Header Ads

Header ADS

নাস্তিকদের কিভাবে দাফন করবে?

নাস্তিকেরা মারা গেলে তাদের দেহ বা শরীর কিভাবে দাফন করা উচিত?


নাস্তিকদের মরার পরে কি হবে, কিভাবে তাদের দাফন করা হবে সেসব নিয়ে অনেক ধার্মিকেই   চিন্তায় খুবই অস্থির হয়ে থাকে ।
তাইতো তাদের প্রায়ই অনেক গ্রুপেই ডিরেক্টলি পোষ্ট করতে দেখা যায় যে, নাস্তিকদের মরার পরে কিভাবে দাফন করা হবে ?



মাটিচাপা দেওয়া উচিত নাকি আগুনে পুড়ে ফেলা উচিত নাকি পানিতে ভাশিয়ে দেওয়া উচিত ?
নাকি কুত্তা দিয়ে খাইয়ে দেওয়া উচিত?
যদিও তাদের এই কথাগুলি উচ্চারনের মধ্যে একটা জঘন্য ঘৃনা বের হয় নাস্তিকদের প্রতি।

কেননা যেখানে তারা নিজেরা ই নিজেদেরকে ভালোবাসতে পারেনা , নিজেদের মতের লোকেদেরকেই পছন্দ করেনা , মেনে নিতে পারেনা , একই ইসলামের দলের মধ্যে নানারকম মতবাদের কারনে শতশত দল বা ফেরকা রয়েছে ,যারা সর্বদাই একদল আরেকদলকে সহী মুসলমান নয় বলে খিস্তি আউড়ে যাচ্ছে , এক  মুসলাম আরেক মুসলমানকে হত্যা করছে , ঘৃনা করছে সেখানে তারা অন্য মতের কাউকে কিভাবে ভালোবাসবে ?কেবলমাত্র অমুসলিম হলেই তাকে হত্যা করতে হবে সেটা তো তাদের নৈতিক ধর্মীয় দায়বোধ ।যাকগে সেদিকে পরে কথা বলবো।
আজকে শুধু এই বিষয়টা নিয়েই কথা বলবো যে নাস্তিকদের কিভাবে দাফন করা হবে বা নাস্তিকদের মৃত্যুর পরে তাদের শরীর কি করা উচিত?

প্রথমেই জানতে চাই ধার্মিক তথা কবর দেওয়া কিংবা আগুনে পোড়ানোর মাধ্যমে দাফন করা সেসব ধর্মীয় এজেন্টদের যে,
ধর্ম মতে পৃথিবীতে মানুষ এসেছে কত হাজার বছর আগে?
মাত্র ৫-৬০০০ বছর।
যারমধ্যে ইসলাম এসেছে মাত্র ১৪৫০ বছর হলো।
যেখানে ইসলাম আবার একটু আগ বাড়িয়ে দাবী করে বলে যে পৃথিবীর মানব জন্মের বা বিস্তারের শুরু থেকেই তাদের ধর্মের শুরু হয়েছে ।
যেটা শুরু হয়েছিল আদম হাওয়ার মাধ্যমে ।
অথচ যেখানে তাদের সেই আদম হাওয়া এসেছিল মাত্র ৩০০০ ( তিন হাজার) বছর আগে ।
 ( বিস্তারিত পাবেনঃ
https://imranshakh.blogspot.com/2020/01/blog-post.html )

অথচ লক্ষ লক্ষ বছর ধরেই পৃথিবীর বুকে মানুষ দাপিয়ে বেড়াচ্ছে।
ইভেন,কিছুদিন আগে একটা মাথার খুলির ফসিল টেস্টের মাধ্যমে জানা যায় সেটা ৩৮ লক্ষ বছর আগের।

তাহলে কি এই দুদিনকার ধর্ম আসার আগেও পৃথিবীতে কেউ মারা যায়নাই?
তারা কি ভুপৃষ্ঠে পড়ে থাকতো মারা যাওয়ার পরে?
তাদের কি দাফন করতোনা কেউ?

মোটেও নয়,বরং পরিবেশ ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেতেই কেউ কেউ ( অধিকাংশ) মাটি চাপা দিয়ে রাখতো যাতে গন্ধের মাধ্যমে পরিবেশ নষ্ট না হয়,আবার কেউ কেউ আগুনে পুড়ে ফেলতো।
যেখানে ধর্মর ফেরিওয়ালারা এসে বুঝিয়েছে মৃত্যুর পরেও জীবন আছে, সেখানে নানান হুরপরীসহ বহু কিছুর ব্যবস্থা রয়েছে।
তাই মরার পরে কবরস্থ করার আগে মৃতদেহকে নিয়ে কিছু ভঙ্গিমা দেখায় জানাজার নামাজের নামে, কিংবা হিন্দুদের ঢাক ঢোল বাজানোর মাধ্যমে ।

যাহোক, নাস্তিকদের কি করা হবে সেটা যেহেতু জিজ্ঞাসা করা হয়েছে সেহেতু বলছি।
আমি আমার মৃতদেহকে একটি মেডিক্যাল কলেজে মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের গবেষণার কাজে ডোনেট করে যাবো।যেখানে তারা আমার শরীর নিয়ে গবেষনার মাধ্যমে মানবকল্যানের কাজে এগিয়ে আসতে পারে ।
এছাড়া শরীরের নানান অঙ্গ প্রত্যঙ্গগুলি অসহায় দুঃস্থ লোকেদের চিকিতসার কাজে ডোনেট করে যাবো ।
        যেমনঃ চোখ,কিডনি,লিভার,হার্টসহ আরো যেসকল এরকম প্রতিস্থাপনের মত অঙ্গ আছে ।
যেটা দিয়ে তারা নতুন আলো দেখতে পারে, নতুন জীবন ফিরে পায়।
এ ব্যাপারে থানায় অলরেডি একটি জিডি করা হয়েছে।
বাকি কাজটা খুব শীঘ্রই শেষ করা হবে।
মেডিক্যাল কলেজের ছাত্র ছাত্রীদের গবেষণার কাজ শেষে তারা ই অবশিষ্টাংশ মাটিচাপা দিয়ে দিবে।

যাতে পরিবেশের কোন ক্ষতির কারন না হয় ।

No comments

Powered by Blogger.