Header Ads

Header ADS

মানুষের কি স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি আছে যা খুসি তাই করার? মানুষে আস্তিক কিংবা নাস্তিক হয় কার ইচ্ছাতে?

মানুষের কি স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি আছে যা খুসি তাই করার?

 মানুষে আস্তিক কিংবা নাস্তিক হয় কার ইচ্ছাতে?


Image result for প্রশ্নবোধক চিহ্ন ছবি
আল্লায় মানুষকে নাকি স্বাধীন ইচ্ছা শক্তি দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন ,মানুষকে পরীক্ষা করার জন্য ।
আমরা এই কথাটি প্রায়ই ধার্মিক তথা ধর্মে বিশ্বাসীদের থেকে শুনতে পাই ।
আসলেই কি তাই ? আল্লায় কি মানুষকে স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি দিয়ে পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন?
মানুষের যা ইচ্ছা তাই করার শক্তি বা সামর্থ্য আছে ?
ভালো কাজের জন্য আল্লা এবং খারাপ কাজের জন্য আমরা শয়তানকে দোষারোপ করে থাকি যে , ভালো কাজ  আল্লার ইচ্ছাতেই ঘটে থাকে আর খারাপ কাজগুলি শয়তানের প্ররোচনায় হয়ে থাকে ।
এরকম নানান কথাবার্তাই আমরা একেকসময় একেক সিচুয়েশনে শুনে থাকি ।
আবার আমরা এটাও শুনে থাকি যে , সমস্ত কিছুর মূল হচ্ছে আল্লায় ।
আল্লার হুকুম ছাড়া গাছের একটা পাতাও নড়েনা ।
আবার বলা হয়ে থাকে যে, শয়তানের প্ররোচনায় মানূষে খারাপ কাজ করে থাকে ।
শয়তানের প্ররোচনায়ই মানুষে ইসলাম থেকে দূরে সরে যায় ।শয়তানে আল্লার রাস্তা থেকে মানূষকে দূরে ঠেলে নিয়ে এক পৈশাচিক আনন্দ পেয়ে থাকে।
এরকম মুখরোচক কত ধরনের কথাবার্তা যে আমরা শুনে অভ্যস্ত  হয়ে গেছি তার কোন ইয়ত্তা নেই।
যাহোক, আজকের এই লেখাতে আমি কুরান থেকে সেটাই আলোচনা করার চেষ্টা করবো যে, আসলে মানুষের কি স্বাধীন ইচ্ছাশক্তি আছে কিনা ,যা খুসি তাই করার?
তো আর কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখে নিই কুরানে এ ব্যাপারে কি বলা হয়েছেঃ
কোরানের সুরা ফাতির এবং সুরা নাহলে বলছে --
Fatir 35:5
يَٰٓأَيُّهَا ٱلنَّاسُ إِنَّ وَعْدَ ٱللَّهِ حَقٌّۖ فَلَا تَغُرَّنَّكُمُ ٱلْحَيَوٰةُ ٱلدُّنْيَاۖ وَلَا يَغُرَّنَّكُم بِٱللَّهِ ٱلْغَرُورُ 
হে মানুষ, নিশ্চয় আল্লাহর ওয়াদা সত্য; অতএব দুনিয়ার জীবন যেন তোমাদেরকে কিছুতেই প্রতারিত না করে; আর বড় প্রতারক (শয়তান) যেন তোমাদেরকে আল্লাহর ব্যাপারে প্রতারণা না করে
Fatir 35:6
إِنَّ ٱلشَّيْطَٰنَ لَكُمْ عَدُوٌّ فَٱتَّخِذُوهُ عَدُوًّاۚ إِنَّمَا يَدْعُوا۟ حِزْبَهُۥ لِيَكُونُوا۟ مِنْ أَصْحَٰبِ ٱلسَّعِيرِ 
নিশ্চয় শয়তান তোমাদের শত্রু; অতএব তাকে শত্রু হিসেবে গণ্য করসে তার দলকে কেবল এজন্যই 
Fatir 35:7
ٱلَّذِينَ كَفَرُوا۟ لَهُمْ عَذَابٌ شَدِيدٌۖ وَٱلَّذِينَ ءَامَنُوا۟ وَعَمِلُوا۟ ٱلصَّٰلِحَٰتِ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَأَجْرٌ كَبِيرٌ 
যারা কুফরী করে তাদের জন্য রয়েছে কঠিন আযাব; আর যারা ঈমান আনে ও নেক আমল করে তাদের জন্য রয়েছে ক্ষমা ও বড় প্রতিদান
Fatir 35:8
أَفَمَن زُيِّنَ لَهُۥ سُوٓءُ عَمَلِهِۦ فَرَءَاهُ حَسَنًاۖ فَإِنَّ ٱللَّهَ يُضِلُّ مَن يَشَآءُ وَيَهْدِى مَن يَشَآءُۖ فَلَا تَذْهَبْ نَفْسُكَ عَلَيْهِمْ حَسَرَٰتٍۚ إِنَّ ٱللَّهَ عَلِيمٌۢ بِمَا يَصْنَعُونَ 
কাউকে যদি তার অসৎ কাজ সুশোভিত করে দেখানো হয় অতঃপর সে ওটাকে ভাল মনে করে, (সে কি ঐ ব্যক্তির সমান যে ভালকে ভাল এবং মন্দকে মন্দ দেখে?) কেননা আল্লাহ যাকে ইচ্ছা গোমরাহ করেন আর যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দান করেন; অতএব তাদের জন্য আফসোস করে নিজে ধ্বংস হয়ো নানিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা জানেন
Nahl 16:93
وَلَوْ شَآءَ ٱللَّهُ لَجَعَلَكُمْ أُمَّةً وَٰحِدَةً وَلَٰكِن يُضِلُّ مَن يَشَآءُ وَيَهْدِى مَن يَشَآءُۚ وَلَتُسْـَٔلُنَّ عَمَّا كُنتُمْ تَعْمَلُونَ 
আর যদি আল্লাহ চাইতেন, তোমাদের সকলকে এক জাতিতে পরিণত করতেন, কিন্তু আল্লাহ যাকে ইচ্ছা পথভ্রষ্ট করেন, আর যাকে ইচ্ছা হিদায়াত দেন তোমরা যা করতে সে সম্পর্কে অবশ্যই তোমাদের জিজ্ঞাসা করা হবে

সুতরাংউপরের দুটি আয়াত থেকে আমরা স্পস্ট এটাই প্রমান পেলাম যে, আসলে আল্লার ইচ্ছা  ব্যাতীত মানুষের অবস্থার পরিবর্তন ঘটেনা। মানুষ সৎ হয় আল্লার ইচছাতেই ও অসৎও হয় আল্লার ইচছাতেই। মানুষের নিজের ইচছায় কিছুই করার নাই ।তেমনি বিপথগামীও হয় আল্লার ইচ্ছাতেই । মানুষরা সাধারনতঃবলে থাকে আল্লা মানুষকে স্বাধীন ইচ্ছা দিয়েছে স্বাধীন ভাবে কিছু করার বাা ভাল পথ,সঠিক বেছে নিবার । কিন্তু এ কথাটা সম্পুর্ন  ভুল । মানুষের কোন স্বাধীন ইচ্ছাই নাই । স্বাধীন ভাবে কিছু করার ক্ষমতাই নাই কেননা দেখুন এ ব্যাপারে কুরান কি বলেছে-----
At-Takwir 81:29
وَمَا تَشَآءُونَ إِلَّآ أَن يَشَآءَ ٱللَّهُ رَبُّ ٱلْعَٰلَمِينَ 
আর তোমরা ইচ্ছা করতে পার না, যদি না সৃষ্টিকুলের রব আল্লাহ ইচ্ছা করেন

এই আয়াতে প্রমান করে মানুষ তার নিজের ইচ্ছায় কিছুই করতে পারে না । যা-ই করে আল্লার ইচছাতেই করে । মানুষের নিজর ইচছা বলে কিছুই নাই । ভাল কাজ করলেও আল্লার ইচ্ছাতেই করে । মন্দ কাজ করলেও আল্লার ইচ্ছাাতেই করে ।
আপনি কি কোরানের উপরোক্ত আয়াতকে মিথ্যা বলেন, অবিশ্বাস করেন ? অবিশ্বাস করলে, মিথা বললে  আপনি গুনাগার নাস্তিক, কাফের হয়ে যাবেন ।কেননা আপনি কুরানকে অবিশ্বাস করলে আপনার আর কোন আমলে কাজ হবেনা ।আপনার কোন ইবাদতে আর কাজ হবেনা।কুরানকে অবিশ্বাস করা  মানে আল্লাকেই অবিশ্বাস করা।
কেননা এ ব্যাপারে কুরান সাবধান করে দিয়েছে ----
 Al-A'raf 7:36
وَٱلَّذِينَ كَذَّبُوا۟ بِـَٔايَٰتِنَا وَٱسْتَكْبَرُوا۟ عَنْهَآ أُو۟لَٰٓئِكَ أَصْحَٰبُ ٱلنَّارِۖ هُمْ فِيهَا خَٰلِدُونَ 
আর যারা আমার আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেছে এবং তার ব্যাপারে অহঙ্কার করেছে, তারাই আগুনের অধিবাসীতারা সেখানে হবে স্থায়ী
Al-A'raf 7:37
فَمَنْ أَظْلَمُ مِمَّنِ ٱفْتَرَىٰ عَلَى ٱللَّهِ كَذِبًا أَوْ كَذَّبَ بِـَٔايَٰتِهِۦٓۚ أُو۟لَٰٓئِكَ يَنَالُهُمْ نَصِيبُهُم مِّنَ ٱلْكِتَٰبِۖ حَتَّىٰٓ إِذَا جَآءَتْهُمْ رُسُلُنَا يَتَوَفَّوْنَهُمْ قَالُوٓا۟ أَيْنَ مَا كُنتُمْ تَدْعُونَ مِن دُونِ ٱللَّهِۖ قَالُوا۟ ضَلُّوا۟ عَنَّا وَشَهِدُوا۟ عَلَىٰٓ أَنفُسِهِمْ أَنَّهُمْ كَانُوا۟ كَٰفِرِينَ 
সুতরাং তার চেয়ে কে অধিক যালিম, যে আল্লাহর উপর মিথ্যা অপবাদ রটায় কিংবা তাঁর আয়াতসমূহকে অস্বীকার করেতাদের ভাগ্যে লিখিত অংশ তাদের কাছে পৌঁছবেঅবশেষে যখন আমার ফেরেশতারা তাদের নিকট আসবে তাদের জান কবজ করতে, তখন তারা বলবে, ‘কোথায় তারা, আল্লাহ ছাড়া যাদেরকে তোমরা ডাকতে’? তারা বলবে, ‘তারা আমাদের থেকে হারিয়ে গিয়েছেএবং তারা নিজদের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেবে যে, নিশ্চয় তারা ছিল কাফির

তো পাঠক উপরের আলোচনা এবং কুরানের আয়াতের প্রেক্ষিতেই আমরা প্রমান পেলাম যে, আমাদের মানুষের কোন ইচ্ছাশক্তি নেই নিজেদের অবস্থার পরিবর্তন ঘটানোর ।
তাহলে এবারে নিশ্চয় একটি প্রশ্ন করার লোভ সামলাতে পারছেননা যে, তাহলে তিনি জান্নাত জাহান্নাম বানালেন কাদের জন্য?
সেখানে তিনি কাদের রাখেবন?
আমি আজ আল্লার বিরুদ্ধে লিখে সয়লাব করছি সেটাও তো আল্লার ইচ্ছাতেই হচ্ছে ।
আবার এর কারনেই তিনি আমাকে জাহান্নামে পাঠাবেন।
কেন ?
আমি তো কোন কালেই আল্লার হোগায় আইক্কাওয়ালা বাশ দিইনাই ,তাহলে আমার সাথে তার শত্রুতা কিসের? আর দিয়ে থাকলেও তো সেটা তারই ইচ্ছাতেই দিয়েছিলাম ,তাইনা?
তাহলে আমি কেন জাহান্নামে যাবো তার স্বেচ্ছাচারিতার কারনে ?

No comments

Powered by Blogger.