Header Ads

Header ADS

ঘৃণার ধর্ম ইসলাম

ঘৃনার ধর্ম ইসলাম 


Image result for ঘৃনার ধর্ম ইসলাম

আপনাদের নিশ্চয় ইসলামের নবী মুহম্মদ সম্পর্কে ঐ গল্পটি শোনা আছে যে, এক ইহুদি বুড়ি নবীর যাতয়াতের পথে কাঁটা দিতো, প্রতিদিন নবী সেই কাঁটা সরিয়ে সরিয়ে চলাচল করতো। একদিন নবী দেখলো পথে আর কাঁটা নেই। তখন সে আশে পাশের লোকদের জিজ্ঞেস করে জানতে পারলো যে, যে বুড়ি পথে কাঁটা দিতো সে অসুস্থ; তারপর নবী তার বাড়ি গেলো, তার খোঁজ-খবর নিলো, এমন কি সেবা-যত্ন করে তাকে সুস্থ করে তুললো। এর পর বুড়ি নিজের ভুল বুঝতে পেরে নবীর মহানুভবতায় মুগ্ধ হয়ে ইসলাম গ্রহণ করলো।
কিংবা বনে শিকারে যাওয়া এক শিকারের আক্রমনের শিকার হওয়া হরিনের কান্না শুনে নবী এগিয়ে গিয়ে জিজ্ঞাসা করলেন হরিনিওটি কাদছে কেন ?
তখন হরিনটি তার দুগ্ধজাত ছোট ছোট বাচ্চাদের দুধ খাওয়ানোর কথা বললো যে তাকে যদি কিছুক্ষনের জন্য ছেড়ে দেওয়া হতো সে তার বাচ্চাদেরকে দুধ খাওইয়ে আবার চলে আসতো ।
এ কথা শুনে সে হরিনটি ছেড়ে দেয় এবং সে তার বাচ্চাদের দুধ খাওয়াতে গেলে শিকারী এসে দেখে তার হরিনটি আর গাছে বাধা নেই ।
মুহাম্মদকে জিজ্ঞাসা করলে সে বলে আমি হরিনটিকে ছেড়ে দিয়েছি তার বাচ্চাগুলিকে একটু দুধ খাইয়ে আবার ফিরে আসবে ।একথা শুনে শিকারি বিশ্বাসই করতে চায়না ।এমতাবস্থায় মুহাম্মদের উপরে শিকারি চটে গেলে দূরে তাকাতেই দেখে হরিনটি তাদের কাছে ই ফিরে আসছে ।এটা দেখে সেই বিধর্মী শিকারি নবীর পায়ে পড়ে যায় এবং তাকে মুসলমান বানাইয়া দেওয়ার  জন্য তার পা জড়িয়ে ধরে।
অথচ এসব গল্পে বিশ্বাসীরা কখনোই একটিবারও ভাবেনা যে , সৌদি আরবের ঐ মরুভুমিতে যেখানে নেই ঘাষ পাতা ,সেখানে হরিন আসবে কোত্থেকে ?

যাহোক, এই গল্প দ্বারা বোঝানো হয় যে মুহম্মদ ছিলো মহান, আর তার মহানুভাবতায় মুগ্ধ হয়েই আরবের লোকজন স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহণ করেছিলো; কিন্তু বাস্তবতা  আসলে তাই?
বরং বাস্তবতা  সম্পূর্ণ উল্টো; কারণ, মুহম্মদ সম্পর্কে এই গল্প পুরোটাই মিথ্যা। মুহম্মদের জীবনের সকল কাহিনী ই কোরান হাদিসের মধ্যে দিয়ে প্রকাশিত। আমি মুসলমানদের কাছে চ্যালেঞ্জ
দিচ্ছি, এই গল্পের সত্যতার পেছনে একটি রেফারেন্স দেখাতে।যদি কেউ পারে তারা যেন এসব গল্পের রেফারেন্স দেখায় আমাকে।

উপরের ঐ গল্পটি প্রচার করার পেছনে আরেকটি উদ্দেশ্য হলো, মানুষকে বোঝানো যে নবীর হৃদয়ে মানুষের জন্য অনেক ভালোবাসা ছিলো এবং এই গল্পের প্রচারের ফলে ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ কোনো অমুসলিম এমনকি কোনো মুসলিমের পক্ষেও ধা্রণা করা সম্ভব ছিলো না যে, মুহম্মদ ছিলো একজন গ্রেট সন্ত্রাসী এবং নবুয়ত প্রাপ্তির পর তার পুরো জীবন ই ছিলো অমুসলিমদের প্রতি ঘৃণা ও সন্ত্রাসে ভরা।

ইসলাম সম্পর্কে মুসলমানরা যা জানে এবং প্রচার করে তার ৯০% ই মিথ্যা। এই মিথ্যা শুনতে শুনতে ও জানতে জানতে তা মুসলমানদের অস্থি-মজ্জা-রক্ত-মাংস ও মন-মানসে এমনভাবে ঢুকে গেছে যে, কোরান-হাদিস থেকে রেফারেন্স দিয়ে কোনো কিছু লিখলেও তারা তা বিশ্বাস করে না, এমনকি যা লেখা হয়েছে তা সত্য কিনা, কোরান হাদিস খুলে সেটা দেখারও প্রয়োজন বোধ করে না। তাদের একটাই বিশ্বাস, নবী কোনো কিছু খারাপ করতে পারে না এবং নবীর নামে কেউ কোনো খারাপ কথা বললে তাকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে মেরে ফেলতে হবে; কারণ, তাহলে নবী খুশি হবে এবং নবীর সব কথা বিশ্বাস করলে নবী তাকে পরকালে হুর সমৃদ্ধ বেহেশত পাইয়ে দেবে, যেখানে সে অনন্তকাল ধরে সেক্স করতে পারবে। সুতরাং নবী তার জীবনে যা ই করুক, তার নামে কোনো খারাপ কথা বলাও যাবে না, শোনাও যাবে না, আর বিশ্বাস করাও যাবে না। সবচেয়ে বড় কথা হলো, ৯৯% মুসলমানের এই মনোভাব যে নবীর নামে খারাপ কোনো কথা বিশ্বাস করে হুর-গেলমান হারানোর রিস্ক নিয়ে লাভ কী ?

নিজেকে নবী হিসেবে ঘোষণা দেওয়ার পর পরই মুহম্মদ তার চারপাশে ছড়াতে শুরু করে ঘৃণা। নবুয়ত প্রাপ্তির প্রথম দিকেই কাবার মধ্যে রক্ষিত মূর্তি সম্পর্কে আল্লার রেফারেন্স দিয়ে সে বলে,

“ নিঃসন্দেহে তোমরা ও তোমাদের যেসব মাবুদ, যাদের তোমরা পূজা-উপাসনা করো, জাহান্নামের ইন্ধন হবে, তোমাদেরও সেখানেই যেতে হবে।- ( কোরান, ২১/৯৮)

মূর্তিপূজা করা ইসলামে শিরক, শিরক মানে আল্লার সাথে কাউকে তুলনা করা। এটা ইসলামে এক জঘন্য পাপ, এই পাপের কোনো ক্ষমা নেই মুহম্মদ এবং তার আল্লার কাছে। তাই মূর্তি পূজার বিরুদ্ধে আল্লার রেফারেন্স দিয়ে মুহম্মদ আরো বলে,

"আল্লার কাছে শুধু শিরকই ক্ষমা পেতে পারে না।”- (কোরান, ৪/১১৬)

এর মানে হলো, মুসলমান ছাড়া আর কারো কোনো ক্ষমা নেই আল্লার কাছে । কেননা, পৃথিবীর সকল অমুসলিম কোনো না কোনো আঙ্গিকে মূর্তি বানায় এবং তাকে শ্রদ্ধা-ভক্তি অর্থাৎ পূজা করে। মুসলমানরাও হজরে আসোয়াদ নামের কালো পাথরকে শুধু শ্রদ্ধা-ভক্তিই করে না, চুমুও খায়, কিন্তু সেটা মুসলমানদের কাছে পাথর পূজা নয়, ওটা এবাদত! ব্যাপারটা যেন এমন যে, নিজের মা ই শুধু মা, আর অন্যরা সব পতিতালয়ের-------, তাই তাদেরকে ঘৃণা করতে হবে।

মূর্তির প্রতি ঘৃণাবশত আল্লার রেফারন্সে দিয়ে মুহম্মদ আরো বলেছে,

“এরা যদি প্রকৃত ইলাহ হতো, তবে তারা নিশ্চয় সেখানে (জাহান্নামে) যেতো না।”- (কোরান, ২১/৯৯)

এখানে একটা ব্যাপার খেয়াল করুন, মূর্তিপূজাকে অস্বীকার করলেও এবং মূর্তিকে ঘৃণা করলেও ইসলাম কিন্তু স্বীকার করে নিচ্ছে যে, মূর্তিগুলো শুধু পাথর নয় এগুলোর অলৌকিক অস্তিত্ব আছে । ইসলাম যদি মূর্তিগুলোকে শুধু পাথরের জড়বস্তু বলেই মনে করতো, তাহলে কিন্তু মূর্তিগুলোকে জাহান্নামে পা্ঠানোর কথা বলতো না। কারণ, পাথরের মূর্তির আাবার জাহান্নামের আগুনের ভয় কী ? সুতরাং এই আয়াতের মাধ্যমে ইসলামে স্বীকার করে নেওয়া হচ্ছে যে দেব-দেবীদের আধ্যাত্মিক বা্ অলৌকিক অস্তিত্ব আছে, সেগুলো শুধু শুধু পাথরের জড় বস্তু নয়। তাহলে যে পাথরের দেব-দেবীর মধ্যে আধ্যাত্মিক বা্ অলৌকিক শক্তি আছে, সেই দেব-দেবীকে যদি হিন্দুরা পূজা করে তাহলে হিন্দুদের দোষ কোথায় ? বরং তাতে তো লাভেরই সম্ভাবনা।

মূর্তি পূজা সম্পর্কে আপত্তিকর কথা বলতে বলতে মক্কা দখলের পর শেষ পর্যন্ত মুহম্মদ মূর্তিপূজকদেরকেই কাবা ঘরে যাওয়া্ নিষেধ করে দেয় নিচের এই আয়াতের মাধ্যমে,

“মুশরিক লোকেরা নাপাক। অতএব এই বছরের পর তারা যেন মসজিদে হারামের নিকট না আসতে পারে।- (কোরান, ৯/২৮)

এখানে মুশরিক মানে মূর্তিপূজক, এই মূর্তিপূজকদের মন্দিরই ছিলো কাবা। মুহম্মদ সেটা তলোয়ারের জোরে দখল করে এবং সেই মন্দিরেই আবার মূর্তিপূজকদের প্রবেশ নিষিদ্ধ করে। সেই কারণেই মক্কার সাথে সাথে মদীনাতেও আজও কোনো অমুসলিমের প্রবেশ নিষেধ। অমুসলিমদের প্রতি ইসলামের এই ঘৃণার রূপটা একবার চিন্তা করুন। পৃথিবীতে অন্য কোনো ধর্মের এমন কোনো শহর-নগর নেই যেখানে সকল ধর্মের লোক যেতে পারে না। ব্যতিক্রম শুধু ইসলাম। এই ইসলাম নাকি আবার মানবতার কথা বলে, এই ইসলামই নাকি আবার মহান ধর্ম! যা হোক, এখানেই শেষ নয় মুহম্মদের আরো নির্দেশ হলো,

“পৌত্তলিকদের আরব থেকে তাড়াও।”- (মুসলিম হাদিস, ৮০১৮)

এখানে পৌত্তলিক মানে হলে পুতুলপূজারী, মানে হিন্দু। তারপরও হিন্দু মুসলিম নিশ্চয় ভাই ভাই! সেকুলাররা কী বলেন ?

মুহম্মদের আজগুবি থিয়োরি ইসলামকে যারা স্বীকার করে নি, তাদেরকে মুহম্মদ মানুষ বলেই মনে করতো না, আল্লার রেফারেন্স দিয়ে মুহম্মদ অমুসলিমদের প্রতি ঘৃণাবশত কী কী বলেছে, তা দেখে নিন নিচের কয়েকটি আয়াতে-

“আমরা তোমাদের অস্বীকার করেছি এবং আমাদের ও তোমাদের মাঝে চিরকালের শত্রুতা স্থাপিত হয়েছে ও বিরোধ ব্যবধান শুরু হয়ে গেছে, যতক্ষণ তোমরা এক আল্লাহর প্রতি ঈমান না আনবে।”- (কোরান, ৬০/৪)

শত্রুতা তখনই স্থাপিত হয়, যখন মানুষ কাউকে ঘৃণা করে। কোরান যদি আল্লার বাণী হয়, তাহলে চিন্তা করুন এ আল্লা কেমন আল্লা যে তার নিজের সৃষ্টিকে ঘৃণা করছে এবং তাকে স্বীকার না করায় নিজের সৃষ্টির সাথে তার চিরকালের শত্রুতা স্থাপিত হয়েছে এবং এটাও চিন্তা করুন এই আল্লা কেমন সর্বশক্তিমান আল্লা যে তার নিজের সৃষ্টিকে বশ মানাতে পারছে না; এই আল্লা আবার কোনো কিছু পরিকল্পনা ক’রে ‘কুন’ (হও) ব’লেই নাকি সব কিছু করে ফেলতে পারে! আপনাদের কী অবস্থা জানি না, আমার কিন্তু বেদম হাসি পাচ্ছে।

অমুসলিমদের উদ্দেশ্যে মুহম্মদ আরও ঘৃণা কিভাবে ছড়িয়েছে দেখুন,

“তাদের মধ্যে থেকে কাউকে নিজের বন্ধুরূপে গ্রহণ করো না, যতক্ষণ না সে আল্লাহর পথে হিজরত করে আসবে । আর সে যদি হিজরত না করে, তবে যেখানেই পাবে তাকে ধরবে, তাকে হত্যা করবে এবং তাদের মধ্যে কাউকে নিজের বন্ধু ও সাহায্যকারী রূপে গ্রহন করো না।- (কোরান, ৪/৮৯)

এই আয়াতে বলা হলো, মুসলমান না হলে কাউকে তো বন্ধু হিসেবে গ্রহন করা যাবেই না, বরং তাকে যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই হত্যা করতে হবে।

এখনই অবাক হইয়েন না, আর আছে-
“নিশ্চয় আল্লাহতায়ালার নিকট যমীনের বুকে বিচরণ শীল জন্তু প্রাণীর মধ্যে নিকৃষ্টতম হচ্ছে সেই সব লোক যারা মহাসত্যকে মেনে নিতে অস্বীকার করেছে, পরে তারা কোনো প্রকারেই তা কবুল করতে প্রস্তুত হয় নি। - (কোরান, ৮/৫৫)

এখানে বলা হলো, যারা ইসলাম গ্রহণ করে নি, তারা পৃথিবীতে সবচেয়ে নিকৃষ্টতম সৃষ্টি। এই একই কথা আবার বলা হয়েছে নিচের এই আয়াতে-

“আহলি কিতাব ও মুশরিকদের মধ্যে হতে যারা কুফরী করেছে, তারা নিকৃষ্টতম সৃষ্টি।” - (কোরান, ৯৮/৬)

নিচের আয়াত পড়ে মুহম্মদ এবং তার আল্লাকে গালি দেওয়ার কোনো ভাষা আমি খুঁজে পাই নি, সম্ভবত আপনিও পাবেন না,

“একথা একান্তই সত্য যে, বহু সংখ্যক মানুষ ও জ্বীন এমন আছে ,যাদেরকে আমি জাহান্নামের জন্যই পয়দা করেছি।.....তারা আসলে জন্তু জানোয়ারের মতো বরং তা হতেও অধিক বিভ্রান্ত।- (কোরান, ৭/ ১৭৯)

এখানে বলা হচ্ছে কিছু মানুষকে আল্লা জাহান্নামের জন্যই সৃষ্টি করেছে। ইসালম মতে, মুহম্মদ ও আল্লার বিরোধিতা করা ই হচ্ছে জাহান্নামে যাওয়ার একমাত্র পথ, তো যাদেরকে আল্লা জাহান্নামের জন্য সৃষ্টি করেছে, তারা তো আল্লা ও রাসুল অর্থাৎ ইসলামের বিরোধিতা করবেই, এতে বিরোধিতাকারী কাফেরেদের দোষ কোথায় ? আর এই বিরোধিতাকারীরা নাকি জন্তু জানোয়ারের চেয়েও খারাপ। এখন পর্যন্ত পৃথিবীতে আবিষ্কৃত কোনো গালিই এই মুহম্মদ এবং তার আল্লার জন্য যথেষ্ট উপযুক্ত বলে আমার মনে হয় না, কেউ যদি কোনো নতুন গালি পান, আমাকে সাজেস্ট কইরেন।

উপরের এই ৫ টি আয়াতে, ইসলাম, সকল অমুসলিমদের উপর ঘৃণা বর্ষণ করেছে। কিন্তু ইহুদি খ্রিষ্টানদের জন্য ইসলামের রয়েছে স্পেশাল ঘৃণা, সেগুলো দেখে নিন নিচে-

সহী মুসলিমে আবু হোরায়রা হতে বর্ণিত আছে যে – নবী বলেছেন, তোমরা ইহুদি ও নাসারা(খৃষ্টান)দেরকে আগে সালাম দিবে না এবং যদি পথে দেখা হয়ে যায় , তাদেরকে সংকীর্ণ পথে যেতে বাধ্য কর। ( ইবনে কাথিরের তাফসির , পৃষ্ঠা - ৬৭৫)

এছাড়াও মুহম্মদ বলে গেছে,
“একমাত্র মুসলমান ছাড়া ইহুদি খ্রিষ্টান সবাইকে আমি আরব ছাড়া করবো”- (মুসলিম হাদিস, ৪৩৬৬)

বহু খুন, ধর্ষণ, লুটপাট, ডাকাতি এবং জোর জবরদস্তির পরও মুহম্মদ তার জীবদ্দশায় সমগ্র আরবকে অমুসলিম শুন্য করতে পারে নি, কিন্তু ঘৃণার মহাসমুদ্র মুহম্মদের এই ইচ্ছা অনুসারে,
“খলিফা ওমর আরব থেকে ইহুদি এ খ্রিষ্টানদেরকে বিতাড়িত করে।” - (বুখারি, ৩/৩৯/৫৩)

মুহম্মদের একটি ইসলামিক ফিকশান পড়লে আপনি না হেসে পারবেন না, হাসতে চাইলে পড়ুন নিচে-

"রাসূলুল্লাহ (সঃ) বলেছেন, ‘কিয়ামত সংঘটিত হবে না ততক্ষণ পর্যন্ত, যতক্ষণ না মুসলমানেরা ইহুদীদের সাথে লড়াই করবে। তারা (মুসলমানেরা) ইহুদীদেরকে হত্যা করবে। ইহুদীরা পাথর খণ্ড ও গাছের আড়ালে লুকাবে। তখন পাথর ও গাছগুলি বলবে, হে মুসলিম, 'এই যে ইহুদী আমার পিছনে। এসো, ওকে হত্যা করো।" (সহীহ মুসলিম, হাদীস- ৮২, কিতাবুল ফিতান; মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস- ৫১৪৪)

এমন উন্মাদ মুহম্মদ, মুসলমানদের একমাত্র আদর্শ, তো মুসলিমরা উন্মাদের মতো জিহাদ করতে গিয়ে আত্মঘাতি বোমা হামলা করে অকালে নিজেরা মরবে না তো কি অন্যেরা মরবে ?

উপরে কোরানের একটি আয়াত আলোচনা প্রসঙ্গে আমি দেখিয়েছি যে, ইসলামে দেব-দেবীর আধ্যাত্মিক ও অলৌকিক শক্তির অস্তিত্বকে স্বীকার করা হয়েছে, আবার একটু আগে যে হাদিস উল্লেখ করলাম সেখানে বলা হলো যে পাথর ও গাছ কথা বলবে, তাহলে এরকম সুপার পাওয়ার সমৃদ্ধ পাথর ও গাছকে যদি হিন্দুরা পূজা করে তাহলে ক্ষতি কী ?

ইহুদি খ্রিষ্টানদের প্রতি মুহম্মদের এই ঘৃণা শুধু ইহকালেই সীমাবদ্ধ নয়, পরকাল পর্যন্ত বিস্তৃত; দেখুন নিচের এই হাদিস-
"আল্লাহ প্রত্যেক মুসলিমকে একটি করে ইহুদী এবং খৃষ্টান দোজখে নিক্ষেপ করতে অনুমোদন দিবেন, বিনিময়ে একজন করে মুসলিম দোজখীকে মুক্তি দেবার জন্য। (সহি মুসলিম ৩৭/৬৬৬৫, ৬৬৬৬)

পৃথিবীতে নানা স্বার্থ সংশ্লিষ্ট কারণে এক মানুষের সাথে অপর মানুষের বা এক দলের সাথে অপর দলের শত্রুতা সৃষ্টি হয় বা শত্রুতা থাকে। কিন্তু কোনো সভ্য মানুষ মৃত মা্নুষের সাথে শত্রুতা করে না। এই কারণে আওয়ামীলীগ, বিএনপি বাংলাদেশের দুই প্রধান শত্রু রাজনৈতিক দল হওয়া সত্ত্বেও, যে কোনো দলের জাতীয় স্তরের কোনো নেতা মারা গেলে অপর দল থেকে তার জানাজায় লোক পাঠিয়ে সহানুভূতি জানায়। কিন্তু মুহম্মদ তো মানুষ নয়, তাই তার শত্রুতা মৃতদের সাথেও, দেখুন নিচের এই আয়াতে-
“যারা কুফরীর আচরণ অবলম্বন করেছে এবং কুফরী অবস্থাতেই মৃত্যুমুখে পতিত হয়েছে, তাদের উপর আল্লাহ ফেরেশতা ও সমগ্র মানুষের অভিশাপ পড়বে।”- (কোরান, ২/১৬১)

এবার দেখুন সেই অভিশাপের দোয়াটা কেমন,
“ফিনা রি জাহান্নামা খালিদিনা ফি-হা আবাদা”
এর অর্থ : বিধর্মী লোকটি জাহান্নামের আগুনে প্রবেশ করুক।

পৃথিবীর সমস্ত অমুসলিমদের জন্য মুহম্মদের ঘৃণার তো কোনো তুলনা ই নেই। কিন্তু মুহম্মদ কি নিজের স্বজনদেরকেই ভালোবাসতো ?

অনেকেই হয়তো জানেন, মুহম্মদের জন্মের পূর্বেই মুহম্মদের পিতা মারা যায়, মুহম্মদের ৬ বছর বয়সে মারা যায় মুহম্মদের মা আমিনা। এরপর মুহম্মদের চাচা আবু তালেব মুহম্মদকে বড় করে, ব্যবসা শেখায়; পিতৃতুল্য এই মানুষ সম্পর্কে মুহম্মদ কী বলেছে, সেটা দেখুন এবার নিচে-

“আবু তালেবকে দোযখে সবচেয়ে কম শাস্তি দেওয়া হবে। তা পায়ে আগুনের তপ্ত লোহার জুতা পরিয়ে দেওয়া হবে। এতে করে চাচজা আবু তালেব এর মগজ টগবগ করে ফুটতে থাকবে।” (মুসলিম হাদিস, ৪১৩)

টগবগ করে মগজ ফোটা নাকি কম শাস্তি ? কম হোক বা বেশি হোক, উম্মে হানির ঘরে রাত কাটিয়ে- নারী মস্তক সম্বলিত ঘোড়ার পিঠে চড়ে যে মুহম্মদ সাত আসমান ঘুরে দোযখ বেহেশত দেখে আসার গল্প বানাতে পারে, সেই মিথ্যুক মুহম্মদের কথায় মুসলমানরা ভয় পেতে পারে, আমি ভয় পাই না।

কারো মনে এই প্রশ্ন জাগতে পারে যে বাপের মতো একটি লোক সম্পর্কে মুহম্মদ এমন কথা বললো কেনো ? তাদের জন্য বলছি, আবু তালেবের মেয়ে উম্মে হানি, সুযোগ পেয়ে যে উম্মে হানির ঘরে রাত কাটিয়ে ভোর বেলায় ধরা পড়ার পর মুহম্মদ মেরাজের কাহিনী বানায়। এই উম্মে হানি ছিলো মুহম্মদের প্রথম প্রেমিকা। কিন্তু উম্মে হানিকে মুহম্মদ বিয়ে করতে চাইলে, চাল চুলোহীন মুহম্মদের সাথে আবু তালেব তার মেয়ের বিয়ে দিতে রাজী হয় নি। আবার মুহম্মদ ও উম্মে হানি একই বাড়িতে বড় হয়েছে ভাই-বোনের মতো, এই বিষয়টির বিবেচনাতে নিয়েও হয়তো আবু তালেব বিয়ে দিতে রাজী হয় নি, যেই বিবেচনা যেকোনো সভ্য মানুষই করে বা করবে । তাছাড়া মুহম্মদের পূর্বে আরবে এই ধরণের ইনসেস্ট বিবাহ চালু ছিলো বলেও জানা যায় না, প্রথাবিরোধী বলেও হয়তো আবু তালেব রাজী না হতে পারে।

যা হোক এই একটি কারণ এবং নবুয়ত প্রাপ্তির পর মুহম্মদ আবু তালেবকে বলে তার ইসলাম গ্রহন করতে, জবাবে আবু তালেব বলেছিলো, আমি এমন ধর্ম গ্রহন করতে চাই না, যার নামাজ পড়তে গেলে সেজদা দেওয়ার সময় পাছা উঁচু করে রাখতে হয়। এছাড়াও অন্যান্য কুরাইশ নেতাদের মতো আবু তালেবও মুহম্মদের ইসলাম প্রচারে বাধা দিয়েছে, বিঘ্ন সৃষ্টি করেছে এবং ইসলাম গ্রহণ না করেই মৃত্যু বরণ করেছে। তাই মুহম্মদ, তার পিতৃতুল্য আবু তালেবের জন্য এই শাস্তি নির্ধারণ করেছে। ইসলাম যে মানব সন্তানকে অমানুষে পরিণত করে, এটা তার একটা উদাহরণ। এরকম উদাহরণ আরো আছে, সবার কথা বাদ দিলাম, মুহম্মদ তার নিজের পিতা-মাতার বিষয়ে কী শাস্তি নির্ধারণ করেছে সেটা দেখে নিন নিচে-

"প্রফেট মুহাম্মদের (দঃ) পিতাকে দোজখের আগুনে ফেলা হবে যেমনটি হবে সব অবিশ্বাসীদের বেলায়। একজন মানুষ যত ভাললোকই হউক না কেন, এবং যতই গরীব-মিস্কিনদেরই খাবার খাওয়াক না কেন, সে মুসলমান না হলে অবশ্যই দোজখে যাবে। ..... বিশ্বাসীদের বাবা ও মা যদি মুসলিম না হয় তাহলে তারা সকলেই দোজখে যাবে। মুহাম্মদের বেলায় ও ঠিক তাই হবে। (সহি মুসলিম ১/০৩৯৮, ২/০৪৬৪, ৩/৪০/৪৭০০)

অনেক মুসলমান আছে যারা নামে মুসলমান কিন্তু কাজে ও চিন্তায় নাস্তিক, মুহম্মদ বলেছে এরা মারা গেলে এদের জন্য জানাযা না পড়তে; দেখুন নিচে-

"অবিশ্বাসীদের কারও মৃত্যু হলে তোমরা কখনও তার জানাযার নামাজ পড়িও না; এবং তার কবরের পার্শ্বে দোয়ার জন্য দাড়াইওনা। তারা তো আল্লাহ ও তার রসুলকে অস্বীকার করেছে। বস্তুত তারা নাফরমান অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছে। (কোরান ৯:৮৪)

আপনারা অনেকেই খেয়াল করে থাকবেন হজ, বিশ্ব ইজতেমার মতো বড় মুসলিম জমায়েত থেকে শুরু করে ঈদের নামাজের মতো ছোটো মুসলিম জমায়েতেও মুসলমানরা শুধু মুসলিম উম্মাহর উন্নতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে এবং শুধু নিজেরা ভালো থাকার জন্য আল্লার কাছে প্রার্থনা করে, যেখানে হিন্দু ও বৌদ্ধধর্মের প্রার্থনার মূল কথা ই হচ্ছে বিশ্বের সকল প্রাণী সুখী হোক। মুসলমানদের এই স্বার্থপর প্রার্থনার কারণটি দেখুন নিচে-

“নবী এবং ঈমানদার লোকের পক্ষে শোভা পায় না যে তারা মুশরিকদের জন্য দোয়া করবে, তারা তাদের আত্মীয়-স্বজন হোক না কেনো ? যখন তাদের নিকট একথা সুস্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, তারা জাহান্নামে যাওয়ারই উপযুক্ত।– (কোরান, ৯/১১৩)

এতসবের মধ্যেও একটা মজার বিষয় কি জানেন?
উপরে মুহাম্মদে মুর্তিপূজা নিয়ে যত আজেবাজে কথাই বলুকনা কেন , সে কিন্তু মদীনায় থাকা কালীন সময়ে প্রথমে জেরুজালেমের বায়তুল আকসার দিকে মুখ ফিরিয়ে সেজদা করলেও তার কয়েকবছর পরেই ক্বাবার দিকে মুখ ফিরিয়ে সেজদা করতো। এবং ততদিন পর্যন্ত ঠিক এই কাজটাই সে করেছে যতদিন মক্কা বিজয় না হয়েছে ।আর মক্কা বিজয় হয়েছিল তার জীবনের শেষের দিকে গিয়ে ।তখন সে ক্বাবার সব মুরতি ভেঙ্গে ফেলে।
যাহোক, সে যে ক্বাবার মুর্তির দিকেই মুখ ফিরিয়ে সেজদা করতো এবং সেই মুর্তি সমেত ক্বাবা ঘরে  থাকা হজরে আসওয়াদের কাছে নিজের পাপের ক্ষমা চাইতো সে বিষয়ে আমার আলাদা একটা পোষ্ট আছে সেখান থেকে এই বিষয়ে জেনে নিতে পারেনঃ
https://imranshakh.blogspot.com/2020/02/blog-post_88.html
আল্লা যেমন নিজে তার সৃষ্টি করা প্রাণীকে ঘৃণা করে তাকে স্বীকার না করার জন্য, তেমনি সে উপরের এই আয়াতের মাধ্যমে মুসলমানদেরকেও নির্দেশ দিয়েছে অমুসলিমদেরকে ঘৃণা করতে। প্রকৃতপক্ষে মুসলমানরা পৃথিবীর কাউকে ভালোবাসে না বা ভালোবাসতে জানে না, সবাইকে শুধু ঘৃণা করে। এরা অমুসলিমদেরকে তো ঘৃণা কর বটেই, নিজেরাও নিজেদেরকে ঘৃণা করে, যেমন-শিয়া সুন্নী, আহমেদিয়া, কাদিয়ানী ইত্যাদি ইত্যা্দি। আবার কোনো অপরাধ না করা সত্ত্বেও শুকরকে তো এরা্ ঘৃণা করেই, এমনকি উপকারী ও নিরীহ প্রাণী কুকুর, বিড়ালকে, সাপ, বানরকেও ঘৃণা করে। এভাবেই ইসলাম এক চরম ঘৃণার তত্ত্ব, যে ঘৃণাকে মুসলমানরা ছড়িয়ে দিয়েছে বিশ্বব্যাপী, পৃথিবীকে করে তুলেছে অশান্ত।

নিউটনের তৃতীয় সূত্র বলে, প্রত্যেক ক্রিয়ারই সমান ও বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। মুসলমানরা সারা পৃথিবীর সবাইকে ঘৃণা করবে, আর অমুসলিমরা তাদের জন্য ভালোবাসা ও মানবতার ডালি নিয়ে বসে থাকবে তা তো হয় না। ঘৃণার পাল্টা ঘৃণা শুরু হয়ে গেছে। পৃথিবীর সকল অমুসলিম, যারা ইসলাম সম্পর্কে জানতে পারছে তারাই মুসলমানদেরকে ঘৃণা করা শুরু করেছে। শুধু তাই নয় মুসলমানের ঘরে জন্ম নিয়েও অনেকে ইসলামের মানবতা বিরোধী রূপকে বুঝতে পেরে ইসলামকে এবং সেই ইসলামকে যারা ডিফেন্ড করে বা করতে চায় সেই সব মুসলমানদেরকেও ঘৃণা করতে শুরু করেছে।

কোনো কোনো মুসলমান বলে, ISLAM এর অর্থ I Shall love all man. কথাটা তারা মিথ্যা বলে না। এই বাক্যটির বাংলা হচ্ছে, “আমি সকল মানুষকে ভালোবাসবো”। খেয়াল করুন বাক্যটি ভবিষ্যৎ কালের, তার মানে হলো ইসলামের আবির্ভাবের ১৪০০ বছর পার হলেও মুসলমানরা এখনও কাউকে ভালোবাসতে শুরু করে নি, ভবিষ্যতে হয়তো শুরু করবে। কিন্তু সেই ভবিষ্যৎ যে কেয়ামত অর্থাৎ পৃথিবী ধ্বংস হওয়া পর্যন্ত আসবে না এবং সেই ঘৃণা যে পরকাল পর্যন্ত চলতে থাকবে সেটা উপরে উল্লেখ করা কোরান হাদিসের বাণী থেকেই আশা করি নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন; যেহেতু অমুসলিমদের প্রতি ইসলামের ঘৃণা শুধু ইহকালেই নয়, মৃত্যুর পর পরকালের দোযখ পর্যন্ত বিস্তৃত।

ঘৃণার ফল যে ঘৃণা ই হয়, সেটা এই শতাব্দীতেই, মুসলমানরা হাড়ে হাড়ে নয় কোষে কোষে যে টের পাবে, সেই ব্যাপারে আমি হান্ড্রেড পার্সেন্ট নিশ্চিত; কারণ, মুসলমানদেরকে সাইজ করার জন্য- নরেন্দ্র মোদী, ভ্লাদিমির পুতিন এবং ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো লোকের জন্ম অলরেডি হয়ে গেছে, প্রতিদিন হচ্ছে এবং আরো হবে। এখন বাংলাদেশ পাকিস্তানের মতো সব মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশ থেকে মুসলমানরা অমুসলিমদেরকে মেরে-কেটে-ধর্ষণ করে বিতাড়িত করছে, কিন্তু একদিন এই সব মুসলিম দেশ থেকেই মুসলমানরা পালানোর পথ পাবে না। Just wait for that time and stay with me.

উপরে যেসব প্রাণীকে ইসলাম ঘৃণা করে ব’লে বলেছি, সেই রেফারেন্সগুলো দেখে নিন নিচে

‘তোমরা তাদেরকে ভালরূপে জেনেছ, যারা শনিবারের ব্যাপারে সীমালংঘন করেছিল। আমি বলেছিলামঃ তোমরা লাঞ্ছিত বানর হয়ে যাও।’ (কোরান, ২/৬৫)
‘যাদের কতেককে বানর ও শূকরে রূপান্তরিত করে দিয়েছেন।’- (কোরান, ৫/৬০)
"কালো কুকুর মানেই শয়তান।" (Sahih Muslim 4:1032 )
আব্দুল্লাহ বিন উমর বর্ণিত,হুযুর বলিয়াছেন কুকুরকে মারিয়া ফেলা উচিত। সহি বুখারী হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৫৪০
আয়শা হইতে বর্ণিত, হুযুর লেজ-কাটা সাপ মারিয়া ফেলিবার নির্দেশ দিয়াছেন এবং বলিয়াছেন যে, এই জাতীয় সাপ চক্ষুর জ্যোতি নষ্ট করে এবং গর্ভপাত ঘটায়।সহি বুখারী হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৫২৭

আয়শা হইতে বর্ণিত, হুযুর নির্দেশ দিয়াছেন- পিঠে দুইটি দীর্ঘ সাদা রেখাবিশিষ্ট সাপ মারিয়া ফেল। কেননা এই জাতীয় সাপ চক্ষুর দৃষ্টি শক্তি নষ্ট করে ও গর্ভপাত ঘটায়।সহি বুখারী হাদিস, বই-৫৪, হাদিস-৫২৮
নবীজী আদেশ করেছেন কুকুরগুলোকো হত্যা করে ফেলতে। বুখারি, ৪/৫৪/৫৪০
ফেরেশতা ঢুকেন না সেই ঘরে, যে ঘরে কোনো কুকুর বা ছবি রয়েছে। বুখারি, ৪/৫৪/৫৩৯

এই পোষ্টের লেখার সাথে হয়তো অনেকেই একটা যায়গায় আমার সাথে মিল হতে পারবেনা জানি ।
কারন আমি একটা বিষয়ে এড়িয়ে গেছি ।
আরা সেটা হলো তাহলে আমরা যেটা জেনে আসছি ছোটবেলা থেকে যে ইসলামে কোন জোর জবরদস্তি নেই ,মানে ধর্ম নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি নেই ,তাহলে সেটা কি ?
এটা কেন আমি এড়িয়ে গেলাম?
বলছি তাহলে শুনুন, এটা আসলে মুসলমানদের কঠিন একটা মারপ্যাচ ।ধরতে না পারলে আপনি এখানে হা বনে যাবেন ।
আর সেটা কি জানেন?
সেটা হচ্ছেঃ তারা  খুব উচ্চস্বরে চিল্লাইয়া বলে থাকে যে ,তোমার ধর্ম তোমার কাছে , আমার ধর্ম আমার কাছে ।
তোমার ধর্ম তোমার কাছে,আমার ধর্ম আমার কাছে
Al-Kafirun 109:6
Chronological order:18
অবতীর্ণঃমক্কায়
لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِىَ دِينِ
তোমাদের জন্য তোমাদের দীন আর আমার জন্য আমার দীন
আবার মদীনায়  হিজরতের শুরুরদিকে ,যখন মুহাম্মদে দুর্বল ছিলঃ
Al-Baqarah 2:256
chronological order:87
অবতীর্ণঃ(মদীনায় )
لَآ إِكْرَاهَ فِى ٱلدِّينِۖ قَد تَّبَيَّنَ ٱلرُّشْدُ مِنَ ٱلْغَىِّۚ فَمَن يَكْفُرْ بِٱلطَّٰغُوتِ وَيُؤْمِنۢ بِٱللَّهِ فَقَدِ ٱسْتَمْسَكَ بِٱلْعُرْوَةِ ٱلْوُثْقَىٰ لَا ٱنفِصَامَ لَهَاۗ وَٱللَّهُ سَمِيعٌ عَلِيمٌ
দীন গ্রহণের ব্যাপারে কোন জবরদস্তি নেই। নিশ্চয় হিদায়াত স্পষ্ট হয়েছে ভ্রষ্টতা থেকে। অতএবযে ব্যক্তি তাগূতকে অস্বীকার করে এবং আল্লাহর প্রতি ঈমান আনেঅবশ্যই সে মজবুত রশি আঁকড়ে ধরেযা ছিন্ন হবার নয়। আর আল্লাহ সর্বশ্রোতাসর্বজ্ঞ

শুনতে কি সুন্দর শোনা যায় ,তাইনা ?আহ কি মধুর অমীয় বানী।
আসলেই তো ইসলামে কোন জোর জরবরদস্তি তো নেই ।যার যার ধর্ম তার তার কাছেই বলছে ।
কিন্তু জনাব গেমটা এখান থেকেই শুরু ।
আর সেটা হচ্ছে এই আয়াতদুটি হচ্ছে বাতিল আয়াত ।
কেননা এই আয়াতদুটির একটি  হচ্ছে সুরা কাফিরুনের যেটা নাজিল হয়েছিল মক্কায় মুহাম্মদের নব্যুয়ত জীবনের শুরুতেই ।যখন সে দুর্বল ছিল, লোকজন তেমন ছিলনা তখন এসব আয়াত নাজিল করছে । নয়তো শুরুতেই যদি কাটাকাটির আয়াত নাজিল করে তাহলে তো তাকেই কেটে ছেড়ে দিবে উন্মাদ বলে ।বর্তমানে  সুরা কাফিরুনের  সিরিয়াল নাম্বার হচ্ছে ১০৯ মানে কুরানের শেষের দিকের সুরা হলেও এটা মূলত কুরান নাজিলের প্রথম দিকের সুরা ।
এটার নাজিলকৃত সিরিয়াল হচ্ছে ১৮ , মানে মক্কায় শুরুর দিকের ।
আবার পরের আয়াতের সুরা বাকারার ক্ষেত্রেও একই বিষয়।
মক্কা থেকে যখন রাতের আধারে পালিয়ে মদীনায় যেতে বাধ্য হয় তখনও সেখানে গিয়েও একই কাজ করে ।
কিন্তু যখন সে যেমনে করেই হোক, মক্কার ক্ষমতায় পৌছে গেলে তখন কি বলে গেছে জানেন?
At-Taubah 9:5
অবতীর্ণঃমদীনায়
chronological order:113
৬২৯ খ্রিস্টাব্দ
(মুহাম্মদের জীবনের শেষ সময়ে)
فَإِذَا ٱنسَلَخَ ٱلْأَشْهُرُ ٱلْحُرُمُ فَٱقْتُلُوا۟ ٱلْمُشْرِكِينَ حَيْثُ وَجَدتُّمُوهُمْ وَخُذُوهُمْ وَٱحْصُرُوهُمْ وَٱقْعُدُوا۟ لَهُمْ كُلَّ مَرْصَدٍۚ فَإِن تَابُوا۟ وَأَقَامُوا۟ ٱلصَّلَوٰةَ وَءَاتَوُا۟ ٱلزَّكَوٰةَ فَخَلُّوا۟ سَبِيلَهُمْۚ إِنَّ ٱللَّهَ غَفُورٌ رَّحِيمٌ
অতঃপর যখন নিষিদ্ধ মাসগুলো অতিবাহিত হয়ে যাবেতখন তোমরা মুশরিকদেরকে যেখানেই পাও হত্যা কর এবং তাদেরকে পাকড়াও করতাদেরকে অবরোধ কর এবং তাদের জন্য প্রতিটি ঘাঁটিতে বসে থাক। তবে যদি তারা তাওবা করে এবং সালাত কায়েম করেআর যাকাত দেয়তাহলে তাদের পথ ছেড়ে দাও। নিশ্চয় আল্লাহ বড়ই ক্ষমাশীলপরম দয়ালু
At-Taubah 9:29
قَٰتِلُوا۟ ٱلَّذِينَ لَا يُؤْمِنُونَ بِٱللَّهِ وَلَا بِٱلْيَوْمِ ٱلْءَاخِرِ وَلَا يُحَرِّمُونَ مَا حَرَّمَ ٱللَّهُ وَرَسُولُهُۥ وَلَا يَدِينُونَ دِينَ ٱلْحَقِّ مِنَ ٱلَّذِينَ أُوتُوا۟ ٱلْكِتَٰبَ حَتَّىٰ يُعْطُوا۟ ٱلْجِزْيَةَ عَن يَدٍ وَهُمْ صَٰغِرُونَ
তোমরা লড়াই কর আহলে কিতাবের সে সব লোকের সাথে যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসে ঈমান রাখে না এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল যা হারাম করেছেন তা হারাম মনে করে নাআর সত্য দীন গ্রহণ করে নাযতক্ষণ না তারা স্বহস্তে নত হয়ে জিজিয়া দেয়
সুনানে নাসাই (ইফা)
অধ্যায়ঃ২৫ (জিহাদ)
হাদীস নং-৩০৯৪
ইউনুস ইবন আলা ও হারিস ইন মিসকিন (রহ)..
আবু হুরায়রা (রাঃথেকে বর্নিত লাইলাহা ইল্লালাহ -আল্লা ব্যাতীত কোন ইলাহ নেই (তাওহীদ বাক্যনা বলবেততক্ষন পর্যন্ত রাসুল আমাকে লোকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে বলেছে/নির্দেশ  দেওয়া হয়েছে
তাই যে লাইলাহা ইল্লালাহ বলবে আমার পক্ষ থেকে সে তার সম্পদ এবং প্রানের নিরাপত্তা লাভ করবেতবে ইসলামের হক ব্যাতিত এর হিসাব আল্লার নিকট

তাহকীকঃসহীহ(মুতাওয়াতির)ইবনে মাজাহঃ ৭১৭২,৩৯২৭,৩৯২৮
সুনান নাসাঈ(ইফা)
অধ্যায় -২৫
হাদীস৩০৯৯.
আহমদ ইবন মুহাম্মদ ইবন মুগীরা (রহঃও আমর ইবন উছমান ইবন সায়ীদ ইবন কাসীর (রহঃ) ... সাঈদ ইবন মুসায়্যার (রহঃবর্ণনা করেনআবু হুরায়রা (রাঃতাকে সংবাদ দিয়েছেন যেরাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ লোকেরা যতক্ষণ 'লা-ইলাহা ইল্লাল্লাহনা বলবেততক্ষণ আমি তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আদিষ্ট হয়েছি। যে ব্যক্তি তা বললোসে আমার পক্ষ হতে তার জান-মালের নিরাপত্তা লাভ করলো তবে ইসলামের হক ব্যতীত। তার হিসাব আল্লাহর কাছে
তাহক্বীকঃ সহীহ
হাদিসের মানঃ  সহিহ (Sahih)
পুনঃনিরীক্ষণঃ 
বর্ণনাকারী রাবীঃ সাঈদ ইবনু মুসাইয়্যাব (রহঃ)
তো উপরন্তু আমার বক্তব্য হচ্ছে যারা বলেন যে,ইসলামে দ্বীনের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি নেই
তোমার ধর্ম তোমার কাছেআমার ধর্ম আমার কাছে  তারা এবার আমাকে একটু বুঝিয়ে দেন যে,একজন ব্যক্তি তার রাজনৈতিক ক্যারিয়ারে পদার্পণ করেই বললেন তোমার ধর্ম তোমার কাছেআমার ধর্ম আমার কাছে,
ইসলামে দ্বীন নিয়ে বাড়াবাড়ি নেই,ঠিক সেই ব্যক্তিটাই ক্ষমতার মসনদে বসে যদি  বলে যায় যে,যারা আল্লাতে বিশ্বাস করেনা বা ইসলাম মানেনা তাদেরকে হত্যা করো যেখানে পাও সেখানেই,তাদেরকে পাকড়াও করো,তাদের জন্য ওত পেতে থাকো ইত্যাদি ইত্যাদি
তাহলে কি সেই ব্যক্তিটির আগের কথার কোন দাম থাকে বা মূল্য থাকে?
ধরুন কোন একজন মেম্বার বা ইউপি চেয়ারম্যান ক্ষমতায় থেকে বললো তোমার ধর্ম তোমার কাছেআমার ধর্ম আমার কাছে,
ধর্ম নিয়ে কোন বাড়াবাড়ি নাই,
অথচ সেই ব্যক্তিটি ১০ বছর পরে প্রধানমন্ত্রী হয়ে যদি বলে বিরোধী দলের যাকে যেখানে পাবি সেখানেই সেইটারেই হত্যা করবি যদি আমার দলে না আসে
এবং এই কথার পরে যদি সে আর কোন বক্তব্য না দেয় তাহলে তার কোন বক্তব্যটা গ্রহনযোগ্য হবে?
মেম্বার বা ইউপি চেয়ারম্যান হবার পরেরটা নাকি প্রধানমন্ত্রী হবার পরেরটা?
নিশ্চয়ই প্রধানমন্ত্রী হবার পরেরটা
তাহলে যারা ওরকম শান্তির বানী শুনিয়ে বলেন যে,ইসলাম হলো শান্তির ধর্মএখানে কোন জোর জবরদস্তি নেই,তারা এখন ক বলবেন?
আবার যারা আছেন যে,বলে থাকেন এই আয়াতটা কোন প্রেক্ষাপটে নাজিল হয়েছিল আগে সেটা দেখেন,তাহলে তাদেরকে বলছি মক্কা বিজয়ের পরে যখন আপনাদের ধর্মের শান্তির সুঘ্রাণ বইতেছিলযখন কোন যুদ্ধই ছিলনা তখন এই সুরা তাওবাহ নাজিল হয়েছিল
তো এই সুরাটা নাজিলের প্রেক্ষাপটটা আমাকে একটু বুঝিয়ে দিবেন প্লিজ
আরেকটা কথা খুব ঘটা করেই বলে থাকেন যে,এটা তো এখনের জন্য নয়,ঐ সময়ের জন্য ছিল,ওটা তো মক্কার লোকেদের জন্য ছিলওটা নবী মুহাম্মাদের জন্য ছিল,ইত্যাদি ইত্যাদি
তাহলে তাদেরকে বলছি,আপনি যে নামাজ পড়েনরোজা রাখেন সেটাও তো সেই সময়ের জন্য ছিল,মক্কার লোকেদের জন্য ছিল,মুহাম্মাদের উপরে ছিল,তাহলে আপনি সেটা এখনো করছেন কেন?
 
নোটঃ এখানে আরেকটা মারপ্যাচ আছে মনে করিয়ে দিই, নয়তো ওদের চাপার ঠ্যালায় কাত হয়ে পড়ে যাবেন।
আর সেটা হচ্ছেঃ এসব সুরা আয়াত দেখালেই ওরা বলবে যে এটা তো অমুক প্রেক্ষাপটে তমুক কারনে নাজিল হয়েছিল ।
এটা তো সবসময়ের জন্য বলেনি, সবার উদ্দেশ্যে বলেনি ,এটা ছিল অমুক যুদ্ধ তমুক যুদ্ধকে কেন্দ্র করে , ইভেন বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই দাবী করে থাকে যে,এটা হলো হুদাইবিয়ার সন্ধি চুক্তি ভঙ্গের কারনে এই ঘোষনা দিছিল।
আসলে এসব কথাবার্তা হচ্ছে ওদের পিঠ বাচাবার রাস্তা খোচা ।
কারন এই সুরা তাওবা হচ্ছে নাজিল অনুসারে ১১৩ নাম্বার সুরা ।
যেখানে মোট সুরার সংখ্যাই হচ্ছে ১১৪ টি ।মানে মুহাম্মদের জীবনের একেবারেই শেষ সময়ের বানানো সুরা এইটা ।এই সুরা নাজিল হয় হচ্ছে ৬৩২ খ্রিঃ আর এই সুরা নাজিলের সময়ে কোন যুদ্ধই ছিলনা , কারন মুহাম্মদের জীবনের শেষ যুদ্ধ হচ্ছে মক্কা বিজয়।আর সেই মক্কা বিজয় হচ্ছে ৬৩০ খ্রিঃ
মানে এই সুরাটা হচ্ছে মক্কা বিজয়েরও ২ বছর পরে।তাহলে এখানে আবার যুদ্ধের প্রেক্ষাপট আসলো কিভাবে?
আবার অনেকেই বলে যে এটা হচ্ছে হুদাইবিয়ার সন্ধিচুক্তি ভঙের কারনে।
অথচ দেখেন এই সুরার প্রথম আয়াতেই বলা হয়েছে আল্লা ও তার রাসুলের পক্ষ থেকে সমস্ত চুক্তি বাতিল করা হলো।
At-Taubah 9:1

بَرَآءَةٌ مِّنَ ٱللَّهِ وَرَسُولِهِۦٓ إِلَى ٱلَّذِينَ عَٰهَدتُّم مِّنَ ٱلْمُشْرِكِينَ

আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের পক্ষ থেকে সম্পর্কচ্ছেদের ঘোষণা সে সব লোকের প্রতি মুশরিকদের মধ্য থেকে যাদের সাথে তোমরা চুক্তিবদ্ধ হয়েছিলে।

উপরের সকল তথ্য ছাড়াও বহুবিদ তথ্য দিয়ে আমার পোষ্ট আছে যা দ্বারা প্রমান হয় ইসলাম একটি ঘৃনা প্রকাশ এবং ঘৃনা ছড়ানোর ধর্ম।

তো উপরোক্ত আলোচনার পরিসমাপ্তি টানতে গিয়ে বলতে চাইঃ পৃথিবীর সকল ধর্মই নিপাত যাক।সবার পরিচয় একটাই হয়ে উঠুক "আমি একজন মানুষ"
এখানে ইসলামের বিরুদ্ধচারন করতে গিয়ে বারবার মুর্তিপূজার পক্ষে হয়তো কিছুটা চলে গেছে ,এটা দেখে হয়তো কেউ ভাবতে পারেন আমি হিন্দুদের প্রতি দুর্বল ।
- না ।
বরং আমি হিন্দুদের প্রতি মোটেও দুর্বল নই , বরং ওদের প্রতি আমি আরো বেশি হ্ররুষ্ট, কেননা মুসলমান ধর্মান্ধগুলিকে আমি চিনতে জানতে পারলেও ওদেরকে চেনা আমার কাছে খুবই কঠি।।কেননা ওদের বেশিরভাগ ছেলে মেয়েই উপরে উপরে মুক্তমনার বেশ ধারন করে ভিতরে ভিতরে হিন্দুত্ববাদকে লালন করে ।

No comments

Powered by Blogger.