যেভাবে মুহাম্মদে ধীরেধীরে হিংস্রতর হয়ে উঠে
যেভাবে মুহাম্মদে ধীরেধীরে হিংস্র থেকে হিংস্রতর হয়ে ঊঠে এবং ক্ষমতার মসনদে পৌছায় এবং চুড়ান্ত ক্ষমতায় পৌছানোর পরে যেটা ঘোষনা দিয়ে যায়ঃ
মুহাম্মদে তার ব্যক্তি জীবনে নানাভাবে ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করে করে একসময় নিজেই একটা রাজনৈতিক দল গঠন করেন।
যেটা গঠনের মাধ্যমে একসময় সে তার লক্ষ্যে পৌছাতে সম্ভবপর হয়েছিল ।
আর তার এই সম্ভাবনা যেভাবে সম্ভব হয়েছিল সেটা হচ্ছেঃজিহাদ বা যুদ্ধের মাধ্যমে ।
( ০১) প্রথম স্টেজ-
যখন মক্কায় দুর্বল থাকা অবস্থায়ঃ
তোমার ধর্ম তোমার কাছে,আমার ধর্ম আমার কাছে
Al-Kafirun 109:6
Chronological order:18
অবতীর্ণঃমক্কায়।
لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِىَ دِينِ
‘তোমাদের জন্য তোমাদের দীন আর আমার জন্য আমার দীন।’
আবার মদীনায় হিজরতের শুরুরদিকে ,যখন মুহাম্মদে দুর্বল ছিলঃ
Al-Baqarah 2:256
chronological order:87
অবতীর্ণঃ(মদীনায় )
لَآ إِكْرَاهَ فِى ٱلدِّينِۖ قَد تَّبَيَّنَ ٱلرُّشْدُ مِنَ ٱلْغَىِّۚ فَمَن يَكْفُرْ بِٱلطَّٰغُوتِ وَيُؤْمِنۢ بِٱللَّهِ فَقَدِ ٱسْتَمْسَكَ بِٱلْعُرْوَةِ ٱلْوُثْقَىٰ لَا ٱنفِصَامَ لَهَاۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
অবতীর্ণঃ(মদীনায় )
لَآ إِكْرَاهَ فِى ٱلدِّينِۖ قَد تَّبَيَّنَ ٱلرُّشْدُ مِنَ ٱلْغَىِّۚ فَمَن يَكْفُرْ بِٱلطَّٰغُوتِ وَيُؤْمِنۢ بِٱللَّهِ فَقَدِ ٱسْتَمْسَكَ بِٱلْعُرْوَةِ ٱلْوُثْقَىٰ لَا ٱنفِصَامَ لَهَاۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
দীন গ্রহণের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি নেই। নিশ্চয় হিদায়াত স্পষ্ট হয়েছে ভ্রষ্টতা থেকে। অতএব, যে ব্যক্তি তাগূতকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনে, অবশ্যই সে মজবুত রশি আঁকড়ে ধরে, যা ছিন্ন হবার নয়। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ।
( ০২) দ্বিতীয় স্টেজঃ
জনসংখ্যা কম থাকার কারনে আগে থেকে কাউকে আঘাত না করে চুপচাপ উটপাখির মত বালুতে মাথা গুজে থাকা এবং কেউ আঘাত করলেই কেবল তাকে আঘাতের আইনজারীঃ
.Al-Hajj 22:39
chronological order:103
অবতীর্নঃমদীনায়
chronological order:103
অবতীর্নঃমদীনায়
أُذِنَ لِلَّذِينَ يُقَٰتَلُونَ بِأَنَّهُمْ ظُلِمُوا۟ۚ وَإِنَّ ٱللَّهَ عَلَىٰ نَصْرِهِمْ لَقَدِيرٌ
যুদ্ধের অনুমতি দেয়া হল তাদেরকে, যাদেরকে আক্রমণ করা হচ্ছে। কারণ তাদের ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। নিশ্চয় আল্লাহ তাদেরকে বিজয় দানে সক্ষম।
Al-Hajj 22:40
Al-Hajj 22:40
ٱلَّذِينَ أُخْرِجُوا۟ مِن دِيَٰرِهِم بِغَيْرِ حَقٍّ إِلَّآ أَن يَقُولُوا۟ رَبُّنَا ٱللَّهُۗ وَلَوْلَا دَفْعُ ٱللَّهِ ٱلنَّاسَ بَعْضَهُم بِبَعْضٍ لَّهُدِّمَتْ صَوَٰمِعُ وَبِيَعٌ وَصَلَوَٰتٌ وَمَسَٰجِدُ يُذْكَرُ فِيهَا ٱسْمُ ٱللَّهِ كَثِيرًاۗ وَلَيَنصُرَنَّ ٱللَّهُ مَن يَنصُرُهُۥٓۗ إِنَّ ٱللَّهَ لَقَوِىٌّ عَزِيزٌ
যাদেরকে তাদের নিজ বাড়ী-ঘর থেকে অন্যায়ভাবে শুধু এ কারণে বের করে দেয়া হয়েছে যে, তারা বলে, ‘আমাদের রব আল্লাহ’। আর আল্লাহ যদি মানবজাতির একদলকে অপর দল দ্বারা দমন না করতেন, তবে বিধস্ত হয়ে যেত খৃস্টান সন্ন্যাসীদের আশ্রম, গির্জা, ইয়াহূদীদের উপাসনালয় ও মসজিদসমূহ- যেখানে আল্লাহর নাম অধিক স্মরণ করা হয়। আর আল্লাহ অবশ্যই তাকে সাহায্য করেন, যে তাকে সাহায্য করে। নিশ্চয় আল্লাহ শক্তিমান, পরাক্রমশালী।
সুনানে নাসাই( ইফা)
অধ্যায়ঃ জিহাদ
হাদিস নং- ৩১০০
হারুন ইবনে আব্দুল্লা ও মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল ইবনে ইব্রাহীম (রহঃ) আনাস (রাঃ)রাসুলুল্লাহ... লাম
থেকে বর্ননা করেন যে,তিনি বলেছেন তোমরা জিহাদ করো মুশরিকদের সাথে তোমাদের মাল ( সম্পদ ) তোমাদের হাত এবং তোমাদের জিহবা দ্বারা।
তাহক্বীকঃসহীহ
মিশকাত-৩৮২১
আবু দাউদ-১২৬২
সুনানে নাসাই( ইফা)
অধ্যায়ঃ জিহাদ
হাদিস নং- ৩১০০
হারুন ইবনে আব্দুল্লা ও মুহাম্মদ ইবনে ইসমাঈল ইবনে ইব্রাহীম (রহঃ) আনাস (রাঃ)রাসুলুল্লাহ... লাম
থেকে বর্ননা করেন যে,তিনি বলেছেন তোমরা জিহাদ করো মুশরিকদের সাথে তোমাদের মাল ( সম্পদ ) তোমাদের হাত এবং তোমাদের জিহবা দ্বারা।
তাহক্বীকঃসহীহ
মিশকাত-৩৮২১
আবু দাউদ-১২৬২
(০৩) তৃতীয় এবং ফাইনাল ষ্টেজঃ
মদীনায় যাওয়ার পরে একটু দলবল গোছানোর পরে জনগনকে বা সৈন্য সামন্তদের যুদ্ধের প্রতি আকৃষ্ট করতে এবং যুদ্ধে যাওয়ার জন্য জিহাদ বা যুদ্ধকে ফরজ বানাইছে,এবং যুদ্ধের প্রতি লালসা বা লোভ বাড়ানোর জন্য লোভনীয় অফার দিয়ে আয়াত বানানোঃ
মদীনায় যাওয়ার পরে একটু দলবল গোছানোর পরে জনগনকে বা সৈন্য সামন্তদের যুদ্ধের প্রতি আকৃষ্ট করতে এবং যুদ্ধে যাওয়ার জন্য জিহাদ বা যুদ্ধকে ফরজ বানাইছে,এবং যুদ্ধের প্রতি লালসা বা লোভ বাড়ানোর জন্য লোভনীয় অফার দিয়ে আয়াত বানানোঃ
Al-Baqarah 2:216
chronological order:87
নাজিলঃমদীনায়।
নাজিলকালঃমদীনায় হিজরতের শুরুর দিকে।
chronological order:87
নাজিলঃমদীনায়।
নাজিলকালঃমদীনায় হিজরতের শুরুর দিকে।
كُتِبَ عَلَيْكُمُ ٱلْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌ لَّكُمْۖ وَعَسَىٰٓ أَن تَكْرَهُوا۟ شَيْـًٔا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْۖ وَعَسَىٰٓ أَن تُحِبُّوا۟ شَيْـًٔا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْۗ وَٱللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
তোমাদের উপর লড়াইয়ের বিধান দেয়া হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয় এবং হতে পারে কোন বিষয় তোমরা অপছন্দ করছ অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হতে পারে কোন বিষয় তোমরা পছন্দ করছ অথচ তা তোমাদের জন্য অকল্যাণকর। আর আল্লাহ জানেন এবং তোমরা জান না।
An-Nisa' 4:74
অবতীর্ণঃ মদীনায়
chronological order:92
فَلْيُقَٰتِلْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ ٱلَّذِينَ يَشْرُونَ ٱلْحَيَوٰةَ ٱلدُّنْيَا بِٱلْءَاخِرَةِۚ وَمَن يُقَٰتِلْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ فَيُقْتَلْ أَوْ يَغْلِبْ فَسَوْفَ نُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا
অবতীর্ণঃ মদীনায়
chronological order:92
فَلْيُقَٰتِلْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ ٱلَّذِينَ يَشْرُونَ ٱلْحَيَوٰةَ ٱلدُّنْيَا بِٱلْءَاخِرَةِۚ وَمَن يُقَٰتِلْ فِى سَبِيلِ ٱللَّهِ فَيُقْتَلْ أَوْ يَغْلِبْ فَسَوْفَ نُؤْتِيهِ أَجْرًا عَظِيمًا
সুতরাং যারা আখিরাতের বিনিময়ে দুনিয়ার জীবন বিক্রয় করে তারা যেন আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করে। আর যে আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করবে অতঃপর সে নিহত হোক কিংবা বিজয়ী, অচিরেই আমি তাকে দেব মহা পুরস্কার।
তৃতীয় স্তরঃ মক্কা বিজয়ের পরে।
At-Taubah 9:5
অবতীর্ণঃমদীনায়
chronological order:113
৬২৯ খ্রিস্টাব্দ
(মুহাম্মদের জীবনের শেষ সময়ে)
فَإِذَا ٱنسَلَخَ ٱلْأَشْهُرُ ٱلْحُرُمُ فَٱقْتُلُوا۟ ٱلْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَٱحْصُرُوهُمْ وَٱقْعُدُوا۟ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍۚ فَإِن تَابُوا۟ وَأَقَامُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَوُا۟ ٱلزَّكَوٰةَ فَخَلُّوا۟ سَبِيلَهُمْۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
chronological order:113
৬২৯ খ্রিস্টাব্দ
(মুহাম্মদের জীবনের শেষ সময়ে)
فَإِذَا ٱنسَلَخَ ٱلْأَشْهُرُ ٱلْحُرُمُ فَٱقْتُلُوا۟ ٱلْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَٱحْصُرُوهُمْ وَٱقْعُدُوا۟ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍۚ فَإِن تَابُوا۟ وَأَقَامُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَوُا۟ ٱلزَّكَوٰةَ فَخَلُّوا۟ سَبِيلَهُمْۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
অতঃপর যখন নিষিদ্ধ মাসগুলো অতিবাহিত হয়ে যাবে, তখন তোমরা মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও হত্যা কর এবং তাদেরকে পাকড়াও কর, তাদেরকে অবরোধ কর এবং তাদের জন্য প্রতিটি ঘাঁটিতে বসে থাক। তবে যদি তারা তাওবা করে এবং সালাত কায়েম করে, আর যাকাত দেয়, তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
At-Taubah 9:29
قَٰتِلُوا۟ ٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِ وَلَا بِٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ ٱلْحَقِّ مِنَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ حَتَّىٰ يُعْطُوا۟ ٱلْجِزْيَةَ عَن يَدٍ وَهُمْ صَٰغِرُونَ
তোমরা লড়াই কর আহলে কিতাবের সে সব লোকের সাথে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান রাখে না এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তা হারাম মনে করে না, আর সত্য দীন গ্রহণ করে না, যতক্ষণ না তারা স্বহস্তে নত হয়ে জিজিয়া দেয়।
সুনানে নাসাই (ইফা)
অধ্যায়ঃ২৫ (জিহাদ)
হাদীস নং-৩০৯৪
ইউনুস ইবন আলা ও হারিস ইন মিসকিন (রহ)..
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত লাইলাহা ইল্লালাহ -আল্লা ব্যাতীত কোন ইলাহ নেই (তাওহীদ বাক্য) না বলবে, ততক্ষন পর্যন্ত রাসুল আমাকে লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বলেছে/নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তাই যে লাইলাহা ইল্লালাহ বলবে আমার পক্ষ থেকে সে তার সম্পদ এবং প্রানের নিরাপত্তা লাভ করবে।তবে ইসলামের হক ব্যাতিত এর হিসাব আল্লার নিকট।
তাহকীকঃসহীহ(মুতাওয়াতির)ইবনে মাজাহঃ ৭১, ৭২,৩৯২৭,৩৯২৮
অধ্যায়ঃ২৫ (জিহাদ)
হাদীস নং-৩০৯৪
ইউনুস ইবন আলা ও হারিস ইন মিসকিন (রহ)..
আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্নিত লাইলাহা ইল্লালাহ -আল্লা ব্যাতীত কোন ইলাহ নেই (তাওহীদ বাক্য) না বলবে, ততক্ষন পর্যন্ত রাসুল আমাকে লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বলেছে/নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তাই যে লাইলাহা ইল্লালাহ বলবে আমার পক্ষ থেকে সে তার সম্পদ এবং প্রানের নিরাপত্তা লাভ করবে।তবে ইসলামের হক ব্যাতিত এর হিসাব আল্লার নিকট।
তাহকীকঃসহীহ(মুতাওয়াতির)ইবনে মাজাহঃ ৭১, ৭২,৩৯২৭,৩৯২৮
সুনান নাসাঈ(ইফা)
অধ্যায় -২৫
হাদীস- ৩০৯৯.
আহমদ ইবন মুহাম্মদ ইবন মুগীরা (রহঃ) ও আমর ইবন উছমান ইবন সায়ীদ ইবন কাসীর (রহঃ) ... সাঈদ ইবন মুসায়্যার (রহঃ) বর্ণনা করেন, আবু হুরায়রা (রাঃ) তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লোকেরা যতক্ষণ 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ' না বলবে, ততক্ষণ আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি। যে ব্যক্তি তা বললো, সে আমার পক্ষ হতে তার জান-মালের নিরাপত্তা লাভ করলো তবে ইসলামের হক ব্যতীত। তার হিসাব আল্লাহর কাছে।
অধ্যায় -২৫
হাদীস- ৩০৯৯.
আহমদ ইবন মুহাম্মদ ইবন মুগীরা (রহঃ) ও আমর ইবন উছমান ইবন সায়ীদ ইবন কাসীর (রহঃ) ... সাঈদ ইবন মুসায়্যার (রহঃ) বর্ণনা করেন, আবু হুরায়রা (রাঃ) তাকে সংবাদ দিয়েছেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লোকেরা যতক্ষণ 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহ' না বলবে, ততক্ষণ আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি। যে ব্যক্তি তা বললো, সে আমার পক্ষ হতে তার জান-মালের নিরাপত্তা লাভ করলো তবে ইসলামের হক ব্যতীত। তার হিসাব আল্লাহর কাছে।
তাহক্বীকঃ সহীহ।
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ
বর্ণনাকারী রাবীঃ সাঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব (রহঃ)
তো উপরন্তু আমার বক্তব্য হচ্ছে যারা বলেন যে,ইসলামে দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি নেই।
তোমার ধর্ম তোমার কাছে, আমার ধর্ম আমার কাছে তারা এবার আমাকে একটু বুঝিয়ে দেন যে,একজন ব্যক্তি তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে পদার্পণ করেই বললেন তোমার ধর্ম তোমার কাছে, আমার ধর্ম আমার কাছে,
ইসলামে দ্বীন নিয়ে বাড়াবাড়ি নেই,ঠিক সেই ব্যক্তিটাই ক্ষমতার মসনদে বসে যদি বলে যায় যে,যারা আল্লাতে বিশ্বাস করেনা বা ইসলাম মানেনা তাদেরকে হত্যা করো যেখানে পাও সেখানেই,তাদেরকে পাকড়াও করো,তাদের জন্য ওত পেতে থাকো ইত্যাদি ইত্যাদি।
তাহলে কি সেই ব্যক্তিটির আগের কথার কোন দাম থাকে বা মূল্য থাকে?
তোমার ধর্ম তোমার কাছে, আমার ধর্ম আমার কাছে তারা এবার আমাকে একটু বুঝিয়ে দেন যে,একজন ব্যক্তি তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে পদার্পণ করেই বললেন তোমার ধর্ম তোমার কাছে, আমার ধর্ম আমার কাছে,
ইসলামে দ্বীন নিয়ে বাড়াবাড়ি নেই,ঠিক সেই ব্যক্তিটাই ক্ষমতার মসনদে বসে যদি বলে যায় যে,যারা আল্লাতে বিশ্বাস করেনা বা ইসলাম মানেনা তাদেরকে হত্যা করো যেখানে পাও সেখানেই,তাদেরকে পাকড়াও করো,তাদের জন্য ওত পেতে থাকো ইত্যাদি ইত্যাদি।
তাহলে কি সেই ব্যক্তিটির আগের কথার কোন দাম থাকে বা মূল্য থাকে?
ধরুন কোন একজন মেম্বার বা ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষমতায় থেকে বললো তোমার ধর্ম তোমার কাছে, আমার ধর্ম আমার কাছে,
ধর্ম নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি নাই,
অথচ সেই ব্যক্তিটি ১০ বছর পরে প্রধানমন্ত্রী হয়ে যদি বলে বিরোধী দলের যাকে যেখানে পাবি সেখানেই সেইটারেই হত্যা করবি যদি আমার দলে না আসে।
এবং এই কথার পরে যদি সে আর কোন বক্তব্য না দেয় তাহলে তার কোন বক্তব্যটা গ্রহনযোগ্য হবে?
মেম্বার বা ইউপি চেয়ারম্যান হবার পরেরটা নাকি প্রধানমন্ত্রী হবার পরেরটা?
নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী হবার পরেরটা।
তাহলে যারা ওরকম শান্তির বানী শুনিয়ে বলেন যে,ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম, এখানে কোন জোর জবরদস্তি নেই,তারা এখন ক বলবেন?
ধর্ম নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি নাই,
অথচ সেই ব্যক্তিটি ১০ বছর পরে প্রধানমন্ত্রী হয়ে যদি বলে বিরোধী দলের যাকে যেখানে পাবি সেখানেই সেইটারেই হত্যা করবি যদি আমার দলে না আসে।
এবং এই কথার পরে যদি সে আর কোন বক্তব্য না দেয় তাহলে তার কোন বক্তব্যটা গ্রহনযোগ্য হবে?
মেম্বার বা ইউপি চেয়ারম্যান হবার পরেরটা নাকি প্রধানমন্ত্রী হবার পরেরটা?
নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী হবার পরেরটা।
তাহলে যারা ওরকম শান্তির বানী শুনিয়ে বলেন যে,ইসলাম হলো শান্তির ধর্ম, এখানে কোন জোর জবরদস্তি নেই,তারা এখন ক বলবেন?
আবার যারা আছেন যে,বলে থাকেন এই আয়াতটা কোন প্রেক্ষাপটে নাজিল হয়েছিল আগে সেটা দেখেন,তাহলে তাদেরকে বলছি মক্কা বিজয়ের পরে যখন আপনাদের ধর্মের শান্তির সুঘ্রাণ বইতেছিল, যখন কোন যুদ্ধই ছিলনা তখন এই সুরা তাওবাহ নাজিল হয়েছিল।
তো এই সুরাটা নাজিলের প্রেক্ষাপটটা আমাকে একটু বুঝিয়ে দিবেন প্লিজ।
তো এই সুরাটা নাজিলের প্রেক্ষাপটটা আমাকে একটু বুঝিয়ে দিবেন প্লিজ।
আরেকটা কথা খুব ঘটা করেই বলে থাকেন যে,এটা তো এখনের জন্য নয়,ঐ সময়ের জন্য ছিল,ওটা তো মক্কার লোকেদের জন্য ছিল, ওটা নবী মুহাম্মাদের জন্য ছিল,ইত্যাদি ইত্যাদি।
তাহলে তাদেরকে বলছি,আপনি যে নামাজ পড়েন, রোজা রাখেন সেটাও তো সেই সময়ের জন্য ছিল,মক্কার লোকেদের জন্য ছিল,মুহাম্মাদের উপরে ছিল,তাহলে আপনি সেটা এখনো করছেন কেন?
তাহলে তাদেরকে বলছি,আপনি যে নামাজ পড়েন, রোজা রাখেন সেটাও তো সেই সময়ের জন্য ছিল,মক্কার লোকেদের জন্য ছিল,মুহাম্মাদের উপরে ছিল,তাহলে আপনি সেটা এখনো করছেন কেন?
নোটঃ এখানে আরেকটা মারপ্যাচ আছে মনে করিয়ে দিই, নয়তো ওদের চাপার ঠ্যালায় কাত হয়ে পড়ে যাবেন।
আর সেটা হচ্ছেঃ এসব সুরা আয়াত দেখালেই ওরা বলবে যে এটা তো অমুক প্রেক্ষাপটে তমুক কারনে নাজিল হয়েছিল ।
এটা তো সবসময়ের জন্য বলেনি, সবার উদ্দেশ্যে বলেনি ,এটা ছিল অমুক যুদ্ধ তমুক যুদ্ধকে কেন্দ্র করে , ইভেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দাবী করে থাকে যে,এটা হলো হুদাইবিয়ার সন্ধি চুক্তি ভঙ্গের কারনে এই ঘোষনা দিছিল।
আসলে এসব কথাবার্তা হচ্ছে ওদের পিঠ বাচাবার রাস্তা খোচা ।
কারন এই সুরা তাওবা হচ্ছে নাজিল অনুসারে ১১৩ নাম্বার সুরা ।
যেখানে মোট সুরার সংখ্যাই হচ্ছে ১১৪ টি ।মানে মুহাম্মদের জীবনের একেবারেই শেষ সময়ের বানানো সুরা এইটা ।এই সুরা নাজিল হয় হচ্ছে ৬৩২ খ্রিঃ আর এই সুরা নাজিলের সময়ে কোন যুদ্ধই ছিলনা , কারন মুহাম্মদের জীবনের শেষ যুদ্ধ হচ্ছে মক্কা বিজয়।আর সেই মক্কা বিজয় হচ্ছে ৬৩০ খ্রিঃ
মানে এই সুরাটা হচ্ছে মক্কা বিজয়েরও ২ বছর পরে।তাহলে এখানে আবার যুদ্ধের প্রেক্ষাপট আসলো কিভাবে?
আবার অনেকেই বলে যে এটা হচ্ছে হুদাইবিয়ার সন্ধিচুক্তি ভঙের কারনে।
অথচ দেখেন এই সুরার প্রথম আয়াতেই বলা হয়েছে আল্লা ও তার রাসুলের পক্ষ থেকে সমস্ত চুক্তি বাতিল করা হলো।
At-Taubah 9:1
بَرَآءَةٌ مِّنَ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦٓ إِلَى ٱلَّذِينَ عَٰهَدتُّم مِّنَ ٱلْمُشْرِكِينَ
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা সে সব লোকের প্রতি মুশরিকদের মধ্য থেকে যাদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলে।
আর সেটা হচ্ছেঃ এসব সুরা আয়াত দেখালেই ওরা বলবে যে এটা তো অমুক প্রেক্ষাপটে তমুক কারনে নাজিল হয়েছিল ।
এটা তো সবসময়ের জন্য বলেনি, সবার উদ্দেশ্যে বলেনি ,এটা ছিল অমুক যুদ্ধ তমুক যুদ্ধকে কেন্দ্র করে , ইভেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দাবী করে থাকে যে,এটা হলো হুদাইবিয়ার সন্ধি চুক্তি ভঙ্গের কারনে এই ঘোষনা দিছিল।
আসলে এসব কথাবার্তা হচ্ছে ওদের পিঠ বাচাবার রাস্তা খোচা ।
কারন এই সুরা তাওবা হচ্ছে নাজিল অনুসারে ১১৩ নাম্বার সুরা ।
যেখানে মোট সুরার সংখ্যাই হচ্ছে ১১৪ টি ।মানে মুহাম্মদের জীবনের একেবারেই শেষ সময়ের বানানো সুরা এইটা ।এই সুরা নাজিল হয় হচ্ছে ৬৩২ খ্রিঃ আর এই সুরা নাজিলের সময়ে কোন যুদ্ধই ছিলনা , কারন মুহাম্মদের জীবনের শেষ যুদ্ধ হচ্ছে মক্কা বিজয়।আর সেই মক্কা বিজয় হচ্ছে ৬৩০ খ্রিঃ
মানে এই সুরাটা হচ্ছে মক্কা বিজয়েরও ২ বছর পরে।তাহলে এখানে আবার যুদ্ধের প্রেক্ষাপট আসলো কিভাবে?
আবার অনেকেই বলে যে এটা হচ্ছে হুদাইবিয়ার সন্ধিচুক্তি ভঙের কারনে।
অথচ দেখেন এই সুরার প্রথম আয়াতেই বলা হয়েছে আল্লা ও তার রাসুলের পক্ষ থেকে সমস্ত চুক্তি বাতিল করা হলো।
At-Taubah 9:1
بَرَآءَةٌ مِّنَ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦٓ إِلَى ٱلَّذِينَ عَٰهَدتُّم مِّنَ ٱلْمُشْرِكِينَ
আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা সে সব লোকের প্রতি মুশরিকদের মধ্য থেকে যাদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলে।
No comments