Header Ads

Header ADS

হিজড়া সন্তান কেন জন্মায়? ইসলাম বনাম বিজ্ঞান

হিজড়া সন্তান কেন জন্মায়? ইসলাম বনাম বিজ্ঞান

Image result for হিজড়াImage result for হিজড়া


(আস সেজদাহ্‌ - ৭)

خُلِقَ الْإِنسَانُ مِنْ عَجَلٍ ۚ سَأُرِيكُمْ آيَاتِي فَلَا تَسْتَعْجِلُونِ
যিনি তাঁর প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে সুন্দর করেছেন এবং কাদামাটি থেকে মানব সৃষ্টির সূচনা করেছেন।

সুরা সাজদাহের ৭ নাম্বার আয়াতে বলা হয়েছে তিনিই সেই সত্তা যিনি তার প্রত্যেকটি সৃষ্টিকে নিখুতভাবে বা সুন্দরভাবে সৃষ্টি করেছেন ।
উপরের আয়াত পড়েই নিশ্চয় মনের মধ্যে ফাল দিয়ে ডজন খানেক নাস্তেকমার্কা প্রশ্ন হাজির হয়ে গেছে ,তাইনা?

Image result for প্রতিবন্ধী শিশু- হবার ই কথা , কেননা কোন সৃষ্টিকর্তা এরুপ কথা তার কিতাবে বলার পরে যদি আমরা আমাদের চারপাশের সৃষ্টির মধ্যে নানারকম ত্রুটিযুক্ত বা ত্রুটি পূর্ন সৃষ্টি দেখতে পাই তাহলে তো সেটা সেই স্রস্টার বিরুদ্ধে প্রশ্ন তৈরি হওয়ারই কথা ।
Image result for প্রতিবন্ধী শিশু



হবার কথা হলেও আজকের এই আলোচনায় সেদিকে যাচ্ছিনা , বরং আজকের এই লেখার টার্গেট নিশ্চয় লেখার শিরোনাম দেখেই বুঝে গেছেন ।
বাংলাদেশ তৃতীয় লিঙ্গ বা হিজড়া সংখ্যা এখন প্রায় ৫০ হাজার বা তারচেয়েও অধিক ছাড়িয়েছে। আর পুরো পৃথিবীর অংকটা কোথায় গিয়ে ঠেকবে সেটা নিজেই একটু আন্দাজ করে নিন।
মহাবিশ্বের সমস্ত কিছু নাকি আমাদের আল্লা মিয়ায় সৃষ্টি করেছেন । কুরানে তিনি নিজেই সেটাই দাবী করেছেন ।তো সেদিক থেকে প্রতিটি মানুষের সৃষটিও তিনি করেছেন।মানুষের মধ্যে তিনি নারী পুরুষ সৃষ্টি করেছেন ।কেননা নারী হচ্ছে পুরুষের জোড়া ।কারন তিনি এটাও বলেছেন কুরানে যে , আমি প্রতিটি প্রানিকেই জোড়ায় জোড়ায় সৃষ্টি করেছি।
সুরা যারিয়াত, সুরা ৫১, আয়াত নম্বর ৪৯
"আমি প্রত্যেক বস্তু সৃষ্টি করেছি জোড়ায় জোড়ায়, যাতে তোমরা উপদেশ গ্রহণ কর।"

কি ভাবছেন ?
তাইলে হিজড়া আইলো কোত্থেকে?হিজড়া কি আল্লার সৃষ্টি নয়? হিজড়াদের জোড়া কোথায়?
হ্যা, ঠিকই ভাবছেন ।কিন্তু জনাব ,আপনার ভাবনায় এক বালতি ঠান্ডা পানি ঢেলে দিবে এখনি ।
কেননা হিজড়ারা তো আল্লার সৃষ্টি নয় ।ওটা হচ্ছে শয়তানের সৃষ্টি ।
- কি হলো ?
মাথায় ঘুরান্টি মারছে নাকি?
আচ্ছা সামনে চলেন হাদীসের মাধ্যমে বুঝাইয়া দেইঃ

হিজড়াদের সম্পর্কে ইসলামের হাদিসে নানা রকম ব্যাখ্যা রয়েছে। ইসলামের একটি ব্যাখ্যা হলো-
হযরত ইবনে আব্বাস (রাঃ) বলেছেন: হিজড়ারা জীনদের সন্তান। কোনো এক ব্যক্তি আব্বাস (রাঃ) কে প্রশ্ন করেছিলেন এটা কীভাবে হতে পারে? জবাবে তিনি বলেছিলেন যে, “আল্লাহ্ ও রাসুল (সাঃ) নিষেধ করেছেন যে মানুষ যেনো তার স্ত্রীর মাসিক ঋতুস্রাব চলাকালে যৌন সংগম না করে”, সুতরাং কোনো মহিলার সঙ্গে তার ঋতুস্রাব হলে শয়তান তার আগে থাকে ও সেই শয়তান দ্বারা ওই মহিলা গর্ববতী হয় এবং হিজড়া সন্তান প্রসব করে। (মানুষ ও জীন এর যৌথ মিলনজাত সন্তানকে ইসলামে বলা হয় “খুন্নাস”)। তথ্য: সূরা বানী ইস্রাইল- আর রাহমান -৫৪, ইবনে আবি হাতিম, হাকিম তিরমিজি।
📔আ আরেক হাদিসে হিজরা জন্মের হেকমত উল্লেখপূর্বক আলোচনা এভাবে এসেছে যে,
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃকে একবার জিজ্ঞাসা করা হল,হিজরা কেন জন্ম নেয়?তদুত্তরে ইবনে আব্বাস বললেন,স্ত্রীর মাসিক চলা কালে যখন স্বামী তার সাথে সহবাস করে, তখন শয়তান ঐ যৌনমিলনে আগে আগে থেকে উক্ত ব্যক্তির সাথে যৌনকার্যে শরিক হয়,এবং শয়তানের বীর্য ঐ মহিলার গর্ভে গিয়ে পৌছে,যার ফলে হিজরা সন্তান জন্ম গ্রহণ করে।
(ত্বরতুসী-কিতাবু তাহরীমিল ফাওয়াহিশ)
আজাইবুল মাখলুক্বাত-ইমাম সুয়ূতী (রাহ) হিজরাদের ব্যাপারে কোরআনে কারীম বা হাদীসে মারফুতে সরাসরি কোনো আলোচনা পাওয়া যায় না। তবে হাদিস ও ফেকাহর কিতাবে তাদের ব্যাপারে বিশদ আলোচনা রয়েছে, .

.
হাসান ইবনে ক্বাসির তার বাবাকে বলতে শুনেছেন,তিনি বলেনঃআমি হযরত আলী রাঃ কে দেখেছি তিনি খুনছা(হিজরা)দের বিষয়ে বলেনঃ তোমরা প্রস্রাব প্রবাহিত হওয়ার স্থান দেখে তাদেরকে (পুরুষ-মহিলা রূপে সাব্যস্ত করো এবং)ওয়ারিছ বানাও। (সুনানে বায়হাক্বী-১১৫৯১)
.
তো উপরের ইসলামিক হিজড়া সন্তান জন্মানোর কারন হিসাবে যে ব্যাখ্যা পাওয়া গেল তাতে কি মনে হয়?
হিজড়ারা কি আল্লার সৃষ্টি নাকি শয়তানের সৃষ্টি?
আমার তো মনে হয় আল্লার সৃষ্টি নয়, বরং শয়তানের সৃষ্টি ।নাহলে আল্লায় শয়তানের কাছে হেরে গেল কিভাবে?


যাহোক, এবার আমরা একটু  বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা জেনে নিই।

বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা হলো:
XX প্যাটার্ন ডিম্বানুর সমন্বয়ে কন্যা শিশু এবং XY প্যাটার্ন হতে সৃষ্ট হয় ছেলে শিশু। ভ্রুনের পূর্ণতার
স্তরগুলোতে ক্রোমোজোম প্যাটার্নের প্রভাবে ছেলে শিশুর মধ্যে অন্ডকোষ ও কন্যা শিশুর মধ্যে ডিম্ব কোষো জন্ম নেয়। অন্ডকোষ হতে নিসৃত হয় পুরুষ হরমোন এন্ড্রোজেন ও ডিম্বকোষ হতে নিসৃত হয় এস্ট্রোজেন। ভ্রুনের বিকাশকালে নিষিক্তকরণ এবং বিভাজনের ফলশ্রুতিতে বেশকিছু অস্বাভাবিক প্যাটার্নের সৃষ্টি হয় যেমন XXY কিংবা XYYযে কারণে বিভিন্ন গঠনের হিজড়া শিশুর জন্ম হয়ে থাকে। মহাকাশ বা মহা বিশ্বের বিজ্ঞান ভিত্তিক আধুনিক ব্যাখ্যা ও সবগুলো ধর্মের মনগড়া ধর্মীয় ধারনা পরস্পর বিরোধী, আড়াই হাজার বছর আগে প্লেটো ও এরিষ্টটলের ঈশ্বর বা সৃষ্টি কর্তা কেন্দ্রীক পৃথিবী চন্দ্র সূর্য তারা ও আকাশের ধারনা এবং ১৫শ বছর আগের ধর্মীয় ব্যাখ্যা মোটামুটি একই, আধুনিক বিজ্ঞান মনস্ক সল্প সংখক মানুষ বিভিন্ন ধর্মীয় অন্ধ বিশ্বাসী বিপুল সংখ্যক সংখ্যা গরিষ্ঠ মানুষের কাছে কোনঠাসা-- 

ধর্মগ্রন্থ এ পাওয়া তথ্য ঋতু কালিন সহবাস মানে শয়তানের সাথে বাস এই অবস্থায় হিজড়া সন্তান জন্ম নেয়, কিন্তু চিকিৎসা বিজ্ঞান বলে এই সময় নিরাপদ সময়, সন্তান ধারণের সম্ভবনা ক্ষিন, ব্যাপারটা science এর সাথে সাংঘর্ষিক কি না? সূর্য- চন্দ্র গ্রহন, দিবা রাত্রি ঘটা , পৃথিবীর গতি , বৃষ্টি পাত থেকে বজ্রপাত, মানব দেহ গঠনের আন্যাটমি, মিউটেশন থেকে বিবর্তন, সমাজ গঠনের ধাপ বিবরন, এককথায় সব ই science এর সাথে ধর্মের বিবরনের মুখ দেখাদেখি বন্ধ , তবু ও ধর্মের ধারকেরা কেন যে নিজ নিজ ধর্ম কে scientific বলে দাবি করেন খুঁজে পায় না, science এর তো ধর্মের খুঁটি লাগে না, তবে প্রায় প্রতিটি ধর্মে ই কেন science এর খুঁটি খোঁজেন
থাক না science , science এর জায়গাই আর ধর্ম ধর্মের জায়গায়  ।
কেন আপনারা আপনাদের ধর্মকে বিজ্ঞানময় বানানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন?
আর সেই দেখা দেখে আজ নাস্তিক মুক্তমনারাও এখন আপনাদের বিজ্ঞনাওময় ধর্মের ধুতি খুলে দিতে বাধ্য হচ্ছে ।কেননা আপনারা আপনাদের ধর্মের শিক্ষা বিস্তার করে আমাদেরকে এমনিতেই পশ্চিমা দেশ গুলির চেয়ে হাজারগুন পিছনে ফেলে রেখেছেন ,আবার এখন যদি আপনাদের ধর্মীয় বিজ্ঞান দিয়ে  আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্মকে গড়ে তুলতে চান,তাহলে এই দেশটা আর তাদের বসবাসের যোগ্য থাকবেনা ।কেননা পৃথিবীটা একটা যুদ্ধক্ষেত্র ।
এখানে প্রতিনিয়ত সবাইকে যুদ্ধ করে বেচে থাকতে হয়।
প্রতিযোগিতা দিয়ে চলতে হয়।
যে বা যারা পিছিয়ে পড়বে তাদেরকে সবলেরা দুর্বল ভেবে খেয়ে নিবে ।
কিন্তু আমরা সেটা চাইনা ।
তাই আপনারা আপনাদের ধর্ম পালন করবেন করেন, কিন্তু অন্তত সেটাকে বিজ্ঞানময় করতে গিয়ে লেজে গোবড়ে একাকার কইরেননা ।

1 comment:

  1. আপনি মুসলিম না হিন্দু?

    ReplyDelete

Powered by Blogger.