Header Ads

Header ADS

জাকির নায়েক ও তার ভক্তদের বহুল ব্যবহৃত ১৬টি মিথ্যাচারের জবাব

জাকির নায়েক ও তার ভক্তদের বহুল ব্যবহৃত ১৬টি মিথ্যাচারের জবাবঃ

Image result for জাকির নায়েকের ভুল

জাকির নায়েক ও তার ভক্তবৃন্দরা কুরানের মধ্যে ভুরি ভুরি বিজ্ঞান খুজে পায় ,যদিও তারা আজ পর্যন্ত তাদের সেই বিজ্ঞানময় কুরান চষ  একটা বাল কাটা ব্লেড পর্যন্ত আবিস্কার করতে পারেনি শুধুমাত্র বহুবিবাহ আর কচুরিপানার মত বাচ্চা পয়দা করা ছাড়া ।তারা কুরানে অহরহ বিজ্ঞান খুজে পায় কুরানের প্রতিটি আয়াতে আয়াতেই,যদিও আপসোস থেকেই যায় যে সেগুলি কেবল তারা ইহুদি খ্রিষ্টানেরা কোন কিছু  আবিস্কারের পরেই কেবল খুজে পায় , কোন বিজ্ঞানী কিছু আবিস্কারের আগে তারা কুরানের সাথে কোন বিজ্ঞানের  সাদৃশ্য  মেলাতে পারেনা । অবশ্য তাদের আর  দোষ দিয়েই বা লাভ কি বলেন ?
তারা কেনই বা বলবেনা তাদের কুরান হচ্ছে বিজ্ঞানময় কিতাব,যেখানে আল্লায় নিজেই সুরা ইয়াসিনের ২ নাম্বার আয়াতে কুরানকে বিজ্ঞানময় কিতাব বলে দাবী করেছে ।বিজ্ঞানময় কিতাবের নামে শপথ করে সুরা নাজিল শুরু করেছে । তো যাইহোক, তারা কুরানে যেসকল বিজ্ঞান খুজে পেয়েছে এবং কুরান থেকে মোষ্ট ১৬ টি বিজ্ঞানময় তথ্য তারা প্রচার করে বেড়ায় সেগুলি ঠিক কতটা বিজ্ঞানের সাথে সাদৃশ্য এবং কতটা সত্য সেটাই আজকের আলোচনায় তুলে ধরবো তাদের দাবীর সাথে কুরানীবং বিজ্ঞান থেকে
Ya Sin 36:2
وَٱلْقُرْءَانِ ٱلْحَكِيمِ
বিজ্ঞানময় কুরআনের শপথ।

                             জবাবঃ
                               ➖〰️➖

দাবীঃ১. বিজ্ঞান কিছুদিন আগে জেনেছে চাঁদের নিজস্ব কোন আলো নেই।
[ সূরা ফুরক্বানের ৬১ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে ]

 জবাবঃ 
আসলেই কি তাই ? কুরানে কি অদৌ এরকম কিছু বলা আছে ? চলুন আগে দেখি কুরানে কি বলা আছেঃ
                                               Al-Furqan 25:61
تَبَارَكَ ٱلَّذِى جَعَلَ فِى ٱلسَّمَآءِ بُرُوجًا وَجَعَلَ فِيهَا سِرَٰجًا وَقَمَرًا مُّنِيرًا
বরকতময় সে সত্তা যিনি আসমানে সৃষ্টি করেছেন বিশালকায় গ্রহসমূহ। আর তাতে প্রদীপ ও আলো বিকিরণকারী চাঁদ সৃষ্টি করেছেন।
দেখুন উক্ত আয়াতে বলা হয়েছে প্রদীপ এবং আলো বিকিরনকারী চাঁদ সৃষ্টি করা হয়েছে ।অথচ উক্ত আয়াতের মাঝে যেসকল শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে তার মধ্যে ব্যবহার করা হয়েছে সিরাজ বা যার অর্থ হচ্ছে প্রদীপ বা সূর্য , এবং চাদকে বলা হয়েছে ক্বামার এবং চাদকে উজ্জ্বল হিসাবে বলা হয়েছে যেটার জন্য ব্যবহৃত হয়েছে মুনীর ।
এর বাইরে   বিকিরনকারী বুঝাতে যেসকল শব্দের ব্যবহার প্রয়োজন তার কোনটাই নেই ।১ম ছবিটিতে খেয়াল করলেই প্রতিটি শব্দের অর্থের দিকে তাকালেই বুঝতে পারবেন।
অথচ পুরো বাক্যটিতে অনুবাদ করা হয়েছে বিকিরনকারী চাঁদ ।অথচ বিকিরনকারী বুঝাতে আরবিতে যে শব্দটি ( আল্মুহারীর) প্রয়োজন সেটির ব্যবহার কিন্তু উল্লেখ নেই কোথাও ।
যার অর্থ হচ্ছে অনুবাদকেরা আল্লার চেয়ে বেশি বুঝে নিজেদের মত করে অনুবাদ করেছে ।
অথচ উক্ত আয়াতটির অর্থ হবে এরকম যে,কল্যানময় সেই সত্তা যিনি  আকাসের মধ্যে স্থাপন  করেছেন প্রদীপ ( সুর্য)  এবং  উজ্জ্বল চাঁদ।



















উল্লেখ্য যে, মিঃজোকার নালায়েক সাহেব  এখানে মুনীর শব্দটিকে বাদ দিয়ে মুনির শব্দটির মূল ধাতুকে টেনে নিয়ে আসছেন ,যার দ্বারা তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে মুনির মানে হচ্ছে চাদের নিজস্ব কোন আলো নেই ।চাঁদ সুর্য্যের থেকে ধার করা আলো নিয়ে আলো দেয় বিকিরনের মাধ্যমে । অতচ আয়াতের মাঝে ব্যবহার করা হয়েছে উজ্জ্বল চাঁদ শব্দটি ।
যদিও মুনীরের মূল ধাতু হছে নুর ,যার অর্থ আলো ।
তো নুর মানে যদি ধার  করা আলো হয় তাহলে আল্লা এবং ফেরস্তারা কি ধার করা আলো নিয়ে তৈরি হয়েছে?কেননা ফেরেস্তারা তো আলোর তৈরি এবং তাদের ক্ষেত্রে নুর ব্যবহার করা হয়েছে ।এ


তো উজ্জ্বল কাকে বলে ?
যার ইংরেজি শব্দ হচ্ছে Bright .
আর Bright or Brighten  শব্দ কাকে বলে যার আলো আছে তাকেই Brighten  বলা হয় ।
 পিকচার থেকে দেখে নিন ।

তাছাড়া চাদের যে আলো আছে সেটা নিন্মোক্ত হাদীস থেকেও বুঝা যায়ঃ
চাঁদের নিজস্ব আলো আছে – Sahih Bukhari 4:54:422
https://bit.ly/39Kp8Db
তাহলে উপরে ত্যানাবাজি করে কি লাভ হলো?
অর্থাৎ প্রথমেই দেখেন তারা কতবড় ধাপ্পাবাজি করেছে এখানে ।মিথ্যারও একটা লিমিট থাকে।

দাবীঃ২. বিজ্ঞান মাত্র দুশো বছর আগে জেনেছে চন্দ্র এবং সূর্য কক্ষ পথে ভেসে চলে
[ সূরা আম্বিয়া ৩৩ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে ]

  জবাবঃ      Al-Anbiya 21:33
وَهُوَ ٱلَّذِى خَلَقَ ٱلَّيْلَ وَٱلنَّهَارَ وَٱلشَّمْسَ وَٱلْقَمَرَۖ كُلٌّ فِى فَلَكٍ يَسْبَحُونَ
আর তিনিই রাত ও দিন এবং সূর্য ও চাঁদ সৃষ্টি করেছেন; সবাই নিজ নিজ কক্ষপথে বিচরণ করে।

এখানে অনুবাদকেরা বিজ্ঞানের কক্ষপথের আবিস্কারের সাথে সাথে তারাও তাদের অনুবাদটাকে আপডেট করে কক্ষপথ বানিয়ে নিয়েছে ।কেননা পুরো কুরান পড়লে  কুরানের মাঝে যেসকল কথাবার্তা পাওয়া যায় তা অতি নিন্মমানে এবং খুবই সহজ এবং সস্তা মানের যা মুহাম্মদের আগেও পৃথিবীর মানূষের অগোচর ছিলনা ।কুরানে সেসকল বিষয়ই তুলে ধরা হয়েছে যা মানুষের দৃষ্টিসীমার মধ্যেই ।অর্থাৎ একজন কবি বা লেখকে যেমন খোলা আকাসের দিকে তাকিয়ে প্রকৃতির দিকে তথা পাহাড় নদী খালবিল পশু পাখি চাঁদ সূর্য্যের দিকে তাকিয়ে সেগুলি নিয়ে নানারকম গল্প কবিতা এবং ছন্দ লিখে কুরানেও ঠিক তাই ই পাবেন ।এর বাইরে কিছুই পাবেননা ।আমি ইমরান গ্যারান্টি দিয়ে বললাম ।
তো উক্ত আয়াতে বলা হয়েছে তিনিই রাত এবং দিন এবং চাঁদ ও সুর্যকে সৃষ্টি করেছেন যারা নিজ নিজ কক্ষপথে ভেসে বেড়ায় ।
এটা কেবল আমরাই শুধু জানি তা নয় আমাদের চেয়ে লক্ষ লক্ষ বছর আগেরকার মানুষেও জানতো যে দিনের শেষ রাত আসে এবং রাতের শেষে দিন ।এবং চাঁদ এবং সূর্য আলাদা আলাদাভাবে যারযার যায়গায় সে সে ঘুরে বেড়ায় ,একজন আরেকজনের উপরে যায়না ।
তো কুরানের এই আয়াতের মাঝে আমি অলৌকিক কিংবা গভীর কিছুই খুজে পাইনি যার মধ্যে আমি স্রস্টাকে খুজে পাবো বা তার জন্য আমি কুরান কোন স্রস্টার প্রদত্ত কিতাব বলে মেনে নিতে পারি ।
কেননা আমরা মানুষেরা বরং আজ কথিত কুরানের ঐ স্রস্টার চেয়ে ঢের অনেক বেশী কিছু জেনে নিয়েছি তার বলা সেই চাঁদ সূর্য সম্পর্কে ।

দাবীঃ৩.   সূরা কিয়ামাহ’র ৩ ও ৪ নং আয়াতে ১৪০০ বছর আগেই জানানো হয়েছে; মানুষের আঙ্গুলের ছাপ দিয়ে মানুষকে আলাদা ভাবে সনাক্ত করা সম্ভব। যা আজ প্রমাণিত।

  জবাবঃ                 Al-Qiyamah 75:3
أَيَحْسَبُ ٱلْإِنسَٰنُ أَلَّن نَّجْمَعَ عِظَامَهُۥ
মানুষ কি মনে করে যে, আমি কখনই তার অস্থিসমূহ একত্র করব না?
ى قَادِرِينَ عَلَى أَنْ نُسَوِّيَ بَنَانَهُ75.4
৭৫.৪ হ্যাঁ, আমি তার আংগুলের অগ্রভাগসমূহও পুনর্বিন্যস্ত করতে সক্ষম।
এখানে বলা হয়েছে মানূষের হাড় দিয়ে তাকে পুনয়ায় একত্রিত করা হবে যার আঙ্গুলের অগ্রভাগও তিনি তৈরি করতে পারবেন।
কেউ কি এই আয়াতের মাঝে কি ফিঙ্গারপ্রিন্ট শব্দটা খুজে পেয়েছেন ?তিনি এখানে অস্থিসমুহের অগ্রভাগের কথা বলেছেন ।আর ফিঙ্গারপ্রিন্ট থাকে ত্বকের উপরে ।
কিংবা আল্লায় এখানে কি এমুন কিছু বলেছে যে তিনি মানূষকে তার আঙ্গুলের ফিঙ্গারপ্রিন্টের মাধ্যমে সনাক্ত করবেন ?
--না , নেই ।
বরং বিজ্ঞানীরা যদি ফিঙ্গারপ্রিন্ট্রের আবিস্কার না করতেন তাহলে মুমিনেরা এই আয়াত দিয়ে কি বুঝতেন ?
বরং বিজ্ঞানীরা যে শুধুমাত্র ফিঙ্গারপ্রিন্টের সাহায্যেই সনাক্ত করেন তা নয় , বরং চোখের সাহায্যে, রক্তের সাহায্যে,মুখ মন্ডলের বা চেহারার  সাহায্যে এবং সম্প্রতি মানূষের হার্টের সাহায্যে তাকে সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছে ।
তাহলে এই ব্যাপারে কুরানে কোন আয়াত নেই কেন ?
তারা মুমিনেরা দাবী করছে  এখানে যে বিজ্ঞান মাত্র কয়েকশো বছর আগে জেনেছে , কিন্তু না ভুল ।
বরং চীনেরা তাদের আঙুলের ছাপের সাহায্যে তাদেরকে সনাক্ত করতো কাচা মাটি বা কাদামাটিতে আঙুলের ছাপের মাধ্যমে আজ থেকে ৪০০০ বছর আগে ।যেটা থেকেই বিজ্ঞানীরা ফিঙ্গারপ্রিন্টের আবিস্কার করে ।( https://en.wikipedia.org/wiki/Fingerprint )
তাহলে তাদের এই আজাইরা দাবীর ভিত্তি কি দাড়ালো??

দাবীঃ৪.বিগ ব্যাং’ থিওরি আবিষ্কার হয় মাত্র চল্লিশ বছর আগে। সূরা আম্বিয়া ৩০ নং আয়াতে কুরআনে এই কথা বলা হয়েছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে।

জবাবঃ  Al-Anbiya 21:30
أَوَلَمْ يَرَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوٓا۟ أَنَّ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ كَانَتَا رَتْقًا فَفَتَقْنَٰهُمَاۖ وَجَعَلْنَا مِنَ ٱلْمَآءِ كُلَّ شَىْءٍ حَىٍّۖ أَفَلَا يُؤْمِنُونَ
যারা কুফরী করে তারা কি ভেবে দেখে না যে, আসমানসমূহ ও যমীন ওতপ্রোতভাবে মিশে ছিল*, অতঃপর আমি উভয়কে পৃথক করে দিলাম, আর আমি সকল প্রাণবান জিনিসকে পানি থেকে সৃষ্টি করলাম। তবুও কি তারা ঈমান আনবে না?

দেখুন এটা খুবই গুরুত্বপূর্ন একটা পয়েন্ট ।
মুমিনদের সাথে যতটা বেশি সমালোচনা এবং তর্কাতর্কি চলে যে আয়াত এবং দাবী গুলি নিয়ে সেটার মধ্যে এই সুরা আম্বিয়ার ৩০ নাম্বার আয়াতটা সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত ।
কেননা বিজ্ঞানীদের আবিস্কারের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন একটী আবিস্কার হচ্ছে এই মহাবিশ্বের সৃষ্টি নিয়ে ।
আর মুমিনেরা দাবী করেছেন যে বিজ্ঞানীরা দুদিন আগে যেটা আবিস্কার করেছে সেটা নাকি ১৪০০ বছর আগেই বলা হয়েছে ।আবার তারাই দেখা যায় যে, বিজ্ঞানীদের সাথে এসব আবিস্কারের সাথে একমত হতে পারেনা ।
বিজ্ঞানীদের এই মহাবিশ্বের আবিস্কারের সাথে কুরানের সাদৃশ্য সর্বপ্রথম দেখিয়েছিলেন নাপিত সম ডাক্তার মিঃজোকার নালায়েক।
আর সেই থেকেই মূলত ইসলাম নিয়ে মানুষের আলোচনা সমালোচনা , ক্রস চেকিং পর্যবেক্ষন শুরু হয় ,যেটা তার আগে থেকে ছিলনা বললেই চলে। কেননা সে যে পরিমানে কুরানের মাঝে বৈজ্ঞানিক আয়াত খুজে পেয়েছে সেই তুলনায় মাদ্রাসায় কুরান চষা লোকেদের মাঝে বিজ্ঞানের ছিটেফোটাও পাওয়া যায়না ।যাহোক, আলোচনা আর না বাড়িয়ে জোকার সাহেবের এই মিথ্যাচারের বিষয়টি তুলে ধরা যাকঃ
দেখুন উক্ত আয়াতটিতে বলা হয়েছে* আসমানসমুহ এবং যমীন ওতপ্রোতভাবে মিশেছিল ,আর আমি উভয়কে পৃথক করলাম ।বাক্যটি খুব ভালোকরেই খেয়াল করে দেখুন এখানে বলা হয়েছে আসমানসমুহ এবং যমীন একসাথে ওতপ্রোতভাবে মিশেছিল ।
আর এটাকে মুমিন তথা তাদের গুরু নাপিত জোকারা নালায়েক বিগব্যাঙ্গের সাথে তুলনা করে ।
কিভাবে ?
কারন বিজ্ঞানীরা বলছে যে, একসময় এই মহাবিশ্ব একসাথে ওতপ্রোতভাবে একটা বিন্দুতে ছিল যেটা বিস্ফোরনের মাধ্যমে আলাদা হয়ে বিভিন্ন গ্রহ নক্ষত্র উপগ্রহ ছায়াপথ,গ্যালাক্সী,ব্লাকহোল, চাঁদ সুর্য ইত্যাদি ইত্যাদি সৃষ্টি হয়।
তো আমরা যদি কুরানের আয়াতটিকে বিজ্ঞানের বিগ ব্যাঙ্গের সাথে মিল আছে বলে ধরেও নেই ,তাহলে পরের স্টেপে কি দাঁড়ায় সেটা একটু দেখা যাকঃ
যেমন মহাবিশ্ব তথা এই পৃথিবী ,আকাসমুহ বা গ্রহ নক্ষত্র ,চাঁদ সূর্য ব্লাকহোল ইত্যাদি ইত্যাদি সৃষ্টির ব্যাপারে কুরান এবং বিজ্ঞানে কি বলেছে চলুন একটু দেখা নেওয়া যাকঃ

Al-A'raf 7:54
إِنَّ رَبَّكُمُ ٱللَّهُ ٱلَّذِى خَلَقَ ٱلسَّمَٰوَٰتِ وَٱلْأَرْضَ فِى سِتَّةِ أَيَّامٍ ثُمَّ ٱسْتَوَىٰ عَلَى ٱلْعَرْشِ يُغْشِى ٱلَّيْلَ ٱلنَّهَارَ يَطْلُبُهُۥ حَثِيثًا وَٱلشَّمْسَ وَٱلْقَمَرَ وَٱلنُّجُومَ مُسَخَّرَٰتٍۭ بِأَمْرِهِۦٓۗ أَلَا لَهُ ٱلْخَلْقُ وَٱلْأَمْرُۗ تَبَارَكَ ٱللَّهُ رَبُّ ٱلْعَٰلَمِينَ
নিশ্চয় তোমাদের রব আসমানসমূহ ও যমীন ছয় দিনে সৃষ্টি করেছেন। অতঃপর আরশে উঠেছেন। তিনি রাতকে দ্বারা দিনকে ঢেকে দেন। প্রত্যেকটি একে অপরকে দ্রুত অনুসরণ করে। আর (সৃষ্টি করেছেন) সূর্য, চাঁদ ও তারকারাজী, যা তাঁর নির্দেশে নিয়োজিত। জেনে রাখ, সৃষ্টি ও নির্দেশ তাঁরই। আল্লাহ মহান, যিনি সকল সৃষ্টির রব।
Fussilat 41:9
قُلْ أَئِنَّكُمْ لَتَكْفُرُونَ بِٱلَّذِى خَلَقَ ٱلْأَرْضَ فِى يَوْمَيْنِ وَتَجْعَلُونَ لَهُۥٓ أَندَادًاۚ ذَٰلِكَ رَبُّ ٱلْعَٰلَمِينَ
বল, ‘তোমরা কি তাঁকে অস্বীকার করবে যিনি দু’দিনে যমীন সৃষ্টি করেছেন? আর তোমরা কি তাঁর সমকক্ষ বানাতে চাচ্ছ? তিনিই সৃষ্টিকুলের রব’।
Fussilat 41:10
وَجَعَلَ فِيهَا رَوَٰسِىَ مِن فَوْقِهَا وَبَٰرَكَ فِيهَا وَقَدَّرَ فِيهَآ أَقْوَٰتَهَا فِىٓ أَرْبَعَةِ أَيَّامٍ سَوَآءً لِّلسَّآئِلِينَ
আর তার উপরিভাগে তিনি দৃঢ় পর্বতমালা স্থাপন করেছেন এবং তাতে বরকত দিয়েছেন, আর তাতে চারদিনে প্রার্থীদের জন্য সমভাবে খাদ্য নিরূপণ করে দিয়েছেন।
Fussilat 41:11
ثُمَّ ٱسْتَوَىٰٓ إِلَى ٱلسَّمَآءِ وَهِىَ دُخَانٌ فَقَالَ لَهَا وَلِلْأَرْضِ ٱئْتِيَا طَوْعًا أَوْ كَرْهًا قَالَتَآ أَتَيْنَا طَآئِعِينَ
তারপর তিনি আসমানের দিকে মনোনিবেশ করেন। তা ছিল ধোঁয়া। তারপর তিনি আসমান ও যমীনকে বললেন, ‘তোমরা উভয়ে স্বেচ্ছায় অথবা অনিচ্ছায় আস’। তারা উভয়ে বলল, ‘আমরা অনুগত হয়ে আসলাম’।
Fussilat 41:12
فَقَضَىٰهُنَّ سَبْعَ سَمَٰوَاتٍ فِى يَوْمَيْنِ وَأَوْحَىٰ فِى كُلِّ سَمَآءٍ أَمْرَهَاۚ وَزَيَّنَّا ٱلسَّمَآءَ ٱلدُّنْيَا بِمَصَٰبِيحَ وَحِفْظًاۚ ذَٰلِكَ تَقْدِيرُ ٱلْعَزِيزِ ٱلْعَلِيمِ
তারপর তিনি দু’দিনে আসমানসমূহকে সাত আসমানে পরিণত করলেন। আর প্রত্যেক আসমানে তার কার্যাবলী ওহীর মাধ্যমে জানিয়ে দিলেন। আর আমি নিকটবর্তী আসমানকে প্রদীপমালার দ্বারা সুসজ্জিত করেছি আর সুরক্ষিত করেছি। এ হল মহা পরাক্রমশালী সর্বজ্ঞের নির্ধারণ।
দেখুন বলা হয়েছে আসমানসমুহ এবং যমীন ছয় দিনে স্ররষ্টি করা হয়েছে ।
এবং সুরা হামীমের অথবা ফুসসিলাতের  ৯-১২ নং আয়াতে বলা হয়েছে কোন কোন দিনে তিনি কোন সাইডে কি কি সৃষ্টি করেছেন।

এখানে ব্যবহৃত দিনকে নিয়েও মুমিনদের ত্যানাবাজির কোন কমতি রাখেনা ।তারা এখানে ছয় দিন বলতে সাধারন একটি দিনকে বুঝায় না বা তারা এখানে ছয় দিন বলতে তারা দাবী করে থাকে যে এখানে আল্লার একটি দিন সমান আমাদের একদিনের সমান নয় ।
আল্লার একদিন মানে হাজার দিনের , হাজার বছরের সমান বা আল্লার এখানে ব্যবহৃত একদিনের সমান এক হাজার দিনের সমানও তারা দাবী করে থাকে ।ইদানীং আবার অনেকে দেখি দিন থেকে তারা পর্যায়ে নিয়ে চলে গেছে বিজ্ঞানের সাথে তাল মেলানোর জন্য ।
অথচ এখানে ব্যবহৃত ইয়াওমাইন দ্বারা ছয় দিনের মধ্যেই বুঝানো হয়েছে , কেননা এখানে ব্যবহৃত ইয়াওমাইন শব্দের আগে দুটি শব্দ ব্যবহার করা হয়েছে ফি সিত্তাহি অর্থাৎ ছয় দিনের  মধ্যেই ।


যদিও এখানেও আল্লায় তার কথার বৈপিরত্যের প্রমান দিচ্ছেন ।কেননা তিনি সুরা ইয়াসীনের ৮২ নাম্বার আয়াতে বলেছেন তিনি কোন বিষয়ে কিছু করার ইচ্ছা করেন সেখানে কেবল হও বললেই হয়ে যায় ।
তো তিনি যদি কোন বিষয়ে করার ইচ্ছা করে হও বললেই হয়ে যায় সেখানে আবার তার এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করতে ছয় দিনের প্রয়োজন হলো কেন ?
যাহোক, এখানে উপরোক্ত আয়াতে ছয় দিনের মধ্যে শব্দটাকে যেসকল মুমিনেরা ছয়টি পর্যায় কিংবা একদিন মানে সাধারন কোন দিন নয় বলে দাবী করেন তাদের দাবী ধুলিষ্মাত হয়ে যায় নিচের হাদীসটির মাধ্যমে।
কেননা এই হাদীসটিতে পরিস্কারভাবেই বলে দেওয়া হয়েছে মহাবিশ্বের সেই ছয়দিনের কোন দিনে কি কি সৃষ্টি করা হয়েছেঃ
গ্রন্থঃ সহীহ মুসলিম (হাঃ একাডেমী)
অধ্যায়ঃ ৫২। কিয়ামাত, জান্নাত ও জান্নামের বর্ণনা (كتاب صفة القيامة والجنة والنار)
হাদিস নম্বরঃ ৬৯৪৭
৬৯৪৭-(২৭/২৭৮৯) সুরায়জ ইবনু ইউনুস ও হারূন ইবনু ‘আবদুল্লাহ (রহঃ) ..... আবু হুরাইরাহ (রাযিঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমার হাত ধরে বললেন, আল্লাহ তা’আলা শনিবার দিন মাটি সৃষ্টি করেন এবং এতে পর্বত সৃষ্টি করেন রবিবার দিন। সোমবার দিন তিনি বৃক্ষরাজি সৃষ্টি করেন। মঙ্গলবার দিন তিনি বিপদাপদ সৃষ্টি করেন। তিনি নূর সৃষ্টি করেন বুধবার দিন। তিনি বৃহস্পতিবার দিন পৃথিবীতে পশু-পাখি ছড়িয়ে দেন এবং জুমুআর দিন আসরের পর জুমুআর দিনের শেষ মুহূর্তে অর্থাৎ আসর থেকে নিয়ে রাত পর্যন্ত সময়ের মধ্যবর্তী সময়ে সর্বশেষ মাখলুক আদাম (আঃ) কে সৃষ্টি করেন। (ইসলামিক ফাউন্ডেশন ৬৭৯৭,ইসলামিক সেন্টার ৬৮৫১)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)

অর্থাত উপরোক্ত হাদিসের মাধ্যমে মুমিনদের দিন নিয়ে দেনাপাওনার দিন শেষ হয়ে গেল।আল্লায় যে ছয় দিনের মধ্যেই এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন সেটার বিষয় পরিস্কার।
তো এবার আসা যাক, মূল পর্বেঃ
দেখুন এখানে যেহেতু কুরানকে বিজ্ঞানের সাথে তুলনা করা হয়েছে তাহলে আমরা এবার দেখবো বিজ্ঞানে মহাবিশ্বের সৃষ্টির বয়সের ব্যাপারে কি বলে ?
কতবছর আগে সৃষ্টি হয়েছিল এই মহাবিশ্ব এবং এই চন্দ্র সুর্য এবং আমাদের পৃথবী এবং এগুলর বয়স কত?
কত বছর আগে এগুলি সৃষ্টি হয়েছে এবং সেগুলির বয়স কি একই সমান কিনা ?
কিংবা সমস্ত গ্রহ নক্ষত্র তারকা পুঞ্জ,ব্লাকহোল,কি একই সময়ে সৃষ্টি হয়েছে কিনা?
কেননা কুরান হাদীসের মাধ্যমে আমরা দেখতে পেলাম যে আল্লায় সবকিছুই সৃষ্টি করেছেন ছয় দিনের মধ্যে ,অর্থাৎ একটা স্রষ্টি থেকে আরেকটা সৃষ্টির মধ্যে মাত্র দুই একদিন বা তিন চারদিনের পার্থক্য লক্ষ্য করা যায় ।অথচ বিজ্ঞান বলছেঃ
মহাবিশ্ব সৃষ্টি হয়েছিল আজ থেকে প্রায় ১৩.৮ বিলিয়ন বছর আগে
( https://bit.ly/2V0cfkh,  https://bit.ly/2SBLKjt )
Image result for মহাবিশ্বের ছবিImage result for মহাবিশ্বের ছবি

এদিকে পৃথিবীর বয়স হচ্ছে ৪.৫ বিলিয়ন বছর।
 ( https://bit.ly/2V0XVYU )
Image result for পৃথিবীর ছবি

সূর্য্যের বয়স হচ্ছে ৪.৬০ বিলিয়ন বছর।                     
   https://bit.ly/37yVE9P
Image result for সুর্য্যের ছবি

সৌরজগতের বয়স হচ্ছে ৪.৫৭ বিলিয়ন বছর।
https://g.co/kgs/Zw4uxG
Image result for সোউরজগতের ছবি

ঠিক এভাবেই মার্কারী,প্লুটো,নেপচুন,মারস,ভেনাস,টিটান,মিল্কীওয়ে,গ্যালাক্সী,ইউরোপা,এরিসসহ অসখ্য কোটিকোটি গ্রহ নক্ষত্র রয়েছে যেগুলির বয়স একটা থেকে আরেকটার কোটি কোটি বিলিয়ন বিলিয়ন বছর পার্থক্য ।
অথচ কুরানে বলা হয়েছে সেগুলি আল্লায় সব একদিনে বা দুদিনে সৃষ্টি করেছেন ।
যেখানে মাত্র একদিন বা দুইদিনের পার্থক্য মাত্র ।
তাহলে এবার আপনারা ই ভেবে দেখুন তো কুরানের সাথে বিজ্ঞানের মিল কোথায় পেলেন?
চিন্তা করে দেখুন তো ঐ জোকার নালায়েক এবং তার ভক্তবৃন্দরা কতবড় বাটপারি এবং জোচ্চরি করে বেড়ায় মানুষকে বোকা বানাতে?

দাবীঃ ৫.  পানি চক্রের কথা বিজ্ঞান জেনেছে বেশি দিন হয় নি
[ সূরা যুমার ২১ নং আয়াতে কুরআন এই কথা বলেছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে ]

     জবাবঃ       Az-Zumar 39:21
أَلَمْ تَرَ أَنَّ ٱللَّهَ أَنزَلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءً فَسَلَكَهُۥ يَنَٰبِيعَ فِى ٱلْأَرْضِ ثُمَّ يُخْرِجُ بِهِۦ زَرْعًا مُّخْتَلِفًا أَلْوَٰنُهُۥ ثُمَّ يَهِيجُ فَتَرَىٰهُ مُصْفَرًّا ثُمَّ يَجْعَلُهُۥ حُطَٰمًاۚ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَذِكْرَىٰ لِأُو۟لِى ٱلْأَلْبَٰبِ
তুমি কি দেখ না, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর যমীনে তা প্রস্রবন হিসেবে প্রবাহিত করেন তারপর তা দিয়ে নানা বর্ণের ফসল উৎপন্ন করেন, তারপর তা শুকিয়ে যায়। ফলে তোমরা তা দেখতে পাও হলুদ বর্ণের তারপর তিনি তা খড়-খুটায় পরিণত করেন। এতে অবশ্যই উপদেশ রয়েছে বুদ্ধিমানদের জন্য।

আচ্ছা কুরানে কি বলা আছে ?
আকাস থেকে মেঘের মাধ্যমে পানি বা মেঘ থেকে বৃষ্টি হলে সেটা থেকে ফসল ফলে এটার মাঝে কি এমন বিজ্ঞান কিংবা কোন গভীর জ্ঞান খুজে পেলেন আপনারা ?
আচ্ছা মুহাম্মদের কুরানের এই কথাটা বলার আগে মানে ১৪০০ বছরের আগে কি কেউ জানতোনা মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় ,আর মেঘ থেকে বৃষ্টি হলে সেটার কারনে বীজ থেকে চারা গজায়, ফসল জন্মায় ?
মুহাম্মদের জন্মের আগে কি পৃথিবীতে মেঘ ছিলনা ?
মেঘ থেকে বৃষ্টি হতোনা?

দাবীঃ৬.    বিজ্ঞান এই সেদিন জেনেছে লবণাক্ত পানি ও মিষ্ঠি পানি একসাথে মিশ্রিত হয় না।
[ সূরা ফুরকানের ২৫ নং আয়াতে কুরআন এই কথা বলেছে প্রায় ১৪০০ বছর আগে ]

জবাবঃ  Al-Furqan 25:25

وَيَوْمَ تَشَقَّقُ ٱلسَّمَآءُ بِٱلْغَمَٰمِ وَنُزِّلَ ٱلْمَلَٰٓئِكَةُ تَنزِيلًا
আর সেদিন মেঘমালা দ্বারা আকাশ বিদীর্ণ হবে এবং ফেরেশতাদেরকে দলে দলে অবতরণ করানো হবে।
Az-Zumar 39:21
أَلَمْ تَرَ أَنَّ ٱللَّهَ أَنزَلَ مِنَ ٱلسَّمَآءِ مَآءً فَسَلَكَهُۥ يَنَٰبِيعَ فِى ٱلْأَرْضِ ثُمَّ يُخْرِجُ بِهِۦ زَرْعًا مُّخْتَلِفًا أَلْوَٰنُهُۥ ثُمَّ يَهِيجُ فَتَرَىٰهُ مُصْفَرًّا ثُمَّ يَجْعَلُهُۥ حُطَٰمًاۚ إِنَّ فِى ذَٰلِكَ لَذِكْرَىٰ لِأُو۟لِى ٱلْأَلْبَٰبِ
তুমি কি দেখ না, আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণ করেন, অতঃপর যমীনে তা প্রস্রবন হিসেবে প্রবাহিত করেন তারপর তা দিয়ে নানা বর্ণের ফসল উৎপন্ন করেন, তারপর তা শুকিয়ে যায়। ফলে তোমরা তা দেখতে পাও হলুদ বর্ণের তারপর তিনি তা খড়-খুটায় পরিণত করেন। এতে অবশ্যই উপদেশ রয়েছে বুদ্ধিমানদের জন্য।

কি হাসি পাচ্ছে নিশ্চয় এবার তাদের এই বিজ্ঞান দেখে তাইনা ?
কেননা দেখুন তো তারা দাবী করলো কি আর আমরা কুরানে খুজে পেলাম কি?
তারা দাবী করেছে সেই ১৪০০ বছর আগেই কুরানে বলছে মিষ্টি পানি এবং লোনা পানি একসাথে মিশেনা ,যেটা বিজ্ঞান মাত্র সেদিন জেনেছে ।
যেটা সেই ১৪০০ বছর আগেই কুরানে বলা হয়েছে ।
আচ্ছা কুরানে কি বলা আছে ?
আকাস থেকে মেঘের মাধ্যমে পানি বা মেঘ থেকে বৃষ্টি হলে সেটা থেকে ফসল ফলে এটার মাঝে কি এমন বিজ্ঞান কিংবা কোন গভীর জ্ঞান খুজে পেলেন আপনারা ?
আচ্ছা মুহাম্মদের কুরানের এই কথাটা বলার আগে মানে ১৪০০ বছরের আগে কি কেউ জানতোনা মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় ,আর মেঘ থেকে বৃষ্টি হলে সেটার কারনে বীজ থেকে চারা গজায়, ফসল জন্মায় ?
মুহাম্মদের জন্মের আগে কি পৃথিবীতে মেঘ ছিলনা ?
মেঘ থেকে বৃষ্টি হতোনা?
আমি আগেই কিন্তু বলেছিলাম যে, কুরানে এমন কোন গভীর বিষয়ে কোন কিছুই খুজে পাবেননা ।যা আছে তা একদমই নিতান্তই নিন্মমানে এবং সস্তামানের কথা বার্তায় ভর্তি ,যেটা সাধারন যে কোন কবি বা লেখক কোন খোলা আকাসের নিচে বসে, খাল বিল পুকুর নদী কিংবা পাহাড়ের দিকে চেয়ে প্রকৃতি নিয়ে ছন্দ কবিতা গান রচনা করে থাকে , কুরানও ঠিক সেরকমই মুহাম্মদের একটা ছন্দের কবিতার বই ছাড়া আর কিছুই নয় ।
প্রমান মিললো তো ?
সামনে চলুন আরো অপেক্ষা করছে।

দাবীঃ৭.    ইসলাম আমাদেরকে ডান দিকে ফিরে ঘুমাতে উৎসাহিত করেছে; বিজ্ঞান এখন বলছে ডান দিকে ফিরে ঘুমালে হার্ট সব থেকে ভাল থাকে ।

জবাবঃ
মুসলমানদের এই দাবীটির  পক্ষে কোন প্রমান নেই,কেবলমাত্র তাদের দাবী।
নেই কোন কুরান হাদীসের রেফারেন্স ,শুধু মুখে মুখে তারা দাবী করে বেড়ায় ।
তারা দাবী করেছে যে ডান দিকে ফিরে ঘুমালে নাকি হার্ট ভালো থাকে এবং এটা আজ দুদিন আগে বিজ্ঞানীরা জেনেছে,অথচ নবী মুহাম্মদ সেটা বলে গেছে ১৪০০ বছর আগে, হা হা।
আসলেই কি বিজ্ঞান বলে ডানদিকে ফিরে ঘুমালে হার্ট বেশি ভালো থাকে?
-না।
ভুল শুনেছেন। এটা তাদের নবী মুহাম্মাদকে টপে টেনে তুলতেই তারা আপনার মগজে এসব মিথ্যাচার ঢুকিয়ে দিয়েছে।
বরং বিজ্ঞান দাবী করছে ডানদিকে নয়,বামদিকে ফিরে ঘুমালেই হার্টসহ শরীরের নানাবিধ বিষয়ের জন্য ভালো হয়।
দেখে নিন নিউজ২৪  এর একটি প্রতিবেদন থেকেঃ
https://m.banglanews24.com/lifestyle/news/bd/620794.details
ডেইলি ইনকিলাবের প্রতিবেদনঃ https://bit.ly/323Qu4F
বরং মুহাম্মাদ যে কতবড় মুর্খ এবং উন্মাদ  ছিল তা জানা যায় তার কিছু হাস্যকর হাদীস থেকেঃ
https://imranshakh.blogspot.com/2020/02/blog-post_71.html 

দাবীঃ৮.   বিজ্ঞান এখন আমাদের জানাচ্ছে পিপীলিকা মৃত দেহ কবর দেয়, এদের বাজার পদ্ধতি আছে।
[ কুরআনের সূরা নামল এর ১৭ ও ১৮ নং আয়াতে এই বিষয়ে ধারণা দেয় ]

জবাবঃ
আচ্ছা  কোন বিজ্ঞান আপনাদের জানাচ্ছে যে পিপিলিকা তাদের মৃতদেহ কবর দেয়,তাদের বাজার পদ্ধতি আছে?
বিজ্ঞানের বিজ্ঞানীদের কি খেয়ে দেয়ে কাজ নেই যে তারা ঐ বালের পিপড়া নিয়ে গবেষণা করতে যাবে? যাহোক দেখি একটু কুরানে কি কয়ঃ
An-Naml 27:17
وَحُشِرَ لِسُلَيْمَٰنَ جُنُودُهُۥ مِنَ ٱلْجِنِّ وَٱلْإِنسِ وَٱلطَّيْرِ فَهُمْ يُوزَعُونَ
আর সুলাইমানের জন্য তার সেনাবাহিনী থেকে জিন, মানুষ ও পাখিদের সমবেত করা হল। তারপর এদেরকে বিন্যস্ত করা হল।
An-Naml 27:18
حَتَّىٰٓ إِذَآ أَتَوْا۟ عَلَىٰ وَادِ ٱلنَّمْلِ قَالَتْ نَمْلَةٌ يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّمْلُ ٱدْخُلُوا۟ مَسَٰكِنَكُمْ لَا يَحْطِمَنَّكُمْ سُلَيْمَٰنُ وَجُنُودُهُۥ وَهُمْ لَا يَشْعُرُونَ
অবশেষে যখন তারা পিপড়ার উপত্যকায় পৌঁছল তখন এক পিপড়া বলল, ‘ওহে পিপড়ার দল, তোমরা তোমাদের বাসস্থানে প্রবেশ কর। সুলাইমান ও তার বাহিনী তোমাদেরকে যেন অজ্ঞাতসারে পিষ্ট করে মারতে না পারে’।

উপরোক্ত আয়াতগুলি থেকে কি বুঝলেন?
কোথাও খুজে পেলেন পিপড়াদের কবর কিংবা মাজার শরীফ অথবা তাদের হাট বাজার?
উলটো আমরা কিছু কিচ্ছা শুনতে পেলাম, হা হা ।

দাবীঃ৯.   ইসলাম মদ পানকে হারাম করেছে , চিকিৎসা বিজ্ঞান বলছে মদ পান লিভারের জন্য ক্ষতিকর ।

জবাবঃ
ইসলাম মদ পান কে হারাম করেছে , অথচ জান্নাতে সেই মদকেই বৈধতা দেওয়া হইয়েছে ।
সেই মদ আর নারীর প্রলোভন দেখিয়েই লোকেদের যুদ্ধে পাঠানো হয়েছে অন্যের সম্পদ লুট করে আনার জন্য।
সেই মদ আর নারীর লোভ দেখিয়েই তো ইসলাম নামক ডাকাতের দলে লোক ভেড়ানো হতো।
যাহোক, ইসলামে মদ পান কে হারাম করা হয়েছে কারন আলী ( রাঃ) মদ পান করে নামাজে দাঁড়িয়ে ভুলভাল উলটাপালটা নামাজ পড়াচ্ছিল বলে ।
মদ খেয়ে মুহাম্মদের সৈন্য সামন্থরা একেকটা বেহুশ হয়ে পড়ে থাকতো বলেই মদ কে পার্থিব জগতে নিষেধ করে মরার পরে বেহেস্তে গিয়ে খেতে পারবে বলে সেই অফার দিয়ে তাদের মদ খাওয়া বন্ধ করেছে ।
যাহোক, অতিরিক্ত কোন কিছুই শরীরের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনেনা ।
আমরা যে ভাত খেয়ে জীবন বাচাই সেই ভাতই অতিরিক্ত খেয়েও মানুষ মারা যায়।যেই কাশির ঔষধ ফেন্সিডিল খেয়ে মানূষের জীবন বাচে কাশি থেকে সেই ঔষধের মাধ্যমেই আবার নেশার জন্ম নেয়।সুতরাং অতরিক্ত মদ খেলে সেটারও সাইড ইফেক্ট দেখা দিবেই।

 দাবীঃ১০.   ইসলাম শুকরের মাংসকে হারাম করেছে। বিজ্ঞান আজ বলছে শুকরের মাংস লিভার, হার্টের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

জবাবঃ
শুকরের মাংস কেবল ইসলামেই নয় বরং ইসলামের বাপ মানে ইহুদি ধর্মেও হারাম করা হয়েছে ।আর ইসলাম যেহেতু ইহুদিদের ধর্ম থেকে কপি করা সেহেতু সেই অনুসারেই এখানে ওটাই কপি পেষ্ট করা হয়েছে ।
যদিও সুরা বাকার ১৭৩ নং আয়াতে এবং সুরা মায়েদার ৩ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে যদি কেউ বাধ্য হয়ে শুকর খায় তবে তার জন্য কোন পাপ নেই ,মানে জরুরী প্রয়োজনে ইসলামে শুকর খাওয়া হারাম নয় ।
Al-Baqarah 2:173

إِنَّمَا حَرَّمَ عَلَيْكُمُ ٱلْمَيْتَةَ وَٱلدَّمَ وَلَحْمَ ٱلْخِنزِيرِ وَمَآ أُهِلَّ بِهِۦ لِغَيْرِ ٱللَّهِۖ فَمَنِ ٱضْطُرَّ غَيْرَ بَاغٍ وَلَا عَادٍ فَلَآ إِثْمَ عَلَيْهِۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

নিশ্চয় তিনি তোমাদের উপর হারাম করেছেন মৃত জন্তু, রক্ত, শূকরের গোশ্ত এবং যা গায়রুল্লাহর নামে যবেহ করা হয়েছে। সুতরাং যে বাধ্য হবে, অবাধ্য বা সীমালঙ্ঘনকারী না হয়ে, তাহলে তার কোন পাপ নেই। নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।

Al-Ma'idah 5:3

حُرِّمَتْ عَلَيْكُمُ ٱلْمَيْتَةُ وَٱلدَّمُ وَلَحْمُ ٱلْخِنزِيرِ وَمَآ أُهِلَّ لِغَيْرِ ٱللَّهِ بِهِۦ وَٱلْمُنْخَنِقَةُ وَٱلْمَوْقُوذَةُ وَٱلْمُتَرَدِّيَةُ وَٱلنَّطِيحَةُ وَمَآ أَكَلَ ٱلسَّبُعُ إِلَّا مَا ذَكَّيْتُمْ وَمَا ذُبِحَ عَلَى ٱلنُّصُبِ وَأَن تَسْتَقْسِمُوا۟ بِٱلْأَزْلَٰمِۚ ذَٰلِكُمْ فِسْقٌۗ ٱلْيَوْمَ يَئِسَ ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ مِن دِينِكُمْ فَلَا تَخْشَوْهُمْ وَٱخْشَوْنِۚ ٱلْيَوْمَ أَكْمَلْتُ لَكُمْ دِينَكُمْ وَأَتْمَمْتُ عَلَيْكُمْ نِعْمَتِى وَرَضِيتُ لَكُمُ ٱلْإِسْلَٰمَ دِينًاۚ فَمَنِ ٱضْطُرَّ فِى مَخْمَصَةٍ غَيْرَ مُتَجَانِفٍ لِّإِثْمٍۙ فَإِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ

তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত প্রাণী, রক্ত ও শূকরের গোশত এবং যা আল্লাহ ভিন্ন কারো নামে যবেহ করা হয়েছে; গলা চিপে মারা জন্তু, প্রহারে মরা জন্তু, উঁচু থেকে পড়ে মরা জন্তু অন্য প্রাণীর শিঙের আঘাতে মরা জন্তু এবং যে জন্তুকে হিংস্র প্রাণী খেয়েছে- তবে যা তোমরা যবেহ করে নিয়েছ তা ছাড়া, আর যা মূর্তি পূঁজার বেদিতে বলি দেয়া হয়েছে এবং জুয়ার তীর দ্বারা বণ্টন করা হয়, এগুলো গুনাহ। যারা কুফরী করেছে, আজ তারা তোমাদের দীনের ব্যাপারে হতাশ হয়ে পড়েছে। সুতরাং তোমরা তাদেরকে ভয় করো না, বরং আমাকে ভয় কর। আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নিআমত সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য দীন হিসেবে পছন্দ করলাম ইসলামকে। তবে যে তীব্র ক্ষুধায় বাধ্য হবে, কোন পাপের প্রতি ঝুঁকে নয় (তাকে ক্ষমা করা হবে), নিশ্চয় আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।


আর শুকরের মাংসই যে কেবল হার্ট এবং লিভারের জন্য ক্ষতিকর সেটা নয় , বরং সমস্ত রেড মিটই হার্ট, লিভার এবং ফ্যাটের জন্য হার্মফুল/ চরমাকারে ক্ষতিকর ।
আর এইকারনেই হোয়াইট হাউস থেকে রেড মিট বা গরুরু মাংসকেও ব্যান করা হয়েছে ।
আপনারা যে হায়েনার মত গরুর মাংস খান সেটার ক্ষতি সম্পর্কে জেনেনিনঃ https://www.nih.gov/news-events/nih-research-matters/risk-red-meat

তাছাড়া শুকরের মাংস যদি এতই ক্ষতিকর হতো তাহলে আমাদের বাংলাদেশের ঐ পাহাড়ি নাকবোচা জাতি চাকমা,গারো,মগ,উপজাতি,চীন ভারত, সহ আফ্রিকার মানুশ এতদিনে সব মরে সাফ হয়ে যেত ,কারন ওরা এত পরিমানে শুকরের মাংস খায় ।

দাবীঃ১১.    রক্ত পরিসঞ্চালন এবং দুগ্ধ উৎপাদন এর ব্যাপারে আমাদের চিকিৎসা বিজ্ঞান জেনেছে মাত্র কয়েক বছর আগে।
[সূরা মুমিনূনের ২১ নং আয়াতে কুরআন এই বিষয়ে বর্ণনা করে গেছে ]

জবাবঃ  Al-Mu'minun 23:21
وَإِنَّ لَكُمْ فِى ٱلْأَنْعَٰمِ لَعِبْرَةًۖ نُّسْقِيكُم مِّمَّا فِى بُطُونِهَا وَلَكُمْ فِيهَا مَنَٰفِعُ كَثِيرَةٌ وَمِنْهَا تَأْكُلُونَ
আর নিশ্চয় গবাদিপশুর মধ্যে তোমাদের জন্য শিক্ষণীয় বিষয় রয়েছে। তাদের পেটে যা আছে তা থেকে আমি তোমাদেরকে পান করাই। আর এতে তোমাদের জন্য প্রচুর উপকারিতা রয়েছে এবং তা থেকে তোমরা খাও।

কি অইলো এইডা ?
যেভাবে বাঘের মত লাফাচ্ছিল উপরের শিরোনামে তাতে মনে হয়েছিল না জানি কুরান থেকে গরু ছাগল সম্পর্কে আহামরি কি এমন কিছু আবিস্কার করে ফেলছে ।
প্রথমে তো উপরের শিরোনাম থেকে দেখে ভাবছিলাম অজগর ,কিন্তু কুরান থেকে চেক করার পরে তো দেখি চীনা জোক, হাহা
যাহোক, বিজ্ঞান এই সেদিনও যদি গরু সম্পর্কে গরুর ভিতরে কি আছে কিভাবে সে দুধ দেয়, দুধে কি কিপুষ্টি উপাদান আছে সেটা তো অনেক বিশাল কিছু ,কিন্তু আপনার বিজ্ঞানময় কুরানে কি বালডা পাইলেন?
এখানে যা বলা আছে সেটা জানতে বুঝতে কি কাউকে রকেট সাইন্টিস্ট হতে হবে ?
দেখে কি কেউ মুহাম্মদের আগে জানেনাই যযে গবাদি পশুগুলি আমাদের দুধ দেয় এবং সেগুলি আমাদের জন্য উপকারী ?
মুহামদের কুরানে বলার আগে কি কোনদিন কেউ দুধ খাইতোনা?
কোত্থেকে যে  আসে এসব কুয়োর ব্যাঙ কে জানে ।
যত্তসব আহাম্মকের দল।

দাবীঃ১২.   মানুষের জন্ম তত্ব ভ্রুন তত্ব সম্পর্কে বিজ্ঞান জেনেছে এই কদিন আগে।
[ সূরা আলাকে কুরআন এই বিষয়ে জানিয়ে গেছে ১৪০০ বছর আগে ]

জবাবঃ
এখানে কোন আয়াতে বলা হয়েছে সেটা নিদৃষ্ট করে তো কিছুই বলা হয়নি, তাহলে কি বুঝে নিব পুরো সুরাটা ই মানুষের জন্ম এবং ভ্রুন তত্ব নিয়ে বলা হয়েছে?
ঠিক আছে আমরা সুরা আলাকের কয়েকটি আয়াত দেখি সেখানে কি এমন মহামতি খুজে পাওয়া যায় দেখে নিইঃ
Al-'Alaq 96:2
خَلَقَ ٱلْإِنسَٰنَ مِنْ عَلَقٍ
তিনি সৃষ্টি করেছেন মানুষকে 'আলাক' থেকে।
আলাক মানে হচ্ছে রক্তপিন্ড ।

আচ্ছা মানুশে যৌনমিলনের সময়ে পুরুষের শুক্রানু থেকে স্ত্রীর ডিম্বানুর নিষিক্ত হবার পরে সেটা যে রক্তপিন্ডের ধারন করে সেটা কি বিজ্ঞানের আগে এবং কুরানে মুহাম্মদে বলার আগে জানতোনা কেউ?
এটা কি খুব গভীর এবং কঠিন কিছু?
ভাবুন তো একটু ,এটা খুব কঠিন্ কিছু কিনা ?
এটা কি মুহাম্মদের আগে কেউ দেখেনাই?
- হ্যা ,দেখেছে ,এবং জেনেছে ।
আমাদের প্রসূতি মায়েদের মধ্যে কিংবা কোন গর্ভবতী কোন গবাদিপশুর কি অপরিপক্ক বাচ্চা প্রসব করেনা গর্ভধারনের ৩/৪ মাস পরেই?
সেটা দেখলে কি আমরা বুঝিনা যে এটা একটা রক্তপিন্ডের দলার সৃষ্টি হয়েছে যেটা বীর্জের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল?
-হ্যা, অবশ্যই বুঝা যায়।
তাহলে এখানে এই সস্তা একটা বিষয়ের মাঝে এখানে নবী কিংবা স্রস্টার মহত্ব কোথায়?
এটা তো আমরা সাধারণ মানুষেই জানি।আমাদের চোখের সামনেই ঘটে থাকে। বরং এখানে যদি এরকম কিছু থাকতো যেটা অতি সুক্ষ্ম বিষয় যেটা আজ বিজ্ঞানীরা তাদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত মেশিনের মাধ্যমে জেনেছে, তাহলে একটা মানানসই কথা ছিল।

দাবীঃ১৩.   ভ্রন তত্ব নিয়ে বিজ্ঞান আজ জেনেছে পুরুষই ( শিশু ছেলে হবে কিনা মেয়ে হবে) তা নির্ধারণ করে। ভাবা জায়... কুরআন এই কথা জানিয়েছে ১৪০০ বছর আগে।
[ সূরা নজমের ৪৫, ৪৬ নং আয়াত, সূরা কিয়ামাহ’র ৩৭- ৩৯ নং আয়াত ]

জবাবঃ  An-Najm 53:45
وَأَنَّهُۥ خَلَقَ ٱلزَّوْجَيْنِ ٱلذَّكَرَ وَٱلْأُنثَىٰ
আর তিনিই যুগল সৃষ্টি করেন- পুরুষ ও নারী।
An-Najm 53:46
مِن نُّطْفَةٍ إِذَا تُمْنَىٰ
শুক্রবিন্দু থেকে যখন তা নিক্ষিপ্ত হয়
Al-Qiyamah 75:37
أَلَمْ يَكُ نُطْفَةً مِّن مَّنِىٍّ يُمْنَىٰ
সে কি বীর্যের শুক্রবিন্দু ছিল না যা স্খলিত হয়।
Al-Qiyamah 75:38
ثُمَّ كَانَ عَلَقَةً فَخَلَقَ فَسَوَّىٰ
অতঃপর সে ‘আলাকায় পরিণত হয়। তারপর আল্লাহ তাকে সুন্দর আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন এবং সুবিন্যস্ত করেছেন।
Al-Qiyamah 75:39
فَجَعَلَ مِنْهُ ٱلزَّوْجَيْنِ ٱلذَّكَرَ وَٱلْأُنثَىٰٓ
অতঃপর তিনি তা থেকে সৃষ্টি করেন জোড়ায় জোড়ায় পুরুষ ও নারী।

এখানে আলাকা দ্বারা জমাট রক্তকে বুঝানো হয়েছে।তো এটা দেখেও অনেকেই এখানে সুভানাল্লা সুভানাল্লা পড়ে ফেলতে পারেন, কেননা হয়তো ভাবতে পারেন যে এতবড় গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয় তখন ১৪০০ বছর আগে মুহাম্মাদের মত অশিক্ষিত একটা লোকে জানলো কিভাবে?
আচ্ছা একটু ভাবুনতো এটা জানার জন্য কি রকেট সাইন্টিস্ট হতে হবে?
আমাদের প্রসূতি মায়েদের মধ্যে কিংবা কোন গর্ভবতী কোন গবাদিপশুর কি অপরিপক্ক বাচ্চা প্রসব করেনা গর্ভধারনের ৩/৪ মাস পরেই?
সেটা দেখলে কি আমরা বুঝিনা যে এটা একটা রক্তপিন্ডের দলার সৃষ্টি হয়েছে যেটা বীর্জের মাধ্যমে শুরু হয়েছিল?
-হ্যা, অবশ্যই বুঝা যায়। তাহলে এখানে এই সস্তা একটা বিষয়ের মাঝে এখানে নবী কিংবা স্রস্টার মহত্ব কোথায়? এটা তো আমরা সাধারণ মানুষেই জানি।আমাদের চোখের সামনেই ঘটে থাকে। বরং এখানে যদি এরকম কিছু থাকতো যেটা অতি সুক্ষ্ম বিষয় যেটা আজ বিজ্ঞানীরা তাদের অত্যাধুনিক প্রযুক্তিগত মেশিনের মাধ্যমে জেনেছে, তাহলে একটা মানানসই কথা ছিল।

দাবীঃ১৪.   একটি শিশু যখন গর্ভে থাকে তখন সে আগে কানে শোনার যোগ্যতা পায় তারপর পায় চোখে দেখার। ভাবা যায়? ১৪০০ বছর আগের এক পৃথিবীতে ভ্রুনের বেড়ে ওঠার স্তর গুলো নিয়ে কুরআন বিস্তর আলোচনা করে। যা আজ প্রমাণিত !
[ সূরা সাজদাহ আয়াত নং ৯ , ৭৬ এবং সূরা ইনসান আয়াত নং ২ ]

জবাবঃ   Al-Insan 76:2
إِنَّا خَلَقْنَا ٱلْإِنسَٰنَ مِن نُّطْفَةٍ أَمْشَاجٍ نَّبْتَلِيهِ فَجَعَلْنَٰهُ سَمِيعًۢا بَصِيرًا
আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি মিশ্র শুক্রবিন্দু থেকে, আমি তাকে পরীক্ষা করব, ফলে আমি তাকে বানিয়েছি শ্রবণ ও দৃষ্টিশক্তিসম্পন্ন।
As-Sajdah 32:9
ثُمَّ سَوَّىٰهُ وَنَفَخَ فِيهِ مِن رُّوحِهِۦۖ وَجَعَلَ لَكُمُ ٱلسَّمْعَ وَٱلْأَبْصَٰرَ وَٱلْأَفْـِٔدَةَۚ قَلِيلًا مَّا تَشْكُرُونَ
তারপর তিনি তাকে সুঠাম করেছেন এবং তাতে নিজের রূহ থেকে ফুঁকে দিয়েছেন। আর তিনি তোমাদের জন্য কান, চোখ ও অন্তরসমূহ সৃষ্টি করেছেন। তোমরা খুব সামান্যই কৃতজ্ঞতা প্রকাশ কর

শিরোনামটা একটু দেখেন আর কুরানে কি বলা আছে সেটাও একটু দেখেন ।
কুরানে বলছে সে বা আল্লায় শুক্রবিন্দ থেকে শ্রবনের জন্য  কান,দেখার জন্য চোখ অ অন্তরসমুহ সৃষ্টি করেছেন । যেটা একটা ইউনিভার্সাল বিষয় যা মুহাম্মদের কুরানের জন্মেরও কোটি কোটি বছর ধরে ঘটে আসছে ,মানুষে দেখে আসছে ,জেনে আসছে ।তো সেই বিষয়ে দুই চার লাইন ছন্দ লিখে কি এমন জ্ঞানের প্রকাশ ঘটেছে এতে?

আর বিজ্ঞান বলছে একটা শিশু চোখের দৃষ্টি সম্পন্ন হওয়ার চেয়ে কানের শ্রবনশক্তি আগে অর্জন করে , অথচ কুরানের ভাষায় বুঝা যাচ্ছে এগুলি সব একসাথেই পায় একটা শিশু ।
উল্লেখ্য যে, সুরা সাজদায় মোট আয়াতসংখ্যা হচ্ছে ৩০টি, তাহলে এই ইসলামের বিজ্ঞানীরা ৭৬ নাম্বার আয়াত কোথায় পেল?

দাবীঃ১৫.  পৃথিবী দেখতে কেমন? এক সময় মানুষ মনে করত পৃথিবী লম্বাটে, কেউ ভাবত পৃথিবী চ্যাপ্টা, সমান্তরাল... কোরআন ১৪০০ বছর আগে জানিয়ে। গেছে পৃথিবী দেখতে অনেকটা উট পাখির ডিমের মত গোলাকার।

জবাবঃ
আয়াত নাম্বার উল্লেখ না করে পাইকারিভাবে সুরার মধ্যে আছে বলে দাবী করে বসে আছেন।
দেখি এই কথাটা কোন  সুরার কোন আয়াতে আছে?
এই কথাটা বলা হয়েছে সুরা নাজিয়াতের ৩০ নাম্বার আয়াতে।
চলুন দেখি কি বলা আছে ?
An-Nazi'at 79:30
وَٱلْأَرْضَ بَعْدَ ذَٰلِكَ دَحَىٰهَآ
এরপর তিনি যমীনকে বিস্তীর্ণ করেছেন।

এই আয়াতে দেখুন আরবি আয়াতের একদম শেষে দাহাহা একটা শব্দ ব্যবহৃত হয়েছে ।
আর দাহাহা শব্দের অর্থ হচ্ছে বিস্তীর্ন ।

অনুবাদকেরাও সেটাই করেছে , কিন্তু আমাদের কুরানিক ডাক্তার জনাবে জোকার নালায়েক সাহেব এখানে ব্যবহৃত দাহাহা শব্দটিকে ছেড়ে দিয়ে দাহাহা'র মূল ধাতু বা মূল শব্দটিকে টেনে নিয়ে এসে ব্যাখ্যা করেছে যে দাহা মানে যেহেতু ঊট পাখির ডিম , সেহেতু পৃথিবী হচ্ছে উট পাখির ডিমের মত ।আর ঊট পাখির ডিম একটু লম্বাটে টাইপের হয়ে থাকে।।
Image result for উট পাখির ডিমImage result for পৃথিবী দেখতে কিসের মতন
বিষয়টা এরকম হলোনা যে,এক মহিলা গেছে বাথরুমে গোসলে ।কিছুক্ষন পরেই কলিং বেলের আওয়াজ শুনে তাড়াতাড়ি দরজা খুলে দিতেই দেখে তার শ্বশুর এসেছে তাড়াতাড়ি সে তার পরনের টাওয়েল খুলে মাথায় দিয়ে শ্বশুরকে সালাম করা শুরু করে দিছে ?
অর্থাৎ , যেখানে আয়াতে আল্লায় ব্যবহার করছে দাহাহা ,সেখানে আমাদের জোকার সাহেব দাহাহা কে ছেড়ে দিয়ে তার ধাতুকে টেনে এনে  বিজ্ঞানের সাথে মিলিয়ে দিয়েছে ।
কুরানে বলা হয়েছে বিস্তৃর্ন ।
কেমনবিস্তৃর্ন ?
ঠিক বিছানা বা ্কার্পেটের মত বিস্তৃর্ন ।

‘তিনি (আল্লাহ) তোমাদের জন্য ভূমিকে করেছেন বিছানা স্বরূপ।’- সূরা নূহ ১৯
[“And Allah has made the earth for you as a carpet (spread out)] ”
”তিনিই তোমাদের জন্য জমিনকে করেছেন বিছানা স্বরূপ। আর তাতে তোমাদের জন্য করেছেন চলার পথ।”- সূরা ত্বাহা ৫৩
[ “He Who has made for you the earth like a carpet spread out; has enabled you to go about therein by roads (and channels)….” ]
‘অতঃপর, তিনি তার জমিনকে বিস্তৃর্ণ করেছেন।’
– আন-নাজিরাত ৩০
তাহলে এবার একটু ভাবুনতো জাকির নায়েক কিংবা প্যারাসিট্যামল আরিফ সাহেব কতবড় ধাপ্পাবাজ চিন্তাকরেন ।এরা এভাবেই কুরানের মধ্যে অহরহ বিজ্ঞান খুজে পায় যার মূল্য হয়না চারপয়সারও ।আর এই এদের মত কুরানকে বিজ্ঞানময় বানানো অতি আবেগী মুসলমানদের কারনেই আজ ইসলাম সবচেয়ে বেশি হাসির খোরাকে পরিনত হয়েছে ।

দাবীঃ১৬পৃথিবীতে রাত এবং দিন বাড়া এবং কমার রহস্য মানুষ জেনেছে দুশ বছর আগে। সূরা লুকমানের ২৯ নং আয়াতে কুরআন এই কথা জানিয়ে গেছে প্রায় দেড় হাজার বছর আগে !!

 জবাবঃLuqman 31:29
أَلَمْ تَرَ أَنَّ ٱللَّهَ يُولِجُ ٱلَّيْلَ فِى ٱلنَّهَارِ وَيُولِجُ ٱلنَّهَارَ فِى ٱلَّيْلِ وَسَخَّرَ ٱلشَّمْسَ وَٱلْقَمَرَ كُلٌّ يَجْرِىٓ إِلَىٰٓ أَجَلٍ مُّسَمًّى وَأَنَّ ٱللَّهَ بِمَا تَعْمَلُونَ خَبِيرٌ
তুমি কি দেখনি যে, আল্লাহ রাতকে দিনের মধ্যে প্রবেশ করান এবং দিনকে রাতের মধ্যে প্রবেশ করান? আর তিনি সূর্য ও চাঁদকে নিয়োজিত করেছেন। প্রত্যেকেই চলছে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। আর নিশ্চয় তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্পর্কে সম্পূর্ণ অবহিত।

আচ্ছা রাত দিনের মধ্যে আবার দিন রাতের মধ্যে আবার প্রবেশ করে কিভাবে সেটা কি মুহাম্মদের কুরানে বলার আগে কেউ বুঝেনাই যে দিনের শেষে রাত আসে এবং রাতের শেষে দিন আসে ?
এটা তো সেই কোটি কোটি বছর ধরেই নিয়ম করেই ঘটে চলেছে ,এটা কি কারো অজানা কোন বিষয়?
উক্ত আয়াতের মাঝে কোন শিক্ষনীয় বিষয় আছে ?
রেগ্যুলার একটা ইউনিভার্সাল বিষয় সিম্পল এসব কথার মাধ্যমে কি কোন মহত্ব প্রকাশিত হয়?
তারপরেও আবার যেটাকে দাবী করা হয় স্রস্টা প্রদত্ত কিতাব ।
আচ্ছা যে স্রস্টায় এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি করেছেন নিপুনভাবে এই প্রকৃতিকে সাজিয়েছেন সেই স্রস্টার জ্ঞান কি এতই ঠুনকো এবং সস্তা মনে হয় আপনাদের কাছে ?
উপরোক্ত ১৬ টি বিষয়ের পর্যালোচনার মাধ্যমে উক্ত আয়াতগুলির মাঝে এমন কোন জ্ঞান খুজে পেয়েছেন যেটা কোন মানুষের অজানা বা আমাদের জ্ঞানের বাইরে আছে ?
বরং উপরে যে স্রস্টার জ্ঞানের প্রমান আমরা পেয়েছি তাতে কি ঐ কুরানের স্রস্টার চেয়ে ঢের আমরা আরো বেশি জ্ঞানী নই?
উপরের দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে কি বারবারই মনে হয়নি যে এসব কথা কোন স্রস্টার মারফতে হতে পারেনা , বরং এটা মুহাম্মদেরই রচিত কিতাব?

তো পরিশেষে আর কি বলার থাকে , এমনিতেই লেখাটা অনেক বড় করে তুলেছি ।
বেশী কিছু বলতে চাইনা ।বলতে চাই যে, লেখা আমার,ভাবনা আপনার ।
নিজেই ভেবে দেখুন আপনি কার কাছে মাথা নত করছেন?
আর কার কাছে মাথা নত করবেন?
মাথার অনেক দাম ।না জেনে বুঝে অহেতুক এখানে সেখানে সেটাকে নুইয়ে দিয়েননা।
সবার মঙ্গল কামনায়...
Shakh al Imran.









No comments

Powered by Blogger.