কোন সৃষ্টিকর্তা কি কখনো পুরো পৃথিবীর সকল মানুষের স্রস্টা হতে পেরেছে?
কোন সৃষ্টিকর্তা কি কখনো পুরো পৃথিবীর সকল মানুষের স্রস্টা হতে পেরেছে


সৃষ্টিকর্তা কখনোই পুরো পৃথিবীর সকল মানুষের হতে পারেনি এবং পারবেও না। কারণ পুরো পৃথিবীর সকল মানুষের হওয়ার আগে জানতে তো হবে, পুরো পৃথিবীর সকল মানুষের সৃষ্টিকর্তা কাকে বলে এবং সেটা কিভাবে হতে হয়। পুরো পৃথিবীর সকল মানুষের সৃষ্টিকর্তা কাকে বলে এবং কিভাবে হতে হয় ভণ্ডরা সেটাইতো জানেনা।
সৃষ্টিকর্তা কখনো হয়েছেন ভারতীয়, কখনো নেপালি কখনো সৌদি আরবীয়, কখনো আবার ফিলিস্তিনী। এগুলোর বাইরে গোটা পৃথিবীর তিনি কখনো হওয়ার চেষ্টাও করেননি। যে ধর্মের জন্ম যেই দেশে সৃষ্টিকর্তাও ঠিক সেই দেশের।
হিন্দু ধর্মের সৃষ্টিকর্তার ভৌগলিক জ্ঞানের সীমানা ভারতের মাঝেই সীমাবদ্ধ। পুরো এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, এন্টার্কটিকা, অস্ট্রেলিয়া ও জিল্যান্ডিয়া মহাদেশের কিছুই হিন্দু ধর্মে নেই।
বৌদ্ধ ধর্মের সৃষ্টিকর্তার ভৌগলিক জ্ঞানের সীমানা নেপাল ও তার আশেপাশের অঞ্চলের মাঝেই সীমাবদ্ধ। পুরো এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, এন্টার্কটিকা, অস্ট্রেলিয়া ও জিল্যান্ডিয়া মহাদেশের কিছুই বৌদ্ধ ধর্মে নেই।
ইসলাম ধর্মের সৃষ্টিকর্তার ভৌগলিক জ্ঞানের সীমানা আরব অঞ্চলের মাঝেই সীমাবদ্ধ। পুরো এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, এন্টার্কটিকা, অস্ট্রেলিয়া ও জিল্যান্ডিয়া মহাদেশের কিছুই ইসলাম ধর্মে নেই।

ইহুদি ও খ্রীস্টান ধর্মের সৃষ্টিকর্তার ভৌগলিক জ্ঞানের সীমানা ফিলিস্তিন ও তার আশেপাশের অঞ্চলের মাঝেই সীমাবদ্ধ। পুরো এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, এন্টার্কটিকা, অস্ট্রেলিয়া ও জিল্যান্ডিয়া মহাদেশের কিছুই ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মে নেই।
মজার ব্যাপার হলো ধর্মগ্রন্থের ভেতরে সেইসব নির্দিষ্ট অঞ্চলের বাইরে আর কিছুই খুঁজে পাবেন না। আরব অঞ্চলে যা যা পাওয়া যায় হুবহু সেগুলোই আছে ইসলামের বেহেস্তে। ভারতে যা যা পাওয়া যায় হুবহু সেগুলোই আছে হিন্দু ধর্মের স্বর্গে। নেপালে যা যা পাওয়া যায় হুবহু সেগুলোই আছে বৌদ্ধ ধর্মের স্বর্গে। ফিলিস্তিনে যা যা পাওয়া যায় হুবহু সেগুলোই আছে ইহুদী ও খ্রিস্টান ধর্মের স্বর্গে। সেইসব নির্দিষ্ট অঞ্চলে যা যা নেই বা পাওয়া যায়না সেগুলো পৃথিবীর যত মুল্যবান ই হোক না কেন, সৃষ্টিকর্তা স্বর্গে সেগুলো দেননি। হিন্দু ধর্মের স্বর্গে ইসলাম ধর্মের স্বর্গের প্রধান আকর্ষণ আংগুর ও খেজুর নেই। ইসলাম ধর্মের স্বর্গে হিন্দু ধর্মের সুস্বাদু লাড্ডু ও নারিকেলের সুস্বাদু নাড়ু নেই। ইসলাম ধর্মের স্বর্গে পৃথিবীর সেরা আকর্ষণ - ইউরোপের আপেল ও কমলা নেই। ইসলাম ধর্মের বেহেস্ত বা স্বর্গে পুরো এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, এন্টার্কটিকা, অস্ট্রেলিয়া ও জিল্যান্ডিয়া মহাদেশের কোনো আকর্ষণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ ফলমূল নেই। বৌদ্ধ ধর্মের স্বর্গে একই অবস্থা, নেপালি অঞ্চলের বাইরের কিছু নেই। ইহুদী ও খ্রিস্টান ধর্মের স্বর্গ বা বেহেস্তে একই অবস্থা, ইহুদি ও খ্রিস্টান ধর্মের স্বর্গে আরব এবং ভারতীয় অঞ্চলের কিছুই নেই।
জিল্যান্ডিয়া মহাদেশ সহ পৃথিবীতে ৮ টি মহাদেশ। যেমনঃ এশিয়া, ইউরোপ, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকা, এন্টার্কটিকা, অস্ট্রেলিয়া ও জিল্যান্ডিয়া। অথচ সৃষ্টিকর্তা কখনোই সকল মহাদেশের, বা পুরো পৃথিবীর সকল মানুষের হতে পারেনি। এবং সৃষ্টিকর্তা কখনো পুরো পৃথিবীর সকল মানুষের হতেও পারবেনা।
হিন্দু ধর্ম মানে সেই হাজার বছর আগের মধ্যযুগীয় ভারতীয় সমাজের হুবহু প্রতিচ্ছবি। বৌদ্ধ ধর্ম মানে সেই হাজার বছর আগের মধ্যযুগীয় নেপালি সমাজের হুবহু প্রতিচ্ছবি। ইসলাম ধর্ম মানে সেই হাজার বছর আগের মধ্যযুগীয় আরব সমাজের হুবহু প্রতিচ্ছবি। ইহুদী ও খ্রিস্টান ধর্ম মানে সেই হাজার বছর আগের মধ্যযুগীয় ফিলিস্তিন সমাজের হুবহু প্রতিচ্ছবি।
হিন্দু ধর্মের পোশাক মানে ভারতীয় পোশাক, হিন্দু ধর্মের খাদ্য মানে ভারতীয় খাদ্য, হিন্দু ধর্মের স্বর্গ বা বেহেস্ত মানে ভারতীয় সংস্কৃতির ফটোকপি।
বৌদ্ধ ধর্মের পোশাক মানে নেপালি পোশাক, বৌদ্ধ ধর্মের খাদ্য মানে নেপালি খাদ্য, বৌদ্ধ ধর্মের স্বর্গ বা বেহেস্ত মানে নেপালি সংস্কৃতির ফটোকপি।
ইসলাম ধর্মের পোশাক মানে আরবীয় পোশাক, ইসলাম ধর্মের খাদ্য মানে আরবীয় খাদ্য, ইসলাম ধর্মের স্বর্গ বা বেহেস্ত মানে আরবীয় সংস্কৃতির ফটোকপি।
ইহুদী ও খ্রিস্টান ধর্মের পোশাক মানে মধ্যযুগীয় ফিলিস্তিনী পোশাক, ইহুদী ও খ্রিস্টান ধর্মের খাদ্য মানে মধ্যযুগীয় ফিলিস্তিনী খাদ্য, ইহুদী ও খ্রিস্টান ধর্মের স্বর্গ বা বেহেস্ত মানে মধ্যযুগীয় ফিলিস্তিনী সংস্কৃতির ফটোকপি।
এর বাইরে সৃষ্টিকর্তা আর কিছু জানেন না এবং জানার চেষ্টাও করেন নি। সুতরাং সৃষ্টিকর্তা পুরো পৃথিবীর সকল মানুষের নয় এটা প্রমাণিত।
- সংগৃহীত
( কাইউম ভাইয়ের কৃতজ্ঞতা জানাই)
No comments