নমরুদের মাথার ভিতরে মশা ঢুকলো কিভাবে? নাক দিয়ে কি মাথার ভিতরে মশা ঢুকতে পারে?
নমরুদের মাথার ভিতরে মশা ঢুকলো কিভাবে? নাক দিয়ে কি মাথার ভিতরে মশা ঢুকতে পারে?
নমরুদ এবং মশার গল্পঃ
নমরুদের নাম শুনেনি এমন কোন মুসলমানদের নাম খুজে পাওয়া যাবেনা।
কেননা ইতিহাসে সে ই একমাত্র ব্যাক্তি যেকিনা আল্লাকে হত্যা করার জন্য উপরের দিকে তীর ছুড়ে মারতো।
খোদাদ্রোহী, অত্যাচারী নমরুদ-ফেরাউনের খোদাদ্রোহিতার কাহিনীগুলোর মধ্যে হযরত ইবরাহিম (আ.)-এর সাথে নমরুদের নকল খোদা সাজার কথা খুবই প্রচলিত। হযরত ইবরাহিম (আ.)-কে অগ্নিকুন্ডতে নিক্ষেপ করে তাকে হত্যার ষড়যন্ত্র ব্যর্থ করে আল্লাহ অগ্নিকুন্ড-কে শান্তির বাগানে পরিণত করেন। এ কাহিনী কোরআনে বর্ণিত হয়েছে। নমরুদ ছিল সে যুগে মহাপ্রতাপশালী জালেম-অত্যাচারী বাদশাহ। তার মিথ্যা খোদায়িত্ব প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে আসল খোদার সাথে আকাশে ওঠার চেষ্টা করে পাগলামি-উন্মাদনার এক অভিনব রেকর্ড সৃষ্টি করেছিল। ইবলিশ শয়তানের প্ররোচনা ও কুমন্ত্রণায় নমরুদ আকাশকে রণক্ষেত্র করার আহাম্মকী করেছিল এবং তাবুত নামক যে আকাশযান শয়তানের পরামর্শে তৈরি করেছিল, তা অবশ্যই এক অভিনব শয়তানি উদ্যোগ। বলা যেতে পারে, নমরুদের সেই তাবুত আধুনিক যুগের রকেট ছিল। নমরুদ কৃত্রিম নকল খোদা হতে চেয়েছিল। তার তথাকথিত শক্তিমত্তার অহংকার-ঔদ্ধত্য একটি অতি ক্ষুদ্র প্রাণী ল্যাংড়া মশা কীভাবে চূরমার করে দেয়, সে কাহিনীর বিবরণ ইতিহাসের আলোকে নিচে তুলে দেওয়া হলো। প্রভুত্ব প্রতিষ্ঠার এই স্বল্প¯্রষ্টার করুন পরিনতিতে হয়েছে অন্যান্য শিক্ষা নমরুদ খোদা সেজেও একটি ল্যাংড়া মশা হতে আত্মরক্ষা করতে পারেনি। শয়তানের প্ররোচনায় সে হযরত ইবরাহিমকে (আ.) অগ্নিকুন্ডে নিক্ষেপ করে। উদ্দেশ্য ছিল ইবরাহিম (আ.)-কে দুনিয়া হতে সরিয়ে দিতে পারলে তার খোদায়িত্বে কোনো প্রতিবন্ধকতা থাকবে না। আল্লাহতায়ালা আগুনকে নির্দেশ প্রদান করেন : ইয়ানারু কুলি বারদান অ-সালামান আলা ইবরাহিম (আ.) হে আগুন, ইবরাহীমের জন্য শীতল ও শান্তিদায়ক হয়ে যাও। নমরুদের ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়ে যায়। নমরুদের অগ্নিকু- ইবরাহিম (আ.)-এর জন্য শান্তির বাগান হয়ে যায়। তিনি নিরাপদে বের হয়ে আসেন। নমরুদের দুঃখের সীমা থাকে না।
নমরুদ বুঝতে পারে ইবরাহিমের (আ.) খোদা মহাশক্তিশালী, তার সাথে যুদ্ধ করতে হবে। নমরুদ তার দরবারের শীর্ষস্থানীয়দের সাথে পরামর্শক্রমে একটি সুউচ্চ মিনার নির্মাণ করে, খোদার সাথে যুদ্ধ করবে বলে। তিন বছর মুদ্দতে দুই কোস অর্থাৎ তিন হাজার গজ উঁচু মিনার প্রস্তুত হয়ে যায়। নমরুদ যখন এ মিনারের শীর্ষদেশে পৌঁছে যায় তখনো আসমান এত উঁচুতে দেখা যাচ্ছিল। সে নিরাশ হয়ে নেমে আসে। তার এ ব্যবস্থা কাজে আসল না। খোদার অসীম কুদরত কারো বোঝার সাধ্য নেই। মিনারটিও উপড়ে পড়ে এবং হাজার হাজার ঘরবাড়ি ও অসংখ্য লোকজন ধ্বংস হয়ে যায়। এতে নমরুদ আরো ক্ষিপ্ত হয়ে পড়ে এবং সে বলে, ইবরাহিমের (আ.) খোদার সাথে যুদ্ধ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে।
শয়তান-নমরুদকে আকাশে পৌঁছার একটি পথ দেয় বলে, চারটি শকুন পালন কর এবং কাঠের একটি বক্স তৈরি করো, যাতে দুজন লোকের বসার সঙ্কুলান হয়। বক্সটি এমন আকারের হবে, যার চতুর্দিকে লাটির আকারে বাইরের দিকে থাকবে। অতঃপর একদিন একরাত শকুনগুলোকে সম্পূর্ণভাবে ভুখা-অভুক্ত রাখতে হবে এবং চারটি ডান্ডালাঠি ওদের দেহে বেঁধে দেবে এবং ওই বাক্সে আরোহন করে চারটি শকুনের মাথার ওপর গোশতের টুকরো ঝুলিয়ে দেবে। শকুনগুলো ভুখা থাকার কারণে গোশতের টুকরোগুলো খাওয়ার জন্য উপরের দিকে উড়তে থাকবে।
শয়তানের পরামর্শ অনুযায়ী নমরুদ কাজ করে এবং তার প্রধানমন্ত্রীকে তার সঙ্গে সোয়ারী বসিয়ে আকশে উড়াল দেয়। এ আকাশ যানটি ভূখ- থেকে এত উঁচুতে পৌঁছে যে, ভূমি দৃষ্টি হতে আড়াল হয়ে যায়। তখন নমরুদ তীর বের করে আকাশের দিকে নিক্ষেপ করে। আল্লাহর কুদরতে তীরটি রক্তে রঞ্জিত হয়ে ফিরে আসে। আহম্মক নমরুদ মনে করে, ইবরাহিম (আ.)-এর খোদাকে হত্যা করতে সে কামিয়াব হয়েছে। এবার নমরুদ গোশতের টুকরোগুলো শকুনদের পায়ের নিচে রেখে দেয়। শকুনগুলো ভূমিতে অবতরন করে।
নমরুদ ইবরাহিম (আ.) কে বলে, আমি তোমার খোদার কেসসা খতম করে দিয়েছি, এখন তো আমাকে খোদা স্বীকার করে নিতে তোমার দ্বিধা থাকতে পারে না। হযরত ইবরাহিম (আ.) বলেন, তুমি তো আস্ত পাগল, কোনো মানুষ কি খোদাকে মারতে পারে? নমরুদ বলে, যদি ব্যাপার এরূপ হয় তাহলে তুমি আমাকে বল খোদার সৈন্যসংখ্যা কত? হযরত ইবরাহিম (আ.) বলেন, খোদাতায়ালার সৈন্যসংখ্যা কত, তা তিনি ছাড়া আর কেউ বলতে পারবে না। নমরুদ বলল, তুমি স্বীয় খোদার কাছে বল, তিনি যেন আমার সাথে সর্বশেষ যুদ্ধ করার জন্য প্রস্তুত থাকেন। আমি ও আমার সৈন্যবাহিনী একত্রিত করছি এবং খোদাও যেন তার সৈন্যবাহিনীসহ মোকাবিলা করতে আসেন। খোদার সাথে যুদ্ধ করার জন্য নমরুদ তার সৈন্য বাহিনীকে একত্রিত করে। আল্লাহতায়ালা কুহেকাফের দিকে মশক কূলের একটি বাহিনী প্রেরণ করেন। মশক দল নমরুদ বাহিনীর সকল সৈন্যের মগজ খেয়ে ফেলে এবং সেখানেই তাদের সকলের মৃত্যু ঘটে। একটি ল্যাংড়া মশা নমরুদের মগজে প্রবেশ করে। সে খোদায়ী দাবিও ভুলে যায়। তার মস্তকে জুতা বর্ষিত হতে থাকে, তাতে সে কিছুটা স্বস্তিবোধ করতে থাকে। না হলে সে অস্থির হয়ে যায়। অবশেষে জুতার মার তার মস্তকে পড়তে পড়তে নমরুদ জাহান্নামে পৌঁছে যায়।
তথ্যসূত্রঃ ইনকিলাব ( https://bit.ly/2uNhvgi)
তথ্যসূত্রঃ ইনকিলাব ( https://bit.ly/2uNhvgi)
তো এখন উপরিউক্ত গল্পের ভিত্তিতে যে প্রশ্নটি এসে যায়,দয়াকরে মুমিন ভাইয়েরা বা কুরান চষা বিজ্ঞানীরা যথাযথ যৌক্তিক উত্তর দিয়ে বাধিত করবেন।
#প্রশ্নটি হচ্ছেঃ নাক দিয়ে কোন কিছু ঢুকলে সেটা গলা দিয়ে এসে মুখ দিয়ে বেরিয়ে যেতে পারে,কিংবা পেটের ভিতরে ঢুকে যেতে পারে।
#কিন্তু_নাক_দিয়ে_মশা_ঢুকলে_সেটা_মাথার_মধ্যে_কিভাবে_যাবে বা ঢুকবে?????
আজ পর্যন্ত কোন চিকিতসা বিজ্ঞানী দেখাতে পারেনি যে নাকের মধ্য দিয়ে কোন কিছু ঢুকলে সেটা মাথার ভিতরে যেতে পারে।
কেননা আমাদের মানবদেহের সিস্টেমটা এরকম যে নাক দিয়ে কোন কিছু ঢুকলে সেটা মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসার সুযোগ রয়েছে ,অথবা সেটা পেটের মধ্যে চলে যাবে,কিন্তু মাথার ভিতরে প্রবেশ করার সুযোগ বা কোন ব্যবস্থা নেই।তাহলে নমরুদের নাকের ভিতর দিয়ে মশা ঢুকে সেটা কিভাবে মাথার মধ্যে ঢুকেছিল?
আজ পর্যন্ত কোন চিকিতসা বিজ্ঞানী দেখাতে পারেনি যে নাকের মধ্য দিয়ে কোন কিছু ঢুকলে সেটা মাথার ভিতরে যেতে পারে।
কেননা আমাদের মানবদেহের সিস্টেমটা এরকম যে নাক দিয়ে কোন কিছু ঢুকলে সেটা মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসার সুযোগ রয়েছে ,অথবা সেটা পেটের মধ্যে চলে যাবে,কিন্তু মাথার ভিতরে প্রবেশ করার সুযোগ বা কোন ব্যবস্থা নেই।তাহলে নমরুদের নাকের ভিতর দিয়ে মশা ঢুকে সেটা কিভাবে মাথার মধ্যে ঢুকেছিল?
No comments