মুসলমানদের হাতে কত মানুষ মারা গেছে ?
মুসলমানদের হাতে কত মানুষ মারা গেছে ধর্মের কারনে ?

ইসলামি দেশগুলির দুরাবস্থা দেখে মুসলমানদের বা ইসলামের দিকে ইঙ্গিত করে কথা বললেই
মুমিন মোল্লারা প্রায়ই সারশ পাখির মত গলা বাড়িয়ে বলে থাকে যে, ইসলাম হচ্ছে শান্তির ধর্ম ।
এখানে কোণ অশান্তি কিংবা অসহিষ্ণুতা কিংবা সন্ত্রাসপনার স্থান নেই ।
ইসলামে সন্ত্রাসপনাকে সমর্থন করেনা ।
মুসলমানরা কখনো কারো রক্ত গ্রহন করেনি ।
মুসলিম দেশ গুলিতে অমুসলিমেরা অনিরাপদ নয় , নিরাপদ।
যেখানে বিশ্বের কোন একটি মুসলিম দেশে স্বয়ং মুসলিমেরাই নিরাপদ নয় , যুদ্ধবিগ্রহ লেগেই আছে , সেখানে নাকি তারা বা তাদের দেশগুলি খুব শান্তিতে আছে,হা হা ।
ইসলামি মুসলিম দেশ গুলিতে কোন অশান্তি নেই।
বরং নাস্তিক্যবাদই সন্ত্রাসপনাকে সমর্থন করে ।
নাস্তিক্য মতবাদই কোটী কোটি মানুষকে হত্যা করেছে,
স্টালিন ,হিটলার এরা তাদের নাস্তিক্য মতবাদের সমর্থনে কোটিকোটি মানুষ হত্যা করেছে ,সেগুলি নাস্তিকদের চোখে পড়েনা ।তারা শুধু মুসলমানদের পিছে পড়ে আছে ইহুদি খ্রিস্টানদের দালালি করতে ।
অথচ প্রথম এবং ২য় বিশ্ব যুদ্ধ কোন ব্যক্তির একান্ত মতামত কিংবা মতবাদের উপরে ভিত্তি করে সংগঠিত হয়নি।ওটা ছিল স্রেফ ক্ষমতার দখল নিয়ে ।
কিন্তু আস্তিক মুমিনেরা তাদের সেই ব্যক্তিগত কর্মকান্ডকে নাস্তিকতার উপরে চাপিয়ে দিতে চায়।
যাহোক, নাস্তিকদেরকে আস্তিক মুমিনরা এক হাত দিতে দেখলাম ইয়া বড় এক লম্বা লিষ্টের ব্যবস্থা করেছে যেখানে কে বা কোন নাস্তিক কিংবা অমুসলিম কবে কোন যুদ্ধে কত হাজার কিংবা লক্ষ অথবা কোটি মানুষ হত্যা করেছে ।
সাথে আবার দেখলাম গুগলের রেফারেন্সও সেটে দিয়েছে ।
যেখানে ধর্মের কারনে মানুষ মারা গেছে মোট ৮ শতাংশ ।
এতবড় লিষ্ট আর গুগলের লিঙ্ক সেটেছে যে সেটা দেখে কারো পড়ার কিংবা যাচাই করার ইচ্ছে থাকবেনা ।
তো যাহোক,তাদের সেই লিষ্টের এগেইনেষ্টে প্রশ্ন করেছিলাম যে সেই ৮% এর মধ্যে কি মুহাম্মদের নেতৃত্বে ২৭ টি যুদ্ধে মারা যাওয়া থেকে শুরু করে এ পর্যন্ত ধর্মীয় লোকেদের হাতে মারা যাওয়া লোকেদের হিসাব আছে কিনা ?
অথবা সেগুলো নেই কেন ?
কোথায় সেগুলি?
প্রশ্ন করতেই উত্তর দিয়েছিল মুসলমানদের হাতে কোন অমুসলিম মারা যায়নি ।
আর গেলেও মাত্র কয়েকশো লোক মারা গেছিল ।
কিন্তু নাস্তিকদের মত কোটিকোটি মানুষ হত্যা করেনি ।
তো তাদের সেই কয়েকশো লোক হত্যার লিষ্টটা ই এখানে তুলে ধরবো ,দেখেন সেটা কতদূরে পৌছায়।
ইসলামী যুদ্ধগুলোতে মুসলিমদের হাতে কত সংখ্যক মানুষ মারা গেছে- এরকম প্রশ্নে জাকির নায়েকসহ অন্যান্য ইসলামিস্টরা সংখ্যাটা একশ বা পাঁচশ জনের বেশি নয় বলে দাবী করেন! তারা বলতে চান ইসলামী ‘যুদ্ধে’ মুসলিম বাহিনীর হাতে মোটে শ’পাচেঁক মানুষই মারা গিয়েছিল। অথচ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে, লেলিন বা মাওদের বিপ্লবে, আমেরিকার যুদ্ধগুলোতে লক্ষ লক্ষ কোটি কোটি মানুষ মারা গেছে…।
আলোচনার শুরুতে জানিয়ে রাখি নিরপেক্ষ কোন ইসলামের ইতিহাস নেই হাদিস ও সীরাত ব্যতিত। এগুলোও লিখেছেন মুসলিম ধর্মবেত্তারা যারা ইসলামের সমস্ত ভুল-ত্রুটিকে গোপন করে প্রসংশা ও গৌরব প্রকাশ করেছেন লাগামহীনভাবে। আমাদের লেখার সোর্স এইসব বন্দনামূলক হাদিস ও সীরাতগুলো। আরো একটি কথা বলে রাখা ভাল, ইসলামের সেই যুগে তরোয়াল-বল্লমই ছিল একমাত্র যুদ্ধাস্ত্র। তারপরও সে যুগের যুদ্ধে মৃত মানুষদের সংখ্যা আজকের প্রযুক্তিগত যুদ্ধে হাতাহতদের সংখ্যাকে বিবেচনায় নিলেও ভয়াবহতায় গা শিউরে উঠে রীতিমত!
মুতার যুদ্ধের সেনাপতি খালিদ বিন ওয়ালিদকে এই যুদ্ধের পর মুহাম্মদ তাকে ‘সাইফুল্লাহ’ বা আল্লাহ’র কোষমুক্ত তরবারি উপাধি দেন। এতে অনুমান করা যায় ওয়ালিদের নেতৃত্বে কি পরিমাণ মানুষ কচু কাটা হয়েছিল। দ্বাদশ হিজরীতে খলিফা আবু বকর খালিদ বিন ওয়ালীদকে ইরাক অভিযানে প্রেরণ করেন। ইসলামিক সূত্র জানাচ্ছে ইরাকের সাওয়াদ অঞ্চলের অধিবাসীরা ওয়ালীদের হাত থেকে বাঁচতে এক হাজার দীনারের বিনিময়ে চুক্তিতে সাক্ষর করে। কিন্তু চুক্তির আগে মুসলমান বাহিনীর হাতে বিপুল সংখ্যাক (সংখ্যাটা উল্লেখ করা হয়নি) সাওয়াদবাসীকে মুসলমানরা হত্যা করে। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ইবনে কাসির, ৬ খন্ড, পৃষ্ঠা-৫১৬)।
এরপর ওয়ালীদ ইরাকের হীরায় যান এবং সেখানকার খ্রিস্টান শাসককে দুটি পথের একটিকে বেছে নিতে বলেন। হয় ইসলাম গ্রহণ করো নয়ত আমাদের জিজিয়া কর দিয়ে জীবন বাঁচাও। এর অন্যথা হলে মুসণমানদের তরোয়ালে প্রাণ দিতে হবে। হীরার শাসনকর্তা কুবায়সা বলেন, আমরা যুদ্ধ চাই না, আমরা তোমাদের জিজিয়া কর দিয়ে নিজ ধর্ম নিয়ে বাঁচতে চাই। শেষে বার্ষিক ২ লক্ষ দিরহাম জিজিয়া করের বিনিময়ে রফা হয় মুসলমানদের সঙ্গে। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৬ খন্ড, পৃষ্ঠা-৫১৭)।
সেখান থেকে ওয়ালীদ কাজিমার নিকট স্থানে হুরমুয বাহিনীর সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়। এরা ছিল পারস্যবাসী। সেই যুদ্ধে ২০ হাজার সৈন্য মুসলিম বাহিনীর হাতে মারা যায়। ‘মাযার’ নামক স্থানে মুসলিম বাহিনীর হাতে ৩০ হাজার মারা পড়ে (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৬ খন্ড, পৃষ্ঠা-৫২০)।
বলে রাখা ভাল, এইসব পরাজিত অধিবাসীদের নারী ও শিশুদের ‘গণিমত’ হিসেবে মুসলিম বাহিনীদের মধ্যে বন্টন করে দেয়া হয় ইসলামী নিয়ম অনুসারে। তবে কৃষকদের ফসলের অর্ধেক ভাগের শর্তে তাদের কাজে বহলা রাখা হয়।
এরপর ওয়ালাজা আক্রমন করে একইভাবে মুসলিম বাহিনী তাদের নারীদের গণিমতের মাল হিসেবে বন্দি করে। তাদের পুরষদের হত্যা করে।… ইসলামের তথাকথিত এই ‘যুদ্ধগুলোর’ কোন কারণ ছিল না। আক্রান্ত জাতি বা অধিবাসীরা নিজেদের মত নিজেদেরে দেশে বসবাস করছিল। কিন্তু মক্কা-মদিনার ‘ইসলামী রাষ্ট্রের’ একমাত্র রাজস্ব উৎস ছিল গণিমত ও জিজিয়া কর। আর এসব সংগহ করতেই দিকে দিকে সৈন্য পাঠিয়ে দিতেন খলিফারা।
মুসলিম বাহিনী গোটা আরব জুড়ে রক্তের বন্যা বইয়ে দিয়েছিলেন। আশেপাশে খ্রিস্টান ও অন্যান্য অমুসলিম জনপদের হাজার হাজার পুরুষ হানাদার মুসলিম বাহিনীদের বিরুদ্ধে লড়তে গিয়ে প্রাণ হারায়। আর তাদের নারী ও শিশুরা গণিমতের মাল হিসেবে বন্দি হয়। তাদের সমস্ত সয়সম্পত্তি হয়ে যায় মুসলিমদের অধিকারভুক্ত।
‘ওল্লায়সের যুদ্ধের’ সময় খালিদ বিন ওয়ালিদ আল্লাহর কাছে দোয়া করেন, হে আল্লাহ তুমি আমাদের সহায়তা কর যাতে এদের একজনকেও জীবিত না রাখি। ওদের রক্তে যেন এখানকার নদীগুলো সব লাল হয়ে উঠে…। ওয়ালিদ তার কথা রেখেছিল। তিনদিন পর্যন্ত হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে ওয়ালিদ ৭০ হাজার মানুষকে হত্যা করে নদীতে ভাসিয়ে দেয়। মানুষের রক্ত জমাট হয়ে নদীর প্রবাহ বন্ধ করে দেয়। স্থানীয় ঐ নদীকে এরপর থেকে ‘নাহরুদ-দাম’ বা ‘রক্তনদী’ নামে ডাকা হয়। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৬ খন্ড, পৃষ্ঠা-৫২২)।
আম্বার নামক স্থানে ওয়ালীদের নিদের্শে তার বাহিনী এক হাজার প্রতিরোধকারী স্থানীয়দের তীর দিয়ে তাদের চোখ উপড়ে ফেলে। ফলে বাধ্য হয় তারা সন্ধি করতে মুসলিম বাহিনীর সঙ্গে। এরপর মুসলিম বাহিনী ‘আয়নুত তামার’ দুর্গ অপরোধ করে দুর্গের সমস্ত অধিবাসীদের হত্যা করে। একটা গির্জায় লুকিয়ে থাকা ৪০টি বালকের সন্ধান পাওয়া যায় যারা সেখানে বাইবেল শিক্ষা লাভ করত। মুসলিম বাহিনীদের মধ্যে সেই ৪০জন খ্রিস্টান বালককে ‘খুমুস’ (গেলমেন?) হিসেবে বন্টন করা হয়। (আল বিদায়া ওয়ান নিহায়া, ৬ খন্ড, পৃষ্ঠা-৫২৮)।
এরপর একে একে দুমাতুন জানদাল, হাদীস, মুযাহা, ছানি ও জুমায়েল অভিযান শুরু হয়। এই অভিযানগুলোতে সমস্ত আরব ও অনারব মুশরিক-কাফেরকে হত্যা করা হয়- স্পষ্টভাবে হাদিসগ্রন্থে উল্লেখ করা হয়েছে- একজনও মুশরিক বেঁচে থাকার সুযোগ পায়নি। কি পরিমাণ মানুষ এই সব আক্রমনে মারা গিয়েছিল এ থেকে অনুমান করলেই গা শিরশির করে উঠে!
সিরিয়া ও ইরাকের সীমান্ত এলাকা ফারাদ আক্রমন করে মুসলিম বাহিনী এক লক্ষ রোমানকে হত্যা করে। মানুষের রক্তে নদীর পানি লাল হয়ে যায়। হাজার হাজার মানুষের মৃত দেহে ভাসতে থাকে ফুরাত নদীতে। ইসলাম নাকি তরোয়ালের জোরে প্রতিষ্ঠিত হয়নি! নিশ্চয় আজকে আবু বকর, ওসমান, ওমর, আলী বেঁচে থাকলে ক্ষুব্ধ হতেন একথা শুনে। ওয়ালীদ হয়ত আত্মহত্যাই করতেন! কারণ এতে তাদের এত শ্রম ও ‘বীরত্বকে’ গোপন করা হয়।। ইসলামী উপনিবেশ গড়তে ওয়ালীদের তরোয়াল এতখানিই অবদান রেখেছিল যে, ইসলাম প্রসারের স্বয়ং মুহাম্মদের এতখানি অবদান ছিল না। তবু তার নাম খুব একটা বেশি আলোচনা হয় না সম্ভবত তাকে নিয়ে আলোচনা করলে রক্তাক্ত ইসলামের ইতিহাস বেরিয়ে পড়বে। আবু বকর, ওসমান, ওমরের যুগে গণিমত আর জিজিয়ার জন্য আরর থেকে বেরিয়ে এশিয়া-আফ্রিকায় ছড়িয়ে পড়ে ইসলামের রক্তলোলুপ মুসলিম বাহিনী। (আল-কামেল ফিত তারীখ, ৩য় খন্ড, পৃষ্ঠা- ৪৬, মাতবাআতুত তিবআতীল মুনীরিয়্যাহ, মিসর ১৩৪৮ হিজরী)।
এছাড়া হযরত আলী সময় আত্মঘাতি ‘সিফফিনের যুদ্ধ’ ১ লক্ষ মানুষ মারা গিয়েছিল। আর অমুসলিম জনপদের মানুষকে মেরেকেটে, তাদের নরীদের গণিমতের মালে পরিণত করে, তাদের ধনসম্পদ বোঝাই করে উটের পর উট এসে ভিড়তে থাকে ‘আল্লাহর মনোনীত একমাত্র ধর্ম ইসলামের’ খলিফাদের দরবারে।
তাহলে ইসলামের যুদ্ধে বা মুসলিম বাহিনীদের হাতে একশ জনের বেশি মারা যায়নি- এমন দাবীর উৎসটা কি? সেই চালাকিটা একটু বলেই লেখাটা শেষ করছি।
ইসলামের ইতিহাসে যে কটা প্রকৃত পক্ষে যুদ্ধ ছিল তার সবটাই ঘটেছিল মুহাম্মদের জ্ঞাতিগোষ্ঠি কুরাইশদের সঙ্গে। ইহুদীসহ অনারব কেউ মুহাম্মদের বিরুদ্ধে কখনো অস্ত্র ধারণ করেনি বা স্বপ্রণোদিত হয়ে তারা কেউ যুদ্ধে জড়ায়নি। আর ইহুদীরা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মুসলমানদের হাতে অতর্কিত হামলার শিকার হয়েছিল। ইহুদীদের বেশিরভাগই ছিল কৃষক শ্রেণী। যুদ্ধ বিদ্যা তাদের জানা ছিল না। ইহুদীদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ হয়েছে বা ইহুদিরা মুহাম্মদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছে তার একটা প্রমাণ দুনিয়ার কোন ইসলামিস্ট দেখাতে পারবে না।
কুরাইশদের সঙ্গেও মুহাম্মদ পায়ে পা দিয়ে যুদ্ধে লিপ্ত হয। বদর যুদ্ধ ছিল প্রথম যুদ্ধ ইসলামের ইতিহাসে যেটা বাধিয়েছিল মুহাম্মদ নিজে। কুরাইশদের বাণিজ্য কাফেলায় একের পর এক আক্রমন করে লুট করার পর, সিরিয়া থেকে মদিনা হয়ে যে বাণিজ্যপথ মক্কায় পৌঁছাত তাকে নিরাপদ রাখতে কুরাইশদের প্রতিরোধ যুদ্ধ করা ছাড়া কোন উপায় ছিল না। আজকের সোমালিয়ান জলদস্যুদের মত মদিনায় অন্ধকার পথে ওঁত পেতে কুরাইশদের বাণিজ্য কাফেলায় আক্রমন করত মদিনায় হিযরত করা নবদীক্ষিত মুসলিমরা। বদর যুদ্ধ ছিল তার একটা ফয়সারা। যাই হোক, বদর যুদ্ধে কুরাইশরা পরাজিত হয়। কিন্তু তারা সকলে মুহাম্মদের স্বজন-জ্ঞাতি হওয়াতে তাদের হত্যার বদলে বন্দি করে মুক্তিপণের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়া হয়। (পড়ুন ইবনে কাফিরের তাফসির সুরা তাওবা ও আনফাল)।
কিন্তু বণু কুরাইজা ইহুদীদের একরাতেই ৭০০ জন পুরুষকে হত্যা করে গর্তে চাপা দিয়ে রাখা হয়। তাদের নারীদের যৌনদাসীতে পরিণত করা হয়। বনু নাযির ইহুদীদের তাদের দেশ ছেড়ে, তাদের সম্পত্তি ত্যাগ করে চলে যাবার শর্তে ছেড়ে দেয়া হয়েছিল। ইসলামের নবীর কাছে আরব ও অনারব ছিল ভিন্ন রকম বিচার্যের। ইহুদীসহ অন্যান্য অনারব অমুসলিমদের প্রতি তিনি যতটা কঠরতা দেখিয়েছিলেন তেমনটা নিজ স্বজন মুশরিকদের প্রতি দেখাননি। তাই আজকে সেই একপেশে কুরাইশদের প্রতি দয়াদক্ষিণাকে আপনার সামনে হাজির করা হচ্ছে ।
তাছাড়া আমরা যদি ভারতীয় উপমহাদেশের ইতিহাসের দিকে তাকাই তাহলে যা ভেসে আসে তা নিচে তুলে ধরছিঃ
মোগল আমলে প্রায়ই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হত। ১৫৭৩-১৫৯৫ সালের মধ্যে মোট ১৩ বার দুর্ভিক্ষ হয়। শাহজাহানের আমলে ১৬৩০-৩১ সালে যে দুর্ভিক্ষ হয় তা ছিল সর্বাপেক্ষা ভয়াবহ।
মোগল আমলে প্রায়ই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হত। ১৫৭৩-১৫৯৫ সালের মধ্যে মোট ১৩ বার দুর্ভিক্ষ হয়। শাহজাহানের আমলে ১৬৩০-৩১ সালে যে দুর্ভিক্ষ হয় তা ছিল সর্বাপেক্ষা ভয়াবহ।
সমস্ত দাক্ষিণাত্য ও গুজরাট অঞ্চলে আকাল ছড়িয়ে পড়ে। হামিদ লাহোরি তাঁর বাদ-শাহনামায় ঠিক এভাবেই সেই অভিশপ্ত দিনগুলার বর্ণনা করলেন:-
“দাক্ষিণাত্য ও গুজরাট এই দুই প্রদেশের মানুষের অবস্থা খুবই শোচনীয় অবস্থায় পৌঁছেছিল। লোকেরা এক খানা রুটির জন্য সারা জীবনের দাসত্ব করতে রাজী ছিল;
কিন্তু ক্রেতা ছিল না। এক টুকরো রুটির বদলে একদল মানুষ কেনা যেত কিন্তু সেই সুযোগ নেবার লোক ছিল না। অনেকদিন ধরে কুকুরের মাংস বিক্রি হল। হাড়ের গুড়া ময়দার সাথে মিশিয়ে বিক্রি করা হল।
ক্রমে দুর্দশা এমন পর্যায়ে পৌঁছালো যে, মানুষ মানুষের মাংস খেতে শুরু করল। পিতা মাতার কাছে সন্তানের স্নেহ ভালবাসা থেকে তার শরীরের মাংসই বেশী প্রিয় হয়ে উঠল”
এমন ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হওয়ার কারণ কি ছিল?
কারণ ছিল ভয়াবহ দুর্ভিক্ষ হওয়ার আগেই লক্ষ লক্ষ হিন্দু কৃষককে শুধু মুসলমান ধর্ম গ্রহণ না করার অপরাধে হত্যা করেছিল,
ফলে চাষবাদ করবে কে?
মুসলমানদের এই দুর্ভিক্ষ স্পর্শ কাতর করে নাই। কারণ হিন্দু বাড়ীর ধন সম্পদ লুটপাট মুসলমানদের জীবিকা নির্বাহের পথ অব্যাহত ছিল ।
এই ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের আকালে অনাহারে এত হিন্দু মারা যায় যে মৃত দেহের স্তূপে রাস্তা ঘাটে চলাচল অসম্ভব হয়ে উঠেছিল।
শুধু মুসলমানের উগ্র ধর্মান্ধা বোধের অত্যাচারে এই ভাবে এক অতি উর্বর শস্য শ্যামল প্রদেশকে শ্মশানে পরিণত করেছিল দাক্ষিণাত্য ও গুজরাটের মুসলমানেরা।
হামিদ লাহোরির লেখা বাদ-শাহনামা ঠিকেই ইতিহাসের কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।
তথ্যসূত্র: (Abdul Hamid Lohari vaid-Smith’s Oxford History of India- p.393. An Advanced history of Indiaa-p.472)
এছাড়াও ভারতে মুসলমানদের বারবার আক্রমনের মাধ্যমে ক্ষমতা লুটে নিতে নিশ্চয় দু একজন লোকের প্রান হারায়নি ,তাইনা ??
নিশ্চয়ই সেকথা মনে আছে মুসলমানেরা ভারতে কতবার এবং কতবছর ক্ষমতা গ্রহন করেছিল??
নিশ্চয়ই সেকথা মনে আছে মুসলমানেরা ভারতে কতবার এবং কতবছর ক্ষমতা গ্রহন করেছিল??
তাছাড়াও চেঙ্গিস খানের পাহাড় সম মানুষ হত্যার কথা নতুন করে আপনাদের স্মরন করিয়ে দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করছিনা ।
এছাড়া বিশ্বের প্রায় প্রতিটি মুসলিম দেশেই নিজেরা নিজেরাই যে পরিমানে মানুষ হত্যা করে চলেছে তার বর্ননা আর নতুন করে কি দিব!
ইসলামের হামলায় শ’খানেকের বেশি মানুষ মারাই যায়নি! কিন্তু প্রকৃত ইতিহাস তো উপরেই বর্ণনা করা হলো ইসলামী সোর্স থেকেই। বলাই বাহুল্য অতি সামান্য তথ্যই এখানে তুলে ধরা সম্ভব হয়েছে লেখার পরিসরের সীমাবদ্ধতার কারণে। এবার আপনারাই বিবেচনা করুন…।
No comments