কুরানের ভুল সুরা লাহাবের মাধ্যমে
কুরানের ভুল সুরা লাহাবের মাধ্যমেঃ
সুরা - লাহাবঃ
আবু লাহাবের হস্তদ্বয় ধ্বংস হোক এবং ধ্বংস হোক সে নিজে, [ সুরা লাহাব ১১১:১ ]
مَا أَغْنَى عَنْهُ مَالُهُ وَمَا كَسَبَ
কোন কাজে আসেনি তার ধন-সম্পদ ও যা সে উপার্জন করেছে। [ সুরা লাহাব ১১১:২ ]
سَيَصْلَى نَارًا ذَاتَ لَهَبٍ
সত্বরই সে প্রবেশ করবে লেলিহান অগ্নিতে [ সুরা লাহাব ১১১:৩ ]
وَامْرَأَتُهُ حَمَّالَةَ الْحَطَبِ
এবং তার স্ত্রীও-যে ইন্ধন বহন করে, [ সুরা লাহাব ১১১:৪ ]
فِي جِيدِهَا حَبْلٌ مِّن مَّسَدٍ
তার গলদেশে খর্জুরের রশি নিয়ে। [ সুরা লাহাব ১১১:৫ ]
এই হল ইসলামী ইবাদত যেখানে দাঁড়িয়ে অন্যদের কি সুন্দর মঙ্গল কামনা করা হচ্ছে অভিশাপ আর গীবতের মাধ্যমে শত শত বছর ধরে।
এই ইবাদতের মাধ্যমে কি ব্যাক্তির আত্তিক উন্নয়ন সম্ভব বলে মনে করেন ???
প্রসংগক্রমে বলতে হয়, সুরা আবুলাহাব - ১১১ নং মাক্কি সুরা। মোহাম্মদের ধর্ম প্রাচারের প্রথম দিকের সুরা।
আবু লাহাব হল মোহাম্মদের আপন চাচা।
মোহাম্মদের জন্মানোর দিন তিনি তার দুইজন দাসী কে মুক্ত করেছিলে এই খুশীতে যে তার মৃত ভাই আব্দুল্লার বংশ রক্ষা হয়েছে এই ভেবে। তিনি তার দুই ছেলের বউ হিসেবে মোহাম্মদের দুই কন্যাকে পুত্রবধু রুপে গ্রহন করেছিলেন।
একমাত্র কট্টরপন্থী মোহাম্মদ তার ধর্মীয় / রাজনৈতিক মতবাদের কারনে আবুলাহাব কে তার আল্লাকে দিয়ে আয়াত বানিয়েছে গীবত আকারে মুসলমানের ইবাদত করার জন্য। অথচ গীবত করা ইসলামে হারাম।
এই সুরাটি আল্লাহ এবং মোহাম্মদের মিথ্যার উপর চপেটাঘাত হয়েছে -
ক) আল্লাহ অভিশাপ দিলেও সুরা নাজিলের ১০ বছর পর আবু লাহাব মারা গিয়েছেন। তার মানে আল্লার অভিশাপ ব্যার্থ হয়েছে।
খ) আবু লাহাবের হাত ধ্বংস হয়নি। তাহলে প্রমান হল আয়াত ছিলো ভুয়া।
গ) তার স্ত্রীর গলায় কোনো রশিও পরেনি। তাহলে আল্লার আয়াত ভুয়া।
ঘ) আবু লাহাব সুরা নাজিলের দশ বছর পর রোগাক্রান্ত হয়ে স্বাভাবিক ভাবে মারা গিয়েছে মানে আল্লার "কুন" এবং " ফাইয়াকুন" (হও বললেই হয়ে যায়) ভুয়া প্রমান হয়েছে।
ঙ) যদি এই অভিশাপ আবু লাহাবের হয় তাহলে বলব মোহাম্মদ এর অভিশাপ ভুয়া।
কারন উলটা মোহাম্মদ বিষযুক্ত মাংস খেয়ে বিষাক্রান্ত হয়ে ধুকে ধুকে তিন বছর পর বিছনায় বসে মারা গেছে। ( https://imranshakh.blogspot.com/2020/02/blog-post_9.html )
এবং তার লাশ তিন দিন পর্যন্ত কেউ দাফন করতেও আসেনি।
আমরা জানি যার শেষ ভালো, তার সব ভালো। কিন্তু মোহাম্মদের যে অবস্থা হয়েছে, এক জন আল্লার নবীর এমন অসম্মানজনক মৃত্য কিছুতেই কাম্য হতে পারে না। যদি সে আল্লার(যদি থেকে থাকে) নবীওই হয়ে থাকতেন, তাহলে আল্লাহ তার এই অবস্থার একশন ডাইরেক্ট ভাবে নিতেন। কিন্তু তা করেন নি!
ব্যাক্তিগত ভাবে তার সাহাবিদের কেউই মোহাম্মদকে ভালোবাসত না। সকলেই তার ক্ষমতা আর গনিমতের মাল, আর দাসী পাওয়ার জন্যই এই জঘন্য ধর্মে আসে। আর সব থেকে বেশি ইনভেস্ট করে আবু বকর। শিশু কন্যাকে বিয়ে দিয়েছে বুড়ার নিকটে শুধুমাত্র ক্ষমতা পাওয়ার জন্যই। আর তিনি তা পেয়েছেনও বটে। দ্বিতীয়ত ইনভেস্টম্যান করেছেন উমর। হাফসাকে বিয়ে দিয়ে।
তাই মোহাম্মদের মৃত্যর পরে কেউই তাকে নিয়ে চিন্তিত ছিলেন না। বরং ক্ষমতার লড়াইয়ে লপ্ত হয়ে গিয়েছিলেন সকলে। তাই সে মৃত্যর পরেও ৩ দিন তার লাশ মাটির উপরে রাখতে হয়েছে। আর সম্মিলিত জানাজা করা সম্ভব হয় নাই, কারন লাশের দুর্গন্ধ এর কারনে। তার লাশও আয়শার ঘর থেকে বের না করে তার ঘরেই দাপন করা হয়েছে।
সুবাহান্নালাহ!
তিনি মারা গিয়েছিলেন সোম বারে। কিন্তু তাকে দাপন করা হয় বুধবার রাতে।
সূত্রঃ আর রুহিকুল মাখতুম। পৃষ্টাঃ ৫৩৬/৫৩৭.
মুহাম্মদের সাথে আবু লাহাবের কোন শত্রুতা ছিলনা, বরং আবু লাহাব তার দুই ছেলের সহিত মুহাম্মদের দুই মেয়ের বিয়ে দিয়ে ছিল।কিন্তু মুহাম্মদ নিজেকে নবী (দলপতি) দাবী করায় এবং তা আবু লাহাবকে মেনে নিতে বললে আবু লাহাব তা প্রত্যাখ্যান করে এবং এ নিয়ে দুজনের মধ্যে একটা ঝগড়াঝাঁটি হলে এক পর্যায়ে আবু লাহাব তার ছেলে দ্বয়কে মুহাম্মদের মেয়ে দ্বয়কে তালাক দিয়ে দিতে বললে আবু লাহাবের ছেলে দ্বয় সেটাই করলে দুজনের মধ্যে একটা শত্রুতায় রুপ নেয়। যারফলে মুহাম্মদ আবু লাহাব কে বদদোয়া দেয়। যেটাকে কুরানের সুরা বলে আমরা জানি।
এরপরেও কি হেটারসরা বলবে কুরান ঐশ্বরিক কিতাব, মুহাম্মদের ভাবনার ফসল নয়?
বুমেরাং!!!!!!!!!!!
বনি আদি আর বনি হাসেম সম্প্রদায়ের পরস্পর বিদ্বেষ আর ক্ষমতা দখলের দ্বন্দ,মুহাম্মদকে আল্লাহর রাসুল এবং তার যাবতীয় কৃতকর্মকে প্রতিষ্ঠান করাই হচ্ছে ইসলাম। এতে বিশ্ব মানবতার কোন কথা নেই। মুহাম্মদের লালসা প্রতিষ্ঠান কারবার মধ্যদিয়ে ইসলাম ধর্মে পরিনত হয়েছে।
ReplyDeleteভাই জানিনা তোমার বাবা মা কী পাপ করে ছিলো যে তুমি এতো জঘন্য কথা বোলো। আল্লাহ তোমার উপর হেদায়েত দিক
ReplyDeleteএসব বাজে কথা না বলে যুক্তি খন্ডন করে দেখান
Delete