সুরা ফীল সমাচার - কুরানের ভুল এবং আল্লার মিথ্যাচার
সুরা ফীল সমাচার - কুরানের ভুল এবং আল্লার মিথ্যাচারঃ
আমরা জানি সুরা ফীল কুরানের অন্যতম একটি গুরুত্বপূর্ন সুরা ।এর সাথে মুসলমানদের একটি পৈশাচিক আনন্দ লুকিয়ে রয়েছে ।কেননা এই সুরাটি নাজিল হয়েছিল মুসলমানদের হেডকোয়ার্টার ক্বাবা শরীফ আক্রমন তথা দখলের হাত থেকে রক্ষা নিয়ে ।
কিভাবে আল্লায় অমুসলিমদের হাত থেকে তথা ইয়েমেনের বাদশা ও তার হস্তী বাহিনীর হাত থেকে ক্বাবা রক্ষা করেছিল আল্লায় তার ছোট ছোট আবাবিল পাখিদের মাধ্যমে সেই বর্ননা দিয়েই আল্লায় এই সুরা নাজিল করেছিল।
তো আগেই আমরা কুরান থেকে সুরা ফীলের আয়াত ও তার বর্ননা দেখে নিবঃ
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ أَلَمْ تَرَ كَيْفَ فَعَلَ رَبُّكَ بِأَصْحَابِ الْفِيلِ
আপনি কি দেখেননি আপনার পালনকর্তা হস্তীবাহিনীর সাথে কিরূপ ব্যবহার করেছেন? [ সুরা ফীল ১০৫:১ ]
أَلَمْ يَجْعَلْ كَيْدَهُمْ فِي تَضْلِيلٍ
তিনি কি তাদের চক্রান্ত নস্যাৎ করে দেননি? [ সুরা ফীল ১০৫:২ ]
وَأَرْسَلَ عَلَيْهِمْ طَيْرًا أَبَابِيلَ
তিনি তাদের উপর প্রেরণ করেছেন ঝাঁকে ঝাঁকে পাখী, [ সুরা ফীল ১০৫:৩ ]
تَرْمِيهِم بِحِجَارَةٍ مِّن سِجِّيلٍ
যারা তাদের উপর পাথরের কংকর নিক্ষেপ করছিল। [ সুরা ফীল ১০৫:৪ ]
فَجَعَلَهُمْ كَعَصْفٍ مَّأْكُولٍ
অতঃপর তিনি তাদেরকে ভক্ষিত তৃণসদৃশ করে দেন। [ সুরা ফীল ১০৫:৫ ]
অর্থাৎ উক্ত আয়াতের মাধ্যমে এটাই বুঝানো হয়েছে যে ইয়েমেনের বাদশা আবরাহা তার সৈন্যবাহিনি নিয়ে মক্কা আক্রমন করতে যায় এবং আল্লায় তার আবাবিল পাখি দ্বারা ক্বাবা রক্ষা করেন।
আবরাহা ছিল ইয়েমেনের প্রথমে গভর্নর এবং পরে স্বাধীন রাজা হিসাবে ইয়েমেন শাষন করেন।আবরাহার শাষনকাল ছিল ৫২৫ - ৫৭০ পর্যন্ত।নাজ্জাশির সেনাপতি হিসাবে ২৫ বছর বয়সে সে শাষনভার গ্রহন করে এবং পরে সে ৭০ বছর বয়সে মক্কা আক্রমন কালে তার হস্তীবাহিনী হারাম শরীফের কাছে ওয়াদীহে মোহাসসাবে ধ্বংস্প্রাপ্ত হয় ।তার পুরো নাম আবরাতাতুল আশরাম,যাকে নাককাটা আবরাহা বলেও ডাকা হতো ।কেননা কোন এক যুদ্ধে তার নাক ও গাল কেটে যায় ।
তো ইসলামিক স্কলারদের দাবী অনুসারে এই আবরাহার ক্বাবা আক্রমনের কারন নাকি ছিল জেলাসি বা হিংসা থেকে ।
কেননা ক্বাবার জনপ্রিয়তা দেখে সে হিংসায় সহ্য করতে না পেরে সেরকম আরেকটি ক্বাবা নির্মান করে তার রাজ্যের সানা নামক একটি যায়গায় ।এবং সে ঘোষনা দেয় এখন থেকে সবাই খানায় ক্বাবায় তাওয়াফ না করে তার নবনির্মিত ক্বাবায় যেন সবাই তাওয়াফ করে ।
তো আবরাহা খানায় ক্বাবা ধ্বংসের জন্য যে কারনে জ্বলে উঠেছিলেনঃ
তাদের মধ্যে বনি কেনানের এক ব্যক্তি কোন প্রকারে ওই ক্বাবার সেবায় নিযুক্ত হয় ।কিন্তু কোন এক রাতে সে ঐ ঘর ( নব নির্মিত ক্বাবা)র মধ্যে পায়খানা করে পালিয়ে গেলে সেই ক্ষোভে আবরাহা ক্বাবা ( মক্কার) জ্বালিয়ে দিতে ঔদ্বত হয়।
আবার অপর এক বর্ননায় পাওয়া যায় যে, আরবরা এক স্থানে আগুন জ্বালিয়েছিল তার অগ্নি শিখা বাতাসে উড়ে গিয়ে ঐ নব নির্মিত ক্বাবায় লাগে । এবং এই খবর চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে লোকেদের ঐ নতুন ক্বাবা তাওয়াফ করতে কুন্ঠাবোধ দেখা দেয়।আর আবরাহা এই খবর শুনে ক্রোধে জ্বলে উঠে খানায় ক্বাবা ধ্বংসের জন্য ঔদ্বত হয়ে সে তার হস্তীবাহিনী নিয়ে ক্বাবা ধ্বংসের জন্য রওনা হয়।আবরাহা তার বাহিনীসহ কাবা ধ্বংসের জন্য যাত্রা করে মক্কা হতে কিছু দূরে অবস্থিত ‘মোগাম্মাম’ নামক স্থানে পৌঁছে একজন নেতাকে নির্দেশ দেয় যেন সে আরবদের সাথে সংঘর্ষ বাঁধিয়ে দেয় এবং প্রথমে আরবদের পশু পাল ধরে আনতে বলে। ইতোমধ্যেই যেসব আরব গোত্র আবরাহার গতিরোধ করেছিল তাদেরকে সে পরাজিত করে। ঐ সময় কাবার সর্দার ছিলেন মুহাম্মদের দাদা আবদুল মোত্তালেব। আবরাহা বাহিনী মক্কা অবরোধকালে তার দু’শ উট লুট করে নিয়ে যায়।
যেসব আরব গোত্র তার গতিরোধ করেছিল আবরাহা তাদেরকে পরাজিত করে হারাম শরীফের নিকটবর্তী ‘ওয়াদীয়ে মোহাস্সাব’ নামক স্থানে সৈন্য ও হস্তি বাহিনীসহ অবস্থান করে। আবরাহার নির্দেশে হস্তি বাহিনীকে কাবার দিকে পরিচালিত করা হলে ওরা অগ্রসর না হয়ে থেমে যায়। কোরেশগণ বায়তুল্লাহ শরীফের নিরাপত্তার কোনো ব্যবস্থা না করে আবদুল মোত্তালেবের সঙ্গে মক্কার একটি পর্বতে আশ্রয় গ্রহণ করেন এবং কাবা রক্ষার দায়িত্ব আল্লাহর উপর সমর্পণ করেন। তিনি আবরাহার মক্কায় আগমনের এবং তার উদ্দেশ্য সম্পর্কে অবহিত হয়ে আবরাহার নিকট গমন করেন এবং তাঁর অভিযোগ জানান। আবরাহা তাকে সাদরে স্বাগত জানিয়ে প্রশ্ন করে, ‘আমরা আপনাদের কাবা ধ্বংস করার জন্য এসেছি অথচ আপনি সে সম্পর্কে কিছুই বলছেন না, আপনার উট ফেরত চাচ্ছেন।’ আবদুল মোত্তালেব জবাবে বলেন, ‘উট আমার, আমি সেগুলোর মালিক। এ জন্য সেগুলো নিয়ে যাওয়ার জন্য আমি এসেছি। কাবার ব্যাপার হচ্ছে, এর মালিক অপর কেউ, তিনিই এর হেফাজত করবেন।’ এতে আবরাহা স্তম্ভিত হয়ে তাঁর উটগুলো ফেরত দেয়।
এ কথাবার্তার পর আবদুল মোত্তালেব তাঁর কতিপয় সঙ্গীসহ খানা-ই-কবায় আগমন করেন এবং দোয়া করতে থাকেন। এই সময় তিনি একটি কবিতা আবৃত্তি করতে থাকেন। কবিতার মর্ম হচ্ছে; ‘হে আল্লাহ! বান্দা তার নিজের ঘর রক্ষা করে থাকে, তুমিও তোমার ঘর রক্ষা কর।’ আবদুল মোত্তালেব দোয়া করে তার সাথী সঙ্গীগণসহ পর্বতে গিয়ে আশ্রয় গ্রহণ করেন। বর্ণিত আছে, দ্বিতীয় দিন ভোরে আবরাহা বাহিনী কাবা ধ্বংসের জন্য অগ্রসর হয় এবং সঙ্গে আনা হাতিগুলোও অগ্রসর হয়। হাতিগুলোর মধ্যে সর্বাপেক্ষা বৃহৎ হাতিটি সকলের আগে আগে চলছিল। কাবা গৃহের অতি সন্নিকটে উপস্থিত হয়েই মাহমুদ নামের হাতিটি হঠাৎ আপন সৈন্যগণের দিকে মুখ ফিরিয়ে তাদেরকে পদদলিত করে পশ্চাৎ দিকে ধাবিত হতে লাগল। অন্যান্য হাতিও তাদের প্রধান সেনাপতি মাহমুদের অনুসরণ করে। হস্তি চালকরা প্রাণপণ চেষ্টা করেও ওদেরকে কাবামুখী করতে চরমভাবে ব্যর্থ হয়। আবরাহা বিফল মনোরথ হয়ে প্রত্যাবর্তনের চেষ্টা করতে লাগল। কোরেশগণ পাহাড়ের উপর হতে এই ঘটনা প্রত্যক্ষ করছিলেন। মুহূর্তের মধ্যে সমুদ্রের দিক হতে সবুজ বর্ণের ঘাড় বিশিষ্ট একদল কৃষ্ণ বর্ণের পাখির আবির্ভাব ঘটল। ওরা ঝাঁকে ঝাঁকে উড়ে উড়ে আবরাহার সৈন্যদের উপর ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রস্তরকণা বর্ষণ করতে লাগল।
প্রতিটি পাখি (আবাবীল) তার চঞ্চুতে একটি এবং দুই পায়ে দুইটি, এই তিনটি প্রস্তর খণ্ড সঙ্গে নিয়ে এসেছিল। ঐ প্রস্তর খণ্ডের এক একটির উপর কাবাগৃহ আক্রমণকারী এক একটি সৈনিকের নাম লেখা ছিল। যে পাথরে যার নাম ছিল, সেই পাথরই তার মস্তকে পতিত হয়েছিল। প্রস্তরখণ্ড মস্তকে পতিত হয়ে শরীর ভেদ করে অপরদিক দিয়ে নির্গত হয়েছিল। এভাবে আবরাহার সমস্ত সৈন্য ধ্বংস হয়ে যায়। পরে একইভাবে আবরাহারও পতন ঘটে বলে বর্ণিত আছে।
এখানে একটি কথা বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, আবরাহা বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা কত ছিল, তা নিয়ে মতভেদ রয়েছে। কারও কারও মতে সৈন্য সংখ্যা ছিল চল্লিশ হাজার। মাহমুদ নামক হাতিটি আবরাহার বিশেষ সোয়ারী ছিল। অবশ্য প্রাচীন আরব কবিদের রচনায় আবরাহার সৈন্যসংখ্যা ষাট হাজার বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এসব কবির মধ্যে আবদুল্লাহ ইবনে জারারীর নাম বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। বলা হয়ে থাকে, ৫২৫ খ্রিস্টাব্দে জেনারেল আরিয়াত সত্তর হাজার সৈন্য নিয়ে আক্রমণ চালিয়েছিল। এ জন্য কোনো কোনো ঐতিহাসিক মন্তব্য করেছেন যে, আরব কবির বর্ণনায় আশ্চর্যের কিছু নেই। কেননা সৈন্য সংখ্যা উক্ত কবির মতে সঠিক। কারণ আবরাহা ছিল আরিয়াতের নায়েব ও হত্যাকারী, সে ইয়েমেনে দশ হাজার সৈন্য রেখে ষাট হাজার সৈন্য নিয়ে মক্কায় এসেছিল। এই ষাট হাজর সৈন্যের মধ্যে কেউ রক্ষা পায়নি, সকলেই নিহত হয়েছিল। কেউ কেউ মুমূর্ষ অবস্থায় প্রত্যাবর্তন করলেও শেষ পর্যন্ত মারা যায়।
তথ্যসূত্রঃ ( https://bit.ly/2vzZAda )
তো এই ছিল আরবের মক্কার ক্বাবা আক্রমন এবং আবরাহার থেকে ক্বাবা ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষার ইতিহাস ,যেটাকে কেন্দ্র করে সুরা ফীল নাজিল হয়েছে ।
তো উপরোক্ত বর্ননার ভিত্তিতে যে প্রশ্নগুলি জন্ম নেয় এবং যে প্রশ্নগুলির উত্তরেই বলে দেয় যে ঐ সমস্ত হাতী নিয়ে ক্বাবা আক্রমন এবং তার হাত থেকে আল্লার ক্বাবা রক্ষার গল্পটা ছিল নিছকই গল্প কিংবা কিচ্ছা কিংবা আরব্য রজনীর গল্পই মাত্র , কোন সত্য বা বাস্তবে কোন এরুপ কিছু নয়।
কেননাঃ
আমরা জানি যে, ইয়েমেনের রাজধানী সানা থেকে মক্কার দুরুত্ব হচ্ছে ১০৩৪ কিঃমিঃ।
যেখানে এই সময়ের আধুনিক প্রযুক্তির বাসে যেতেই সময় লাগে ১৪ ঘন্টা ।
যেহেতু ঐ ১৪০০ বছর আগে হেটে যাওয়া ছাড়া অন্য কোন উপায়ে যাওয়ার ব্যবস্থা ছিলনা সেহেতু সেখানে তাদের হেটে যেতে সময় লাগবে মিনিমাম ১০ দিন।
অথচ তারা সেখানে নাকি হাতি নিয়ে গিয়েছিল আক্রমন করতে ।
কিন্তু কেউ কি ভেবে দেখেছেন যে মক্কা এবং ইয়েমেনের ভৌগলিক অবস্থান কিরুপ?
হাতী হচ্ছে একটা তৃনভোজী প্রানী ,আর ইয়েমেন এবং মক্কা হচ্ছে বালুকা মরু অঞ্চল ,যেখানে নেই কোন তৃনের সমারোহ এবং নেই কোন পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা ।তাহলে সেখানে তারা হাতী নিয়ে এই লম্বা মরুর পথ কিভাবে পাড়ি দিল ?
আপনি কি জানেন যে ,একটা হাতি ১৪ ঘন্টার বেশি পানি ছাড়া চলতে পারেনা এবং সর্বোচ্চ একটি হাতী ৪ দিনের বেশি পানি ছাড়া বাচতে পারেনা । ( https://africageographic.com/blog/elephants-dig-water/ )
তাহলে সেখানে ইয়েমেন থেকে মক্কায় কিভাবে হাতি নিয়ে গেল?
তাছাড়া আরো মেজর আরেকটি কারন হচ্ছে ইয়েমেন এবং মক্কার যাতায়াতের পথে রয়েছে অসংখ্য নুড়ি পাথরে ভরপুর বালুকা ,পাথুরে রাস্তা ।কোন হাতী এরকম রাস্তায় চলতে পারেনা ।কারন হাতির পায়ে কোন ক্ষুর নেই গরু কিংবা ঘোড়ার মত ।যারফলে হাতির পায়ের নিচে যেখানে একটা বরই এর বিচি পড়লেই হাতি হাটতে পারেনা ,সুয়ে পড়ে রাস্তার মাঝে ,সেখানে ওই পাথরের মধ্যে দিয়ে তারা হাতী নিয়ে কিভাবে গেল?
যেখানে ইয়েমেনের ২০০০ বছরের মধ্যেও কোথাও কেউ কোনদিন হাতি পালন করেছে বলে সেখানে কোন রেকর্ড নেই ।কেননা সেখানে নেই পর্যাপ্ত পানি এবং তৃন বা ঘাসের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা ,তাহলে তারা হাতী পেল কোথায়?একটা হাতির একদিনে ২০০ লিটার পানির দরকার হয়, অথচ ইয়েমেন থেকে মক্কায় পানির ব্যবস্থা কি?
যেখানে মানুষেই পানির অভাবে তৃষ্ণার্ত হয়ে , গরমে ডিহাইড্রেশনের কারনে মারা যায়,সেখানে তারা কিনা হাতী নিয়ে গিয়েছিল ? আজব (!)
এই প্রশ্নের উত্তরে অনেকেই বলে থাকেন যে আবরাহা আবিসিনিয়া থেকে ৫টি মতান্তরে ১১ টি হাতি নিয়ে এসেছিল ।
যাহোক, যদি আবরাহা হাতি আবিসিনিয়া থেকে নিয়েও আসে তাতেও অনেক অকাট্য প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যায় ,যার উত্তর আপনি কোনভাবেই মেলাতে পারবেননা ।
এছাড়া এবার আসাযাক , দ্বিতীয় স্টেজের প্রশ্নেঃ আমরা জানি মুহাম্মদের জন্ম হয়েছিল একটি পৌত্তলিক পরিবারে ,যাদের মূল আরাধনা ঘিরে ছিল মুর্তি পূজা করা ।যারফলে ক্বাবা ঘরের মাঝে ৩৬০ টা মুর্তি ছিল।যদিও অতটুকু ছোট্ট একটু চারকোনে ঘরের মাঝে ৩৬০টা মুর্তি ধরা বা ধারন করা সম্ভব নয়।
আর সেগুলির মধ্যে হুবাল নামক এক দেবতার মুর্তি ছিল ,যাকে তারা গড হিসাবে ভক্তি করতো ।
আমরা জানি আল্লার নামের কন্সেপ্টটা তোইরি করে একেশ্বরবাদের চিন্তাভাবনা থেকে যখন মুহাম্মদের বয়স ৪০ বছর ।তার আগে ইহুদি খ্রিস্টানেরা একেশ্বরবাদের ধর্ম পালন করতো ।
যাহোক, যেটা থেকে আমরা জানি মুহাম্মদের আগে আরবে কোন আল্লার বালাই ছিলনা ।
যা ছিল তা ঐ মুর্তি পূজা এবং গড বা ঈশ্বরের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ।
অথচ উপরের বর্ননায় দেখা যাচ্ছে যে, মুহাম্মদের দাদা আব্দুল মোত্তালেব নাকি আল্লার কাছে তার ঘরের হেফাজত চেয়ে প্রার্থনা করেছিল ।
আবার আল্লায় তার ঘরকে সেই ৩৬০ টা মুর্তি সমেত আবরাহার হাত থেকে রক্ষা করেছিল ।
তাহলে কি সেই ক্বাবার মাঝে থাকা ৩৬।০টা মুর্তি আল্লার খুব পছন্দের ছিল?সেসব মুর্তি আল্লার তরফ থেকেই ছিল?
তবে কি মুর্তি পুজা আল্লার পছন্দের ছিল?
তাহলে মুহাম্মদে কেন মক্কা বিজয়ের পরে সেই ক্বাবার ভেতরে থাকা মুর্তিগুলি ভেঙ্গে বাইরে ফেলে দিয়েছিল?
যে মুর্তিগুলি ক্বাবার মাঝে থাকাকালীন অবস্থাতেও মুহাম্মদে সেই ক্বাবার দিকে মুখ করে সেজদা করতো । ( https://imranshakh.blogspot.com/2020/02/blog-post_88.html )
কিন্তু মক্কা বিজয়ের পরে মুহাম্মদে সেই মুর্তিগুলি ভেঙ্গে বাইরে ফেলে দেন।
অথচ আমরা জানি তারপরে ক্বাবায় কতবার আক্রমন হয়েছে , কিন্তু কখনোই আল্লা তার আবাবিল পাখিদের দিয়ে ক্বাবা রক্ষা করেনাই।তাহলে কি এটাই প্রমানিত হয়না যে , মুহাম্মদে যবে থেকেই ক্বাবা থেকে মুর্তি ভেঙ্গে ফেলেছে তবে থেকেই আল্লায় তার ক্বাবা ঘর রক্ষার কথা ভুলে গেছে ? তাহলে কি ক্বাবার মুর্তিই সঠিক বলে প্রমানিত হয়না ?
দেখে নিন কতবার ক্বাবা আক্রমন হয়েছে ,কিন্তু আমরা আল্লার সেই আবাবিল পাখিদের দেখা পাইনি ।
https://imranshakh.blogspot.com/2020/02/httpswww.html
No comments