Header Ads

Header ADS

মুহম্মদের সময় আরবের লোকজন কিভাবে ইসলাম গ্রহন করেছিলো ?

মুহম্মদের সময় আরবের লোকজন কিভাবে ইসলাম গ্রহন করেছিলো ?

Image result for ইসলাম গ্রহনের ছবি

মুহম্মদের মৃত্যুর পর পরই আরবের বেশিরভাগ লোক ইসলাম ত্যাগ করেছিলো, এমনকি তারা মদীনাও আক্রমন করেছিলো, এই সময় আবুবকরের সিদ্ধান্ত ও কাজ ইসলামকে বাঁচিয়ে রাখে। কিন্তু মুসলমানদের আর একটি বহু মিথ্যা প্রচার যে, মহানবীর মহান আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়েই আরবের লোকজন স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহন করেছিলো, নবী কারো উপর কোনো জোর জবরদস্তির করেন নি। এই প্রসঙ্গে তারা ইসলামের কয়েকটি নিরীহ বাণী, যেমন-

“ধর্মে কোনো জোরজবরদস্তি নেই” (কোরান, ২/২৫৬),

“তোমার ধর্ম তোমার, আমার ধর্ম আমার”(কোরান, ১০৯/৬),

“ধর্ম নিয়ে কোনো বাড়াবাড়ি করো না” (কোরান, ৪/১৭১)

-শুনিয়ে দেয়, আর ইসলাম সম্পর্কে অজ্ঞ - হিন্দু, খ্রিষ্টান, বৌদ্ধরা- মনে করে, আহ, ইসলাম কী ভালো ধর্ম! এভাবে ১৪০০ বছর ধরে মুসলমান ইসলামের প্রকৃত ইতিহাস চেপে রেখে অন্যদেরকে ধোকা দিয়ে যাচ্ছে।

মুহম্মদের নবুয়ত প্রাপ্তির পর মক্কার ১২ বছরে যে কয় জন ইসলাম গ্রহণ করেছিলো, বলা যায় সেই ১১৩ জনই স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহন করেছিলো। পরবর্তীতে প্রায় সবাই হয় জোর জবরদস্তি, না হয় মুহম্মদের কৌশলের ফাঁদে পড়ে ইসলাম গ্রহণ করতে বাধ্য হয়েছে। যেখানে জোর কাজ করে নি, সেখানে মুহম্মদ সরাসরি এ্যাপ্লাই করেছে ঘুষ সিস্টেম, যেই ঘুষ সিস্টেম এখন পর্যন্ত বলবৎ, যাকাতের টাকার একটা অংশ এখনও অমুসলিমদেরকে ইসলামে টানতে ব্যবহার করে পৃথিবীর প্রত্যেকটি ইসলামিক কান্ট্রি।

অন্যসব কাহিনী বাদ দিয়ে এই পোস্টে শুধু আরবের মক্কা ও তায়েফ নগরীর লোকজনের ইসলাম গ্রহনের কাহিনী বলবো, তাহলেই পরিষ্কার হয়ে যাবে যে, আরবের লোকজন কোন পরিস্থিতির মধ্যে ইসলামকে স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলো।

এসব জানার পর- নবীর আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে আরবের লোকজন স্বেচ্ছায় ইসলাম গ্রহন করেছিলো বা এই ভারতব‌র্ষের লোকজন অত্যাচারিত হয়ে নয়, ইসলামের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়েই ইসলাম গ্রহন করেছিলো, যারা এই কথা বলে বা বলবে, তাদের সম্পর্কে আমার মনে হয়- তাদের অবস্থা সেইসব সন্তানের মতো, যাদের জন্মই হয়েছে ধর্ষণের ফলে, কিন্তু জন্মের পর তারা ভাবছে, তাদের জন্ম তাদের পিতা মাতার ভালোবাসার মিলনের ফলেই হয়েছে, তাদের জন্মদাতা, তাদের মায়ের উপর কোনো জোর করে নি এবং সেই ধর্ষক পিতাকেই তারা পিতা হিসেবে মেনে নিচ্ছে, এই মেনে নেওয়ার ফলে তারা যে তার আপন মাকেই অপমানিত করছে, এই বোধটুকুও এইসব মুসলমানদের নেই।

যা হোক, মুহম্মদের মক্কা দখলের সময় মক্কার নেতা আবু সুফিয়ানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পন এবং ইসলাম গ্রহনের ফলে প্রায় বিনা যুদ্ধে মুহম্মদ মক্কা দখল করতে পারে। এরপর মুহম্মদ শর্ত দেয়, যারা ঘরের মধ্যে থাকবে তারা নিরাপদ। তারপরও মুহম্মদের বাহিনীকে রাস্তায় প্রতিরোধ করার শাস্তি হিসেবে সেই দিন ২৮ জন নিহত হয় এবং মুসলমানরা, মক্কা দখলের পর সবাইকে ক্ষমা করে দেন বলে প্রচার করলেও মুহম্মদ ১০/১২ জনের মৃত্যুদণ্ড দেয়। এরপর সব মক্কাবাসীকে এই শর্তে ক্ষমা দেয় যে চার মাসের মধ্যে সবাইকে ইসলাম গ্রহন করতে হবে, অন্যথায় কারো জীবনের নিরাপত্তার দায় সে নেবে না। এর প্রমান আছে নিচের এই আয়াতে-

"অতএব তোমরা দেশে চারটি মাস আরও চলাফেরা করে নাও এবং জেনে রাখো যে, আল্লাকে তোমরা দুর্বল করতে পারবে না। আরও এই যে, আল্লা সত্য অমান্যকারীদেরকে লাঞ্ছিত করবেন।" - ( কোরান, ৯/২)

মুহম্মদ নামের এই সন্ত্রাসী, যে সন্ত্রাসী প্রায় বিনা কারণে কুরাইজা গোত্রের ৮০০ লোককে খুন জবাই করে করার নির্দেশ দিতে পারে, আর যে সেই ৮০০ লোককে খুন করার দৃশ্য দিনভর বসে বসে দেখতে পারে, তার দখলে মক্কা, যার ১০/১২ হাজার খুনী যোদ্ধা, প্রত্যেকের হাতে খোলা তরবারি, সেই মুহম্মদের নির্দেশ না মেনে কোনো উপায় আছে ? ভয়েই মক্কার সব লোক সেই চার মাসের আগেই ইসলাম গ্রহন করে ফেলে। এরা নিশ্চয় মুহম্মদের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়েই ইসলাম গ্রহণ করেছিলো, কী বলেন, মুমিনরা ? মুহম্মদের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়েই নিশ্চয়, সেই আদর্শ হলো মুহম্মদের সন্ত্রাসী আদর্শ, মুহম্মদের হাতে না মরার ভয়ে।

মক্কা দখলের কয়েক দিন পরেই হুনাইনের যুদ্ধ হয়, এই যুদ্ধে বেশ কিছু মুসলমান মরলেও শেষ পর্যন্ত মুহম্মদ জয়ী হয় এবং তারপর মুহম্মদ তায়েফ নগরী অবরোধ করে। তায়েফ ছিলো একটি প্রাচীর বেষ্টিত নগরী। ফলে তায়েফের লোকজন প্রাচীরের ভেতর থেকেই মুসলমানদের দিকে তীর ছুঁড়তে থাকে, এতে মুহম্মদকে পিছু হটে তীরের পাল্লার বাইরে এসে তাঁবু ফেলতে হয়। তীরের কারণে মুসলমানরাও সামনে যেতে পারে না, অন্যদিকে নগরের মধ্যে খাদ্য ও পানীয়ের কোনো সমস্যা না থাকায় তায়েফবাসীও আত্মসমর্পন করে না। শেষে মুহম্মদ তাদের প্রাচীর বাইরের আঙুরের ক্ষেত এবং খেজুর বাগান আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়, তাতেও তেমন কাজ হয় না। এরপর নবী আরেকটা চাল চালে, বলে, তায়েফ নগরীর যেসব দাস তার দলে যোগ দিয়ে ইসলাম গ্রহন করবে, তাদেরকে মুক্ত করে দেওয়া হবে; এই চান্স নেয় ২০ জন ক্রীতদাস এবং তারা নগরী থেকে বের হয়ে এসে মুহম্মদের দলে যোগ দেয়। শেষমেষ মুহম্মদ ১৫ দিন পর অবরোধ উঠিয়ে নেয়। অবরোধ উঠানোর পর মুহম্মদ হুনাইন যুদ্ধে প্রাপ্ত গনিমতের মাল বন্টন করে, সেই সময় সে তায়েফ নগরীর এক দলপতি মালেককে মুহম্মদ বলে পাঠায় যে, সে যদি ইসলাম গ্রহন করে তাহলে তাকে ১০০ উট সহ অন্যান্য সুবিধা দেওয়া হবে। এই লোভে মালেক ইসলাম গ্রহন করে মুসলমান হয়ে যায়।

তায়েফবাসীদের আরেক দলপতি ছিলো সুফিয়ানের জামাই উরউয়া। তায়েফ অবরোধের সময় সে ছিলো ইয়েমেন। ১০ মাস পরে ফিরে এসে দেখে মক্কাসহ তায়েফের আশেপাশের সবাই ইসলাম গ্রহন করতে বাধ্য হয়েছে। তাই সে আর দেরী ক'রে নিজের বিপদ না বাড়িয়ে সোজা মদীনায় গিয়ে মুহম্মদের সাথে দেখা করে ইসলাম গ্রহন করে তায়েফে ফিরে এসে সবাইকে জানিয়ে দেয় যে, সে ইসলাম গ্রহন করেছে। শুধু তাই নয় পরদিন ভোর বেলা সে নিজের বাড়ির উপরে উঠে উচ্চস্বরে আযান দিতে শুরু করে, তখনই একটি তীর এসে তাকে বিদ্ধ করে এবং উরউয়া মারা যায়। এভাবে তায়েফবাসীরা তাদের দেব-দেবীরপূজা চালিয়ে যেতে থাকে, কিন্তু তাদের আরেক দলপতি মালেক, যে নবীর কাছে ঘুষ খেয়ে ইসলাম গ্রহন করেছিলো, সে তায়েফবাসীকে শান্তিতে থাকতে দেয় না, মালেক নানাভাবে তায়েফবাসীর উপর অত্যাচার শুরু করে। উদ্দেশ্য হলো, চাপে ফেলে সমস্ত তায়েফবাসীকে মুসলমান বানানো।

কেউ মুসলমান হলে তার চরিত্রের এই এক পরিবর্তন হয়, সঙ্গে সঙ্গে সে নিকটাত্মীয়দেরই শত্রু হয়ে যায়, তাদেরকে খুন করতেও তাদের আর হাত কাঁপে না। যা হোক, নগরীর বাইরে মালেকের অত্যাচার এমনই চরমে উঠে যে, কেউ আর নিজের জীবনের নিরাপত্তা পাচ্ছিলো না। শেষ পর্যন্ত মালেকের অত্যাচারের হাত থেকে বাঁচার জন্য তারা ইসলাম গ্রহনেরই সিদ্ধান্ত নেয় এবং মদীনায় মুহম্মদের কাছে তাদের প্রতিনিধি পাঠায়। তায়েফে তখনও দেবী লাত এর মূর্তি ছিলো, মুহম্মদ তাদেরকে সেই মূর্তি ভেঙ্গে ফেলতে নির্দেশ দেয়, এই মূর্তি ভাঙতে তাদের রাজী না হয়েও উপায় ছিলো না, তাই তারা রাজী হয়। প্রতিনিধি দলের ফেরার সময় সুফিয়ানকে মুহম্মদ তাদের সাথে পাঠায়, যে তারা সত্যিই মূর্তি ভাঙে কি না তা দেখার জন্য, আর মূর্তি ভাঙার দায়িত্ব দিয়ে পাঠায় মঘিরা নামের এক মুসলমানকে। মঘিরা তায়েফে পৌঁছেই মূর্তি ভাঙা শুরু করে, চারেদিকে উঠে মেয়েদের কান্নার রোল। কিন্তু তাদের কান্নার কি তখন আর মূল্য আছে ? তাদের পুরুষরা তো আত্মসমর্পন করেছে মুহম্মদের কাছে। শেষ পর্যন্ত মূর্তি ভাঙা শেষ হয়, আরব থেকে নিশ্চিহ্ন হয় শেষ মূর্তিটি।

তায়েফের এই লোকগুলো নিশ্চয় মুহম্মদের আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়েই ইসলাম গ্রহন করেছিলো, তাই না, কী বলেন মুমিনগন ?

মক্কা ও তায়েফের লোকজন এভাবে জবদস্তির মাধ্যমে ইসলামকে স্বীকার করতে বাধ্য হলেও মদীনার লোকজন ইসলামকে গ্রহন করেছিলো লুঠপাট, অর্থাৎ গনিমতের মালের ভাগ পাবার লোভে। দেখুন নিচের এই হাদিস-

"একবার একজন লোক মুহম্মদের কাছে এসে বললো যে, সে জিহাদে যোগ দিয়ে লুটের মালের ভাগ পেতে ইচ্ছুক। মুহম্মদ তাকে জিজ্ঞেস করলো, তুমি কি আল্লাহ ও তার রাসূলে বিশ্বাস করো ? লোকটি জবাব দিলো, না । মুহম্মদ তখন তাকে বললো, আগে ভুল রাস্তা ঠিক করো।"- (মুসলিম শরীফ, ৪৪৭২)

মূলত দরিদ্র মুসলমানদেরকে গনিমতের মালের ভাগ দিয়ে মুসলমান বানানোর জন্য মুহম্মদ গনিমতের মাল ভোগ করাকে তা ইসলামে জায়েজ করে, দেখুন নিচের হাদিস-

"ইসলাম প্রবর্তনের আগে লুঠের মাল ভোগ করা বৈধ ছিলো না, কিন্তু আল্লা আমাদের দুর্দশা ও দুর্বলতা দেখে লুটের মাল ভোগ করা বৈধ করেছেন।"- (মুসলিম, ১৯/৪৩২৭)

1 comment:

  1. জনাব ইমরান তুই হিন্দু ধর্ম সম্পর্কে কিছু লিখতে পারবি ?

    ReplyDelete

Powered by Blogger.