Header Ads

Header ADS

নবী মুহাম্মদের পিতা-মাতা জান্নাতে যাবেন নাকি জাহান্নামে?

নবী মুহাম্মদের  পিতা-মাতা জান্নাতে যাবেন নাকি জাহান্নামে?

Image result for জান্নাত জাহান্নাম


আমাদের নবী (সা.) এর পিতা-মাতা যখন ইন্তেকাল করেছেন তখন সেখানে কোনো ধর্ম ছিল না। তারা কি সঠিক ধর্মের ডাক শুনেছেন? তারা কি আল্লাহর ইবাদত করতেন? তারা আসলে কোথায় যাবে? তারা কি জান্নাত লাভ করবেন? না জাহান্নামে যাবেন?
নবী (সা.) এর পিতা-মাতা উভয়ই জাহান্নামে যাবে। কেননা তারা যখন ইন্তেকাল করেছেন তখন তারা কোনো ধর্মের উপর ছিলেন না। তাছাড়া এই বিষয়ে রাসূল (সা.)-এর একটি হাদিসও পাওয়া যায়। রাসূল (সা.) একটি হাদিসে বলেছেন, আমি আমার মায়ের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করতে অনুমতি চেয়েছিলাম কিন্তু আল্লাহ আমাকে অনুমতি প্রদান করেননি। আমি তার কবর জিয়ারত করার জন্যও অনুমতি চেয়েছিলাম কিন্তু সেটাও আমাকে দেওয়া হয়নি। (সহীহ মুসলিম)
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহপাক ইরশাদ করেছেন, নবী ও যারা ঈমান এনেছে তাদের পক্ষে মুশরিকদের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করা, সংগত নয়, তারা তাদের আত্মীয়-স্বজন হলেই বা কি এসে যায়, যখন একথা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তারা জাহান্নামেরই উপযুক্ত। (সূরা-আত তাওবা, আয়াত-১১৩)
কোনো ব্যক্তির জন্য ক্ষমার আবেদন জানানোর অনিবার্য অর্থ হচ্ছে এই যে, আমরা তার প্রতি সহানুভূতিশীল এবং তাকে ভালোবাসি। আমরা তার দোষকে ক্ষমাযোগ্য মনে করি। যারা বিশ্বস্তদের অন্তরভুক্ত এবং শুধুমাত্র গোনাহগার তাদের ক্ষেত্রে এ দুটো কথাই উপযুক্ত। যদি শুধুমাত্র আমাদের আত্মীয় বলে আমরা তাকে মাফ করে দিতে চাই তাহলে এর মানে হবে, আমাদের কাছে আত্মীয়তার সম্পর্ক আল্লাহর প্রতি বিশ্বস্ততার দাবির তুলনায় অনেক বেশি মূল্যবান। আল্লাহ ও তার দীনের প্রতি আমাদের ভালোবাসা নির্ভেজাল ও শর্তহীন নয়। আল্লাহদ্রোহীদের সাথে আমরা যে সম্পর্কে জুড়ে রেখেছি তার ফলে আমরা চাচ্ছি, আল্লাহ নিজেও যেন এ সম্পর্ক গ্রহণ করেন এবং আমাদের আত্মীয়কে যেন অবশ্যই ক্ষমা করে দেন, যদিও এ একই অপরাধ করার কারণে অন্যান্য অপরাধীদেরকে তিনি জাহান্নামের শাস্তি দিয়ে থাকেন। এই কারণে আল্লাহপাক বলেছেন, তোমারা মুশরিকদের জন্য মগফিরাতের দোয়া করো না। বরং তিনি বলেছেন তাদের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করা তোমাদের পক্ষে শোভা পায় না। অর্থাৎ আমার মানা করায় যদি তোমরা বিরত থাক তাহলে তো এর তেমন কোনো গুরুত্ব থাকে না। মূলত তোমাদের মধ্যে আনুগত্য ও বিশ্বস্ততার অনুভূতি এত বেশি তীব্র হওয়া উচিত যার ফলে আমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণাকারীদের সাথে সহানুভূতির সম্পর্ক রাখা এবং তাদের অপরাধকে ক্ষমাযোগ্য মনে করা তোমাদের নিজেদের কাছেই অশোভন ঠেকে।
সুতরাং এই আয়াত থেকে বোঝা যায় যে, রাসূল (সা.)-এর পিতা-মাতা যদি সঠিক পথে, আল্লাহর পথে থাকতেন তাহলে অবশ্যই আল্লাহপাক তার নবীকে পিতা-মাতার জন্য প্রার্থনা করার অনুমতি দিতেন।তবে রাসূল (সা.) এর পিতামাতা জান্নাতী না জাহান্নামী এ বিষয়ে বেশি কথা বলা ঠিক নয়: কেননা এই বিষয়ে কথা বলে মূলত রাসূল (সা.)-কে কষ্ট দেওয়া হয়। আর এটা হারাম কাজ। এতে কোনো সন্দেহ নেই।
আল্লাহপাক পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেছেন, যারা আল্লাহ ও তার রসূলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদের প্রতি ইহকালে ও পরকালে অভিসম্পাত করেন এবং তাদের জন্যে প্রস্তুত রেখেছেন অবমাননাকর শাস্তি। (সূরা- আহযাব, আয়াত-৫৭)
আর রাসূল (সা.)-এর পিতা-মাতা জাহান্নামী বললে কি রাসূল (সা.) খুশি হবেন? এতে কি রাসূল (সা.) কষ্ট পাবেন না? তাই এ কথা না বলাই ভালো।

মৃত বাবা মা সম্পর্কে নবি নিজেই দোয়া করেন নি। কাজেই বিধর্মীদের কি হবে!
 কোন মুসলমান মারা গেলে পড়তে হবে ইন্না লিল্লাহে ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন,
অর্থাৎঃনিশ্চয়ই আমরা সবাই আল্লাহর জন্য এবং আমরা সবাই তাঁরই সান্নিধ্যে ফিরে যাবো। [সুরাঃ বাকারা, আয়াতঃ ১৫৬]
আর কোন হিন্দু, খ্রীষ্টান, ইহুদী, বৌদ্ধ অর্থাৎ অমুসলিম মারা গেলে পড়তে হবেঃ ফি নারি জাহান্নামা
খালিদিনা ফিহা
অর্থাৎঃ তারা জাহান্নামের আগুনে স্থায়ীভাবে থাকবে। তারাই সৃষ্টির অধম
[সুরাঃ বাইয়িনাহ, আয়াতঃ ৬]
মারা যাওয়া হিন্দু-খ্রীষ্টানদের জন্যে দোয়া-প্রার্থনা করা বা শুভকামনা করার কোন নির্দেশনাই কোরানে নেই। বরং উপরের দু টি দোয়ার সপক্ষেই রয়েছে আরেকটি আয়াত; অর্থাৎঃনবী ও যারা ঈমান এনেছে তাদের পক্ষে মুশরিকদের জন্য মাগফিরাতের দোয়া করা সঙ্গত নয়, তারা তাদের আত্মীয়-স্বজন হলেই বা কি এসে যায়, যখন একথা সুষ্পষ্ট হয়ে গেছে যে, তারা জাহান্নামেরই উপযুক্ত 
[সূরাঃ আত তওবা, আয়াতঃ ১১৩]
মিরাজ রহমান, সাংবাদিক ও লেখক

তো যারা ইসলামকে শান্তির ধর্ম বলে গলা ফাটান, যারা বলে থাকেন ইসলাম হলো একমাত্র সত্য এবং শ্রেষ্ঠ ধর্ম ,এসব বলে যারা অমুসলিমদের মুসলমান বানিয়ে নিজেদের দল ভারী করার চেষ্টায় আছেন তারা একটু ভেবে দেখুন তো আপনার সেই শান্তির ধর্মের নমুনা ।
যাকে আল্লা বলে সেজদা করেন সে কোন প্রকৃতির ?
এরপরেও কি তাকে সেজদা করতে মনে ইচ্ছে জাগে?
এরপরেও তাকে কোন সত্যিকারের স্রস্টা বলে মেনে নিতে ইচ্ছে করে ?
এসব জানার পরেও কোন অমুসলিম কি তার পুরনো ধর্ম তথা তার বাবা  মা কে , পরিবার ,আত্মীয় স্বজনকে  ফেলে ইসলামে আসবে এসব জানার পরেও ?

No comments

Powered by Blogger.