আল্লা কি কারো মুখাপেক্ষী নন? আল্লাহ কি অমুখাপেক্ষী?
আল্লা কি কারো মুখাপেক্ষী নন? আল্লাহ কি অমুখাপেক্ষী?
আল্লার পরিচয় দিতে গিয়ে তিনি সুরা ইখলাসের দ্বিতীয় আয়াতে ঘোষনা দিয়েছেন তিনি এক ও অদ্বিতীয়, যার কোন মুখাপেক্ষী নেই , তিনি অমুখাপেক্ষী ।
তো যাহোক, আগেই আমরা একটু আল্লার পরিচয় সম্পর্কে জেনে নিই সুরা ইখলাস থেকেঃ
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمنِ الرَّحِيمِ قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ
বলুন, তিনি আল্লাহ, এক, [ সুরা ইখলাস ১১২:১ ]
اللَّهُ الصَّمَدُ
আল্লাহ অমুখাপেক্ষী, [ সুরা ইখলাস ১১২:২ ]
لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ
তিনি কাউকে জন্ম দেননি এবং কেউ তাকে জন্ম দেয়নি [ সুরা ইখলাস ১১২:৩ ]
وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
এবং তার সমতুল্য কেউ নেই। [ সুরা ইখলাস ১১২:৪ ]
এখানে প্রথম আয়াতে বলা হচ্ছে তিনি এক বা অদ্বিতীয় ।
ভালো কথা ।এক নাকি দুই সেটা আমরা পরে দেখে নিব।
দ্বিতীয় আয়াতে বলা হচ্ছে তিনি অমুখাপেক্ষী বা কারো মুখাপেক্ষী নন , অথবা কারো সাহায্যকামী বা কারো উপরে ডিপেন্ডেড নন বা তিনি কারো উপরে নির্ভরশীল নন ।
আমরা জানি তিনি একাই সব কাজ করেননা বা করতে পারেননা ।
তিনি যেটা করতে ইচ্ছে পোষন করেন ,সেটা তার ফেরস্তাদেরকে ফোর্স বা হুকুম করলে ফেরস্তারা সেটা করে দেয় ।যদিও আবার এই বিষয়েও তিনি আরো একটা বিতর্কিত কথা বলেছেন সুরা বাকারার ১১৭ নং আয়াতেই ।কেননা তিনি কোন কিছু করতে চাইলে কেবল হও বললেই হয়ে যায় - সুরা বাকারা ১১৭ ,
তিনি যেটা করতে ইচ্ছে পোষন করেন ,সেটা তার ফেরস্তাদেরকে ফোর্স বা হুকুম করলে ফেরস্তারা সেটা করে দেয় ।যদিও আবার এই বিষয়েও তিনি আরো একটা বিতর্কিত কথা বলেছেন সুরা বাকারার ১১৭ নং আয়াতেই ।কেননা তিনি কোন কিছু করতে চাইলে কেবল হও বললেই হয়ে যায় - সুরা বাকারা ১১৭ ,
তারপরেও আবার তার বিভিন্ন কাজের জন্য নানাবিধ ফেরেস্তার প্রয়োজন কিভাবে এবং কেন হয় সেটা আমার বোধগম্য না হলেও এখানেও যে তিনি আল্লা স্ববিরোধী কথার মাধ্যমে কুরানের বৈপিরত্যের জন্ম দিলেন সেটা আমি বেশ ভালই বুঝতে পারছি ।
যাহোক, আল্লা একাকী কোন কাজ করেননা ।তার নানাবিধ কাজ করার জন্য বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রী নিয়োগ দিয়ে রেখেছেন। যেমনঃ১। জিবরাঈল (আঃ) :- হিদায়াত অবতরনের দায়িত্ব পালন করেন।
২। মীকাঈল (আঃ) :- জীবিকা প্রদানের দায়িত্ব পালন করেন।
৩। ঈসরাফীল (আঃ) :- সাহায্য, দান ও প্রতিদানের দায়িত্ব পালন করেন এবং সিঙ্গা ফুৎকারের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন।
৪। মালাকুল মওত (আঃ) :- প্রাণ হরণের দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। মালাকুল মওতের কোন নাম কুরআন ও সহীহ্ হাদীসে উল্লাখ না থাকায় আমরা তাঁকে মালাকুল মওত (আঃ) বলেই অভিহিত করে থাকি।
৫। রিদওয়ান : উনি জান্নাতের দায়িত্বে নিয়োজিত। ৬।
মালিক :- উনি জাহান্নামের দায়িত্বে নিয়োজিত।
৭। মুনকার ও নাকীর :- এই দু’জন ফেরেস্তা কবরে সওয়াল তথা প্রশ্ন করার কাজে নিয়োজিত আছেন। ——-তাহসিন আহমাদ তথ্যসূত্রঃ- আল্লামা ইবনু কাসীর রচিত “আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া” এর প্রথম খন্ড, “ফিরিশতা সৃষ্টি ও তাঁদের গুণাবলী” অধ্যায়
তাছাড়াও আমরা জানি তিনি যে সপ্ত আসমানের উপরে আরশে কুরসীতে বসে আছেন সেটা আবার আটজন ফেরস্তারা কাধে করে দাঁড়িয়ে আছে ।
( তিনি সমুচ্চ মর্যাদার অধিকারী আরশের অধিপতি’ ৷ (৪ঃ১৫),মহিমান্বিত আল্লাহ, যিনি প্রকৃত মালিক তিনি ব্যতীত কোন ইলাহ নেই ৷ সম্মানিত
আরশের তিনি অধিপতি ৷ (২৩০ঃ ১১৬),
আরশের তিনি অধিপতি ৷ (২৩০ঃ ১১৬),
তুমি জিজ্ঞেস কর, কে সাত আকাশ এবং মহা আরশের অধিপতি ? (২৩ঃ ৮৬)
তিনি ক্ষমাশীল, প্রেমময়, আরশের অধিকারী ও সমানিত’ ৷ (৮৫ঃ ১৪ -১৫)
অর্থাৎ দয়াময়, আরশে সমাসীন ৷ ’ (২০ : ৫)
অর্থাৎ দয়াময়, আরশে সমাসীন ৷ ’ (২০ : ৫)
তারপর তিনি আরশে সমাসীন হন ৷ (১০ : ২)
যারা আরশ ধারণ করে আছে এবং যারা তার চারপাশ ঘিরে আছে, তারা তাদের
প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে প্রশংসার সাথে এবং তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে
এবং মুমিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার দয়া ও জ্ঞান
সর্বব্যাপী ৷ (৪০ : ৭)
প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে প্রশংসার সাথে এবং তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে
এবং মুমিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে বলে, হে আমাদের প্রতিপালক! তোমার দয়া ও জ্ঞান
সর্বব্যাপী ৷ (৪০ : ৭)
সে দিন আটজন ফেরেশতা তাদের প্রতিপালকের আরশকে তাদের উর্ধ্বে ধারণ করবে ৷ (৬৯ং : ১৭)
এবং তুমি ফেরেশতাং দেরকে দেখতে পারে যে, তারা আরশের চারপাশে ৷ঘিরে
তাদের প্ৰতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করেছে ৷ আর তাদের বিচার করা
হবে ন্যায়ের সাথে; বলা হবে, প্রশংসা জগত সমুহের প্রতিপালক আল্লাহর প্রাপ্য ৷ (৩৯ং : ৭৫)
তাদের প্ৰতিপালকের সপ্রশংস পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করেছে ৷ আর তাদের বিচার করা
হবে ন্যায়ের সাথে; বলা হবে, প্রশংসা জগত সমুহের প্রতিপালক আল্লাহর প্রাপ্য ৷ (৩৯ং : ৭৫)
যারা আরশ ধারণ করে আছে এবং যারা তার চ তুষ্পার্শ্ব ঘিরে আছে, তারা তাদের
প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে প্রশংসার সাথে এবং তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে
এবং মুমিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে ৷ (৪০ : ৭)
প্রতিপালকের পবিত্রতা ও মহিমা ঘোষণা করে প্রশংসার সাথে এবং তাতে বিশ্বাস স্থাপন করে
এবং মুমিনদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করে ৷ (৪০ : ৭)
এবং সে দিন আটজন ফেরেশতা তাদের প্ৰতিপালকের আরশকে ধারণ করবে
তাদের উর্ধে ৷ (৬৯ : ১ ৭)
তাদের উর্ধে ৷ (৬৯ : ১ ৭)
এই যদি হয় আল্লার কুরানিক কথাবার্তা তাহলে আমরা কোনদিকে যাবো বলেন ?
কিংবা আল্লার এই কথাটা কিভাবে বিশ্বাস করি যে তিনি কারো মুখাপেক্ষী বা ডিপেন্ডেড বা নির্ভরশীল নন? আবার যদি তার এই সুরা ইখলাসের দুই নাম্বার আয়াত বিশ্বাস করি বা মেনে নিই ,তাহলে আবার ওসব ফেরেস্তাদের প্রতি অবিশ্বাস করা হয়।সেটাও করা যাবেনা । ওদের প্রতিও বিশ্বাস বা ঈমান রাখতে হবে, কেননা ফেরেস্তাদেরকে যে আল্লায় তার কাজে নিয়োজিতরেখেছেন সেটাও কুরানে বলে দিয়েছে। ফেরস্তায় অবিশ্বাসকরলেও আবার কুরানে অবিশ্বাসকরা হবে ।কেননা তাদের কথা তো কুরানেই আল্লায় বলেছেন দেখলেনই ।
শুধু ফেরেস্তাদের সাহায্যই আল্লার প্রয়োজন হয়না বরং আল্লার তার মুমিনদের সাহায্যেরও প্রয়োজন হয় । মানে আল্লায় মুমিনদের উপরেও ডিপেন্ডেন্ড বা মুখাপে।
সুরা মুহাম্মাদের ৭ নং আয়াতে বলা হয়েছেঃঃ
Muhammad 47:7
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِن تَنصُرُوا۟ ٱللَّهَ يَنصُرْكُمْ وَيُثَبِّتْ أَقْدَامَكُمْ
হে মুমিনগণ, যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর তবে আল্লাহও তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা সুদৃঢ় করে দেবেন।
তাহলে কোনদিকে যাবো আমরা ?আমরা সালার আমজনতা পড়ছি উভয় সংকটে ।
কিংবা আল্লার এই কথাটা কিভাবে বিশ্বাস করি যে তিনি কারো মুখাপেক্ষী বা ডিপেন্ডেড বা নির্ভরশীল নন? আবার যদি তার এই সুরা ইখলাসের দুই নাম্বার আয়াত বিশ্বাস করি বা মেনে নিই ,তাহলে আবার ওসব ফেরেস্তাদের প্রতি অবিশ্বাস করা হয়।সেটাও করা যাবেনা । ওদের প্রতিও বিশ্বাস বা ঈমান রাখতে হবে, কেননা ফেরেস্তাদেরকে যে আল্লায় তার কাজে নিয়োজিতরেখেছেন সেটাও কুরানে বলে দিয়েছে। ফেরস্তায় অবিশ্বাসকরলেও আবার কুরানে অবিশ্বাসকরা হবে ।কেননা তাদের কথা তো কুরানেই আল্লায় বলেছেন দেখলেনই ।
শুধু ফেরেস্তাদের সাহায্যই আল্লার প্রয়োজন হয়না বরং আল্লার তার মুমিনদের সাহায্যেরও প্রয়োজন হয় । মানে আল্লায় মুমিনদের উপরেও ডিপেন্ডেন্ড বা মুখাপে।
সুরা মুহাম্মাদের ৭ নং আয়াতে বলা হয়েছেঃঃ
Muhammad 47:7
يَٰٓأَيُّهَا ٱلَّذِينَ ءَامَنُوٓا۟ إِن تَنصُرُوا۟ ٱللَّهَ يَنصُرْكُمْ وَيُثَبِّتْ أَقْدَامَكُمْ
হে মুমিনগণ, যদি তোমরা আল্লাহকে সাহায্য কর তবে আল্লাহও তোমাদেরকে সাহায্য করবেন এবং তোমাদের পা সুদৃঢ় করে দেবেন।
তাহলে কোনদিকে যাবো আমরা ?আমরা সালার আমজনতা পড়ছি উভয় সংকটে ।
কেননা সুরা ফাতিরের ১নং আয়াতে ইরশাদ হয়েছে, সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য, যিনি আসমান ও জমিনের স্রষ্টা। যিনি ফেরেশতাদের বার্তাবাহক হিসেবে নিয়োগ করেছেন, যাদের পালকবিশিষ্ট দু-দুটি, তিন-তিনটি এবং চারটি ডানা রয়েছে।
রসুল (সা.) বলেছেন, হজরত জিবরাইলের ৬০০ ডানা আছে। উল্লেখিত বর্ণনা থেকে জানা যায়, ফেরেশতারা ডানাবিশিষ্ট। সেজন্য ফেরেশতাদের পাখিরূপে কল্পনা করা যাবে না। বস্তুত ফেরেশতাদের নির্দিষ্ট কোনো আকার-আকৃতি নেই। বিভিন্ন আকৃতিতে রসুল (সা.) ও পূর্ববর্তী নবীদের সঙ্গে তারা সাক্ষাৎ করতেন।
সে কি কোনদিন জীব্রাইলের ডানা গুনে দেখেছে ?
না ,দেখেনি ।
সেই সুযোগ কোনদিন পেয়েছেন বলেও কোন ব্যাখ্যায় পাওয়া যায়না ।
তাহলে তিনি কোথায় পেলেন সেই ৬০০ ডানার কথা ?
যেখানে সুরা ফাতিরের ১ নং আয়াতেই আল্লা বলছেন ফেরস্তাদের দুটি তিনটি বা চারটে ডানা রয়েছে ।তাহলে নবী মুহাম্মদে ৬০০ ডানা কিভাবে পেলেন ?
এটা আল্লার কথার বিরোধী কথা হয়ে গেলনা ?
এটা আল্লার কথার বিরোধী কথা হয়ে গেলনা ?
তো পাঠক নিজেই তো দেখতে পেলেন যে আল্লায় নিজেই মোনাফেকের মত এক মুখে দুইরকম কথা বলছে ।
উপরে সুরা ইখলাসের ২ নাম্বার আয়াতে বলেছেন সে কারো মুখাপেক্ষী বা সাহায্য নেয়না বা কারো উপরে ডিপেন্ডেড নয় , অথচ আবার সে নিজেই দেখুন কুরানের মধ্যেই আবার বলছে যে বা প্রমান দিয়েছেন যে তিনি আসলেই মুখাপেক্ষী বা অন্যের উপরে ডিপেন্ডেড।
মানে এখানেও কুরানের বৈপিরিত্য লক্ষ্য করা যাচ্ছে ।
অথচ সে নিজেই আবার কুরানে ঘোষনা দিয়েছে যে কুরানে কোন বৈপিরিত্য নেই।
An-Nisa' 4:82
أَفَلَا يَتَدَبَّرُونَ ٱلْقُرْءَانَۚ وَلَوْ كَانَ مِنْ عِندِ غَيْرِ ٱللَّهِ لَوَجَدُوا۟ فِيهِ ٱخْتِلَٰفًا كَثِيرًا
তারা কি কুরআন নিয়ে গবেষণা করে না? আর যদি তা আল্লাহ ছাড়া অন্য কারো পক্ষ থেকে হত, তবে অবশ্যই তারা এতে অনেক বৈপরীত্য দেখতে পেত।
তো পরিশেষে কি বলবো আর ?
নিজেই নিজেকে জিজ্ঞাসা করেন কি সিদ্ধান্ত নিবেন ।
কি বিশ্বাস করবেন আর কি না করবেন ?
- ইমরান ।
তো পরিশেষে কি বলবো আর ?
নিজেই নিজেকে জিজ্ঞাসা করেন কি সিদ্ধান্ত নিবেন ।
কি বিশ্বাস করবেন আর কি না করবেন ?
- ইমরান ।
জানতাম না আসলে কে আললাহ,ত জেনে বুজলামযে
ReplyDeleteমুলে কি রয়েছে। ধন্যবাদ।