনার সাথে হিজরত করেছেকোন মুমিন নারী যদি নিজেকে নবীর কাছে সমর্পন করে, নবী তাকে বিবাহ করতে চাইলে সেও হালালএটা বিশেষ করে আপনারই জন্য-অন্য মুমিনদের জন্য নয়আপনার অসুবিধা দূরীকরণের উদ্দেশেমুমিনগণের স্ত্রী ও দাসীদের ব্যাপারে যা নির্ধারিত করেছি আমার জানা আছেআল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালুকোরান, ৩৩: ৫০
আপনি তাদের মধ্যে যাকে ইচ্ছা দূরে রাখতে পারেন এবং যাকে ইচ্ছা কাছে রাখতে পারেনআপনি যাকে দূরে রেখেছেন, তাকে কামনা করলে তাতে আপনার কোন দোষ নেইএতে অধিক সম্ভাবনা আছে যে, তাদের চক্ষু শীতল থাকবে; তারা দুঃখ পাবে না এবং আপনি যা দেন, তাতে তারা সকলেই সন্তুষ্ট থাকবেতোমাদের অন্তরে যা আছে, আল্লাহ জানেনআল্লাহ সর্বজ্ঞ, সহনশীলকোরান, ৩৩: ৫১
উক্ত আয়াতে আল্লাহ বলে দিচ্ছেন- মোহাম্মদ যখন খুশী তার যে কোন স্ত্রী বা দাসীর সাথে যৌন সঙ্গম করতে পারেন আর তার জন্য অন্য স্ত্রীর কাছে জবাবদিহি করতে হবে না, অর্থাৎ সবার সাথে সমান ব্যবহার করতে হবে না অথচ যা আবার তিনি তার উম্মতদের জন্য উপদেশ দিচ্ছেনঅর্থাৎ তার উম্মতদের জন্য বিধান হলো- তারা চারটি বিয়ে করতে পারে তবে তাদের সাথে সমান ব্যবহার করতে হবে, যদি তা না পারে তাহলে একটি মাত্র বিয়ে করতে হবেউক্ত আয়াতে শানে নুযুল হলো- মোহাম্মদ তার এক ডজন স্ত্রী ও এক ডজন দাসীর মধ্যে কাউকে কাউকে বেশী পছন্দ করতেন ও তাদের সাথে যৌন সঙ্গম করতে বেশী আগ্রহী ছিলেনতার মধ্যে আয়শা ও জয়নব অন্যতম, দাসীদের মধ্যে মরিয়মবিশেষ করে জয়নব ছিল আকর্ষণীয় দেহ বল্লরীর অধিকারিনীযখন তখন মোহাম্মদ তার ঘরে ঢুকে তার সাথে যৌন সঙ্গম করতেনআর আয়শার সঙ্গ তার বেশী ভাল লাগতফলে অধিক সময় তিনি আয়শার সাথে কাটাতেন ও জয়নবের সাথে অধিক যৌন সঙ্গম করতেন
আমাদের মহানবী তার এ কর্মকান্ডকে জায়েজ করতে গিয়ে তিনি আল্লাহর বানীকে যে ভাবে যথেচ্ছ ব্যবহার করেছেন, একজন সাধারন বোধ সম্পন্ন মুমিন বান্দা যদি তা মনযোগ দিয়ে খেয়াল করেন তাহলে তার সহজেই সন্দেহ হবে যে ওগুলো কিভাবে আল্লাহর কথা হতে পারেযেমন-
আল্লাহ কোন মানুষের মধ্যে দুটি হৃদয় স্থাপন করেননিতোমাদের স্ত্রীগণ যাদের সাথে তোমরা যিহার কর, তাদেরকে তোমাদের জননী করেননি এবং তোমাদের পোষ্যপুত্রদেরকে তোমাদের পুত্র করেননিএগুলো তোমাদের মুখের কথা মাত্রআল্লাহ ন্যায় কথা বলেন এবং পথ প্রদর্শন করেনকোরান, ৩৩: ০৪
মানবতার দিক নির্দেশনাকারীর বহুগামীতা তার নবীত্বকে চ্যালেঞ্জ করে বৈকি!
                                খালা, বোন এবং পুত্রবধুকে ভোগ - ( ০৪)
কোনও নবী তার নিজের খালার মৃত্যুর পরেও তার দেহ ভোগ করতে পারে না কিন্তু মহম্মদ করেছে
(প্রমানঃ কানয-উল-উম্মাল হাদিস অধ্যায়ঃ১৩, পৃষ্ঠাঃ-২৭৪)
নবী তাঁর অষ্টম বিয়েটি সম্পন্ন করেন ৬২৯ খৃস্টাব্দে তাঁরই পালিত পুত্র জায়েদের স্ত্রীর সঙ্গে যাঁর নাম ছিলো জয়নব বিনতে জাহাস কেউ কেউ বলেছেন এটা সপ্তম বিয়ে, ইহুদি নারী জুয়াইরিয়ার সঙ্গে বিয়েটা ছিলো অষ্টম বিয়ে তবে জয়নব বিনতে জাহাসের সঙ্গে বিয়েটাই অষ্টম বিয়ে বলে অধিক বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় মুহাম্মদ অনেকগুলি বিয়ে করেছিলেন যা নিয়ে আজো সারা দুনিয়ায় চর্চা হয় তবে সব চেয়ে বেশি আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিলো দুটি বিয়ে নিয়ে যার রেশ এখনও থামে নি সেই বিয়ে দুটির একটি হলো এই বিয়েটা, আর অন্যটি হলো প্রিয়তম বন্ধু আবু বকরের ছবছরের শিশু কন্যা আয়েশার সঙ্গে বিয়ে জয়নবকে বিয়ে করার ঘটনায় আরবের মানুষের মধ্যে যে তীব্র আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছিলো এবং চারিদিকে ছি ছি ঢি ঢি পড়ে গিয়েছিলো তার প্রভাব পড়েছিলো মুহাম্মদের শিষ্যদের উপরেও, লজ্জায় তাদেরও মাথা নতো হয়ে গিয়েছিলো এর কারণটি খুবই স্পষ্ট তৎকালীন আরবে দত্তক পুত্রের প্রথাটি ছিলো খুবই মর্যাদাপূর্ণ মুহাম্মদও স্বয়ং সেই প্রথাটাকে সম্মান করতেন দত্তক পুত্রকে আরবের মানুষ নিজের পুত্রের মতোই মর্যাদা ও অধিকার দিতো দত্তক পুত্রও পালক পিতামাতার উত্তরাধিকারী হতো প্রথাটির সঙ্গে যে উচ্চ নৈতিকতা ও মূল্যবোধের সম্পৃক্ততা ছিলো সেটাকে পদদলিত করেছিলেন মুহাম্মদ এই বিয়েটা সম্পন্ন করার মধ্য দিয়ে তাই তৎকালীন আরব সমাজ এই বিয়েটার জন্যে মুহাম্মদের ব্যাপক সমালোচনা করেছিলো এবং তাঁকে প্রবল ধিক্কার জানিয়েছিলো এর কোনো সদুত্তর মুসলমানদের কাছে ছিলো না অতীতে মুহাম্মদ তাঁর কোনো কাজের জন্যে যখনই ঘরে বাইরে প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছেন তখনই তিনি আল্লাহর সাহায্য নিয়ে পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন এ ক্ষেত্রেও তার ব্যত্যয় ঘটে নি সমালোচকদের মুখ বন্ধ করতে তিনি জানান যে এই বিয়েটা আল্লাহর ইচ্ছানুসারেই সম্পন্ন হয়েছে পালিত পুত্র তথা দত্তক পুত্রের যে প্রথাটা প্রচলিত ছিলো সেটা আল্লাহর নিকট একটি নিকৃষ্ট প্রথা, সেই প্রথাটি বাতিল করার প্রয়োজনেই আল্লাহ স্বয়ং এই বিয়েটির আয়োজন করেছে
নবুয়্যতের দশম বছর, সাত মাস; ২৭ রজব তারিখে মুহাম্মদ (সা:), আবু তালিবের মেয়ে হিন্দার বাড়িতে ছিলেনআবার অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ঐ রাতে মুহাম্মদ কাবাতে ঘুমান, এবং তিনি কাবার ঐ অংশে ঘুমান, যেখানে কোনো ছাদ ছিল না (হাতিম)[]
হিন্দার বিবরণ থেকে জানা যায়, ঐ রাতে, মুহাম্মদ(সা:), রাতের প্রার্থণা সেরে ঘুমাতে যানখুব ভোরে মুহাম্মদ(সা:) উঠে সবাইকে জাগালেন এবং নামাজ আদায় করলেনহিন্দাও তাঁর সাথে নামাজ আদায় করলেননামাজ শেষে মুহাম্মদ(সা.) জানালেন,
 উম্মেহানি (হিন্দার ডাক নাম), এই ঘরে আমি তোমাদের সাথে প্রার্থণা করেছিযেমন তোমরা দেখেছতারপর আমি পবিত্র স্থানে গিয়েছি এবং সেখানে প্রার্থণা সেরেছিএবং তারপর তোমাদের সাথে ভোরের প্রার্থণা সারলাম, যেমন তোমরা দেখছো
আনাছ (রা.) মালেক ইবনে সাসাআ(রা.) হইতে বর্ণনা করিয়াছেন, নবী ছাল্লাল্লাহু আলাইহি অসাল্লামকে যেই রাত্রে আল্লাহ তাআলা পরিভ্রমণে নিয়া গিয়াছিলেন সেই রাত্রের ঘটনা বর্ণনায় সাহাবীগণের সম্মুখে তিনি বলেছেন, যখন আমি কাবা গৃহে উন্মুক্ত অংশ হাতীমে (উপনীত হইলাম এবং তখনও আমি ভাঙ্গা ঘুমে ভারাক্রান্ত) ঊর্ধ্বমুখী শায়িত ছিলাম, হঠাৎ এক আগন্তক ফেরেশতা জিবরাইল (.) আমার নিকট আসিলেন (এবং আমাকে নিকটবর্তী/ জমজম কূপের সন্নিকটে নিয়া আসিলেন)অতঃপর আমার বক্ষে ঊধর্ব র্সীমা হইতে পেটের নিম্ন সীমা পর্যন্ত চিরিয়া ফেলিলেন এবং আমার হৃৎপিণ্ড বা কল্বটাকে বাহির করিলেনঅতঃপর একটি স্বর্ণপাত্র উপস্থিত করা হইল, যাহা ইমান (পরিপক্ব সত্যিকার জ্ঞানবর্ধক) বস্তুতে পরিপূর্ণ ছিল আমার কল্বটাকে (জমজমের পানিতে) ধৌত করিয়া তাহার ভিতরে ঐ বস্তু ভরিয়া দেওয়া হইল এবং কল্বটাকে নির্ধারিত স্থানে রাখিয়া আমার বক্ষকে ঠিকঠাক করিয়া দেওয়া হইলঅতপর আমার জন্য খচ্চর হইতে একটু ছোট, গাধা হইতে একটু বড় শ্বেত বর্ণের একটি বাহন উপস্থিত করা হইল তাহার নাম বোরাক”, যাহার প্রতি পদক্ষেপ দৃষ্টির শেষ সীমায়সেই বাহনের উপর আমাকে সওয়ার করা হলঘটনা প্রবাহের ভিতর দিয়া জিবরাইল (.) আমাকে লইয়া নিকটবর্তী তথা প্রথম আসমানের দ্বারে পৌঁছিলেন এবং দরজা খুলিতে বলিলেনভিতর হইতে পরিচয় জিজ্ঞাসা করা হইল, জিবরাইল স্বীয় পরিচয় প্রদান করিলেনঅতঃপর জিজ্ঞাসা করা হইল, আপনার সঙ্গে কে আছেন ? জিবরাইল বলিলেন, মুহাম্মদ (সা.) আছেনবলা হইল, (তাঁহাকে নিয়া আসিবার জন্যই তো আপনাকে) তাঁহার নিকট পাঠান হইয়াছিল? জিবরাইল বলিলেন হাঁতারপর আমাদের প্রতি মোবারকবাদ জানাইয়া দরজা খোলা হইলগেটের ভিতরে প্রবেশ করিয়া তথায় আদম (.)-কে দেখিতে পাইলাম জিবরাইল আমাকে তাঁহার পরিচয় করাইয়া বলিলেন, তিনি আপনার আদি পিতা আদম (.), তাঁহাকে সালাম করুনআমি তাঁহাকে সালাম করিলামআমার সলামের উত্তরদানে আমাকে সুযোগ্য পুত্র ও সুযোগ্য নবীআখ্যায়িত করিলেন এবং খোশ আমদেদ জানাইলেন (সংক্ষিপ্ত) সুত্র_উইকিপিডিয়া
উম্মেহানীর সাথে পরকীয়া কিম্বা খালার সাথে সেক্স নবীর সেক্সুন্মাদীর পরিচয় বহন করে যা তার নবীত্বকে প্রশ্নবিদ্ধ করে
                                             কুরাইশ গনহত্যা - (০৫)
কোনো নবী এক রাতেই অন্যায় ভাবে ৮০০ মানুষকে সাধারন তাকে বিশ্বাস না করার তাদের গলা কাটতে পারেনা, কিন্তু মহম্মদ করেছে
(প্রমানঃ সহি মুসলিম হাদিস নং ৪৩৯০)
৪১২২. ‘আয়িশাহ (রাঃ) হতে বর্ণিততিনি বলেন, খন্দকের যুদ্ধে সা(রাঃ) আহত হয়েছিলেনকুরাইশ গোত্রের হিববান ইবনু আরেকা নামক এক ব্যক্তি তাঁর উভয় বাহুর মধ্যবর্তী রগে তীর বিদ্ধ করেছিলনিকট থেকে তার সেবা করার জন্য নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নাববীতে একটি তাঁবু তৈরি করেছিলেনরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খন্দকের যুদ্ধ থেকে ফিরে এসে যখন হাতিয়ার রেখে গোসল শেষ করলেন তখন জিব্রীল (আঃ) নিজ মাথার ধূলাবালি ঝাড়তে ঝাড়তে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে হাজির হলেন এবং বললেন, আপনি হাতিয়ার রেখে দিয়েছেন, কিন্তু আল্লাহর কসম! আমি এখনো তা রেখে দেইনিচলুন তাদের দিকেনাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন কোথায়? তিনি বানী কুরাইযা গোত্রের প্রতি ইশারা করলেনতখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনু কুরাইযার মহল্লায় এলেনঅবশেষে তারা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর ফায়সালা মান্য করে দূর্গ থেকে নিচে নেমে এলকিন্তু তিনি ফয়সালার ভার সা(রাঃ)-এর উপর ন্যস্ত করলেনতখন সা(রাঃ) বললেন, তাদের ব্যাপারে আমি এই ফায়সালা দিচ্ছি যে, তাদের যোদ্ধাদেরকে হত্যা করা হবে, নারী ও সন্তানদেরকে বন্দী করা হবে এবং তাদের ধন-সম্পদ বণ্টন করা হবেবর্ণনাকারী হিশাম (রহ.) বলেন, আমার পিতা আয়িশাহ (রাঃ) থেকে আমার কাছে বর্ণনা করেছেন যে, সা(রাঃ) আল্লাহর কাছে দুআ করেছিলেন, হে আল্লাহ! আপনি তো জানেন, আপনার সন্তুষ্টির জন্য তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করার চেয়ে কোন কিছুই আমার কাছে অধিক প্রিয় নয়যে সম্প্রদায় আপনার রাসূলকে মিথ্যাচারী বলেছে এবং দেশ থেকে বের করে দিয়েছে হে আল্লাহ! আমি মনে করি (খন্দক যুদ্ধের পর) আপনি তো আমাদের ও তাদের মধ্যে যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটিয়েছেনযদি এখনো কুরায়শদের বিরুদ্ধে কোন যুদ্ধ বাকী থেকে থাকে তাহলে আমাকে বাঁচিয়ে রাখুন, যাতে আমি আপনার রাস্তায় তাদের বিরুদ্ধে জিহাদ করতে পারিআর যদি যুদ্ধের সমাপ্তি ঘটিয়ে থাকেন তাহলে ক্ষত হতে রক্ত প্রবাহিত করুন আর তাতেই আমার মৃত্যু দিনএরপর তাঁর ক্ষত থেকে রক্তক্ষরণ হয়ে তা প্রবাহিত হতে লাগলমসজিদে বানী গিফার গোত্রের একটি তাঁবু ছিলতাদের দিকে রক্ত প্রবাহিত হতে দেখে তারা বললেন, হে তাঁবুবাসীগণ! আপনাদের দিক থেকে এসব কী আমাদের দিকে আসছে? পরে তাঁরা জানলেন যে, সা(রাঃ)-এর ক্ষতস্থান থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছেএ জখমের কারণেই তিনি মারা যান, আল্লাহ তাঁর উপর সন্তুষ্ট থাকুন[৪৬৩; মুসলিম ৩২/২২, হাঃ ১৭৬৯, আহমাদ ২৪৩৪৯] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৮১৬, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৮২০)
৪৪৪৬আবূ বাকর ইবনু আবূ শায়বা ও মুহাম্মাদ ইবনু আলা হামদানী (রহঃ) … আয়িশা (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেন, খন্দকের যুদ্ধের দিন সা(রাঃ) আঘাতপ্রাপ্ত হনকুরাইশের ইবনুল আরিকা নামক এক ব্যক্তি তাঁর (হাতের প্রধান) শিরায় তীর নিক্ষেপ করেছিলরাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সা(রাঃ) এর জন্যে মসজিদে একটি তাবু স্থাপন করে দিলেন, যেন নিকট থেকে তাকে দেখাশোনা করা যায়যখন তিনি (রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম) খন্দকের যুদ্ধ থেকে প্রত্যাবর্তন করলেন তখন অস্ত্র রেখে সবেমাত্র গোসলের কাজ সমাপ্ত করলেনএমন সময় জিবরীল (আলাইহিস সালাম) তার মাথা থেকে ধূলিবালি ঝড়তে ঝাড়তে আগমন করলেন
এরপর বললেন, আপনি অস্ত্র রেখে দিয়েছেন? আল্লাহর শপথ! আমরা তো অস্ত্র রাখিনিতাদের দিকে গমন করুনরাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কোন দিকে? তখন তিনি বনূ কুরাইযার দিকে ইঙ্গিত করলেনএরপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের সাথে যুদ্ধ করলেনতারা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর ফয়সালা মেনে নেয়ার শর্তে আত্মসমর্পণের প্রস্তাব করলেনতারপর রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের বিচারের ভার (তাদের নেতা) সা(রাঃ) এর প্রতি প্রত্যর্পণ করলেনসা(রাঃ) বললেন, আমি ফয়সালা দিচ্ছি যে, তাদের মধ্যে যুদ্ধের উপযুক্ত (যুবক) লোকদেরকে হত্যা করা হবে, নারী ও শিশুদেরকে বন্দী করা হবে এবং তাদের সম্পদ সমূহ বণ্টন করা হবে
৪০২৮. ইবনু উমার (রাঃ) হতে বর্ণিততিনি বলেছেন, বনু নাযীর ও বনু কুরাইযাহ গোত্রের ইয়াহূদী সম্প্রদায় (মুসলিমদের বিরুদ্ধে) যুদ্ধ শুরু করলে রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বনু নাযীর গোত্রকে দেশত্যাগে বাধ্য করেন এবং বনু কুরাইযাহ গোত্রের প্রতি দয়া করে তাদেরকে থাকতে দেনকিন্তু পরে বনূ কুরাইযাহ গোত্র (মুসলিমদের বিরুদ্ধে) যুদ্ধ শুরু করলে কতক লোক যারা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর দলভুক্ত হবার পর তিনি তাদেরকে নিরাপত্তা দান করেছিলেন তারা মুসলিম হয়ে গিয়েছিল তারা ব্যতীত অন্য সব পুরুষ লোককে হত্যা করা হয় এবং মহিলা সন্তান-সন্ততি ও মালামাল মুসলিমদের মধ্যে ভাগ করে দেয়া হয়নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম মদিনার সব ইয়াহূদীকে দেশান্তর করলেনআবদুল্লাহ ইবনু সালামের গোত্র বনু কায়নুকা ও বনু হারিসাসহ অন্যান্য ইয়াহূদী গোষ্ঠীকেও তিনি দেশান্তর করেন[মুসলিম ২৩/২০, হাঃ ১৭৬৬] (আধুনিক প্রকাশনীঃ ৩৭২৮, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ৩৭৩২)
২৬৬২. ‘আবদুল্লাহ্ ইবন মুহাম্মদ নুফায়লী (রহঃ) ……… আয়িশাহ (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেন বনূ কুরাইযার মহিলাদের থেকে কোন মহিলাকে হত্যা করা হয়নি, কিন্তু একজন মহিলাকে (হত্যা করা হয়), যে আমার পাশে বসে কথা বলছিল এবং অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছিলএ সময় রাসূলূল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাদের পুরুষদের এক বাজারে হত্যা করেছিলেনতখন জনৈক আহবানকারী সে মহিলার নাম ধরে ডাকে যে, অমুক মহিলা কোথায়? তখন সে বলে, এই তো আমিআমি আয়িশাহ) তাকে জিজ্ঞাসা করিঃ তোমার ব্যাপার কি? তখন সে বলেঃ আমি একটা ঘটনা ঘটিয়েছি, (অর্থাৎ সে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে গালি দেয়)আয়িশাহ (রাঃ) বলেনঃ তখন সে (আহবানকারী) তাকে নিয়ে যায় এবং তার শিরচ্ছেদ করেতিনি বলেনঃ আমি সেই ঘটনাটি এখনো ভুলতে পারিনিকেননা তার আচরণে তাজ্জবের ব্যাপার এই ছিল যে, সে অট্টহাসিতে ফেটে পড়ছিল, অথচ সে জানত যে, তাকে হত্যা করা হবে
আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা অকাতরে ৮০০ কুরাইশের একদিনে শিরোচ্ছেদ যা এককথায় গনহত্যা সেই গনহত্যার নির্দেশকারী আর যাই হোক নবী হতে পারে না!!
                          গর্ভবতীকে মহিলাকে হত্যার নির্দেশ - ( ০৬)
কোনো নবী কোনো  মহিলাকে সামান্য কারনে হত্যা করার আদেশ দিতে পারে না, কিন্তু মহম্মদ  সেটা করেছে
(প্রমানঃ ইবনে ইসহাক পৃষ্ঠাঃ ৮১৯ ও ৯৯৫ )
৪৩৮৭. ইবরাহীম ইবন মূসা (রহঃ) ……… বুরাযদা (রাঃ) থেকে বর্ণিততিনি বলেনঃ গামেদ গোত্রের জনৈক মহিলা নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়ে বলেঃ আমি তো যিনা করেছিতখন তিনি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি ফিরে যাওএরপর সে মহিলা চলে যায়, কিন্তু পরদিন আবার নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর নিকট হাযির হয়ে বলেঃ সম্ভবত আপনি আমাকে সেরুপ প্রত্যাখ্যান করেছিলেনআল্লাহ্র শপথ! আমি তো গর্ভবতীতখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি ফিরে যাওসে মহিলা ফিরে যায়, কিন্তু পরদিন সকালে সে আবার নঁবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নিকট উপস্থিত হয়তখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি তোমার সন্তান প্রসব হওয়া পর্যন্ত ফিরে যাওএরপর সে চলে যায় এবং সন্তান প্রসবের পর নব-জাতককে নিয়ে তার নিকট হাযির হয় এবং বলেঃ আমি একে প্রসব করেছিতখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তুমি ফিরে যাও এবং এ সন্তানকে ততদিন দুধপান করাও, যতদিন সে দুধ না ছাড়েএরপর সে মহিলা চলে যায় এবং দুধ ছাড়াবার পর পুনরায় তার সন্তানকে নিয়ে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে হাযির হয়এ সময় তার সন্তানের হাতে কিছু খাবার ছিল, যা সে খাচ্ছিলতখন তিনি সে সন্তানকে কোন মুসলমানের হাতে সোপর্দ করার নির্দেশ দেন এবং সে মহিলাকে রজমকরার হুকুম দেনতখন একটি গর্ত খুদে তাকে সেখানে পাথর মেরে হত্যা করা হয়খালিদ (রাঃ) সে মহিলার রজমের সময় উপস্থিত ছিলেনতিনি তাকে পাথর দিয়ে আঘাত করায়, সে মহিলার দেহের রক্তের ছিটে তার মুখের উপর এসে পড়ে, যাতে তিনি রাগান্বিত হয়ে সে মহিলা সম্পর্কে কটুক্তি করেনতখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেনঃ হে খালিদ! তুমি চুপ থাকআল্লাহ্র শপথ! যার নিয়ন্ত্রণে আমার জীবন; এ মহিলা এমন তাওবা করেছে ; যদি কোন জালিম ব্যক্তি এরুপ তাওবা করে, তবে তার সমস্ত গুনাহ মার্জিত হবেএরপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর নির্দেশে সে মহিলার জানাযার নামায আদায়ের পর তাকে দাফন করা হয়সূনান আবু দাউদ (ইফাঃ)৩৩/ শাস্তির বিধান
কোনও নবী একজন যৌন দাসী গর্ভবতী নারীকে তার কাছে ক্ষমা চাওয়া সত্তেও তাকে তার পেটের বাচ্চা সহ পাথর ছুড়ে তাকে মারতে পারে না কিন্তু মহম্মদ করেছে(প্রমানঃ সহি মুসলিম বই-১৭ হাদিস নং-৪২০৭
                            যুদ্ধবাজ ও গোত্রহত্যা - ( ০৭) 
নবী মুহাম্মদ ২৭টি যুদ্ধ আর মোটামুটি ৬০ এর অধিক গোত্র হত্যায় সরাসরি অংশগ্রহন করেছেনবী হিসাবে মানুষ হত্যা কতটুকু মানবতার সাথে সংগতিপুর্ন তা যুক্তির বিচারে আসামীর কাঠগোড়ায় দাঁড় করায়আসুন বিবেচনা করি ……
মদীনায় মুহাম্মদের জীবনের ঘটনাপঞ্জি
আনু. ৬২২ মদিনায় হিজরত
৬২৩ কাফেলা আক্রমণের সূচনা
৬২৩ আল কুদর আক্রমণ
৬২৪ বদরের যুদ্ধ: মুসলিমগণ মক্কাবাসীদেরকে পরাজিত করেন
৬২৪ সাওকিকের যুদ্ধ, আবু সুফিয়ান বন্দী হন
৬২৪ বনু কায়নুকা গোত্রকে বহিষ্কার
৬২৪ থি আমিরের আক্রমণ, মুহাম্মাদ গাতাফান গোত্রের ওপর আক্রমণ করেন
৬২৪ খালেদ বিন সুফিয়ান ও আবু রাফির গুপ্তহত্যা
৬২৫ উহুদের যুদ্ধ: মক্কাবাসী মুসলিমদের পরাজিত করে
৬২৫ বির মাওনা ও আল রাজির শোকগাঁথা
৬২৫ হামরা আল-আসাদের আক্রমণ, শত্রুপক্ষ ভীত হয়ে পশ্চাদপসরণ করে
৬২৫ বনু নাদির গোত্র আক্রমণ এবং বহিষ্কার
৬২৫ নজদ আক্রমণ, বদর আক্রমণ এবং দুমাতুল জান্দাল আক্রমণ
৬২৭ খন্দকের যুদ্ধ
৬২৭ বনু কুরায়জা গোত্র আক্রমণ, সফল অবরোধ
৬২৮ হুদায়বিয়ার সন্ধি, কাবায় প্রবেশাধিকার লাভ
৬২৮ খায়বার বিজয়
৬২৯ প্রথম হজ্জ
৬২৯ বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের উপর আক্রমণে ব্যর্থতা: মুতার যুদ্ধ
৬৩০ রক্তপাতবিহীন মক্কা বিজয়
৬৩০ হুনাইনের যুদ্ধ
৬৩০ তায়িফ অবরোধ
৬৩১ আরব উপদ্বীপের অধিকাংশ স্থানের শাসনক্ষমতা লাভ
৬৩২ ঘাসসানীয় সাম্রাজ্যের উপর আক্রমণ: তাবুক যুদ্ধ
৬৩২ বিদায় হজ্জ
৬৩২ মৃত্যু, ৮ই জুনে মদিনায়
                      অমুসলিমদের হত্যার নির্দেশ - (০৮)
কোনো  নবী অন্য ধর্মের লোকদের ধরে অযথা যেখানে পাও সেখানেই তাদের ধরে শাস্তি দেও আর ইসলাম গ্রহন করাও এবং এতেও না মানলে তাদের হত্যা করো এমন শিক্ষা দিতে পারে না কিন্তু মুহম্মদ দিয়েছে
Al-Baqarah 2:216
chronological order:87
নাজিলঃমদীনায়
নাজিলকালঃমদীনায় হিজরতের শুরুর দিকে
كُتِبَ عَلَيْكُمُ 
ٱلْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌ لَّكُمْۖ وَعَسَىٰٓ أَن تَكْرَهُوا۟ شَيْـًٔا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْۖ وَعَسَىٰٓ أَن تُحِبُّوا۟ شَيْـًٔا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْۗ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
তোমাদের উপর লড়াইয়ের বিধান দেয়া হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয় এবং
 হতে পারে কোন বিষয় তোমরা অপছন্দ করছ অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। 
আর হতে পারে কোন বিষয় তোমরা পছন্দ করছ অথচ তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। 
আর আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না
An-Nisa' 4:74
অবতীর্ণঃ মদীনায়
chronological order:92
فَلْيُقَٰتِلْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ ٱلَّذِينَ يَشْرُونَ ٱلْحَيَوٰةَ ٱلدُّنْيَا بِٱلْءَاخِرَةِۚ وَمَن يُقَٰتِلْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ فَيُقْتَلْ أَوْ يَغْلِبْ فَسَوْفَ نُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا
সুতরাং যারা আখিরাতের বিনিময়ে দুনিয়ার জীবন বিক্রয় করে তারা যেন আল্লাহর রাস্তায়
 লড়াই করেআর যে আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করবে অতঃপর সে নিহত হোক কিংবা বিজয়ী,
অচিরেই আমি তাকে দেব মহা পুরস্কার

At-Taubah 9:5
অবতীর্ণঃমদীনায়
chronological order:113
৬২৯ খ্রিস্টাব্দ
(মুহাম্মদের জীবনের শেষ সময়ে)
فَإِذَا ٱنسَلَخَ ٱلْأَشْهُرُ ٱلْحُرُمُ فَٱقْتُلُوا۟ ٱلْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَ دتُّمُوهُمْ وَ
خُذُوهُمْ وَٱحْصُرُوهُمْ وَٱقْعُدُوا۟ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍۚ فَإِن تَابُوا۟ وَأَقَامُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَوُا۟ ٱلزَّكَوٰةَ فَخَلُّوا۟ سَبِيلَهُمْۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
অতঃপর যখন নিষিদ্ধ মাসগুলো অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন তোমরা মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও
 হত্যা কর এবং তাদেরকে পাকড়াও কর, তাদেরকে অবরোধ কর এবং তাদের জন্য প্রতিটি ঘাঁটিতে বসে
 থাকতবে যদি তারা তাওবা করে এবং সালাত কায়েম করে, আর যাকাত দেয়, তাহলে তাদের পথ
 ছেড়ে দাওনিশ্চয় আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু
At-Taubah 9:29
قَٰتِلُوا۟ ٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِ وَلَا 
بِٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ ٱلْحَقِّ مِنَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ حَتَّىٰ يُعْطُوا۟ ٱلْجِزْيَةَ عَن يَدٍ وَهُمْ صَٰغِرُونَ
তোমরা লড়াই কর আহলে কিতাবের সে সব লোকের সাথে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান রাখে না 
এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তা হারাম মনে করে না, আর সত্য দীন গ্রহণ করে না
যতক্ষণ না তারা স্বহস্তে নত হয়ে জিয্য়া দেয়

উল্লেখ্য যে, এই সুরা তওবার ০৫ নাম্বার আয়াত নিয়ে মুমিনদের ত্যানাবাজির যেন কমতি নেই ।,
এই আয়াতটা দেখালেই তারা বলে এই আয়াতের আগের আয়াত পরের আয়াত কোথায়?
এই আয়াতের আগের আয়াত পরের আয়াতেই তো উত্তর রয়েছে ।
এবং তারা এই সুরা তাওবার ০৫ নাম্বার আয়াতকে ঢাকতে সুরা বাকারা এবং সুরা কাফিরুন থেকে আয়াত
 টেনে দেখিয়ে বলে যে ইসলামে কোন জোর জবরদস্তি নেই ।
নাস্তিকেরা বাতিল আয়াত এনে দেখাচ্ছে ।
ওসব আয়াত আল্লা মানসুখ করে দিয়েছে ।
অথচ তারা জানেইনা কোনটা বাতিল আয়াত ।
তো আগে জেনে নেওয়া যাক, তারা কোথা থেকে কি দেখায়ঃ
তোমার ধর্ম তোমার কাছে,আমার ধর্ম আমার কাছে😆
Al-Kafirun 109:6
Chronological order:18
অবতীর্ণঃমক্কায়
لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِىَ دِينِ
‘তোমাদের জন্য তোমাদের দীন আর আমার জন্য আমার দীন।’
Al-Baqarah 2:256
chronological order:87
অবতীর্ণঃমদীনায়
لَآ إِكْرَاهَ فِى ٱلدِّينِۖ قَد تَّبَيَّنَ ٱلرُّشْدُ مِنَ ٱلْغَىِّۚ فَمَن يَكْفُرْ بِٱلطَّٰغُوتِ وَيُؤْمِنۢ بِٱللَّهِ فَقَدِ ٱسْتَمْسَكَ بِٱلْعُرْوَةِ ٱلْوُثْقَىٰ لَا ٱنفِصَامَ لَهَاۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
দীন গ্রহণের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি নেই। নিশ্চয় হিদায়াত স্পষ্ট হয়েছে ভ্রষ্টতা থেকে। অতএব, যে 
ব্যক্তি তাগূতকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, অবশ্যই সে মজবুত রশি আঁকড়ে 
ধরে, যা ছিন্ন হবার নয়। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
এখানে লক্ষ্যনীয় বিষয় হচ্ছে সুরাগুলির chronological order  বা নাজিলকৃত সময় অনুযায়ী সুরাগুলির
 সিরিয়াল নাম্বার। দেখেন এখানে সুরা কাফিরুনের নাজিল অনুযায়ী সিরিয়াল নাম্বার হচ্ছে ১৮ এবং
সুরা বাকারার নাজিলের সিরিয়াল নাম্বার হচ্ছে ৮৭।
অথচ সুরা তাওবার নাজিলকৃত সিরিয়াল নাম্বার হচ্ছে ১১৩ ,যেখানে কুরানে মোট সুরার সংখ্যাই হচ্ছে 
১১৪টি।
তো একবার ভেবে দেখুন তো 
কোন একজন মেম্বার বা ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষমতায় থেকে বললো 
তোমার ধর্ম তোমার কাছে, আমার ধর্ম আমার কাছে, ধর্ম নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি নাই,
অথচ সেই ব্যক্তিটি ১০ বছর পরে প্রধানমন্ত্রী হয়ে যদি বলে বিরোধী দলের যাকে যেখানে পাবি সেখানেই
 সেইটারেই হত্যা করবি  যদি আমার দলে না আসে।
এবং এই কথার পরে যদি সে আর কোন বক্তব্য না দেয় তাহলে তার কোন বক্তব্যটা গ্রহনযোগ্য হবে?
মেম্বার বা ইউপি চেয়ারম্যান হবার পরেরটা নাকি প্রধানমন্ত্রী হবার পরেরটা?
নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী হবার পরেরটা।
তাহলে যারা ওরকম শান্তির বানী শুনিয়ে বলেন যে,ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম, এখানে কোন জোর 
জবরদস্তি নেই,তারা এখন  কি  বলবেন?
আবার যারা আছেন যে,বলে থাকেন এই আয়াতটা কোন প্রেক্ষাপটে নাজিল হয়েছিল আগে সেটা 
দেখেন,তাহলে তাদেরকে  বলছি মক্কা বিজয়ের পরে যখন আপনাদের ধর্মের শান্তির সুঘ্রাণ বইতেছিল,
 যখন কোন যুদ্ধই ছিলনা তখন এই সুরা তাওবাহ  নাজিল হয়েছিল।
তো এই সুরাটা নাজিলের প্রেক্ষাপটটা আমাকে একটু বুঝিয়ে দিবেন প্লিজ।
আরেকটা কথা খুব ঘটা করেই বলে থাকেন যে,এটা তো এখনের জন্য নয়,ঐ সময়ের জন্য ছিল,ওটা 
তো মক্কার লোকেদের  জন্য ছিল, ওটা নবী মুহাম্মাদের জন্য ছিল,ইত্যাদি ইত্যাদি।
তাহলে তাদেরকে বলছি,আপনি যে নামাজ পড়েন, রোজা রাখেন সেটাও তো সেই সময়ের জন্য ছিল
,মক্কার লোকেদের জন্য  ছিল,মুহাম্মাদের উপরে ছিল,তাহলে আপনি সেটা এখনো করছেন কেন?

এবার দেখে নেওয়া যাক কিছু হাদীসের মাধ্যমেঃ
সুনানে নাসাই (ইফা)
অধ্যায়ঃ২৫ (জিহাদ)
হাদীস নং-৩০৯৪
ইউনুস ইবন আলা ও হারিস ইন মিসকিন (রহ)..
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত লাইলাহা ইল্লালাহ -আল্লা ব্যাতীত কোন ইলাহ নেই (তাওহীদ বাক্য) না 
বলবে, ততক্ষন পর্যন্ত রাসুল আমাকে লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বলেছে/নির্দেশ  দেওয়া হয়েছে
তাই যে লাইলাহা ইল্লালাহ বলবে আমার পক্ষ থেকে সে তার সম্পদ এবং প্রানের নিরাপত্তা লাভ করবে
তবে ইসলামের হক ব্যাতিত এর হিসাব আল্লার নিকট
তাহকীকঃসহীহ(মুতাওয়াতির)ইবনে মাজাহঃ ৭১, ৭২,৩৯২৭,৩৯২৮
সুনান নাসাঈ(ইফা)
অধ্যায় -২৫
হাদীস- ৩০৯৯.
আহমদ ইবন মুহাম্মদ ইবন মুগীরা (রহঃ) ও আমর ইবন উছমান ইবন সায়ীদ ইবন কাসীর (রহঃ) ... 
সাঈদ ইবন মুসায়্যার (রহঃ) বর্ণনা করেন, আবু হুরায়রা (রাঃ) তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ 
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লোকেরা যতক্ষণ 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ' না বলবে, ততক্ষণ 
আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছিযে ব্যক্তি তা বললো, সে আমার পক্ষ হতে তার জান-
মালের নিরাপত্তা লাভ করলো তবে ইসলামের হক ব্যতীততার হিসাব আল্লাহর কাছে
তাহক্বীকঃ সহীহ
হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ 
বর্ণনাকারী রাবীঃ সাঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব (রহঃ)
              দাসীসেক্সের নির্দেশদাতা ও দাসীভোগকারী - (০৯)
কোনও স্রস্টার নবী সেক্সের জন্য যৌন দাসী ব্যাবহার করতে পারে না তাও আবার ১৩টা স্ত্রী থাকার পরওসাফিয়া,মারিয়া,রায়হানা,যুয়াইবিয়া ইত্যাদি দাসীভোগ করেছে নবী হয়েও!
২০৯৩. আবদুল গাফফার ইবনু দাউদ (রহঃ) … আনাস ইবনু মালিক (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খায়বার গমন করেনযখন মহান আল্লাহ্ তাআলা তাঁর পক্ষে দুর্গের বিজয় দান করেন, তখন তাঁর সামনে সাফিয়্যা (রাঃ) বিনত হুয়ায়্যি ইবনু আখতাব এর সৌন্দর্যের আলোচনা করা হয়তাঁর স্বামী নিহত হয় এবং তিনি তখন ছিলেন নব-বিবাহিতাঅবশেষে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁকে নিজের জন্য গ্রহন করে নেনতিনি তাঁকে নিয়ে রওয়ানা হনযখন আমরা সাদ্দা রাওহা নামক স্থানে উপনীত হলাম, তখন সাফিয়্যা (রাঃ) পবিত্র হলেনতখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাঁর সাথে মিলিত হন
তারপর চামড়ার ছোট দস্তরখানে খাদ্য (খেজুরের ছাতু ও ঘি মিশ্রিত) তৈরী করে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, তোমরা আশেপাশের লোকদের উপস্থিত হওয়ার জন্য খবর দিয়ে দাওএই ছিল সাফিয়্যা (রাঃ) এর বিবাহে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কর্তৃক ওলীমাএরপর আমরা মদিনার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হইআনাস (রাঃ) বলেন, আমি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম কে দেখতে পেলাম যে, তাঁকে নিজের আবাদিয়ে ঘেরাও করে দিচ্ছেনতারপর তিনি তাঁর উটের পাশে বসে হাঁটু মোবারক সোজা করে রাখলেন, পরে . সাফিয়্যা (রাঃ) তাঁর হাঁটুর উপর পা দিয়ে ভর করে আরোহন করলেন
মারিয়া ছিলেন একজন অল্প বয়সী খৃস্টান মেয়ে যাঁকে উপহার হিসেবে মুহাম্মদ পেয়েছিলেন মিশরের সম্রাট মুকাউকিসের নিকট থেকে তিনি ছিলেন সম্রাটের অনেক দাসীদের একজন মুহাম্মদ মুকাউকিসকে ইসলামের দাওয়াত [আমন্ত্রণ] পাঠিয়েছিলেন পত্রযোগে মুকাউকিস ইসলাম গ্রহণ না করলেও মুহাম্মদকে পুরোপুরি হতাশ করেন নি তিনি তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছু উপঢৌকন পাঠিয়েছিলেন উপহার সামগ্রীর মধ্যে দুজন কপটিক খৃস্টান দাসী বালিকাও ছিলেন যাঁদের একজন ছিলেন মারিয়া মারিয়ার নাম ছিলো মেরী, অপরজনের নাম ছিলো শিরী মুহাম্মদ মেরীকে তাঁর নিকট উপপত্নী করে রেখে দেন, এবং শিরীকে তুলে দেন তাঁর বিশ্বস্ত অনুগামী কবি হাসসানের হাতে মুহাম্মদ মেরীর নাম পাল্টে মারিয়া রাখেন মুহাম্মদের কতগুলি দাসী ও উপপত্নী ছিলো সে বিষয়ে নির্ভরযোগ্য কোনো তথ্য পাওয়া যায় না জানা যায় না সেই দাসী উপপত্নীদের নাম,ধাম ও পরিচয়ওএক্ষেত্রে কেবল মারিয়াই ব্যতিক্রম মারিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য পাওয়া যায় এই তথ্যগুলির প্রধান উৎস হলো কোরান ও হাদিস তবে মারিয়া সম্পর্কে যে সব তথ্য পাওয়া যায় তার মধ্যে প্রচুর মতভেদ দেখা যায়
মারিয়াকে নিয়ে যে প্রশ্নে তীব্র মতভেদ রয়েছে তা হলো মুহাম্মদ কি মারিয়াকে বিয়ে করেছিলেন, না কি তাঁকে উপপত্নী করেই রেখে দিয়েছিলেন ? এ মতটাই প্রবল যে মুহাম্মদ তাঁকে বিয়ে করেছিলেন কিন্তু কখন বিয়ে করেছিলেন সে প্রশ্নেও মতভেদ রয়েছে একটা মত হলো যে, মারিয়া একটি পুত্র সন্তান জন্ম দেওয়ার পর মুহাম্মদ তাঁকে বিয়ে করেছিলেন এবং মুহাম্মদ সেই সন্তানের পিতৃত্ব দাবি করেছিলেন অন্য মতটি হলো, সম্রাট মুকাকিউসের অনুরোধে মুহাম্মদ মারিয়াকে বিয়ে করেছিলেন উপহার হিসেবে পাওয়ার অল্প কিছুদিন পরেই তবে বিভিন্ন ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে এটা স্পষ্ট যে মারিয়ার গর্ভে সন্তান আসার পূর্বে মুহাম্মদ তাঁকে বিয়ে করে স্ত্রীর মর্যাদা দেন নি মুহাম্মদের একনিষ্ঠ অনুগামী জীবনীকারদের অনেকেরই মত এটাই এ প্রসঙ্গে জীবনীকার মহম্মদ হেইকল কী লিখেছেন তা উদ্ধৃত করে মহম্মদ সাদাত আলী জানাচ্ছেন, “তবে অন্যান্য অনেকের সঙ্গে গলা মিলিয়ে তিনিও বলেছেন যে, প্রথমে তিনি বাঁদি-বিবি ছিলেন পরে সন্তান জন্মদানে সমর্থ হলে তাঁর মর্যাদা উন্নীত হয় [মহানবী [সঃ] এঁর বিবাহ, পৃষ্ঠা ১০৪]
                               ডাকাতি - (১০)
নবীত্বের দাবী করা মুহাম্মদ কিভাবে বানিজ্য কাফেলায় রাতের আঁধারে আক্রমন চালিয়ে সর্বস্ব লুঠে নিতে পারে?
রাবী বলেন, এ দিকে আবূ জানদাল ইবনু সুহায়ল কাফিরদের কবল থেকে পালিয়ে এসে আবূ বাসীরের সঙ্গে মিলিত হলেনএরপর থেকে কুরাইশ গোত্রের যে-ই ইসলাম গ্রহণ করত, সে-ই আবূ বাসীরের সঙ্গে এসে মিলিত হতোএভাবে তাদের একটি দল হয়ে গেলআল্লাহর কসম! তারা যখনই শুনতেন যে, কুরাইশদের কোন বানিজ্য কাফিলা সিরিয়া যাবে, তখনই তারা তাদের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করতেন আর তাদের হত্যা করতেন ও তাদের মাল সামান কেড়ে নিতেন্ তখন কুরাইশরা নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে লোক পাঠালআল্লাহ ও আত্মীয়তার ওয়াসীলা দিয়ে আবেদন করল যে, আপনি আবূ বাসীরের কাছে এর থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ পাঠানএখন থেকে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে) কেউ এলে সে নিরাপদ থাকবে(সংক্ষিপ্ত)সহীহ বুখারী (ইফাঃ)৪৬/ শর্তাবলীহাদিস নাম্বার:২৫৪৭ |
রাতের আঁধারে অন্যের সম্পদ লুন্ঠনকারী কিভাবে নবী হতে পারে এই প্রশ্ন রাখছি আগামী প্রজন্মের কাছে

No comments

Powered by Blogger.