নবী মুহাম্মদে নিজে যে আইন পালন করেনি সেই আইন কেন কুরানে জারী করে গেল?
নবী মুহাম্মদে নিজে যে আইন পালন করেনি সেই আইন কেন কুরানে জারী করে গেল?
সাধারনত ইসলামে কোন অমুসলিমকে বিয়ে করার ব্যাপারে অনুমতি থাকলেও কোন মুসলিমকে কোন অমুসলিমের বিয়ে করা কিংবা কোন অমুসলিমের কাছে কোন মুসলিমকে বিয়ে দেওয়া ইসলামে সমর্থন করেনা ।
এক্ষেত্রে কোন মুসলিম কোন অমুসলিমকে বিয়ে করতে পারলেও বিয়ের পূর্বে অবশ্যই সেই অমুসলিমকে মুসলিম হতে হবে।
কোন মেয়ে হিজরত করে এলে তাকে বিয়ের পূর্বে পরীক্ষা করে নিতে হবে সে মুমিন মুসলমান হয়েছে কিনা ?
[ সুরা বাকারা ২:২২১ ]
وَلاَ تَنكِحُواْ الْمُشْرِكَاتِ حَتَّى يُؤْمِنَّ وَلأَمَةٌ مُّؤْمِنَةٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكَةٍ وَلَوْ أَعْجَبَتْكُمْ وَلاَ تُنكِحُواْ الْمُشِرِكِينَ حَتَّى يُؤْمِنُواْ وَلَعَبْدٌ مُّؤْمِنٌ خَيْرٌ مِّن مُّشْرِكٍ وَلَوْ أَعْجَبَكُمْ أُوْلَـئِكَ يَدْعُونَ إِلَى النَّارِ وَاللّهُ يَدْعُوَ إِلَى الْجَنَّةِ وَالْمَغْفِرَةِ بِإِذْنِهِ وَيُبَيِّنُ آيَاتِهِ لِلنَّاسِ لَعَلَّهُمْ يَتَذَكَّرُونَ
আর তোমরা মুশরেক নারীদেরকে বিয়ে করোনা, যতক্ষণ না তারা ঈমান গ্রহণ করে। অবশ্য মুসলমান ক্রীতদাসী মুশরেক নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন মুশরেকের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত সে ঈমান না আনে। একজন মুসলমান ক্রীতদাসও একজন মুশরেকের তুলনায় অনেক ভাল, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। তারা দোযখের দিকে আহ্বান করে, আর আল্লাহ নিজের হুকুমের মাধ্যমে আহ্বান করেন জান্নাত ও ক্ষমার দিকে। আর তিনি মানুষকে নিজের নির্দেশ বাতলে দেন যাতে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।
Al-Mumtahanah 60:10
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِذَا جَآءَكُمُ ٱلْمُؤْمِنَٰتُ مُهَٰجِرَٰتٍ فَٱمْتَحِنُوهُنَّۖ ٱللَّهُ أَعْلَمُ بِإِيمَٰنِهِنَّۖ فَإِنْ عَلِمْتُمُوهُنَّ مُؤْمِنَٰتٍ فَلَا تَرْجِعُوهُنَّ إِلَى ٱلْكُفَّارِۖ لَا هُنَّ حِلٌّ لَّهُمْ وَلَا هُمْ يَحِلُّونَ لَهُنَّۖ وَءَاتُوهُم مَّآ أَنفَقُوا۟ۚ وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ أَن تَنكِحُوهُنَّ إِذَآ ءَاتَيْتُمُوهُنَّ أُجُورَهُنَّۚ وَلَا تُمْسِكُوا۟ بِعِصَمِ ٱلْكَوَافِرِ وَسْـَٔلُوا۟ مَآ أَنفَقْتُمْ وَلْيَسْـَٔلُوا۟ مَآ أَنفَقُوا۟ۚ ذَٰلِكُمْ حُكْمُ ٱللَّهِۖ يَحْكُمُ بَيْنَكُمْۚ وَٱللَّهُ عَلِيمٌ حَكِيمٌ
হে ঈমানদারগণ, তোমাদের কাছে মু’মিন মহিলারা হিজরত করে আসলে তোমরা তাদেরকে পরীক্ষা করে দেখ। আল্লাহ তাদের ঈমান সম্পর্কে অধিক অবগত। অতঃপর যদি তোমরা জানতে পার যে, তারা মুমিন মহিলা, তাহলে তাদেরকে আর কাফিরদের নিকট ফেরত পাঠিও না। তারা কাফিরদের জন্য বৈধ নয় এবং কাফিররাও তাদের জন্য হালাল নয়। তারা* যা ব্যয় করেছে, তা তাদেরকে ফিরিয়ে দাও। তোমরা তাদেরকে বিয়ে করলে তোমাদের কোন অপরাধ হবে না, যদি তোমরা তাদেরকে তাদের মোহর প্রদান কর। আর তোমরা কাফির নারীদের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক বজায় রেখ না, তোমরা যা ব্যয় করেছ, তা তোমরা ফেরত চাও, আর তারা যা ব্যয় করেছে, তা যেন তারা চেয়ে নেয়। এটা আল্লাহর বিধান। তিনি তোমাদের মাঝে ফয়সালা করেন। আর আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়।
কিন্তু এই সুত্র অনুযায়ী নবী মুহাম্মদে কি এই আইন মান্য করেছিলেন?
- না , করেননি ।
তিনি কুরানের এই আইন মান্য করেননি ।
কেননা আমরা জানি প্রথমেই বিয়ে করেছিলেন ২৫ বছর বয়সে ৪০ বছররের খাদিজাকে ।
আর খাদিজা প্রথমে মুসলমান ছিলেননা ,তিনি প্রথমে ছিলেন ইহুদি ।
মুহাম্মদের সাথে বিয়ে হওয়ার ১৫ বছর পরে মুহাম্মদে ইসলাম নামক রাজনৈতি দলের জন্ম দিলে প্রথমে খাদিজাকে দাওয়াত দিলে সে ইসলামের দলে আসে ।
তো উক্ত কুরানের আইন অনুযায়ী কি মুহাম্মদে কুরানের আইন ভঙ্গ করেনি?
- হ্যা করেছেন।
কিন্তু করলেও আমার দৃষ্টিতে করেনি , কেননা এই বিয়ের সময়ে কুরান ছিলনা বা মুহাম্মদে কুরান রচনা শুরু করেনি ।
তারপরেও মুহাম্মদে যখন কুরান রচনা শুরু করে তখন কুরানে এই আইনের বাস্তবায়ন সম্পর্কে কি তার নিজের ব্যাপারটা আগে ভেবে নেওয়া উচিত ছিলনা ?
কিন্তু সেটা তিনি করেনি ।
তাহলে যে আইন সে নিজেই পালন করেনি, সেই আইন কিভাবে সে কুরানে লিপিবদ্ধ করলো?
আবার আমাদের মুমিন ভাইদের দৃষ্টিতেও কিন্তু করেননি ।
কেননা মুহাম্মদের বিয়ের সময় কুরান নাজিল হয়নি , কুরানের আইন ছিলনা ।
তো এটা যদি হয় তাহলে তখন আল্লায় কোথায় ছিল?
আল্লায় নাকি মুহাম্মদকে সবসময় বুদ্ধি পরামর্শ দিতেন ।
কোনপথে কিভাবে চলতে হবে সেসব পরামর্শ আল্লায় মুহাম্মদকে দিতেন ,তাহলে এই খাদিজার বিয়ের সময় আল্লায় কোথায় ছিল?
কুরান তো আগেই নাজিল করে লওহে মাহফুজে রক্ষিত ছিল।
তাহলে আল্লায় কি বুঝেনাই যে মুহাম্মদে যেটা করছে সেটা আল্লার কুরানের বিরুদ্ধে যাচ্ছে ?
No comments